১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন (18th Teacher Registration)

১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। আবেদনের পর প্রার্থীদের বাছাই পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে।তিন ধাপের বাছাইয়ের প্রথমেই দিতে হবে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা।প্রিলিমিনারিতে ১০০ নম্বরের বহু নির্বাচনী (এমসিকিউ) পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও সাধারণ জ্ঞানে ২৫ করে মোট ১০০ নম্বর। পাস নম্বর ৪০। প্রতিটি প্রশ্নের মান ১, ভুল উত্তরের জন্য ০.৫০ নম্বর করে কাটা পড়বে।

লিখিত পরীক্ষায় প্রার্থীদের নির্ধারিত নিজ নিজ বিষয়ের ওপর পরীক্ষা দিতে হবে। এই নিবন্ধনের মাধ্যমে প্রার্থীরা বেসরকারি এমপিওভুক্ত বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক পদে চাকরির সুযোগ পাবেন। বিজ্ঞপ্তি পাওয়া যাবে http://www.ntrca.gov.bd ওয়েবসাইটে আর আবেদন করতে হবে http://ntrca.teletalk.com.bd ওয়েবসাইট থেকে

১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন: ১৮ লাখ প্রার্থীর প্রিলিমিনারি পরীক্ষা মার্চে

১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনে ১৮ লাখ প্রার্থীর প্রিলিমিনারি পরীক্ষার তারিখ প্রকাশ করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। প্রতিষ্ঠানটির এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা আগামী ১৫ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে। সকালে স্কুল-২ ও স্কুল পর্যায়ের পরীক্ষা এবং বিকেলে কলেজ পর্যায়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ১৫ মার্চ (শুক্রবার) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত স্কুল-২ ও স্কুল পর্যায়ের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া ওই দিন বেলা সাড়ে তিনটা থেকে বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত কলেজ পর্যায়ের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

পরীক্ষা কত নম্বরের

প্রার্থীদের ১০০ নম্বরের এমসিকিউ ধরনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। পরীক্ষার সময় এক ঘণ্টা। এ পরীক্ষায় মোট ১০০টি প্রশ্ন থাকবে। প্রার্থী প্রতিটি শুদ্ধ উত্তরের জন্য এক নম্বর পাবেন, তবে ভুল উত্তর দিলে প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য প্রাপ্ত মোট নম্বর থেকে শূন্য দশমিক ২৫ নম্বর কাটা হবে। প্রিলিমিনারি পরীক্ষার পাস নম্বর ৪০। তিনটি পর্যায়ে, অর্থাৎ স্কুল পর্যায়, স্কুল পর্যায়-২ ও কলেজ পর্যায়ে পৃথক প্রশ্নপত্রে পরীক্ষার্থীদের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা নেওয়া হবে।

জানা গছে, ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় অংশ নিতে ১৮ লাখ ৬৫ হাজার প্রার্থী আবেদন করেছেন। জাতীয় নির্বাচনের পর পরীক্ষা নেওয়ার কথা থাকলেও চলতি মাসে প্রশ্নপত্র ছাপাতে প্রেসের শিডিউল না থাকা ও মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে রমজান মাস শুরুর কারণে ৮ ও ৯ মার্চে পরীক্ষা নেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তবে এরই মধ্যে নির্বাচন কমিশনের উপজেলা নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করায় শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা আবারও পেছাতে হচ্ছে।

১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা ও নিয়োগের পরামর্শ

শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার ক্যাটাগরি ৩ টি: কলেজ পর্যায়, স্কুল পর্যায় ও স্কুল পর্যায়-২।কলেজ পর্যায়ের জন্য অনার্স লাগে; অথবা ডিগ্রি + মাস্টার্স সমমানের ফাজিল ও কামিল। বেতন গ্রেড ৯ম। বেসিক ২২,০০০ টাকা শুরুতে।

স্কুল পর্যায় মানে সহকারী শিক্ষক বা ইবতেদায়ি মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক। এই পদে ডিগ্রি বা ফাজিল পাস হলেই চলে। অথবা অনার্স হলেও চলবে। তবে কিছু সাবজেক্টে ৩ বছর বা ৪ বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা হলেও চলে। আবার কিছু বিষয়ের ক্ষেত্রে যেকোনো বিষয়ে অনার্স বা ডিগ্রি করার পর ১ বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা করলেও আবেদন করতে পারবেন, যে বিষয়ে ডিপ্লোমা করেছেন সেই বিষয়ে। যেমন আইসিটি, কৃষি শিক্ষা, শারীরিক শিক্ষা বিষয়ের সহকারী শিক্ষক পদে। বেতন গ্রেড ১০ম অথবা ১১ তম যাঁদের বিএড ডিগ্রি আছে, তাঁরা ১০ গ্রেডে বেতন পাবেন। অর্থাৎ বেসিক ১৬,০০০ টাকা। যাঁদের বিএড নেই, তাঁরা ১১তম গ্রেডে বেতন পাবেন। অর্থাৎ বেসিক ১২,৫০০ টাকা।

স্কুল পর্যায়-২: জুনিয়র শিক্ষক (বাংলা ও ইংরেজি বিষয়ে), বা জুনিয়র মৌলভি, জুনিয়র কারি ইবতেদায়ি মাদ্রাসার জন্য। এইচএসসি পাস করেই এই পদে আবেদন করা যায়। বেতন গ্রেড ১৬তম। অর্থাৎ, চাকরির শুরুতে বেসিক বেতন পাবেন ৯,৩০০ টাকা।

শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারির প্রশ্ন প্রতিটি ক্যাটাগরির জন্য একই রকম হয়

শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারির প্রশ্ন প্রতিটি ক্যাটাগরির জন্য একই রকম হয়। অর্থাৎ, কলেজ পর্যায়ের সবার জন্য একই প্রশ্ন, স্কুল পর্যায়ের সবার জন্য একই প্রশ্ন ও স্কুল পর্যায়-২-এর সবার জন্য একই প্রশ্ন। এই ক্ষেত্রে বাংলা, ইংরেজি, সাধারণ জ্ঞান ও গণিত ২৫টি করে মোট ১০০ নম্বরের এমসিকিউ প্রশ্ন হবে। সময় ১ ঘণ্টা। প্রতিটি সঠিক উত্তরের জন্য ১ নম্বর করে পাবে এবং প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ করে কাটা যাবে প্রাপ্ত নম্বর থেকে। প্রিলিতে পাস হলো ১০০ নম্বরের মধ্যে ৪০ শতাংশ, অর্থাৎ ৪০ নম্বর পেলেই প্রিলিমিনারি পাস।

প্রিলিতে উত্তীর্ণদের নিয়ে লিখিত হয় ১০০ নম্বরের। লিখিত পরীক্ষার সময় ৩ ঘণ্টা। এই ক্ষেত্রে যে বিষয়ের শিক্ষক হওয়ার জন্য আবেদন করেছিল, সেই বিষয়ের ওপর ১০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা হবে। পরীক্ষা কর্তৃপক্ষ তাদের চাহিদা অনুযায়ী বিধি মোতাবেক প্রতিটি বিষয়ে নির্দিষ্টসংখ্যক প্রার্থীকে উত্তীর্ণ হওয়ার সুযোগ দিয়ে থাকেন এবং পরে ভাইভার জন্য কল করবেন।

ভাইভা হয় ২০ নম্বরের। এর মধ্যে ১২ নম্বর শিক্ষাজীবনে অর্জিত সনদ তথা সার্টিফিকেটের ওপর। বাকি ৮ নম্বর ভাইভা বোর্ডে কর্মক্ষমতার ওপর নির্ভর করে। তবে এই উভয় ক্ষেত্রে কমপক্ষে ৪০ শতাংশ নম্বর পেতে হবে। অর্থাৎ, সার্টিফিকেটসমূহের ১২ নম্বরের মাঝে কমপক্ষে ৪০ শতাংশ এবং ভাইভা বোর্ডের ৮ নম্বরের মাঝে কমপক্ষে ৪০ শতাংশ নম্বর পেতে হবে।লিখিত ১০০ ও ভাইভার ২০, মোট ১২০ নম্বরের পর জাতীয় মেধাতালিকা প্রণীত হয় বিষয়ভিত্তিক আলাদাভাবে। এই ক্ষেত্রে প্রিলিমিনারির কোনো নম্বর যুক্ত হয় না।

জাতীয় মেধাতালিকায় স্থানপ্রাপ্তদের জন্য অর্থাৎ শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার প্রিলিমিনারি, লিখিত ও ভাইভায় উত্তীর্ণদের জন্য গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ কর্তৃপক্ষ।গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হওয়ার পর তিন বিভাগের বিভিন্ন বিষয়ের শিক্ষকেরা নিজেদের কাঙ্ক্ষিত পদের বিপরীতে শূন্য পদ থাকা সাপেক্ষে এমপিওভুক্ত বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আবেদন করে। এই ক্ষেত্রে আবেদন এক হাজার টাকা। একজন প্রার্থী সাধারণত ৪০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শূন্য পদে আবেদন করতে পারেন।

নিজেদের পছন্দের পদ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জাতীয় মেধাতালিকা অনুযায়ী ম্যাচ করলে এনটিআরসিএ থেকে সরাসরি নিয়োগের সুপারিশ করা হয়। এই ক্ষেত্রে কোনো তদবির বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির আশীর্বাদের প্রয়োজন হয় না ২০১৫ সাল থেকে।

১৮ তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার প্রস্তুতি ও সিলেবাস

আমরা জানি চারটি বিষয়ের উপর ১৮ তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও সাধারণ জ্ঞান। চলুন জেনে নেই মানবন্টন সম্পর্কে।

বাংলা

বাংলাতে ২৫ টি প্রশ্ন থাকবে। প্রতিটি প্রশ্নের সঠিক উত্তরের জন্য ১ মার্ক দেওয়া হবে।

ইংরেজি

ইংরেজিতে ও ২৫ টি প্রশ্ন থাকবে। প্রতিটি প্রশ্নের জন্য ১ টি করে মার্ক নির্ধারণ করা হয়েছে।

গণিত

গণিতে ও ২৫ মার্ক এর পরীক্ষা হবে। প্রতিটি প্রশ্নের জন্য একটি ্কনির্ধারণ করা হয়েছে।

সাধারণ জ্ঞান

সাধারণ জ্ঞান থেকে প্রশ্ন হবে ২৫ টি। এখানেও প্রতিটি প্রশ্নের জন্য একটি করে মার্ক নির্ধারণ করা হয়েছে।

এই মোট চার বিষয় মিলে পরীক্ষা হবে ১০০ মার্কের। এর মধ্যে ৪০ মার্ক পেয়ে পাশ করতে হবে। এখানে আলাদাভাবে প্রতিটি সাবজেক্টে পাশ করার প্রয়োজন নেই। চারটি বিষয় মিলে ৪০ মার্ক পেলে পাশ বলে গণ্য হবে। আপনি যদি ইংরেজিতে এক মার্ক ও না পান তবুও অন্যান্য সাবজেক্ট মিলে যদি চল্লিশের বেশি পান তবে আপনি পাস করবেন।

আমরা জানি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা তিনটি স্টেপে হয়ে থাকে। এগুলো আমাদের সকলের জানার কথা। যেমন,

(১) প্রিলিমিনারি আর প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হয়ে থাকে ১০০ মার্কের। প্রিলিমিনারিতে ৪০ র্মাকে পাস।(২) লিখিত, লিখিত পরীক্ষা হবে ১০০ মার্ক এর।(৩) ভাইভা, আর ভাইভা পরীক্ষা হবে ২০ মার্কের।

১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার প্রস্তুতি

বাংলার প্রস্তুতি

বাংলায় বেশির ভাগ প্রশ্ন ব্যাকরণ থেকে হয়ে থাকে। সাহিত্য থেকেও অল্প কিছু প্রশ্ন থাকতে পারে। ব্যাকরণের জন্য ভাষারীতি ও বিরাম চিহ্নের ব্যবহার, বাগধারা ও বাগ্‌বিধি, ভুল সংশোধন বা শুদ্ধকরণ, যথার্থ অনুবাদ, সন্ধিবিচ্ছেদ, কারক বিভক্তি, সমাস ও প্রত্যয়, সমার্থক ও বিপরীতার্থক শব্দ, বাক্য সংকোচন ও লিঙ্গ পরিবর্তন পড়তে হবে। সাহিত্য অংশের জন্য প্রাচীন ও মধ্যযুগসংক্রান্ত আগের প্রশ্ন, আধুনিক যুগের গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্যকর্ম, ছদ্মনাম, উপাধি, প্রবর্তক, পত্রিকা ও সাময়িকী সম্পর্কে জানতে হবে। সহায়ক বই হিসেবে নবম-দশম শ্রেণির বাংলা ব্যাকরণ, অগ্রদূত বা এমপিথ্রি বাংলা গাইড পড়া যেতে পারে।

গণিতের প্রস্তুতি

যেকোনো চাকরির পরীক্ষায় গণিতের দক্ষতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গণিতের মূল ভিত্তি শক্তিশালী করতে হলে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির বোর্ড বইয়ের অঙ্কগুলো চর্চার কোনো বিকল্প নেই। ইউটিউবে গণিতের ভালো ভালো টিউটোরিয়াল আছে, যেগুলো দেখে গণিতের ভিত্তি পাকাপোক্ত করা যায়। এ ছাড়া দৈনিক কিছু সময় গণিতের চর্চা করলে আপনার আত্মবিশ্বাস বেড়ে যাবে। জব সলিউশনের গণিতের আগের প্রশ্নগুলো নিজে নিজে সমাধান করবেন। গণিতের মৌলিক ধারণার পাশাপাশি শর্ট টেকনিকও শিখে যাবেন, যাতে পরীক্ষার কেন্দ্রে স্বল্প সময়ে সমাধান করতে পারেন। শতকরা, লাভ-ক্ষতি, সুদকষা, ঐকিক নিয়ম, গড়, লসাগু, গসাগু, অনুপাত-সমানুপাত, সূচক, লগারিদম, উৎপাদকে বিশ্লেষণ, বাস্তব সংখ্যা, বর্গ ও ঘনের মান নির্ণয়, সমীকরণ, পরিমিতি, ত্রিকোণমিতি এবং জ্যামিতির মৌলিক বিষয়গুলো পড়তে হবে। আর সহায়ক বই হিসেবে খাইরুল’স বেসিক ম্যাথ ও ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির গণিত বোর্ড বই পড়লে পরীক্ষায় ভালো করা যাবে।

ইংরেজির প্রস্তুতি

ইংরেজির মৌলিক বিষয়গুলো যেকোনো একটি গাইড বই থেকে ভালোভাবে আত্মস্থ করে নিতে হবে। এরপর জব সলিউশনের দুই-তিন বছরের প্রশ্নের সমাধান করতে হবে। ফ্রেজ ইডিয়ম, গ্রুপ ভার্বস, অ্যাপ্রোপিয়েট প্রিপোজিশন, স্পেলিং নিয়মিত পড়তে হবে। ইংরেজি শব্দভান্ডার সমৃদ্ধ করার জন্য নিয়মিত যেকোনো একটি ভোকাবুলারির বই সিনোনিম অ্যান্টোনিমসহ পড়তে হবে। ইংরেজির জন্য গুরুত্বপূর্ণ টপিকগুলোর উল্লেখযোগ্য হলো: Completing Sentences, Translation from Bengali to English, Change of Parts of Speech, Right forms of verb, Fill in the blanks with appropriate word, Transformation of sentences, Synonyms & Antonyms ও Idioms & Phrases। এ ছাড়া কলেজ পর্যায়ে শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার জন্য Errors in composition, Identify appropriate title from story or article, Uses of article, appropriate preposition-এর প্রস্তুতি নিতে হবে। সহায়ক বই হিসেবে মাস্টার-জাহাঙ্গীর আলম ও চৌধুরী অ্যান্ড হোসাইনের উচ্চমাধ্যমিক ইংরেজি গ্রামার পড়া যেতে পারে।

সাধারণ জ্ঞানের প্রস্তুতি

নিবন্ধনের সাধারণ জ্ঞান অংশে বাংলাদেশ-সম্পর্কিত বিষয়, আন্তর্জাতিক বিষয় ও চলতি ঘটনাবলি এবং বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, পরিবেশ ও রোগব্যাধি-সম্পর্কিত মৌলিক জ্ঞান এই তিন ধরনের প্রশ্ন হয়ে থাকে।বাংলাদেশ-সম্পর্কিত বিষয়াবলির মধ্যে বাংলাদেশের ভূ-প্রকৃতি ও জলবায়ু, শিক্ষা, ইতিহাস, ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ, সভ্যতা ও সংস্কৃতি, বিখ্যাত স্থান, বাংলাদেশের রাষ্ট্রব্যবস্থা, যোগাযোগব্যবস্থা, অর্থনীতি, বিভিন্ন সম্পদ (বন, শিল্প, কৃষি, পানি), জাতীয় দিবস ইত্যাদি থেকে প্রশ্ন হতে পারে।

১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন থেকে কত আয় করেছে এনটিআরসিএ?

১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনে রেকর্ড সংখ্যক প্রার্থী আবেদন করেছেন। আবেদনের সংখ্যা অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়েছে। আর এই মাধ্যমে বিপুল টাকা আয় করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)।নিয়ম অনুযায়ী প্রতি বছর একটি করে শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের কথা থাকলেও করোনাসহ নানা কারণে প্রায় তিন বছর ধরে শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ বন্ধ ছিল। সেজন্য এবার বিপুল সংখ্যক প্রার্থী আবেদন করেছেন। ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনে আবেদন ফি ছিল ৩৫০ টাকা। ১৮ লাখ ৬৫ হাজার প্রার্থী এতে আবেদন করেছেন। সে হিসেবে এই নিবন্ধনের আবেদন থেকে ৬৫ কোটি ২৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা আয় হওয়ার কথা। তবে সব প্রার্থী ফি পরিশোধ না করায় টাকা অঙ্ক কিছুটা কম হতে পারে।

১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন আবেদন করার সময় যে গুরুত্বপূর্ন ভুল গুলো আমাদের বিপদ ডেকে আনতে পারে।

আবেদন করার আগে আমাদে কিছু বিষয় মাথায় রাখতে তা হলো, আবেদন করার সময় ফরম পুরন কৃত তথ্য গুলো নির্ভুল ও সতর্কতার সাথে পুরন করতে হবে। কারণ আমাদের আবেদন ফরম পুরন করার সময় যদি কোন প্রকার ভূল হয়। তাহলে আমাদের নিবন্ধন সার্টিফিকিটে সমস্যা মধ্যে পড়তে হবে। এই সমস্যার সমাধান করার জন্য আমাদের বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখিন হতে হবে। তাই ফরম সাবমিট কারার পরে ভালো করে দেখে নিবেন। কোন প্রকার ভুল আছে কিনা। যদি ভুল হয় তা হলে আবার নতুন করে নির্ভুল ভাবে আবেদন করে আবেদন ফি জমা দিবেন। 

আবেদন করার সময় আবেদন ফরমে সাথে যে ফোন নাম্বার ব্যাবহার করবো সেই মোবইল নাম্বারটি একটিভ ও সব সময় চালু থাকে,  কারণ শিক্ষক নিবন্ধন যে পরিক্ষার ডেট ও অনান্য সকল তথ্য আমাদের ব্যবহার কৃত ফোন নাম্বারে মেসেজের মাধ্যে জানিয়ে দিবে।  তাই মোবাইল নাম্বার সঠিক ও সব সময় চালু রাখতে হবে। 

আবেদন ফি জমা দেওয়ার আগে আপনাকে আবেদন কারা কাজ সম্পুর্ণ করতে হবে। আবেদন কাজ সম্পুর্ণ হলে, আবেদন ফরমটি ডাউনলোড দিতে হবে। আবেদন ফরম ডাউনলোড দেওয়ার উপরে উপরে দেখবেন একটি USER ID দেওয়া থাকবে। ঐই USER ID দিয়ে আবেদন ফি দেওয়ার জন্য টেলিটক নাম্বার দিয়ে মেসেজে করাতে হবে । 

১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় বৈষম্য কেন?

মাদরাসার আরবি প্রভাষক পদের সাথে মাদরাসা ও কলেজের অন্যান্য বিষয়ে প্রভাষক পদের যোগ্যতায় সমতা রক্ষা করা হয়নি। এটা কি ভুল হিসাবে বিবেচনা করা হবে না-কি বৈষম্য হিসাবে? এনটিআরসিএ’র ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় কলেজ পর্যায়ে মাদরাসা ও কলেজে প্রভাষক পদে আবেদনের নির্ধারিত যোগ্যতাসমূহের মধ্যে একটি ছিলো, ‘স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হতে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ৪ বছর মেয়াদি ২য় শ্রেণি/সমমানের স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রি।’

এই নিয়মটি বহাল রাখা হয়নি শুধুমাত্র মাদরাসায় আরবি প্রভাষক পদে আবেদন করার ক্ষেত্রে। আরবি প্রভাষক স্নাতক ডিগ্রির সাথে স্নাতকোত্তর (মাস্টার্স) ডিগ্রিও আবশ্যক। এই নিয়মের কারণে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে যারা আরবি বা আরবি সংশ্লিষ্ট বিষয়য়ে ৪ বছর মেয়াদি স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রি লাভ করেছে, তারা প্রভাষক পদে আবেদন করতে পারবে না। অথচ, একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরবি বা আরবি সংশ্লিষ্ট বিষয় ছাড়া অন্যান্য বিষয়ে যারা ৪ বছর মেয়াদি স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রি লাভ করেছে তারা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রভাষক পদে আবেদন করতে পারবে। এমন বৈষম্যনীতি নিশ্চয় হাজার হাজার ছাত্রের হৃদয়কে ব্যথিত করছে। তাই এনটিআরসিএ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, যাতে অন্যান্য বিষয়ের ন্যায় মাদরাসায় আরবি প্রভাষক পদে আবেদনের যোগ্যতায় ৪ বছর মেয়াদি স্নাতক ডিগ্রি বহাল রাখতে।


তথ্যসুত্র


প্রভাষক পদে আবেদন করতে পারবে।, Daily In Qilab.

স্কুল ও কলেজের জন্য যোগ্য শিক্ষক নিয়োগে, Mitips BD.

১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনে , I News. Zoombangla.

পরীক্ষার সার্কুলার প্রকাশিত হয়েছে, Shikshabarta.

১৮ তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার, Shadhinota BD.

১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি , RTV Online.

বিকেলে কলেজ পর্যায়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে, Prothom Alo.

প্রার্থীদের বাছাই পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে, Kalerkantho.

Subscribe for Daily Newsletter