বিশ্ব ক্রিকেটে বাংলাদেশ (Bangladesh in World Cricket)

বিশ্ব ক্রিকেটে বাংলাদেশ (Bangladesh in World Cricket)

বাংলাদেশের জাতীয় খেলা হা-ডু-ডু। অথচ এই খেলা বাংলাদেশে কখনোই প্রধান খেলা বা জনপ্রিয় খেলা ছিল না। বরং ফুটবল ছিল বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা। ছিল বলা হচ্ছে, কারণ জনপ্রিয়তার মানদণ্ডে ফুটবল এখন তলানিতে। সে স্থান অনেক আগেই দখলে নিয়েছে ক্রিকেট।বিশ্ব ক্রিকেট অঙ্গনে বাংলাদেশ এখনও পরাশক্তির কাতারে নাম লেখাতে না পারলেও দারুণ সমীহ জাগানিয়া একটি দল। যে কোনো টুর্নামেন্টে বাংলাদেশকে এখন আর আগেভাগে বাদ দেয়ার তালিকায় রাখতে পারে না কেউ।

স্বাধীনতার আগে থেকেই এ অঞ্চলে ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা ছিলো অনেক

স্বাধীনতার আগে থেকেই এ অঞ্চলে ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা ছিলো অনেক। ১৯৭১ সালে মাহান স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে ইউসুফ আলী ও মোজাফফর হোসেন খানকে যথাক্রমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক করে বাংলাদেশ ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড গঠিত হয়।এবং দেশের প্রথম প্রতিযোগীতামূলক ক্রিকেট শুরু হয় ১৯৭৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে। ক্লাবভিত্তিক ক্রিকেটের নক আউট টুর্নামেন্ট ছিল সেটি। ১৯৭৪-৭৫ থেকে জাতীয় পর্যায়ে ক্লাব ক্রিকেটের লীগ শুরু হয় যা প্রায় প্রতি মৌসুমেই অনুষ্ঠিত হয়েছে এখন পর্যন্ত। যদিও এই টুর্নামেন্ট কখনোই প্রথম শ্রেণীর মর্যাদা পায়নি।

এমসিসির ট্যুর রিপোর্টের ওপর নির্ভর করবে আইসিসির সিদ্ধান্ত

ঠিক এর পর এই একজন বন্ধুর দেখা পায় বাংলাদেশ।তিনি হলেন ব্রিটিশ ক্রিকেটার ও ক্রীড়া সাংবাদিক রবিন মারলার। সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের নামও যখন অনেকে জানেন না, সে সময় তিনি আঁচ করেছিলেন বাংলাদেশে ক্রিকেটের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ। সানডে টাইমস পত্রিকায় আগ্রহ নিয়ে লিখেছিলেন ‘উইদার বাংলাদেশ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন। ১৯৭৬ সালে প্রকাশিত সেই যুগান্তকারী প্রতিবেদন মাধ্যমে বাংলাদেশিদের ক্রিকেটপ্রীতি জানল বিশ্ব। এবং বিশ্ব ক্রিকেট প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের ক্রিকেট সম্পর্কে পেলো বিশদ ধারণা।তার এই ধারাবাহিকতায় ১৯৭৫-৭৬ ঘরোয়া ক্রিকেটের মৌসুম শেষে বাংলাদেশ ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কনফারেন্সের (এখনকার ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল ) কাছে আবেদন করল সহযোগী সদস্য পদের জন্য। ১৯৭৬ সালের জুনে আইসিসির সভায় উঠল বাংলাদেশের সদস্য পদ পাওয়ার বিষয়টি। আইসিসি বিসিসিবিকে পরামর্শ দিল মেলবোর্ন ক্রিকেট ক্লাবকে (এমসিসি) আমন্ত্রণ জানাতে। এমসিসির ট্যুর রিপোর্টের ওপর নির্ভর করবে আইসিসির সিদ্ধান্ত। বিসিসিবি আমন্ত্রণ জানাল এমসিসিকে।

এমসিসি বেশ কয়েকটি ম্যাচ খেলে বাংলাদেশে

তার এই ধারাবাহিকতায় ১৯৭৬-৭৭ মৌসুমে এমসিসির একটি দল বাংলাদেশে আসে। এ সময়ই বাংলাদেশের জাতীয় দল গঠন করা হয় প্রথমবারের মতো।এমসিসি বেশ কয়েকটি ম্যাচ খেলে বাংলাদেশে। এমসিসি জাতীয় দল ছাড়াও আরো কিছু ম্যাচ খেলে। এই ম্যাচগুলো যদিও প্রথম শ্রেণীর মর্যাদা পায়নি।বাংলাদেশ প্রথম ক্রিকেট ম্যাচ খেলে ১৯৭৭ সালে ৭ই জানুয়ারি ইংল্যান্ড এর ঐতিহ্যবাহী মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাব এর বিপক্ষে। ঢাকা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ৩ দিনের ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত ড্র হয়। ঢাকায় ঐতিহাসিক সেই ম্যাচে খেলার সুযোগ হয় শামীম কবির (অধিনায়ক), রকিবুল হাসান, মাঈনুল হক, সৈয়দ আশরাফুল হক, ওমর খালেদ রুমি, এ.এস.এম.ফারুক, শফিকুল হক হীরা, ইউসুফ রহমান বাবু, দৌলতউজ্জামান, দীপু রায় চৌধুরী ও নজরুল কাদের লিন্টু এই এগার জনের। এছাড়া ১৬ জনের দলে ছিলেন শাকিল কাশেম, এনায়েত হোসেন সিরাজ, খবির, নাজমুর নুর রবিন ও আহমেদ ইকবাল বাচ্চু।

বাংলাদেশের রয়েছে কিছু বিশ্বরেকর্ড

ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা ২০ টি রেকর্ড বাছাই করলে সেখানে নিঃসন্দেহে কয়েকজন বাংলাদেশি ক্রিকেটার জায়গা করে নেবে। সর্বশেষ বিশ্বকাপে সাকিবের গড়া অবিশ্বাস্য পারফরমেন্স কিংবা ৬ বছর আগে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টে সোহাগ গাজীর হ্যাটট্রিক-সেঞ্চুরি! ভারত-অস্ট্রেলিয়া কিংবা ইংল্যান্ডের তুলনায় অনেক পর ক্রিকেট খেলা শুরু করলেও বাংলাদেশের রয়েছে কিছু বিশ্বরেকর্ড।

বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসের এমনই কিছু বিশ্বজয়ী রেকর্ড নিয়ে আজকের প্রতিবেদন।

সোহাগ গাজী

১৩৮ বছরের টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসে একমাত্র ক্রিকেটোর যিনি একই টেস্টে সেঞ্চুরি ও হ্যাট্রিক করে। ২০১৩ সালে চট্টগ্রামে কিউইদের বিপক্ষে বল হাতে হ্যাটট্রিক করার পাশাপাশি ব্যাট হাতে দেয়াল হয়ে দাঁড়ান এই অলরাউন্ডার। সোহাগ গাজীর সেই রেকর্ড রয়েছে এখনো অক্ষুণ্ণ।

সাকিব আল হাসান

এক বিশ্বকাপ আসরে ছয়শ এর বেশি রান এবং ১০ টির বেশি উইকেট নেই ইতিহাসের কোন ক্রিকেটারের। ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে সাকিব আল হাসান গড়েছেন এই কীর্ত্তি। 

মোহাম্মদ আশরাফুল

১৩৮ বছরের টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে একমাত্র ক্রিকেটার যিনি টিনেজার হয়েও টেস্টে অভিষেকে সেঞ্চুরি হাঁকান। রেকর্ড এর শুরু কেবল। আসল রেকর্ড হচ্ছে টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসের সর্ব কনিষ্ঠ সেঞ্চুরিয়ান। মাত্র ১৬ বছর ৩৫৩ দিনে এই বিশ্ব রেকর্ড গড়েন। মতান্তরে ১৭ বছর ৫৪ দিন।

তামিম ইকবাল

বিশ্বের একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে ৩ ফরম্যাটে দেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি রান ও ব্যাক্তিগত সর্বচ্চ রানের ইনিংস খেলেন।

তাইজুল ইসলাম

১ ডিসেম্বর, ২০১৪ । রেকর্ডের বরপুত্র হয়েই কি না বাংলাদেশের ক্রিকেটে আবির্ভাব হয়েছে তাইজুল ইসলামের? বোধহয় তাই-ই, টেস্টে দেশের হয়ে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ৮ উইকেট-শিকারের কীর্তি নিজের করে নেওয়ার পর একদিনের ক্রিকেটে অভিষেকেই দারুণ এক হ্যাটট্রিকে গুঁড়িয়ে দিলেন জিম্বাবুয়েকে। তাইজুলের এই হ্যাটট্রিকের মাহাত্ম্য অন্যরকম। ক্রিকেট ইতিহাসে অভিষেকেই হ্যাট্রট্রিক করা একমাত্র ক্রিকেটার যে তিনিই এরপর এই রেকর্ড এ নাম লিখিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকান কাগিসো রাবাদা। তাতে কি প্রথম হিসেবে তাইজুলের রেকর্ড ভাঙার সুযোগ আর কারও নেই।

মুমিনুল হক

টেস্টে অভিষেকের পর থেকে টানা ১৩ টেস্টেই খেলেছেন পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস। যেটা একটা বিশ্ব রেকর্ড। ভিলিয়ার্সেরও ১৩ টেস্টে ফিফটি প্লাস রান করার রেকর্ড থাকলেও অভিষেকের পর গত ১৩৮ বছরের ইতিহাসে এমটা আর কোন ব্যাটসম্যান করে দেখাতে পারেন নি।

তাসকিন আহমেদ

২০১৪ জুলাই। একদিনের ক্রিকেটে অভিষেকে সবচেয়ে কমবয়সে ৫ উইকেটের রেকর্ড। অভিষেকে আরও অনেকেই ৫ উইকেট নিয়েছেন। কিন্তু তাসকিন আহমেদই একমাত্র টিনেজার হিসেবে একদিনের ক্রিকেটে অভিষেকেই তুলে নেন ৫ ‍উইকেট।

মোস্তাফিজুর রহমান

বিশ্বের একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে অভিষেকেই টেস্ট ও ওয়ানডেতে ম্যান অব দ্যা ম্যাচ হয়েছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজের অভিষেক সিরিজেই ৩ ম্যাচ সিরিজে সবচেয়ে বেশি ‍উইকেট নিয়েছেন। রেকর্ড এর মাহাত্ব্য আরও বেড়ে যায় যখন আপনি জানবেন রেকর্ডটি করা হয়েছে উপমহাদেশর মরা উইকেটে বিশ্বসেরা ব্যাটিং লাইনআপ হিসেবে খ্যাত ভারতের বিরুদ্ধে।

ইলিয়াস সানি

বিশ্বের প্রথম ও একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে অভিষেকে ৫ উইকেট সহ ম্যান অব দ্যা ম্যাচ হয়েছেন।

দশক, যুগ পেরিয়ে সুবর্ণজয়ন্তী বাংলাদেশ ক্রিকেটের

মিনিট, ঘণ্টা, দিন, মাস এরপর বছর। দশক, যুগ পেরিয়ে সুবর্ণজয়ন্তী। সংখ্যায় ৫০, মধ্যবয়সী সময়কাল। স্বাধীনতার ৫০ বছরে বাংলাদেশ। বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে কতটা বয়স বাড়ল বাংলাদেশ ক্রিকেটের? এমন প্রশ্নের সুনির্দিষ্ট উত্তর পাওয়া কঠিন। দীর্ঘ এই সময়ে মিলেছে অনেক প্রাপ্তিই। আবার আছে লক্ষ্যে পৌঁছাতে না পারার হতাশাও। 

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পথচলা শুরু ১৯৭৭ সালে

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের বয়স অবশ্য ৫০ পূর্ণ হয়নি, বাকি এখনও কয়েক বছর। বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাস আরেকটু পুরনো হলেও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পথচলা শুরু ১৯৭৭ সালে। সে বছর বাংলাদেশে আসে ঐতিহাসিক মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসি)। ঢাকা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত (বর্তমানে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম) ওই ম্যাচটিকেই ধরা হয় বাংলাদেশের প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ। 

আইসিসি ট্রফি জেতে বাংলাদেশ, মেলে ওয়ানডে মর্যাদা

যদিও ওই ম্যাচের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি নিয়ে অনেক আলোচনা আছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের রেকর্ড বলে তারা প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছে ১৯৮৬ সালে, এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে। শ্রীলঙ্কার মোরাতুয়াতে গাজী আশরাফ হোসেন লিপুর নেতৃত্বে পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে ম্যাচ খেলতে নামে বাংলাদেশ। ৪৫ ওভারের সেই ম্যাচে আগে ব্যাটিং করে ৯৪ রানে অলআউট হওয়া বাংলাদেশ হার মানে ৭ উইকেটে।এরপর ৩৫ বছর পেরিয়ে গেছে। কয়েকবার অংশগ্রহণের পর ১৯৯৭ সালে আসে মাহেন্দ্রক্ষণ। আইসিসি ট্রফি জেতে বাংলাদেশ, মেলে ওয়ানডে মর্যাদা। বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে যা অন্যতম সেরা অর্জন। এরপর যতো সময় গড়িয়েছে, বাংলাদেশের ক্রিকেটে যোগ হয়েছে নানা অর্জন। 

ওয়ানডের পাশাপাশি শুরু হয় সাদা পোশাকের পথচলা

দারুণ এক অর্জনে একবিংশ শতাব্দী শুরু হয় বাংলাদেশ ক্রিকেটের। ২০০০ সালের ২৬ জুন ৯টি টেস্ট খেলুড়ে দেশের ভোটে ক্রিকেটের অভিজাত ফরম্যাটের দশম সদস্য হিসেবে যোগ দেয় বাংলাদেশ। ওয়ানডের পাশাপাশি শুরু হয় সাদা পোশাকের পথচলা। টেস্ট মর্যাদার তিন বছরের মাথায়ই প্রথম জয়ের স্বাদ পেতে পারতো বাংলাদেশ। কিন্তু মুলতানে আম্পায়ারের বিতর্কিত সিদ্ধান্তে পাকিস্তানের বিপক্ষে সেই ম্যাচে জেতা হয়নি বাংলাদেশের।

বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে যা স্বর্ণাক্ষরে লেখা

বাংলাদেশ দমে থাকেনি। টেস্ট জয়ের স্বাদ কেমন হয়, ২০০৫ সালে বুঝতে পারে বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঐতিহাসিক টেস্ট জয় পায় হাবিবুল বাশারের নেতৃত্বাধীন দলটি। বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে যা স্বর্ণাক্ষরে লেখা। ১৯৯৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে হারানো বাংলাদেশের ২০০৩ বিশ্বকাপ মিশন ছিল হতাশায় মোড়ানো। শূন্য হাতে দেশে ফিরতে হয় বাংলাদেশকে। ২০০৭ বিশ্বকাপে বলার মতো সাফল্য মেলে। পোর্ট অব স্পেনে ভারতকে ৫ উইকেটে হারিয়ে দেয় হাবিবুল বাশারের দল। এরপর বারমুডার বিপক্ষেও জেতে বাংলাদেশ। দুটি জয়ে খুশি মনেই দেশে ফেরে বাংলাদেশ। 

২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপের যৌথ আয়োজক হয় বাংলাদেশ

২০১০ সালে চীনের গুয়াংজুতে অনুষ্ঠিত হয় এশিয়ান গেমস। আসরটির ইতিহাসে ওই বছর বাংলাদেশ সেরা সাফল্য পায়। ফাইনালে আফগানিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়ে স্বর্ণপদক জেতে বাংলাদেশ। ২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপের যৌথ আয়োজক হয় বাংলাদেশ। ঘরের মাঠের দলটি তিনটি ম্যাচও জেতে, যদিও নকআউট পর্বে যাওয়া হয়নি।

বিশ্বকাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশের যাত্রা শুরু বিশ্বকাপের সপ্তম আসরে ১৯৯৯ সালে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে

বিশ্বকাপে বাংলাদেশ প্রথম অংশগ্রহণ করে ১৯৯৯ সালে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে। সেই বিশ্বকাপে বাংলাদেশ পাকিস্তানকে হারিয়ে অঘটনের জন্ম দেয়। সেই সঙ্গে ওই বিশ্বকাপে বাংলাদেশ স্কটল্যান্ডকেও পরাজিত করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের টেস্ট স্ট্যাটাস প্রাপ্তির দাবি আরও জোরালো হয় এবং আইসিসি ২০০০ সালের ২৬ জুন বাংলাদেশ টেস্ট স্ট্যাটাস প্রদান করে।১৯৭৫ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত অনুষ্ঠিত প্রথম ছয়টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ অংশগ্রহণ করেনি। বিশ্বকাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশের যাত্রা শুরু বিশ্বকাপের সপ্তম আসরে ১৯৯৯ সালে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে।

২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো বড় কোনো ক্রিকেট টুর্নামেন্টের আয়োজক হতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

২০২৪ থেকে ২০৩১ সাল পর্যন্ত ক্রিকেটের বৈশ্বিক ইভেন্টগুলোর আয়োজক কোন দেশ হবে সেটি নিশ্চিত করেছে আইসিসি।আইসিসির ঘোষণা অনুযায়ী । তাদের সঙ্গে যৌথভাবে বিশ্বকাপ আয়োজন করবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি অনুষ্ঠিত হবে পাকিস্তানে। ১৯৯৬ সালের পর এটি হতে যাচ্ছে দেশটিতে আয়োজিত প্রথম কোনো আইসিসি ইভেন্ট।২০২৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজক হচ্ছে শ্রীলঙ্কা। এরপরের বছর ২০২৭ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের আসর বসবে নামিবিয়া, জিম্বাবুয়ে ও সাউথ আফ্রিকাতে।

২০২৮ সালের অক্টোবরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করবে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড যৌথভাবে। পরের বছর আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আসর বসবে ভারতে।২০৩০ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করবে ইংল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড ও স্কটল্যান্ড। ২০১৯ সালের পর আবারও বিশ্বকাপ আয়োজনের সুযোগ পাচ্ছে ইংল্যান্ড।আর সবশেষ ২০৩১ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের আয়োজক হিসেবে যৌথভাবে থাকছে বাংলাদেশ ও ভারত

আইসিসির ক্যালেন্ডার অনুযায়ী টানা চার বছর চারটি বিশ্বকাপ পাচ্ছেন ক্রিকেট ভক্তরা

এর আগে বাংলাদেশ ভারত ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যৌথভাবে ২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপ আয়োজন করেছে। এ ছাড়া ১৯৯৮ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ও ২০১৪ সালের আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও আয়োজন করে বাংলাদেশ।আইসিসির ক্যালেন্ডার অনুযায়ী টানা চার বছর চারটি বিশ্বকাপ পাচ্ছেন ক্রিকেট ভক্তরা। ২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর, ২০২২ সালে অস্ট্রেলিয়াতে হচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।২০২৩ সালে ভারতে হচ্ছে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। এর ২০২৪ সালে হবে আরেকটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।

২০০০ সালের ঠিক এ দিনটাতেই শুরু হয়েছিল ক্রিকেটের কুলীন সম্প্রাদায়ে যাত্রা

হাঁটি হাঁটি, পা পা করে ক্রিকেটের সবচেয়ে অভিজাত শ্রেণি টেস্টে ১৮টি বছর পার করে ফেললো বাংলাদেশ। পা দিলো ১৯ বছরে। ২০০০ সালের ঠিক এ দিনটাতেই শুরু হয়েছিল ক্রিকেটের কুলীন সম্প্রাদায়ে যাত্রা। যাত্রার শুরুতেই নিঃসন্দেহে শিশুকাল। এরপর দেখতে দেখতে বাল্যকাল। বাল্যকাল পার হওয়ার মুহূর্তেই টেস্টে প্রথম জয়ের দেখা পেয়েছিল বাংলাদেশ।

কৈশোর পেরিয়ে তারুণ্যের জয়গান যখন শুরু হয়েছিল, তখন বাংলাদেশ হারিয়েছে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ার মত ক্রিকেট পরাশক্তিদের। এবার টেস্টে বাংলাদেশ টগবগে এক যুবক। এই টগবগে যুবাদের পথ চলবে অনাদিকাল পর্যন্ত। এ থেকে বার্ধক্যে আসার আর কোনো সুযোগ নেই।


তথ্যসুত্র

এবার টেস্টে বাংলাদেশ , Jagonews24.

আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, Newsbangla24.

ক্রিকেটার ও ক্রীড়া সাংবাদিক, Cricketkhorbd.

ছয়টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ, Banglainsider.

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশ, Tbsnews.

ইতিহাসে একমাত্র ক্রিকেটোর যিনি, Banglainsider.

খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে, Jagonews24.

Subscribe for Daily Newsletter