বাংলাদেমের জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকারম মসজিদ (Baitul Mukarram Mosque)

বাংলাদেমের জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকারম মসজিদ (Baitul Mukarram Mosque)

মসজিদটি ঢাকার প্রাণকেন্দ্র পল্টনে অবস্থিত, যেটির নির্মাণ কাজ শেষ হয় ১৯৬৮ সালে। ধারণক্ষমতার দিক দিয়ে মসজিদটি বিশ্বের দশম বৃহত্তম মসজিদ, কারণ এখানে একত্রে ৩০,০০০ মুসল্লি একসাথে নামাজ আদায় করতে পারেন, যেই সংখ্যা পরিবর্তন হয় শুক্রবারের জু’মা এর নামাজের জামায়াতে এবং পবিত্র রমজান মাসের তারাবীহ নামাজের সময়, যখন মুসল্লির সংখ্যা দাঁড়ায় ৪০,০০০ এ।

মসজিদ ভবন

বায়তুল মোকাররম মসজিদটি ৮ তলা। নীচতলায় রয়েছে বিপণী বিতান ও বিশাল মার্কেট। দোতলা থেকে ছয়তলা পর্যন্ত প্রতি তলায় নামাজ পড়া হয়। বর্তমানে মূল মসজিদ এবং উত্তর, দক্ষিণ ও পূর্ব সাহান মিলিয়ে সর্বমোট ৪০ সহস্রাদিক মুসল্লী একত্রে নামায আদায় করতে পারেন। মসজিদের অভ্যন্তরে ওযুর ব্যবস্থাসহ মহিলাদের জন্য পৃথক নামায কক্ষ ও পাঠাগার রয়েছে।

১ম তলার আয়তন ২৬,৫১৭ বর্গফুট, দ্বিতীয় তলার আয়তন ১০,৬৬০ বর্গফুট, তৃতীয় তলার আয়তন ১০,৭২৩ বর্গফুট, চতুর্থ তলার আয়তন ৭৩৭০ বর্গফুট, পঞ্চম তলার আয়তন ৬,৯২৫ বর্গফুট এবং ষষ্ঠ তলার আয়তন ৭৪৩৮ বর্গফুট। জুম্মা ও ঈদের সময় বাড়তি ৩৯,৮৯৯ বর্গফুটে নামাজ পড়া হয়।

মহিলাদের ৬,৩৮২ বর্গফুটের নামাজের জায়গা রয়েছে, যা মসজিদের তিনতলার উত্তর পাশে অবস্থিত। সেখানে একসঙ্গে ১৫০০ নারী নামাজ পড়তে পারেন। পুরুষদের ওজুখানার জন্য ব্যবহৃত হয় ৬,৪২৫ বর্গফুট। মহিলাদের ওজুখানার জন্য ব্যবহৃত হয় ৮৮০ বর্গফুট। মসজিদের প্রবেশ পথটি রাস্তা হতে ৯৯ ফুট উঁচুতে অবস্থিত।

মসজিদের অভ্যন্তরে অজুর ব্যবস্থাসহ নারীদের জন্য পৃথক নামাজের কক্ষ ও পাঠাগার রয়েছে। মসজিদটির ১ম তলার আয়তন ২৬ হাজার ৫১৭ বর্গফুট, দ্বিতীয় তলা ১০ হাজার ৬৬০, তৃতীয় তলা ১০ হাজার ৭২৩, চতুর্থ তলা ৭ হাজার ৩৭০, পঞ্চম তলা ৬ হাজার ৯২৫ এবং ষষ্ঠ তলার আয়তন ৭ হাজার ৪৩৮ বর্গফুট। পুরুষদের অজুখানার জন্য ব্যবহৃত হয় ৬ হাজার ৪২৫ বর্গফুট। নারীদের অজুখানার জন্য ব্যবহৃত হয় ৮৮০ বর্গফুট।


বায়তুল মোকাররম মসজিদ এর ইতিহাসে ফিরে দেখা

তৎকালীন পাকিস্তানের বিশিষ্ট শিল্পপতি আবদুল লতিফ ইব্রাহিম বাওয়ানি  প্রথম ঢাকাতে একটি বিশালাকার মসজিদ নির্মাণের কথা প্রকাশ করেন। তিনি এবং তাঁর ভাতিজা ইয়াহিয়া বাওয়ানি ‘র উদ্যোগে ১৯৫৯ সালে “বায়তুল মোকাররম সোসাইটি” গঠনের মাধ্যমে এই বৃহৎ মসজিদ নির্মাণের পদক্ষেপ গৃহীত হয়। পুরান এবং নতুন ঢাকার মিলনস্থল পল্টনে  মসজিদটি নির্মাণ করার জন্য ৮.৩০ একর জায়গা খরিদ করা করা হয়, কারণ সে সময়ে পল্টন নগরীর প্রধান বানিজ্যকেন্দ্র থেকেও নিকটবর্তী ছিল। “পল্টন পুকুর” নামের জন্য পরিচিত সেই বড় পুকুরটিকে ভরাট করে ১৯৬০ সালে ২৭ জানুয়ারি পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি আইয়ুব খান  ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের মাধ্যমে মসজিদের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন।

জাতীয় মসজিদ বাইতুল মোকাররমের ইতিহাস

৬০ বছরেরও বেশি সময় আগে একটি পরিবারের উদ্যোগে প্রায় সাড়ে আট একর জমির ওপর নির্মাণ করা হয় এই মসজিদ, যা বাংলাদেশের সব মুসলমানের কাছে এক অন্যরকম মর্যাদার স্থান হয়ে উঠেছে। বায়তুল মোকাররম মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছে মক্কার কাবা ঘরের আদলে। যে কারণে এটি চারকোনা আকৃতির। পুরোনো এবং নতুন ঢাকার মিলনস্থল পল্টন এলাকায় এই মসজিদটি তৈরি করা হয়েছিল সেই সময়। জানা যায়, বর্তমানে এই মসজিদে একসঙ্গে ৪০ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে সক্ষম। তাছাড়া বাংলাদেশের বৃহত্তম এই মসজিদের ইতিহাস এবং গুরুত্ব নিয়ে অনেক বইও প্রকাশিত হয়েছে।

পাকিস্তান আমলে ঢাকায় বড় শিল্প উদ্যোক্তা বাওয়ানি পরিবারের পক্ষ থেকে এত বড় মসজিদটি নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। ১৯৫৯ সালে ‘বাওয়ানি জুট মিলস’-এর মালিক উর্দুভাষী আব্দুল লতিফ বাওয়ানি ও তার ভাতিজা ইয়াহিয়া বাওয়ানি ‘বায়তুল মোকাররম মসজিদ সোসাইটি’ গঠন করে এই মসজিদ নির্মাণের প্রকল্প হাতে নিয়েছিলেন।

ইতিহাসবিদ শরীফ উদ্দিন আহমেদ কর্তৃক সম্পাদিত ঢাকা কোষ থেকে জানা যায়, ১৯৬০ সালের ২৭ জানুয়ারি আব্দুল লতিফ বাওয়ানি মসজিদ নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। তার ২ বছর পর ১৯৬২ সাল নাগাদ মসজিদ নির্মাণের মূল কাজ মোটামুটি শেষ হয়। তবে সম্পূর্ণ মসজিদের কাজ শেষ হয় ১৯৬৮ সালে। পাকিস্তানের সিন্ধুর একজন স্থপতি এ এইচ থারানি মসজিদটির নকশা প্রণয়ন করেছেন। ১৯৬৩ সালে বায়তুল মোকাররম মসজিদে প্রথম নামাজ পড়া শুরু হয় এবং ১৯৬৪ সাল থেকে বায়তুল মোকাররম মার্কেট চালু হয়।

পারিবারিক উদ্যোগে এই মসজিদ

ষাট বছরেরও বেশি সময় আগে একটি পরিবারের উদ্যোগে প্রায় সাড়ে আট একর জমির ওপর নির্মিত এই মসজিদ বাংলাদেশের মুসলিমদের কাছে মর্যাদার স্থান হয়ে উঠেছে।মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছে মক্কার কাবা ঘরের আদলে চারকোনা আকৃতির।পুরোনো এবং নতুন ঢাকার মিলনস্থল পল্টন এলাকায় এই মসজিদে একসঙ্গে চল্লিশ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন।দেশের বৃহত্তম এই মসজিদের ইতিহাস এবং গুরুত্ব নিয়ে অনেক বইও প্রকাশ করা হয়েছে।

বায়তুল মোকাররম নির্মাণের উদ্যোগ

পাকিস্তান আমলে ঢাকায় বড় শিল্প উদ্যোক্তা বাওয়ানি পরিবারের পক্ষ থেকে এই মসজিদ নির্মাণ করা হয়।বাওয়ানি জুট মিলসের মালিক উর্দূভাষী আব্দুল লতিফ বাওয়ানি এবং তার ভাতিজা ইয়াহিয়া বাওয়ানি 'বায়তুল মুকাররম মসজিদ সোসাইটি' গঠন করে মসজিদটি নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছিলেন ১৯৫৯ সালে।ইতিহাসবিদ শরীফ উদ্দিন আহমেদ সম্পাদিত ঢাকা কোষ-এ বলা হয়েছে, ১৯৬০ সালের ২৭শে জানুয়ারি আব্দুল লতিফ বাওয়ানি মসজিদ নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।এর দুই বছর পর ১৯৬২ সালে মসজিদ নির্মাণের কাজ মোটামুটি শেষ হয়। তবে পুরো কাজ শেষ হয় ১৯৬৮ সালে।মসজিদটির নকশা করেছেন পাকিস্তানের সিন্ধুর একজন স্থপতি এ এইচ থারানি।

মসজিদের জায়গা

ইসলামিক ফাউণ্ডেশন এই মসজিদের ইতিহাস নিয়েই একটি বই প্রকাশ করেছে।তাতে বলা হয়েছে, প্রায় সাড়ে আট একর জমির ওপর এই মসজিদ নির্মাণ করা হয়।সেই ষাটের দশকের শুরুতে এই জায়গা অধিগ্রহণ করার পর যখন মসজিদ নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়, তখন সেখানে একটি বড় পুকুরও ছিল। সেটা পল্টন পুকুর নামে পরিচিত ছিল।পুকুরটি ভরাট করার পর মসজিদের নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়েছিল।

যে কারণে পল্টনে এই মসজিদ

বায়তুল মোকাররম মসজিদ নির্মিত হয়েছে পুরোনো ঢাকা এবং নতুন ঢাকার মিলনস্থলে।ইসলাম নিয়ে লেখক ওসমান গণি বলেছেন, এই মসজিদ নির্মাণের অনেক আগে থেকেই নতুন ঢাকার সীমানা বাড়তে থাকে। ফলে পুরোনো ও নতুন- দুই ঢাকার মানুষের কথা এই জায়গা নির্বাচনের ক্ষেত্রে বড় বিবেচনার বিষয় ছিল বলে তিনি মনে করেন।ইসলামিক ফাউণ্ডেশনের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বায়তুল মোকাররমের ঐ জায়গাটিকে তখন নগরীর কেন্দ্রস্থল হিসাবেও বিবেচনা করা হয়েছিল। বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তারা এমন ধারণা করেন।

Taken From Kaler Kantho

মসজিদের ভিতরে যা আছে

বায়তুল মোকাররম মসজিদটি প্রথমে ত্রিশ হাজার মানুষের নামাজ আদায়ের সুযোগ রেখে নির্মাণ করা হয়েছিল।পরে ২০০৮ সালে সৌদি সরকারের অর্থায়নে এর সম্প্রসারণ করা হয়েছে। এর ফলে একসঙ্গে ৪০,০০০ মানুষের নামাজ আদায়ের সুযোগ সৃষ্টি হয়।মসজিদের মূল ভবনটি আটতলা, যা মাটি থেকে ৯৯ ফুট উঁচু।আটতলা এই মসজিদের নিচতলায় মার্কেট এবং গুদাম ঘর রয়েছে।দোতলা থেকে ছয় তলা পর্যন্ত প্রতি তলায় নামাজ পড়া হয়। আর খতিব বা ইমাম নামাজ পড়ান দোতলা থেকে।তিনতলার উত্তরপাশে নারীদের নামাজ পড়ার ব্যবস্থা আছে। সেখানে একসঙ্গে ১৫০০ নারী নামাজ পড়তে পারেন।উত্তর, দক্ষিণ এবং পূর্ব দিক থেকে মসজিদে প্রবেশ করা যায়।বায়তুল মোকাররমের খতিব মিজানুর রহমান বলেছেন, শুক্রবারে জুম্মার নামাজে এই মসজিদে উপচে পড়া ভিড় হয়। আর প্রতি ঈদে পাঁচটি করে জামাত হয় এবং প্রতি জামাতেই থাকে হাজার হাজার মানুষের অংশগ্রহণ।

তিনি উল্লেখ করেছেন, দেশি-বিদেশি অনেক পর্যটকও আসেন বায়তুল মোকাররম মসজিদ দেখার জন্য।বায়তুল মোকাররম মসজিদের নকশা বা স্থাপত্য শৈলীর মাঝে ভিন্ন ধরণের আকর্ষণ রয়েছে।প্রথম রোজা থেকেই করা হয় ইফতারের আয়োজন। সরকারের ইসলামিক ফাউণ্ডেশন এই ইফতার আয়োজনের অর্থায়ন করে।বায়তুল মোকাররম মসজিদে সিনিয়র খতিব মিজানুর রহমান বিবিসিকে বলেছেন, রমজান মাসে প্রতিদিন প্রায় পাঁচ হাজার মানুষের ইফতারের আয়োজন করা হয়। ধনী, গরিব-সব শ্রেনির মানুষ এক সাথে বসে ইফতার করে থাকেন।

স্থাপত্যশৈলী

সিন্ধুর বিশিষ্ট স্থাপত্যবিদ আবদুল হোসেন থারিয়ানি কে মসজিদ প্রাঙ্গনের নকশার দায়িত্ব দেয়া হয়, যার মধ্যে দোকান, দফতর, গ্রন্থাগার, এবং গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করা হয়। মসজিদের নকশায় মুঘল স্থাপত্যশৈলীর পাশাপাশি দেখা যায় আধুনিক স্থাপত্য নকশা। পবিত্র কাবা শরীফের আদলে নির্মিত এই মসজিদের আয়তাকার মিহরাবটি এই মসজিদে যোগ করেছে সম্পূর্ণ ভিন্ন এক সৌন্দর্য মাত্রা। কাবা শরীফের সাথে মিল থাকায় মুসল্লিদের এই মসজিদটির প্রতি রয়েছে এক ভিন্ন মায়া। বৃহৎ ঘনক্ষেত্রটির জন্য এই মসজিদটি বাংলাদেশের অন্য সব মসজিদের চেয়ে এই মসজিদটি সসবচেয়ে আলাদা। নির্মাণ  শেষ হবার পর শুক্রবারের জু’মার জামায়াত আদায়ের মাধ্যমে প্রথমবারের মত এখানে নামাজ পড়ানো হয়। দিনটি ছিল ১৯৬৩ সালের ২৫ জানুয়ারি।

মসজিদে প্রবেশ করার বারান্দাগুলিতে তিনটি অশ্বক্ষুরাকৃতি খিলানপথ রয়েছে, যার মাঝেরটি পার্শ্ববর্তী দুটি অপেক্ষা বড়। দুটি উন্মুক্ত অঙ্গন (ছাদহীন ভিতরের আঙিনা) প্রধান নামাজ কক্ষে আলো ও বাতাসের চলাচলকে নিয়ন্ত্রণ করে। তিন দিকে বারান্দা দ্বারা ঘেরা নামাজের প্রধান কক্ষের মিহরাবটির আকৃতি আয়তাকার। সমগ্র মসজিদ জুড়েই অলংকরণের আধিক্যকে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে।

বায়তুল মোকাররমের অবকাঠামো কাবাঘরের মতো। এই মসজিদটিতে মোগল স্থাপত্যশৈলীর ঐতিহ্যগত বৈশিষ্ট্যের পাশাপাশি বেশ কিছু আধুনিক স্থাপত্যশৈলীর নিদর্শনও রয়েছে। কাবার আদলে নির্মিত অংশবিশেষ বায়তুল মোকাররমকে বিশেষ বৈশিষ্ট্যমন্ডিত করেছে। মসজিদের বিশাল এলাকা জুড়ে রয়েছে বাগান। বাগানটি মোগল শৈলীতে নকশা করা।

আধুনিক স্থাপত্য রীতিতে তৈরি এ মসজিদের নকশায় মোগল স্থাপত্যশৈলীর ছাপ রয়েছে। মূল নকশা অনুযায়ী, মসজিদের প্রধান প্রবেশপথ পূর্ব দিকে হওয়ার কথা থাকলেও উত্তর ও দক্ষিণ গেট দুটোই বেশি ব্যবহূত হয়। দক্ষিণ ও উত্তর পাশে ওজু করার জায়গা রয়েছে। উত্তর ও দক্ষিণ দিকে, মসজিদে প্রবেশ করার বারান্দার ওপর দুটি ছোট গম্বুজ নির্মাণের মাধ্যমে প্রধান ভবনের ওপর গম্বুজ না থাকার অভাব ঘোচানো হয়েছে। সমগ্র মসজিদজুড়েই অলংকরণের আধিক্যকে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে।

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে বেড়াতে গেলে - Roar বাংলা
Taken From City News Dhaka

বহিঃপ্রাঙ্গণ

৮ তলা ভবনের মসজিদটি ৯৯ ফুট উঁচু। ভবনটি সাদা রঙের, মূল নকশা অনুযায়ী মসজিদে প্রবেশ পথ হওয়ার কথা পূর্ব দিকে। উত্তর ও দক্ষিণ দিকে মসজিদে প্রবেশ করার বারান্দার ওপর দুটি ছোট গম্বুজ নির্মাণের মাধ্যমে প্রধান ভবনের ওপর গম্বুজ না থাকার অভাব পরিপূরণ করা হয়েছে।সবচেয়ে নিচের তলায় রয়েছে বিপনি বিতান এবং বিশাল মার্কেট।এছাড়াও আছে মুঘল পদ্ধতিতে স্থাপিত মনোরম বাগান।

অন্দরমহল

মসজিদে প্রবেশ করার বারান্দাগুলোতে ৩টি অশ্বখুড়াকৃতি খিলানপথ রয়েছে, মধ্যের পিলারটি সবচেয়ে বড়। মসজিদের দোতলা থেকে ছয়তলা পর্যন্ত প্রতি তলাতেই নামাজ পড়ানো হয়। ভিতরে অজুখানা সহ মহিলাদের নামাজ পড়ার সুব্যবস্থা আছে।শুক্রবারে জু’মার নামাজ আদায় করতে দুরদুরান্ত থেকে আগমন করেন বহু মুসল্লি। প্রতিদিন দেশি-বিদেশি অনেক পর্যটক মসজিদ প্রাঙ্গন দর্শন করতে আসেন। ঈদের সময় সেই মুসল্লির সংখ্যা বেড়ে যায় কয়েক গুণ, যে কারণে কয়েক দফায় ঈদের জামায়াত সম্পন্ন করা হয়।

বায়তুল মোকাররমে হাজারো মানুষের ইফতার

রমজান মাসে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে প্রতিদিন হাজারো রোজাদারের জন্য ইফতারের আয়োজন করে হয়। প্রতিদিন হাজারো মুসলমান ইফতারের জন্য জমায়েত হন।প্রতি রোজায় ইফতারকে ঘিরে অন্য রকম এক আবহের সৃষ্টি হয় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে। ধনী-গরিব, ছিন্নমূল, প্রতিবন্ধী—হাজার হাজার রোজাদার মুসল্লি এক কাতারে বসে ইফতার করেন মসজিদে।
এখানে সরকারিভাবে ইফতারের আয়োজন করে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। সংস্থাটির কর্মকর্তারা জানান, গত দুই দিনে প্রায় তিন হাজার মুসল্লি মসজিদে বসে ইফতার করেছেন। আগের বছরের তুলনায় এখানে ইফতার করতে আসা রোজাদারের সংখ্যা বেড়েছে। ইফতারির জন্য এ বছর বরাদ্দ এক লাখ টাকা বাড়ানো হয়েছে। তবে রোজাদারের সংখ্যা অনুপাতে এ বরাদ্দে হিমশিম খেতে হচ্ছে বলে জানান কর্মকর্তারা।
গত আট-নয় বছর ধরে বায়তুল মোকাররম মসজিদের মুসল্লিদের ইফতারির আয়োজন করে আসছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। এর জন্য রোজার আগে দরপত্র আহ্বান করা হয়। এ বছর ইফতারির জন্য ফাউন্ডেশনের বরাদ্দ ছিল সাড়ে ১০ লাখ টাকা। গত বছর ছিল সাড়ে নয় লাখ টাকা। এ বছর সাত লাখ ২১ হাজার টাকায় কাজ পেয়েছে সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান। কার্যাদেশ অনুযায়ী, প্রতিদিন ৪৫ কেজি মুড়ি, ৫০ কেজি ছোলা, ৬০ কেজি পেঁয়াজু, ৬০ কেজি খেজুর, ৫০ কেজি জিলাপি, ২০ কেজি চিনি, ১০ বোতল রুহ আফজা, এক হাজার ২০০ কলা সরবরাহ করা হয়। কর্তৃপক্ষ শরবত বানিয়ে গ্লাসে সরবরাহ করে। এ ছাড়া আরও ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান যার যার মতো ইফতারের আয়োজন করে এখানে।


গতকাল ইফতারির সময় বায়তুল মোকারর মসজিদে গিয়ে দেখা যায়, মসজিদের পূর্ব শাহানে (পূর্ব অংশে) হাজারো মুসল্লি সারি বেঁধে ইফতারের জন্য বসেছেন। এক পাশ থেকে ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী, মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদেমরা ইফতারি বিলি-বণ্টন করছেন। পাশের অস্থায়ী মঞ্চে চলছে ইফতারি-পূর্ব কোরআন তিলাওয়াত, হামদ-নাত পাঠ।
অবশ্য আসরের নামাজের পর থেকেই এখানে শুরু হয় খণ্ড খণ্ড ইফতারির আয়োজন। মসজিদের উত্তর-দক্ষিণ-পূর্ব—তিন প্রান্তেই মাগরিবের নামাজের আগ পর্যন্ত চলতে থাকে এ প্রস্তুতি। মসজিদের পূর্ব শাহানের দক্ষিণ পাশে প্রতিদিন ৩০০ মুসল্লির জন্য ইফতারির আয়োজন করে তাবলিগ জামাতের বায়তুল মোকাররম মসজিদ শাখা। তারাও ছোলা, মুড়ি, পেঁয়াজু, বেগুনির সঙ্গে কলা, জিলাপি মিশিয়ে ইফতারি করান।
তাবলিগ জামাতের কর্মী আবদুল ওয়াহাব বলেন, বায়তুল মোকাররম মসজিদ শাখায় তাবলিগের ৪০ জন সাথী ভাই আছেন। তাঁরা প্রতিদিন চাঁদা তুলে এই ইফতারের আয়োজন করেন।


এ ছাড়া মসজিদের উত্তর ও দক্ষিণ পাশে সাধারণ মুসল্লিদের জন্য আলাদা ইফতারির আয়োজন করে বায়তুল মোকাররম ব্যবসায়ী সমিতি। সমিতির পক্ষ থেকে প্রতিদিন ইফতার সামগ্রী পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক (মসজিদ ও মার্কেট) মুহাম্মদ মহীউদ্দিন মজুমদার প্রথম আলোকে বলেন, ‘২০০৯ সাল থেকে আমরা বৃহৎ পরিসরে ইফতারির আয়োজন করছি। তাতে এক হাজার থেকে এক হাজার ২০০ মুসল্লির ইফতারির সংকুলান হয়। কিন্তু এ বছর প্রথম দুদিনে প্রায় তিন হাজার করে মুসল্লি হয়েছেন।’

Taken From Protidiner Bangladesh

রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পাচ্ছে বায়তুল মোকাররম

মুজিববর্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় মসজিদের স্বীকৃতি পাচ্ছে বায়তুল মোকাররম মসজিদ। রাষ্ট্রীয় প্রচার মাধ্যমসহ সব গণমাধ্যমে এটিকে জাতীয় মসজিদ হিসেবে উপস্থাপন করা হলেও এর আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি নেই। ফলে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবের সার-সংক্ষেপ অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠিয়েছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া শেষে এটি শিগগিরই মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে।

এর সত্যতা নিশ্চিত করে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শেখ মো. আবদুল্লাহ শুক্রবার যুগান্তরকে বলেছেন, ‘বায়তুল মোকাররম- জাতীয় মসজিদ এটা সবাই জানে কিন্তু এর কোনো রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি নেই, সেটা কেউ এতদিন খেয়ালও করেনি। আমরা মুজিববর্ষে এর আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়ার জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে প্রস্তাব পাঠিয়েছি।’

কথা হয় মসজিদটির দেখভালের দায়িত্বে থাকা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক (ডিজি) মু আ হামিদ জমাদ্দারের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ হিসেবে সারা দেশে পরিচিতি লাভ করেছে। এমনকি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার পাঠ্যপুস্তকেও এমন তথ্য স্থান পেয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা হল, কাগজে-কলমে এর কোনো ভিত্তি নেই। তাই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিববর্ষে’ মসজিদটির আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিতে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবের সার-সংক্ষেপ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়েছে।’

দেশের সবচেয়ে বড় শোলাকিয়া ঈদগাহের ঈমাম মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসউদ বলেন, ‘আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি না থাকলেও দেশ-বিদেশে জাতীয় মসজিদ হিসেবে বায়তুল মোকাররমই পরিচিতি পেয়েছে। মুজিববর্ষে এটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় মসজিদের স্বীকৃতি দেয়া হলে তা সরকারের একটি ভালো উদ্যোগ হিসেবে সবাই জানবে। তবে ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে এর কোনো সুবিধা বা অসুবিধা নেই। পবিত্র কাবা, মসজিদে নববী ও বায়তুল মোকাদ্দাস ছাড়া পৃথিবীর সব মসজিদ একই মর্যাদার।’

মন্ত্রিসভার জন্য পাঠানো প্রস্তাবে বলা হয়েছে- ঢাকা মহানগরীর প্রাণকেন্দ্রে বায়তুল মোকাররম মসজিদ। দেশের প্রধান ও বড় মসজিদ হিসেবে এটি দেশবাসীর কাছে পরিচিত। পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে এটি ‘জাতীয় মসজিদ’ হিসেবে পরিচিত। বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনসহ সব প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াতেও জাতীয় মসজিদ হিসেবে বায়তুল মোকাররমের নাম প্রচার করা হয়। মুসলিম বিশ্বের রাষ্ট্রপ্রধান ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের বিভিন্ন দেশের অতিথিরাও এ মসজিদে নামাজ আদায় করে থাকেন।

রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের জানাজার নামাজ আদায়েও এ মসজিদটিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া হয়। ঈদুল ফিতর ও আজহা, শবেমেরাজ, শবেবরাত ও শবেকদরসহ জুমাতুল বিদা ও ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) ইত্যাদি জাতীয় ও ধর্মীয় দিবসে বিপুলসংখ্যক মানুষ এ মসজিদে ইবাদত বন্দেগি করে থাকেন। অথচ আনুষ্ঠানিকভাবে এ দৃষ্টিনন্দন ও গুরুত্বপূর্ণ মসজিদটিকে জাতীয় মসজিদ হিসেবে ঘোষণা বা স্বীকৃতি দেয়া হয়নি।

প্রস্তাবে বলা হয়েছে- দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্যকে প্রতিফলিত করে এমন অনেক শ্রেষ্ঠ জিনিসের নামের সঙ্গে ‘জাতীয়’ শব্দ যুক্ত করে এগুলোর ঐতিহ্য স্মারক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ফলে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সঙ্গে জাতীয় শব্দ যুক্ত করা হলে এটির ভাব-গাম্ভীর্য বৃদ্ধি পাবে। একে কেন্দ্র করে দেশের সম্মান ও মর্যাদাও বৃদ্ধি পাবে। এটি করা হলে অতিরিক্ত কোনো অর্থের প্রয়োজন হবে না।তাই ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে ২০২০ সালকে ‘মুজিববর্ষ’ ঘোষণা করা হয়েছে। মুজিববর্ষে জাতীয় মসজিদ হিসেবে বায়তুল মোকাররমকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিলে দেশ-বিদেশে এবং ধর্মীয় ক্ষেত্রে সরকারের ভাব-মর্যাদা আরও উজ্জ্বল হবে।

অরক্ষিত বায়তুল মোকাররম মসজিদ

বায়তুল মোকাররম মসজিদের চারপাশ নোংরা এবং হকারদের দখলে। গেট থেকে প্রবেশ করে ভেতরের দিকে যেতেও দেখা যায় নোংরা পরিবেশ। মসজিদের ভেতরেও একই অবস্থা। এসব দেখে মনে হয়, বায়তুল মোকাররম যেন অরক্ষিত! বায়তুল মোকাররম মসজিদের অজুুখানা, প্রস্রাবখানা, টয়লেটে গেলে বমি আসে। সেখানে চরম দুর্গন্ধ। বিশ্রী পরিবেশ। টয়লেটগুলোর দরজা ঠিক নেই। মসজিদের সব ফ্লোরে ধুলাবালু। এমনকি একদম মিম্বরের কাছের জায়গাটিও ধুলাবালিতে পরিপূর্ণ!

এই বাংলাদেশ স্বাধীন সার্বভৌম একটি দেশ। এই দেশের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম। এ দেশের জাতীয় মসজিদের এই বেহাল পরিস্থিতি কেন? এর নেপথ্যে কোন ষড়যন্ত্র আছে? কিছু দিন আগে একজন বয়স্ক বাংলাদেশী ব্যক্তি যিনি ইউরোপে থাকেন তিনি বায়তুল মোকাররম মসজিদের নোংরা পরিবেশ নিয়ে ভিডিও করেছেন যা আমরা ইউটিউবে দেখেছি। মুসলিম দেশ বাংলাদেশের কথা শুনলে আন্তর্জাতিক মহল অবশ্যই ভাববে- এ দেশে মুসলিমদের বড় একটি জাতীয় মসজিদ থাকবে এবং বায়তুল মোকাররম মসজিদের নাম আন্তর্জাতিক মহলেরও অনেকের জানা। আগে এখানে বিদেশী অতিথিরা আসতেন।

বায়তুল মোকাররম মসজিদের পাশেই মেট্রোরেলের স্থাপনা এবং বিভিন্ন ভবনের নির্মাণকাজ হয়েছে। এতে ধুলাবালি বেড়েছে। কিন্তু পরিষ্কার করার কর্মী বাড়িয়ে সুনজরে রাখলেই তো বায়তুল মোকাররম পরিষ্কার রাখা যায়। এটি তো কঠিন কোনো কাজ নয়। বায়তুল মোকাররম মসজিদ কমপ্লেক্সে ভাসমান নোংরা লোকজনের উপস্থিতি চরম পর্যায়ের। মাদকাসক্তদেরও ভিড় সেখানে। জুতা চোর, ছিনতাইকারীদেরও ভিড়। পুলিশ কি জানে না এসব? সম্প্রতি একজন কনস্টেবল ছিনতাইকারীদের হাতে নিহত হন। এরপর পুলিশ প্রায় ২০০ জনের কাছাকাছি ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছে!

পরিচালনা

১৯৭৫ সালের ২৮ মার্চ থেকে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের রক্ষণাবেক্ষণ করে আসছে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত বায়তুল মোকাররমে সাতজন খতিব নিয়োগ পেয়েছেন। বিশিষ্ট আলেমে দ্বিন মাওলানা আবদুর রহমান কাশগরি (রহ.) ছিলেন বায়তুল মোকাররমের প্রথম খতিব।

ঢাকা মহানগরীর প্রাণকেন্দ্রে বায়তুল মোকাররম মসজিদ। দেশের প্রধান ও বড় মসজিদ হিসেবে এটি বিশ্ববাসীর কাছে পরিচিত। দীর্ঘদিন ধরে এটি ‘জাতীয় মসজিদ’ হিসেবে পরিচিত। অথচ আনুষ্ঠানিকভাবে এ দৃষ্টিনন্দন ও গুরুত্বপূর্ণ মসজিদটিকে জাতীয় মসজিদ হিসেবে ঘোষণা করা বা স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। এমতাবস্থায় বায়তুল মোকাররম মসজিদের সঙ্গে ‘জাতীয়’ শব্দ যুক্ত করা হলে এটির ভাবগাম্ভীর্য বাড়বে। একে কেন্দ্র করে দেশের সম্মান ও মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে। এর জন্য অতিরিক্ত কোনো অর্থের প্রয়োজন নেই। জাতীয় মসজিদ হিসেবে বায়তুল মোকাররমকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিলে দেশে-বিদেশে এবং ধর্মীয় ক্ষেত্রে সরকারের ভাবমর্যাদা উজ্জ্বল হবে।আশা করা হচ্ছে, এ বছরই জাতীয় মসজিদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পাবে বায়তুল মোকাররম।


তথ্যসুত্র

হাজারো মুসল্লির একসঙ্গে ইফতার, Prothom Alo

বায়তুল মোকাররমের জন্ম কথা, City News Dhaka

দেশের প্রধান ও বড় মসজিদ, Odikar News

বাংলাদেশের জাতীয় মসজিদ।, I-Online Media

বিশাল আয়তন ও সুরম্য স্থাপনা, Kaler Kantho

অরক্ষিত বায়তুল মোকাররম মসজিদ, Daily Naya Digantho

রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পাচ্ছে বায়তুল মোকাররম, Jugantor

আধুনিক স্থাপত্য নকশা, Projoton Lipi

পারিবারিক উদ্যোগে এই মসজিদ, Bbc

বায়তুল মোকাররম মার্কেট চালু হয়।, Alokito Bangladesh

Subscribe for Daily Newsletter