এইডস (Aids)
১ ডিসেম্বর বিশ্ব এইডস দিবস। এ রোগের ভয়াবহতা সম্পর্কে অনেকেরই জানা আছে। তবে সমাজের প্রতিটি স্তরে আজও গড়ে ওঠেনি সচেতনতা। এইচআইভি ভাইরাস দিয়ে সংক্রমিত হলে শেষ পর্যায়ে আক্রান্তের মধ্যে যে উপসর্গগুলো দেখা দেয়, সেগুলোকেই সমন্বিতভাবে বলে ‘এইডস’।
Human immunodeficiency virus বা HIV নামক ভাইরাস এই রোগ সৃষ্টির জন্য দায়ী। HIV এমনই ভয়ংকর জাতের ভাইরাস যে এ ভাইরাস মানুষের শরীরে অনুপ্রবেশ করার পর তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে ধীরে ধীরে নষ্ট করে দেয়। ফলে HIV আক্রান্ত রোগী যে কোনো সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হতে পারে এবং যা তাকে ধীরে ধীরে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়।
এইচআইভি সংক্রমণের সঙ্গে সঙ্গেই সর্বদা এইডস হয় না। শুরুতে ক্ষেত্রবিশেষে ইনফ্লুয়েঞ্জা ধরনের উপসর্গ দেখা যেতে পারে। এরপর বহুদিন কোনো উপসর্গ দেখা যায় না। এইচআইভি ভাইরাসের আক্রমণ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে দেহের প্রতিরক্ষাতন্ত্র দুর্বল হতে থাকে এবং আক্রান্ত ব্যক্তির সাধারণ সংক্রামক ব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। এমনকি টিউমার হতে পারে, যা কেবল সেসব লোকেরই হয় যাদের দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কাজ করে না। এইচআইভি সংক্রমণের এ পর্যায়টিকে এইডস বলা হয়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লসএঞ্জেলস-এ সর্বপ্রথম এইডস শনাক্ত করা হয়
১৯৮১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লসএঞ্জেলস-এ সর্বপ্রথম এইডস শনাক্ত করা হয়। এশিয়ার মধ্যে থাইল্যান্ডে ১৯৮৪ সালে প্রথম এইডস লক্ষ করা যায় এবং মিয়ানমার ও ভারতীয় উপমহাদেশে ১৯৮৬ সালের মধ্যেই এর প্রাদুর্ভাব ঘটে।বাংলাদেশে সর্বপ্রথম এইডস শনাক্ত হয় ১৯৮৯ সালে। এরপর থেকে ১০, ২০, ১০০ বা ২০০ জন করে নতুন রোগী প্রতিবছর শনাক্ত হয়েছে। ২০১৮ সালে নতুন রোগী বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৬৯ জনে। এইচআইভিতে আক্রান্ত হয়ে প্রথম এক রোগী মারা যায় ২০০০ সালে। ২০১৮ সালে একই রোগে মৃতের সংখ্যা ১৪৮।জাতিসংঘের এইচআইভি-এইডস বিষয়ক সংস্থা ইউনিএইডস এর তথ্য মতে, বাংলাদেশে এখন এইডস আক্রান্তের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার ০.১ শতাংশ।
অযৌক্তিক ঘৃণার কারণে দুঃখজনক আর অমানবিক জীবন দিতে হয়েছে এইডস রোগীকে
এইডস একটি মরণব্যাধি হওয়ায় এ সম্পর্কে মানুষের রয়েছে ব্যাপক ভীতি। এর বিপরীতে তেমনি রয়েছে ব্যাপক অজ্ঞতাও। আর এ অজ্ঞতার ফলে এইচআইভি বহণকারী ব্যক্তি বা এইডস আক্রান্ত রোগীকে একইসঙ্গে সামাজিকভাবেও অবর্ণনীয় দুর্ভোগ হয়। এইডস সম্পর্কে সচেতনতার অভাবে এবং অযৌক্তিক ঘৃণার কারণে দুঃখজনক আর অমানবিক অভিজ্ঞতার মাধ্যমে জীবন দিতে হয়েছে অনেক এইডস রোগীকে।
১৯৮৯ সালে দেশে প্রথম এইডস রোগী শনাক্ত
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ‘জাতীয় যক্ষ্মা, কুষ্ঠ ও এইডস নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির’ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত এক বছরে বাংলাদেশে নতুন করে এইডস শনাক্ত হয়েছে ১২৭৬ জনের, এর আগের বছর এই সংখ্যা ছিল ৯৪৭।আর এই সময়ে এইডসে আক্রান্তদের মধ্যে ২৬৬ জনের মৃত্যু হয়েছে; আগের বছর ২৩২ জন মারা যান।১৯৮৯ সালে দেশে প্রথম এইডস রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এক বছরে আক্রান্ত এবং মৃত্যুর এই সংখ্যাকে সর্বোচ্চ বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।গত ৩৪ বছরের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, দেশে এইডসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১০ হাজার ৯৮৪ জন। আর সাড়ে তিন দশকে মৃত্যু হয়েছে ২০৮৬ জনের।স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, “বাংলাদেশে এইচআইভি ভাইরাস বহনকারী মানুষের সংখ্যা ১৫ হাজারের বেশি।“এক বছরে আক্রান্ত বাংলাদেশি নাগরিকদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৩৪২ জন রোগী ঢাকার। এছাড়া চট্টগ্রামে ২৪৬, রাজশাহীতে ১৭৫, খুলনায় ১৪১, বরিশালে ৭৯, সিলেটে ৬১, ময়মনসিংহে ৪০ এবং রংপুর জেলায় ৩৪ জন এইডস রোগী শনাক্ত হয়েছে
১৫৮ জন কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্পে রোহিঙ্গা এইডস রোগী শনাক্ত হয়
এ বছর আক্রান্তদের মধ্যে ১ হাজার ১১৮ জন বাংলাদেশী নাগরিক। বাকি ১৫৮ জন কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্পে আটকে পড়া মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা। গত বছর সারা দেশে ৯৪৭ জন এইডস রোগী শনাক্ত হয়। এইডস আক্রান্তদের মধ্যে ২৩২ জন মারা যায়।এক বছরে আক্রান্ত বাংলাদেশী নাগরিকদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৩৪২ জন রোগী ঢাকার। এছাড়া চট্টগ্রামে ২৪৬, রাজশাহীতে ১৭৫, খুলনায় ১৪১, বরিশালে ৭৯, সিলেটে ৬১, ময়মনসিংহে ৪০ এবং রংপুর জেলায় ৩৪ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে গত এক বছরে। তাদের মধ্যে ৮৫০ জন পুরুষ, ২৭৮ জন নারী। ৯ জন তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ গত এক বছরে এইডস আক্রান্ত হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, ১৯৮৯ সালে দেশে প্রথম এইডস রোগী শনাক্ত হয়। এখন পর্যন্ত ১০ হাজার ৯৮৪ জন এইডস রোগী শনাক্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ৮৬ জনের। বাংলাদেশে এইচআইভি ভাইরাস বহনকারী মানুষের সংখ্যা ১৫ হাজারের বেশি বলে ধারণা করা হয়। পুরুষ যৌনকর্মীদের মধ্যে এইডস আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এছাড়া পুরুষ সমকামীদের মধ্যেও এ রোগ ছড়াচ্ছে। এ বছর যারা আক্রান্ত হয়েছে তাদের মধ্যে ৯ দশমিক ৫ শতাংশ পুরুষ।
HIV যেভাবে ছড়ায়
বাংলাদেশে এইচআইভি ছড়ায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পুরুষ ও নারীর মধ্যে শারীরিক সম্পর্কের মধ্য দিয়ে। নারী-পুরুষ যৌনকর্মী ছাড়াও বিবাহিত দম্পতিদের মাধ্যমেও এ রোগের বিস্তার ঘটছে। সংক্রমিতদের মধ্যে রয়েছেন নারী ও পুরুষ যৌনকর্মী, সমকামী, যক্ষ্মা আক্রান্ত ব্যক্তি, প্রবাসী শ্রমিক, হাসপাতালে প্রসব সেবা নিতে আসা মা ও রোহিঙ্গা। আক্রান্তদের ৩৩ শতাংশ সাধারণ মানুষ। নতুন রোগীদের একটি বড় অংশ অভিবাসীকর্মী। তবে অভিবাসীদের পাশাপাশি তার পরিবারের সদস্যদের মধ্যেও সংক্রমণের হার বেশি।
অভিবাসীদের এইচআইভি–আক্রান্ত হয়ে দেশে ফিরছেন
২০১৮ সালে এইচআইভিতে আক্রান্ত নতুন রোগীদের ৩০ শতাংশ ছিল অভিবাসী কর্মী বা তার পরিবারের সদস্য। বাংলাদেশের প্রায় এক কোটি মানুষ বিদেশে থাকেন। তাদের একটি বড় অংশ শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন মধ্যপ্রাচ্যে। এদের কেউ কেউ বিদেশে ঝুঁকিপূর্ণ জীবনযাপন করেন। কয়েক বছর ধরেই দেখা গেছে, অভিবাসীদের কেউ কেউ এইচআইভি–আক্রান্ত হয়ে দেশে ফিরছেন।
সাধারণ মানুষের চেয়ে যৌনকর্মীদের এইচআইভি/এইডসের ঝুঁকি ২১ গুণ বেশি
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, শিরায় মাদক গ্রহণকারী, নারী যৌনকর্মী, সমকামী/পুরুষ যৌনকর্মী এবং হিজড়া—এই চার ধরনের জনগোষ্ঠীর মধ্যে এইচআইভি/এইডসের ঝুঁকি বেশি। ইউএনএইডসের এক সাম্প্রতিক প্রতিবেদন বলছে, সাধারণ মানুষের চেয়ে যৌনকর্মীদের এইচআইভি/এইডসের ঝুঁকি ২১ গুণ বেশি। বাংলাদেশে এক লাখের বেশি নারী যৌনকর্মী আছে। তাদের মধ্যে কিশোরীদের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। প্রয়োজনের সময় অনেকে সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা নিতে পারে না।
এইডস রোগের লক্ষণ কি?
সব সময় মুখ ব্যথা এইচআইভির লক্ষণ হতে পারে। এ ছাড়া খাবার খাওয়ার পরেই বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া শরীরের এইচআইভি সংক্রমণকে নির্দেশ করে। ঠান্ডা লাগা স্বাভাবিক, কিন্তু যদি স্বাভাবিক আবহাওয়াতেও ঠান্ডা লাগে এটি এইচআইভির লক্ষণ হতে পারে। যেকোনো তাপমাত্রায় ঘুমের সময় ঘাম থাকা এইডসের লক্ষণ।শরীরের ফ্লুইড। যেমন- রক্ত, বীর্য, প্রি-সেমিনাল ফ্লুইড, যোনি এবং মলদ্বার ফ্লুইড এবং সংক্রমিত নারীর বুকের দুধের মাধ্যমে এইডস ছড়ায়। সংক্রমিত ব্যক্তির সঙ্গে অসুরক্ষিত যৌনমিলনেও রোগটি ছড়িয়ে পড়তে পারে। সংক্রমিত ব্যক্তির সঙ্গে ইঞ্জেকশনের সুচ, রেজার ব্লেড, ছুরি শেয়ার করলেও এই রোগ সংক্রমিত হতে পারে
নারীদের ক্ষেত্রে মেন্সট্রুয়াল সাইকেলের দিকে নজর রাখতে হবে। স্বাভাবিকের তুলনায় যদি রক্তক্ষরণ কম হতে থাকে বেশ কিছুদিন ধরে, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।টানা কয়েক সপ্তাহ ধরে যদি পেটের গন্ডগোলে ভুগতে থাকেন। দীর্ঘ দিনের জ্বরের সঙ্গে যদি হাতে, পায়ে কিংবা কোমরে ব্যথা থাকে এবং মাথায় যন্ত্রণা এটি এইডসের লক্ষণ হতে পারে। শরীরের যেকোনো জায়গায় যদি র্যাশ বেরোতে শুরু করে তবে সাবধান হোন। এটি এইডসের লক্ষণ হতে পারে।
কি কি উপায়ে এইডস ছড়ায় না
সংক্রমিত অবস্থায় গর্ভধারণে শিশুর এইডস হয়। এইডস নিয়ে ভুল ধারণা।রোগীর সঙ্গে একই শৌচালয় বা সুইমিংপুল ব্যবহার করলে এ রোগ হয় না।রোগীর তোয়ালে বা কাপড় ব্যবহার করলে এইডস হয় না। রোগীর সঙ্গে এক থালায় খেলে বা কাজ করলেও এ রোগ হয় না।হাঁচি-কাশিতেও এ রোগ ছড়ায় না।
কারও নিজের শরীরে এ ভাইরাস পাওয়া গেলে
এখন এইডস নির্ণয় করা যায় এবং এর চিকিৎসা হয়। এইচআইভি নিয়েও সুস্থ জীবনযাপন সম্ভব। বিশ্বব্যাপী এইডসে আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা এত আধুনিক যে, এই রোগ নিয়েও দীর্ঘদিন বেঁচে থাকা সম্ভব। তবে এর ওষুধ একবার চালু হলে সারা জীবন খেতে হবে।এই রোগে যারা আক্রান্ত, তাদের চিকিৎসা শুরু হলে গোপনীয়তা রক্ষা এবং তাদের মর্যাদা রক্ষার বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া জরুরি। তা না হলে লোকে ঝুঁকি আছে জানলেও টেস্ট করাতে ভয় পাবে। এইচআইভি সংক্রমণের কারণে মৃত্যু হয় না। এই ভাইরাসের কারণে দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। ফলে সাধারণ রোগও ভয়ংকর হয়ে ওঠে দেহে।
এইডস প্রতিরোধে করণীয়
চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের মতে, মানবদেহে বিভিন্নভাবে এইডস রোগের সংক্রমণ ঘটতে পারে। এইডস আক্রান্ত ব্যক্তির রক্ত বা বীর্য বা জরায়ু রসের সঙ্গে যদি সুস্থ কোনো ব্যক্তির রক্ত, শরীর রস বা মিউকাশ আবরণের সংস্পর্শ ঘটে, তবে এইচআইভি তথা এইডস রোগের বিস্তার ঘটে। এসব সংস্পর্শ নানাভাবে ঘটতে পারে। যেমন-অবাধ যৌনাচার, এইডস আক্রান্ত ব্যক্তির রক্ত শরীরে ধারণ বা গ্রহণ, অঙ্গ প্রতিস্থাপন বা দাঁতের চিকিৎসা বা অপারেশনসহ আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত সিরিঞ্জ ব্যবহার। এমনকি সংক্রমিত গর্ভবতী নারী থেকে শিশুর দেহেও এ রোগ ছড়াতে পারে।
সঙ্গীর প্রতি বিশ্বস্ত থাকুন। বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক এইডসের ঝুঁকি বাড়ায়।এইডস ছাড়াও অন্যান্য যৌনবাহিত রোগ প্রতিরোধে কনডম ব্যবহার ভালো অভ্যাস। মনে রাখবেন, অন্য কোনো যৌনবাহিত রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির ক্ষেত্রেও এইডস হওয়ার ঝুঁকি বেশি।শারীরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক আচরণ বজায় রাখুন। অস্বাভাবিক যৌন আচরণ (যেমন মলদ্বারের মাধ্যমে শারীরিক সম্পর্ক) থেকে বিরত থাকুন।একবার ব্যবহৃত সিরিঞ্জ বা নিডল পুনরায় ব্যবহার করবেন না।অন্যের ব্যবহৃত ব্লেড বা রেজার ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। সেলুনে গিয়ে দাড়ি ছাঁটার প্রয়োজন হলে অবশ্যই এ বিষয় নিশ্চিত করুন। অন্যের ব্যবহৃত কাঁচি দিয়ে চুল কাটাতে হলে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে, যাতে সেই কাঁচি দিয়ে আপনার কেটে–ছিঁড়ে না যায়।কোনো কারণে রক্ত গ্রহণের প্রয়োজন হলে এমন কোনো হাসপাতাল বা ব্লাড ব্যাংকের সহায়তা নিন, যেখানে রক্ত পরিসঞ্চালনের আগে সঠিকভাবে রক্তের সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়।
বাংলাদেশ অনেক রোগ নির্মূল বা নিয়ন্ত্রণে সফল হলেও এইডস নিয়ন্ত্রণে থমকে আছে
‘বাংলাদেশ অনেক রোগ নির্মূল বা নিয়ন্ত্রণে সফল হলেও এইডস নিয়ন্ত্রণে থমকে আছে। এইডস নির্মূলে রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসায় আরো বেশি জোর দিতে হবে। পাশাপাশি রোগটি যেন না ছড়ায় সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। তাদের (আক্রান্তদের) দূরে সরিয়ে রাখা নয়। সরকার এইডসের জন্য বিনা মূল্যে চিকিৎসা ওষুধসহ সব ধরনের সেবা দিচ্ছে।’আমাদের এখানে অস্ত্রোপচারসহ চিকিৎসায় রি-ইউজেবল অনেক কিছু ব্যবহার করা হয়। ওই জিনিসগুলো জীবাণুমুক্ত করার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। নইলে দেখা যাবে একজন নির্দোষ ব্যক্তি যিনি একটি কলোনস্কপি, এন্ডোস্কপি বা যেকোনো একটি পরীক্ষা করাতে এসে আক্রান্ত হয়ে গেলেন।’
মানুষ এখন এক জায়গায় অবস্থান করছে না। সারা বিশ্বের সঙ্গে অবাধ যাতায়াত করছে। ফলে সংক্রামক রোগও দ্রুত এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় ছড়িয়ে যায়। মৃত্যু বেড়ে যাওয়ার দুটি কারণ হতে পারে। আগে হয়তো অজ্ঞাত রোগ হিসেবে মারা যেত। এখন এইডস নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি ভালো হওয়ায় রোগী শনাক্ত বেশি হচ্ছে, এইডস আক্রান্তের মৃত্যু এইডস হিসেবেই চিহ্নিত করা হচ্ছে। আরেকটা হতে পারে, বাংলাদেশে যারা এইডস আক্রান্ত তাদের বয়স হয়েছে, তাদের অনেকের ন্যাচারাল ডেথ হচ্ছে।’
তথ্যসুত্র
বাংলাদেশী নাগরিক, Bonikbarta.
বিশ্ব এইডস দিবস, Deshrupantor.
শরীরের রোগ প্রতিরোধ, Jugantor.
এইচআইভির লক্ষণ হতে পারে, Somoynews.
এইডস শনাক্ত হয় , Ittefaq.
রোগী শনাক্ত হওয়ার , Bd News24.
রোগের ভয়াবহতা সম্পর্কে, Prothomalo.
এইচআইভি ছোঁয়াচে , Banglanews24.