মহেশখালীতে পানের অপার সম্ভাবনা (Betel Leaves of Maheshkhali)

মহেশখালীতে পানের অপার সম্ভাবনা (Betel Leaves of Maheshkhali)

সাগর আর নদীবেষ্টিত দ্বীপ উপজেলার নাম হচ্ছে মহেশখালী। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলভূমি মহেশখালী দ্বীপ উপজেলাটির অবস্থান হলো দেশের সর্ব দক্ষিণ-পূর্বে বঙ্গোপসাগরের তীরে অবস্থিত কক্সবাজার জেলায়। মহেশখালী দ্বীপের মানুষের আয়ের প্রধান উৎস হলো মৎস্য, লবণ, মিষ্টি পান ও কৃষি। তবে দ্বীপের অধিকাংশ মানুষ পান চাষের উপর নির্ভরশীল। চলতি মৌসুমে মহেশখালী উপজেলার বিল বরজ ও পাহাড়ের ঢালুতে পানের বাম্পার ফলন হওয়াতে পানচাষিরা মহাখুশি। পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় এই ভূমি পান চাষের জন্য বিশেষ উপযোগী। মহেশখালীর পানের বিশেষত্ব হলো মিষ্টি স্বাদ। যার কারণে এই পান সারাদেশে বিখ্যাত। এ বছর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে মিষ্টি পানের বাম্পার ফলন যেমন হয়েছে তেমনি হাট-বাজারে পানের দামও আকাশচুম্বী। এখানকার উৎপাদিত পান দেশজুড়ে বিখ্যাত সুস্বাদু মিষ্টি পান হিসেবে পরিচিত।

বাংলাদেশের দুই তৃতীয়াংশ মিষ্টি পান মহেশখালী দ্বীপে উৎপাদিত হয়ে থাকে

বাংলাদেশের একমাত্র পাহাড়ি দ্বীপ মহেশখালী। এখানকার অধিবাসীদের অন্যতম সুপ্রাচীণ ও ঐতিহ্যবাহী পেশা পান চাষ। পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় এর ভূমি পান চাষের জন্য বিশেষ উপযোগী। মহেশখালীর পানের বিশেষত্ব হল তার মিষ্টি স্বাদ, যার কারণে এই পান সারাদেশে বিখ্যাত। এক সময় মহেশখালীর মিষ্টি পান মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হত। অধিকন্তু, এখানকার পানের সুনাম দেশের সীমানা পেরিয়ে এশিয়া মহাদেশ ছাড়াও ইউরোপ-আমেরিকাতেও ছড়িয়ে রয়েছে। কারও কারও মতে আফ্রিকা মহাদেশের কিছু কিছু দেশও বাদ যায় না। সমগ্র বাংলাদেশের দুই তৃতীয়াংশ মিষ্টি পান মহেশখালী দ্বীপে উৎপাদিত হয়ে থাকে। মহেশখালীর কালারমারছড়া ও শাপলাপুর ইউনিয়নের পান চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পান অত্যন্ত স্পর্শকাতর ফসল।

ভারতবর্ষের রাজা, সম্রাটদের অন্দর মহলেও পান খাওয়ার প্রচলন ছিল

ইতিহাসবিদদের ধারণা, দক্ষিণ এশিয়ার আধিবাসীরা পান খাওয়ার অভ্যাস রপ্ত করেন হাজার বছর আগে থেকেই। পান যে অত্র অঞ্চলের সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। জানা যায় ভারতবর্ষের রাজা, সম্রাটদের অন্দর মহলেও পান খাওয়ার প্রচলন ছিল। সম্রাট জাহাঙ্গীরের প্রিয়তমা স্ত্রী নূরজাহানের পান খাওয়ার অভ্যাস ছিল এবং তিনি তা অন্দর মহলের অন্যদের কাছে জনপ্রিয় করে তোলেন। বাংলাদেশে উৎপাদিত বাংলা, মিঠা, সাচি, কর্পূরী, গ্যাচ, নাতিয়াবাসুত, উজালী, মহানলী, চেরফুলী, ভাবনা, সন্তোষী, জাইলো, ভাওলা, ঝালি, প্রভৃতি জাতের মধ্যে মহেশখালীর মিষ্টি পান উল্লেখযোগ্য। বাংলাদেশের একমাত্র পাহাড়ি দ্বীপ মহেশখালী। এখানকার অধিবাসীদের অন্যতম সুপ্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী পেশা পান চাষ।

Taken From MT News24.

মহেশখালীর মিষ্টিপান বিশ্বসেরা

জিআই পণ্যের স্বীকৃতি না পাক, তাতে কী! মহেশখালীর মিষ্টি পানের কদর ও চাহিদা রয়েছে বিশ্বজুড়ে। কিন্তু সুপ্রাচীনকাল থেকে ইতিহাসের পাতায় পাতায় পৃথিবীর বহু ভাষায় পদ্যে, আর গদ্যে, গানে আর ছন্দে পূঁথি সাহিত্যে উঠে আসে, মহেশখালীর মিষ্টিপান বিশ্বসেরা।সেই ডিজিটাল আইল্যান্ড মহেশখালীর মিষ্টিপানের নাম আসেনি ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ সালে প্রকাশিত জিআই পণ্যের স্বীকৃতির তালিকার। উল্টো রাজশাহীর ঝালপানকে মিষ্টিপান হিসাবে জিআই পণ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ফলে মহেশখালী পানচাষীসহ কক্সবাজার জেলার মিষ্টি পানচাষীরা চরমভাবে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।

চারটি ইউনিয়নের ১৪শ হেক্টর জমিতে প্রায় ৮ হাজার পান বরজ করছেন অন্তত ১৩ হাজার পান চাষি

দেশে মিষ্টি পানের চাহিদা বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে মহেশখালী দ্বীপের সমতল ভূমিতে মৌসুমী পান চাষে ঝুঁকছেন চাষিরা। গত বছর মৌসুমী পান বরজে ভালো দাম পাওয়ায় এ বছর বরজ বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। চলতি মৌসুমে উপজেলার হোয়ানক, কালারমারছড়া, বড় মহেশখালী ও শাপলাপুর এই চারটি ইউনিয়নের ১৪শ হেক্টর জমিতে প্রায় ৮ হাজার পান বরজ করছেন অন্তত ১৩ হাজার পান চাষি।

মহেশখালীতে পান ক্ষেতকে বলা হয়– পান বরজ

পান চাষ মহেশখালী দ্বীপের বাসিন্দাদের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী সুপ্রাচীন পেশা। মহেশখালীর পাহাড়ি এলাকা পান চাষের জন্য বিশেষ উপযোগী হলেও বর্ষার শেষে এই দ্বীপের সমতল ভূমিতে শুরু হয় মৌসুমী পান চাষ। মহেশখালীর পান সারা দেশে বিখ্যাত হওয়ার পেছনের মূল কারণ– এই দ্বীপের পানে রয়েছে মিষ্টি স্বাদ। মিষ্টি পান ছাড়াও এ দ্বীপে কিছু পরিমাণ সাচি পানের চাষও করা হয়। চাষের জন্য প্রচুর দক্ষতা ও দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা দরকার যা মহেশখালীর মানুষেরা বংশ পরম্পরায় লালন করে থাকে। মহেশখালীতে পান ক্ষেতকে বলা হয়– পান বরজ। মহেশখালীর পানের বরজ দুই ধরনের– পাহাড়ি বরজ ও বিল বরজ বা মৌসুমী পান বরজ।

১০-১৫ দিন অন্তর অন্তর পান বিক্রি করে চাষিরা সর্বনিম্ন ১০ হাজার

পান যখন পরিপক্ক হয়ে উঠে তখন চাষীরা প্রতি ১০-১৫ দিন পর পর গাছ থেকে পান তুলে নেয়। একসাথে সব পান তুলে ফেলা যায় না। একটা পান গাছ থেকে ৩-৫ টা পান ছিঁড়ে নেয়া যায়। যেখান থেকে পান ছিঁড়ে নেয়া হয় সেখানে আবার ৮-১০ দিন পর নতুন পান হয়। এভাবে করে ১০/১২ দিন পর আবার পান সংগ্রহ করা যায়। প্রতি ১০-১৫ দিন অন্তর অন্তর পান বিক্রি করে চাষিরা সর্বনিম্ন ১০ হাজার আর সর্বোচ্চ লাখ টাকার বেশী আয় করেন যা বছরে কয়েক লাখ ছাড়িয়ে যায়।

Taken From Kalerkantho

এ দ্বীপের প্রায় ১৪০০ হেক্টর জায়গা জুড়ে প্রায় ৮ হাজার পান বরজ আছে

মহেশখালী উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ দ্বীপের প্রায় ১৪০০ হেক্টর জায়গা জুড়ে প্রায় ৮ হাজার পান বরজ আছে। পান চাষির সংখ্যা প্রায় ১৩ হাজার। মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পান রপ্তানির মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে। মহেশখালীর মিষ্টি পান শুধু এ দ্বীপে নয়, সারা বাংলাদেশে অতিথি আপ্যায়নের অপরিহার্য অনুষঙ্গ। চট্টগ্রামের বিখ্যাত শিল্পী শেফালী ঘোষ গেয়েছেন–

‘যদি সুন্দর একখান মুখ পাইতাম,
মইশখালীর পানর খিলি তারে বানাই খাওয়াইতাম’।

মহেশখালীতে মোট পানচাষির সংখ্যা ২৭ হাজার ২০০ জন

কালারমারছড়া ইউনিয়নের পানচাষি নুরুল ইসলাম জানান, গত বছর বড় আকারের প্রতিটি পানের বিরা ৫শ থেকে সাড়ে ৫শ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তাই এ বছর গতবছরের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ জমিতে পান চাষ করছেন চাষিরা। বর্তমানেও পানের ভালো দাম রয়েছে।মহেশখালীতে মোট পানচাষির সংখ্যা ২৭ হাজার ২০০ জন। বিগত পাঁচ বছরে এই সংখ্যাই স্থিত রয়েছে। পানচাষসহ বিভিন্ন ফসলে কৃষি পরামর্শ দেয়ার জন্য বর্তমানে ১৮ উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মাঠপর্যায়ে কৃষকদের নিয়ে কাজ করছেন। আবার অনেক কৃষক পরামর্শের জন্য সরাসরি অফিসে যোগাযোগ করেন।

এই মিষ্টি পানের ব্যবসার উপর নির্ভর করে ৭টি উপজেলার প্রায় ৪০ হাজার পরিবার

দেশের বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসবসহ সামাজিক রীতি, বিয়ে-শাদিতে মিষ্টি পানের খ্যাতির পাশাপাশি প্রচুর চাহিদা রয়েছে। কক্সবাজার জেলার মহেশখালী মিষ্টি পানের জন্য বিখ্যাত। জেলায় ঐতিহ্যবাহী এই মিষ্টি পানের ব্যবসার উপর নির্ভর করে ৭টি উপজেলার প্রায় ৪০ হাজার পরিবার। পানচাষিদের দাবি, রপ্তানি বৃদ্ধি হলে পান উৎপাদন আরও বাড়বে।দেশ-বিদেশে মিষ্টি পানের কদর দিন দিন বাড়ছে। সেই সঙ্গে পানের উৎপাদন বাড়ানোর চেষ্টা করছেন চাষিরা। তবে বেশিরভাগ সময় চাহিদার সঙ্গে সমন্বয় করে পানের কাক্সিক্ষত দাম পাওয়া যায় না। তবে এই মৌসুমে তার ব্যতিক্রম ঘটেছে। আগের তুলনায় বেড়েছে মিষ্টি পানের দাম। আর তাতেই কৃষকদের মুখে ফুটেছে আত্মতৃপ্তির হাসি।

৪টি পানে হয় ১ গন্ডা, আর ৪৫ গন্ডা পানকে ১ বিড়া বলা হয়

এ বছর যেভাবে পানের বাম্পার ফলন হয়েছে তেমনি পানের মূল্যও আকাশচুম্বী। বর্তমানে মৌসুমের শুরুতে প্রতি বিড়া বড় মিষ্টি পান ৪-৫শ' টাকা দামে বিক্রি হয়। মাঝারি পান এক বিড়া ৪-৩শ' টাকা দামে বিক্রি হয়। আর ছোট পান ২৫০-২০০ টাকা দামে বিক্রি হয়ে থাকে। ৪টি পানে হয় ১ গন্ডা, আর ৪৫ গন্ডা পানকে ১ বিড়া বলা হয়। তিনি আরও বলেন, 'বিদেশে পান রপ্তানি সরকারিভাবে বন্ধ থাকলেও ব্যক্তিগত উদ্যোগে মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে পান রপ্তানি হচ্ছে। এখানকার পানের সুনাম দেশের সীমানা পেরিয়ে এশিয়া মহাদেশ ছাড়াও ইউরোপ-আমেরিকাতেও রয়েছে।'

৪ হাজার একর জমিতে ছোট-বড় প্রায় ১২ হাজার বরজ রয়েছে

উপজেলা কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, মহেশখালীতে মিষ্টি পানের চাষ করেন প্রায় ২৭ হাজার ২০০ জন চাষি। ৪ হাজার একর জমিতে ছোট-বড় প্রায় ১২ হাজার বরজ রয়েছে। চলতি অর্থবছরে (২০২২-২৩) বরজগুলোতে ৪৪ হাজার মেট্রিক টন মিষ্টি পান উৎপাদিত হয়েছে। এবার বিড়াপ্রতি দাম পাওয়া যাচ্ছে ২০০ থেকে ৩৫০ টাকা। চাষিদের হিসাবে প্রতি মেট্রিক টনে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ বিড়া পর্যন্ত পান হয়। প্রতি বিড়ার (৮০টি) দাম ২৫০ টাকা ধরা হলে উৎপাদিত ৪৪ হাজার মেট্রিক টন পান বিক্রি করে ১ হাজার ৩২০ কোটি টাকা পাওয়া যাবে।

Taken From TV9 Bangla.

পানের দাম স্থিতিশীল থাকলে কক্সবাজারেই অন্তত সাড়ে ৩শ' কোটি টাকার পান উৎপাদন হবে

'কক্সবাজার জেলায় মিষ্টি পানের চাষ যেমন বেড়েছে একই সঙ্গে ফলনও বেড়েছে। এটি লাভজনক চাষ হওয়ায় এ পেশায় জড়িয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। এবার পানের দাম স্থিতিশীল থাকলে কক্সবাজারেই অন্তত সাড়ে ৩শ' কোটি টাকার পান উৎপাদন হবে। যার অধিকাংশ পানই সরবরাহ হয় কক্সবাজার ছাড়াও চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী ও কুমিলস্নায়। এছাড়া মিষ্টি পানের চাহিদা রয়েছে সৌদি আরব ছাড়াও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে। তাই রপ্তানি বাড়লে পানের চাষ বাড়বে, এতে উৎপাদনও আরও বাড়বে। অর্জিত হবে বৈদেশিক মুদ্রা।'

প্রতি বছর মহেশখালী থেকে ১ লাখ ৬৩ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন পান বাইরে রপ্তানি হচ্ছে

মৌসুমি পান চাষের সময়ে দাম বেশি থাকে এবং পানের উৎপাদন বেশি হয়। এক হেক্টর জমিতে পান চাষ করতে চাষিদের খরচ লাগে ৬ লাখ ৫৫ হাজার টাকার মতো। বছরে প্রতি হেক্টর জমিতে আনুমানিক ১০৭ মেট্রিক টন পান উৎপাদন হয়। প্রতি হেক্টরে পান বিক্রি হয় প্রায় ১৬ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা। সেই হিসাবে চাষিরা খরচ বাদ দিয়ে লাভবান হন প্রতি হেক্টরে প্রায় ৯ লাখ ৫৭ হাজার টাকা। প্রতি বছর মহেশখালী থেকে ১ লাখ ৬৩ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন পান বাইরে রপ্তানি হচ্ছে।'

Taken From Anandabazar

পান চাষের প্রধান ঝুঁকি অতি বৃষ্টি

খেত প্রস্তুত থেকে শুরু করে বরজ থেকে পরিপক্ক পান পাতা সংগ্রহ পর্যন্ত প্রতিটি পর্যায়ে অনেক বেশি সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। অধিকন্তু মানতে হয় যুগ যুগ ধরে চলে আসা কিছু সংস্কার। যেমন-নাপাক বা অপরিস্কার শরীরে বরজে প্রবেশ অনুচিৎ। অনেক ক্ষেত্রে বরজে নারীদের প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত। পান চাষের প্রধান ঝুঁকি অতি বৃষ্টি। সেপ্টেম্বরে শেষ বর্ষা অর্থাৎ পান চাষ মৌসুমের শুরুতে দেখা যায় বহু বরজ নষ্ট হয়ে যায়। ২০-২৫ শতক পরিমাণ জমিতে একটি পানের বরজ প্রস্তুতে ব্যয় হয় লক্ষাধিক টাকা। বৃষ্টির মাত্রা অধিক হলে চাষিরা নিশ্চিত লোকসানে পড়ে। বর্তমানে পান চাষের উপকরণ হলোঃ শন, উল, বাঁশ, কীটনাশক, সার, খৈল ইত্যাদি। 

ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাসেও দেখা মেলে মহেশখালী মিষ্টি পানের জনপ্রিয়তার চিত্র। এই উপমহাদেশে ভ্রমণ করতে আসা অনেক পর্যটকের লেখায়ও উঠে এসেছে মহেশখালীর মিষ্টি পানের কথা। আগেকার দিনে রাজা বাদশাদের খাবারের তালিকায় পান ছিল অন্যতম রাজকীয় বিলাসী খাবার। ভারতবর্ষের রাজা-বাদশাদের অন্দরমহলে পান খাওয়ার প্রচলন ছিল বলেও জানা যায়। সম্রাট জাহাঙ্গীরের স্ত্রী নূরজাহান অন্দরমহলের নারীদের কাছে পান খাওয়া জনপ্রিয় করে তুলেছিলেন। পানের গুণগান গাওয়া হয়েছে মধ্যযুগের অনেক কবি-সাহিত্যিকের লেখায়ও।চট্টগ্রাম আঞ্চলিক গানের রাণী প্রয়াত শেফালী ঘোষ গেয়েছেন, ‘যদি সুন্দর একখান মুখ পাইতাম, যদি নতুন একখান মুখ পাইতাম, মইশখালীর পানের খিলি তারে বানাই খাবাইতাম।’


 তথ্যসুত্র

মহেশখালীর পানের খিলি, Jugantor.

পান চাষের উপকরণ, Amarsangbad.

মহেশখালীতে মিষ্টি পান, Prothomalo.

মিষ্টি পানের কদর , Sharebiz.

মহেশখালীর মিষ্টিপান আবদার, Dailyvorerakash.

মিষ্টি পানের খ্যাতি, Jaijaidin.

মিষ্টি পানের চাহিদা , Dainikazadi.

Subscribe for Daily Newsletter