পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি (Chittagong Hill Tracts Peace Treaty)
পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির শুরুতেই এই অঞ্চলকে ‘উপজাতি অধ্যুষিত অঞ্চল’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। চুক্তিতে এ অঞ্চলের ‘বৈশিষ্ট্য সংরক্ষণ’ করার কথাও বলা হয়েছে।পাহাড়ের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি, স্থানীয় সরকারবিশেষজ্ঞ, পাহাড় বিষয়ে গবেষকেরা বলছেন, আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসন ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা বিকেন্দ্রীকরণের এক অনন্য নজির ছিল এই চুক্তি। চুক্তির তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের সমাধান হলে স্বশাসন ও বিকেন্দ্রীকরণের লক্ষ্য অর্জিত হতো। এক. ভূমির বিষয়টি চুক্তি অনুযায়ী জেলা পরিষদের কাছে ন্যস্ত করা। দুই. পাহাড়ের স্থায়ী বাসিন্দাদের নিয়ে অভিন্ন ভোটার তালিকা প্রণয়ন। তিন. জেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) থেকে নিচের জনবল নিয়োগের ব্যবস্থা।
চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছিল দুটি পক্ষের মধ্যে
চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছিল দুটি পক্ষের মধ্যে। একটি পক্ষ হচ্ছে জনসংহতি সমিতি এবং অন্যপক্ষ হচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। চুক্তিটি ক), খ,) গ ও ঘ) এইভাবে ৪ টি খণ্ডে বিভক্ত। ক) খণ্ড সাধারণ, খ) খণ্ড পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদ/ পার্বত্য জেলা পরিষদ গ) পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ ঘ) পুনর্বসান, সাধারণ ক্ষমা ও অন্যান্য বিষয়াবলী। ক) খণ্ডে ৪ টি খ) খণ্ডে ৩৫ টি গ) খণ্ডে ১৪টি এবং ঘ) খণ্ডে ১৯ টি ধারা আছে। এসবের আবার অনেকগুলো ধারার বিভিন্ন উপধারা রয়েছে। চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের অধিবাসীদের পক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় (সন্তু) লারমা।
পাহাড়ি, বাঙালি নির্বিশেষে সব মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে সমৃদ্ধ জনপদ গড়ার সম্ভাবনা দিন দিন বিকশিত হচ্ছে
পার্বত্য জেলা পরিষদগুলোকে পার্বত্য এলাকার উন্নয়নের গুরুদায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এতে করে পার্বত্য এলাকার সার্বিক উন্নয়ন, বহুমুখী কল্যাণ ও সুষম উন্নয়নের সব ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়নে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। বাংলা নববর্ষের পাশাপাশি মহাআনন্দে উদযাপিত হয় ঈদ উৎসব ও দুর্গাপূজা। পার্বত্য শান্তিচুক্তি এবং এর বাস্তবায়ন বিষয়ে পার্বত্যবাসীদের কারো কারো মধ্যে কিছু দ্বিধা-দ্বন্দ্ব থাকলেও এ কথা অনস্বীকার্য যে, পার্বত্য চুক্তির কারণেই পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতীয় জনগোষ্ঠীর বাংলাদেশের সংবিধানের আওতায় রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক অধিকার এবং জাতিসত্তাগত স্বাধীনতা অক্ষুণ্ণ রাখার পাশাপাশি জাতীয় মূলধারার সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার বাতাবরণ সৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে এ অঞ্চলে বসবাসরত পাহাড়ি, বাঙালি নির্বিশেষে সব মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে সমৃদ্ধ জনপদ গড়ার সম্ভাবনা দিন দিন বিকশিত হচ্ছে।
পার্বত্য শান্তি চুক্তির ৭২টি ধারার মধ্যে ৬৪টি ধারার পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন হয়েছে
পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। ইতোমধ্যে পার্বত্য শান্তি চুক্তির ৭২টি ধারার মধ্যে ৬৪টি ধারার পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন হয়েছে এবং বাকি ধারাগুলোর বাস্তবায়ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ধারাবাহিক আলোচনার মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে বাকি ধারাগুলোরও বাস্তবায়ন চলমান।
ঐতিহাসিক পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি পার্বত্যবাসীদের সম্ভাবনার দ্বারও খুলে দিয়েছে
অবকাঠামোর উন্নতি শুধুমাত্র পার্বত্যবাসীদের জীবনকে সহজ করেনি বরং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য নতুন সম্ভাবনার দ্বারও খুলে দিয়েছে। বিশেষ করে উঁচু-নিচু পাহাড়ের গা ভেসে সরীসৃপের মতো নির্মিত হয়েছে শত শত কিলোমিটারের ঝিগঝাগ পিচঢালা মসৃণ পাহাড়ি সড়ক। সড়কের পাশাপাশি বড় বড় ব্রিজ-কালভার্ট এক পাহাড়কে আরেক পাহাড়ের সঙ্গে যুক্ত করেছে। যারা বান্দরবানের থানচি ভ্রমণ করেছেন তারা এর স্বাদ গ্রহণ করেছেন। থানচিতে যেখানে যাওয়া আসায় দুই-তিন দিনের পথ ছিলো, এখন সে পথ মাত্র দু-তিন ঘন্টার ব্যবধানে দাঁড়িয়েছে। আর এটা সম্ভব হয়েছে ঐতিহাসিক পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির দলিল স্বাক্ষরের কারণে।
২৬ বছরে পার্বত্য অঞ্চলের তিন জেলায় নানামুখী অবকাঠামে উন্নয়ন হয়েছে
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে উন্নয়ন খাতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৪৯০ কোটি টাকা ব্যয়ে ২১৬১টি স্কিম প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের ফলে বিগত ২৬ বছরে পার্বত্য অঞ্চলের তিন জেলায় নানামুখী অবকাঠামে উন্নয়ন হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় টেকসই সামাজিক সেবা প্রদান প্রকল্পর আওতায় নারী উন্নয়ন, আয়বর্ধক কর্মকাণ্ড, আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সরকার ব্যাপক উদ্যোগ নিয়েছে। ৪ হাজার ৮০০ পাড়াকেন্দ্রে শিশু ও তাদের পরিবারের নিকট মৌলিক সামাজিক সেবাগুলো পৌঁছে দিতে পাড়াকেন্দ্র নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হয়েছে। পশ্চাদপদ জনগোষ্ঠীরা আধুনিক প্রযুক্তির সহযোগিতায় এখন সরকারের সকল সেবা ভোগ করতে পারছে। যা গত এক যুগ আগেও সম্ভব ছিল না। ১ লাখ ২০ হাজার শিশুকে প্রাক শৈশব স্তরের শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে আধুনিক প্রাথমিক শিক্ষা লাভের সুযোগ করে দেয়া হয়েছে। ২ লাখ ৬ হাজার পাহাড়ি পরিবারের শিশু, কিশোরী ও মহিলাদের রক্ত স্বল্পতা ও পুষ্টি ঘাটতিজনিত সমস্যা দূর করার লক্ষ্যে সরকারের সেবা প্রদান কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। চারটি আবাসিক বিদ্যালয় স্থাপনের মাধ্যমে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ১ হাজার ২শ শিক্ষার্থীকে আনুষ্ঠানিক শিক্ষা প্রবাহের সাথে সংযুক্ত করা হয়েছে।
তিন পার্বত্য জেলায় গড়ে ওঠেছে তিনটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
পার্বত্য চুক্তির আগে পার্বত্য তিন জেলায় উচ্চ বিদ্যালয়ের সংখ্যা ছিল ১৯৬টি। চুক্তির ২৬ বছরে সেখানে উচ্চ বিদ্যালয়ের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০৪টিতে। কলেজ ছিল যেখানে ২৫টি, সেখানে এখন কলেজের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫১টি। পাহাড়ি ছাত্রছাত্রীদের উচ্চশিক্ষা লাভের জন্য তিন পার্বত্য জেলায় নতুনভাবে গড়ে ওঠেছে তিনটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। রাঙ্গমাটিতে একটি মেডিক্যাল কলেজ এবং বান্দরবান জেলায় পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশীপের (পিপিপি) মাধ্যমে গড়ে তোলা হয়েছে বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয়। পার্বত্য তিন জেলায় চুক্তির আগে স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠান ছিল মাত্র ৯১টি। চুক্তির পর স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২১২-তে উন্নীত করা হয়। ছোট-মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠান ছিল মাত্র ১৭টি। চুক্তি স্বাক্ষরের পর মাঝারি-বড় ৪৪টি শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়। ক্ষুদ্র-কুটির শিল্পের সংখ্যা যেখানে ছিল ২ হাজার ২৬৬টি মাত্র, চুক্তির পর সে সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৭ হাজার ২৯৯টি। এছাড়া মসজিদ, মন্দির, কিয়াং, গীর্জা সমহারে স্থাপনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক এ সরকার সকল ধর্মের প্রতি সমান আন্তরিকতার পরিচয় রেখেছে। মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর, শিশু পার্ক, বিনোদন পার্ক, বাস টার্মিনাল, ঈদগাহ্, ফায়ার সার্ভিস স্টেশন, বাঁধ, স্টেডিয়াম, ফুড বেকারি, হোটেল-মোটেল, রেস্টুরেন্ট, পর্যটনকেন্দ্র ইত্যাদি স্থাপনের মাধ্যমে ভ্রমণপিপাসু পর্যটকদের নিরাপত্তার ব্যবস্থাসহ সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করে দিয়েছে
১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি সম্পাদিত হয়
পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যা সমাধানে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি সম্পাদিত হয়। তখন পাহাড়ের সবচেয়ে বড় সমস্যা ছিল পাহাড়ি ও বাঙালিদের মধ্যকার ভূমির বিরোধ। গত ২৬ বছরেও এর সমাধান করতে পারেনি ভূমিবিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন। চুক্তির শর্তের মধ্যে ছিল ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীসহ পার্বত্য চট্টগ্রামের স্থায়ী বাসিন্দাদের শাসনতান্ত্রিক অংশীদারত্ব নিশ্চিত করা; পার্বত্য চট্টগ্রামকে উপজাতীয় অধ্যুষিত অঞ্চল হিসেবে সংরক্ষণ করা; জেলা পরিষদ গঠন এবং আঞ্চলিক পরিষদ ও পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠন করা হয়। এসব গঠিত হলেও ২৬ বছরে জেলা বা আঞ্চলিক পরিষদে কোনো নির্বাচন হয়নি।
শাসন ব্যবস্থা কার্যকর না হওয়ার কারণে পরিবেশবান্ধব উন্নয়ন নানাভাবে ব্যহত হচ্ছে
পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির মৌলিক বিষয়য়গুলো এখনো অবাস্তবায়িত থাকার কারণে এ অঞ্চলে এখনো স্থায়ীত্বশীল শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়নি। পাশাপাশি এ এলাকায় বিশেষ শাসন ব্যবস্থা কার্যকর না হওয়ার কারণে স্থায়ীত্বশীল, গণমুখী ও পরিবেশবান্ধব উন্নয়ন নানাভাবে ব্যহত হচ্ছে।এই চুক্তি বাস্তবায়নের অগ্রগতি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে চুক্তি স্বাক্ষরকারী ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা বলেন, 'আমার জীবদ্দশায় আমি এই চুক্তি বাস্তবায়নের যে আশা-সম্ভাবনা সেটা আমি দেখি না। কিন্তু তরুণদের তা দেখতে হবে। নতুন আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে তাদের এগিয়ে আসতে হবে।'তিনি আরও বলেন, 'পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তিতে অনেকগুলো মৌলিক অধিকারের প্রশ্ন আছে। এখানে বিশেষ শাসন ব্যবস্থার প্রেক্ষাপটে আরও অনেক কিছু সংযোজনের প্রয়োজনও আছে।'তবু পার্বত্য অঞ্চলের স্থায়ী অধিবাসীদের জন্য ৩ জেলা পরিষদ এবং আঞ্চলিক পরিষদের আইনের মধ্য দিয়ে দেওয়া বিশেষ শাসনের মধ্য দিয়ে যতটুকু অধিকারের স্বীকৃতি এখানে আছে, সেটুকুই আদায় করে নেওয়ার তাগিদ দেন তিনি
পার্বত্য চুক্তি এটা সাধারণ কোনো দলিল নয়
“নানা সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে পার্বত্য চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। পার্বত্য চুক্তি এটা সাধারণ কোনো দলিল নয়। এটি এই এলাকার জুম্ম জনগণের অধিকারের সনদ। পাহাড়ের অধিকাংশ জুম্ম জনগণের পার্বত্য চুক্তি সম্পর্কে কোনো জ্ঞান নাই। তারা এই বিষয়ে জ্ঞান অর্জনের আগ্রহও দেখায় না।”“অথচ এই বিষয়ে প্রত্যেকের জানা দরকার। শুধু চুক্তি নয়, সংবিধানে মানবাধিকার বিষয় সম্পর্কেও জানা প্রয়োজন। পাশাপাশি চুক্তি বাস্তবায়নের সংগ্রামে সব জুম্ম জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন।”
পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি কমিশন গঠিত হলেও তা এখনো অকার্যকর
চুক্তির মৌলিক বিষয়গুলোর মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি কমিশন গঠিত হলেও তা এখনো অকার্যকর। তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ ও আঞ্চলিক পরিষদের নির্বাচন নেই। পার্বত্য আঞ্চলিক পরিষদ আইন অকার্যকর। গঠিত হয়নি বিশেষ পুলিশ বাহিনী। জমি ফেরত পাননি ভারত প্রত্যাগত উপজাতীয় শরণার্থীরা। পুনর্বাসন করা হয়নি অভ্যন্তরীণ উপজাতীয় উদ্বাস্তুদের।জনসংহতি সমিতি বলছে, পার্বত্য চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়ন না হওয়ায় পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যার সমাধান হয়নি। পার্বত্য চট্টগ্রামে জুম্ম (উপজাতীয়) অধ্যুষিত অঞ্চলের বৈশিষ্ট্যসহ জুম্ম জনগণের অস্তিত্ব সংরক্ষণ নিশ্চিত হয়নি। পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির সঙ্গে সংগতি বিধানকল্পে পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রযোজ্য আইনগুলো সংশোধন করা হয়নি।
পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ ও তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ সম্বলিত বিশেষ শাসনব্যবস্থার প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করেনি। পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি-বাঙালি স্থায়ী অধিবাসীদের প্রত্যক্ষ ভোটাধিকারের ভিত্তিতে নির্বাচনের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ ও তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ গঠিত হয়নি। তিন পার্বত্য জেলার সাধারণ প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা, পুলিশ, ভূমি ও ভূমি ব্যবস্থাপনা, বন ও পরিবেশসহ ইত্যাদি বিষয়গুলো এখনো তিন পার্বত্য জেলা পরিষদে হস্তান্তর করা হয়নি। পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ আইন কার্যকর হয়নি।
তথ্যসুত্র
প্রতিষ্ঠিত হয়নি স্থায়ী শান্তি, Jugantor.
পার্বত্য চুক্তি স্বাক্ষর, BD News24.
পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যা, The Daily Star.
পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি , Ajkerpatrika.
পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি, Parbattanews.
পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক জাতীয় কমিটি, Alokitobangladesh.
পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি, Prothomalo.