যোগাযোগ ও গণমাধ্যম (Communication and Media)

যোগাযোগ ও গণমাধ্যম  (Communication and Media)

সংবাদপত্রের স্বাধীনতা যদি ক্ষতিগ্রস্ত বা বাধাগ্রস্ত হয়, তবে তা স্বাভাবিক গণতন্ত্রের জন্য এবং গণতান্ত্রিক পরিবেশের জন্য ভয়ংকর হুমকি হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু সংবাদপত্রও তো অনেক সময় নিরপেক্ষ থাকে না। গণতান্ত্রিক নির্বাচনের সময় সুনির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলকে সংবাদমাধ্যমের সমর্থন করার সংস্কৃতি যুক্তরাজ্যের মতো গণতন্ত্রের স্বর্গে অনেক দিন ধরেই চালু। তবুও কখনো কি সংবাদপত্রকে গণতন্ত্রের মুখোমুখি করা হয়েছে? হয়নি বা যায়নি। কারণ, সংবাদপত্র সংবাদনির্ভর প্রতিষ্ঠান। প্রকাশিত সংবাদের দায় প্রতিষ্ঠানকে নিতে হয়। পেশাদার সংবাদকর্মীরা সেখানে কাজ করেন। 

গণমানুষ গণতন্ত্র গণমাধ্যম তিনটি শব্দে 'গণ' শব্দটি সাধারণ

গণমানুষ গণতন্ত্র গণমাধ্যম তিনটি শব্দে 'গণ' শব্দটি সাধারণ।  গণমাধ্যম থেকে যদি 'গণ' উধাও হয়ে যায় তবে সেটি শুধুই একটি প্রচারমাধ্যমে পরিণত হয়।  গণপ্রজাতন্ত্রী  বাংলাদেশের সংবিধান একটি পেশাকে গণমানুষের পক্ষে ক্ষমতাকে প্রশ্ন করার জন্য অবাধ স্বাধীনতা দিয়েছে।  সাধারণ মানুষ ক্ষমতাহীন মানুষ  প্রান্তিক মানুষের পক্ষে ক্ষমতাকে প্রশ্ন করে অধিকার নিশ্চিত করা সম্ভব হয় না। ক্ষমতাহীনের পক্ষে এই স্বাধীনতার চর্চা যারা করেন তাদেরকে বলা হয় সাংবাদিক।  ক্ষমতা যাতে সীমা ছাড়িয়ে স্বৈরাচার হতে না পারে সেজন্য সাংবাদিকরা ক্ষমতাকে চোখে চোখে রাখেন। তার ক্ষমতার উৎসও তাই গণমানুষ। তার আইনি ভিত্তি দিয়েছে সংবিধান।

গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণে গোয়েন্দা সংস্থার যথেচ্ছা ব্যবহার নগ্নতার সীমাকে ছাড়িয়েছে

আপাতদৃষ্টিতে বাংলাদেশের গণমাধ্যম ব্যাপক স্বাধীনতা ভোগ করে বলে মনে হয়। কিন্তু তার স্বাধীনতা নানা স্থানে বর্গা দিয়ে রাখার ব্যবস্থা করে রাখা হয়েছে। পরিস্থিতিকে আরও জটিল করেছে বিগত সরকারের অবাধ গণমাধ্যমের লাইসেন্স প্রদান। গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রতিযোগীতার মধ্যে ঠেলে দিয়ে একটি বিশৃঙ্খলতার মাধ্যমে সেন্সরশিপ চর্চা করা এবং তার পক্ষে 'নির্লজ্জ দালালি'র ক্ষেত্র প্রস্তুত রাখাই ছিল তার উদ্দেশ্য। গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণে গোয়েন্দা সংস্থার যথেচ্ছা ব্যবহার নগ্নতার সীমাকে ছাড়িয়েছে।

ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়া হলে একমাত্র ভরসা হয়ে পড়ে সংবাদপত্র

বাংলাদেশে টেলিভিশনগুলোর ক্ষমতা তোষণের বিপদজনক চর্চা পরিলক্ষিত হয়েছেন গণঅভ্যুত্থানের সংবাদ পরিবেশন এর সময়।  দর্শক যখন প্রতি মুহূর্তে সঠিক তথ্যটির জন্য দেশের ৩০টি টেলিভিশনের দিকে তাকিয়ে ছিল তখন বেশিরভাগ টেলিভিশন সরকার ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী কখনো অর্ধ-সত্য কখনো অসত্য সংবাদ পরিবেশন করে গেছে। এই সময় মানুষ তথ্যের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের উপর নির্ভর হয়ে পড়েছিল। ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়া হলে একমাত্র ভরসা হয়ে পড়ে সংবাদপত্র।

ফেসবুকের দখলে আছে যুক্তরাষ্ট্রের ২০ শতাংশের ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের বাজার

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা এবং উপার্জন এখন এতটাই বেড়েছে যে শীর্ষ ধনীর তালিকায় সেগুলোর মালিকদের নাম হরহামেশাই উঠে আসছে। বর্তমানে ফেসবুকের দখলে আছে যুক্তরাষ্ট্রের ২০ শতাংশের ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের বাজার এবং গোটা পৃথিবীতে ফেসবুকের দখলে আছে ৮ শতাংশের ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের বাজার। মজার ব্যাপার হচ্ছে, এই বাজার এবং এই দখলবাজি গত চার বছর মোটামুটি একই রকম অবস্থায় আছে।

সংসদীয় গণতন্ত্র এখন পর্যন্ত সবচেয়ে সফল এবং জনপ্রিয় ব্যবস্থা

রাষ্ট্রের শাসনব্যবস্থার কথা বিবেচনা করলে বলা যায় সংসদীয় গণতন্ত্র এখন পর্যন্ত সবচেয়ে সফল এবং জনপ্রিয় ব্যবস্থা। আপনি বলতে পারেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমও তো জনপ্রিয়। হ্যাঁ, অবশ্যই। তবে এই জনপ্রিয়তার মূল কারণ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো ব্যবহার করতে আপনাকে কোনো পয়সা গুনতে হয় না। উপরন্তু আপনি এই প্ল্যাটফর্ম থেকে অর্থ উপার্জনও করতে পারেন। এই যে বিনা মূল্য, এটাই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলোর অন্যতম মূলনীতি।

সামাজিক মাধ্যম গণমাধ্যম হয়ে উঠেছে কিনা? 

গত ১৫ বছরে গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের একটি অংশের নির্লজ্জ দালালি ও তোষামোদি সাধারণ মানুষের স্মৃতিতে জীবন্ত আছে বলে।  যে কোনো গণমাধ্যমে হামলা নিন্দনীয়।  কিন্তু গত সময়ে আমাদের গণমাধ্যম কতটা গণমানুষের ছিল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আমাদের বুঝে ওঠার আগেই অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ আর শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। এরকম একটি বিষয় যখন আলোচনায়, তখন দুনিয়াজুড়ে আরেকটা বির্তকও বেশ জোরদার হয়ে ওঠে সামাজিক যোগাযোগ ‘সংবাদ মাধ্যম’ কি না? আবার অনেকে প্রশ্ন করেন সামাজিক মাধ্যম গণমাধ্যম হয়ে উঠেছে কিনা? 

৭৩ দশমিক ৬০ শতাংশ মানুষ ফেসবুকের মিথ্যা খবর এড়িয়ে যান

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যে মানুষের আস্থা অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে সেটি সিঙ্গাপুরের নানিয়াং টেকনোলজি ইউনিভার্সিটির উই কিম উই স্কুল অব কমিউনিকেশন অ্যান্ড ইনফরমেশন বিভাগের একটি জরিপেও উঠে এসেছে। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে ২ হাজার ৫০২ জন ফেসবুক ব্যবহারকারীর ওপর জরিপ চালান এ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এডসন সি টানডর জুনিয়র। গবেষণায় তিনি দেখতে পান, ৭৩ দশমিক ৬০ শতাংশ মানুষ ফেসবুকের মিথ্যা খবর এড়িয়ে যান। এর মধ্যে ১২ দশমিক ২৫ শতাংশ লোক মিথ্যা পোস্ট সরাতে ফেসবুকে রিপোর্ট করেন। 

এখন কাকে আমরা সংবাদ বলব বা তথ্য কীভাবে সংবাদের মর্যাদায় উত্তীর্ণ হবে?

সামাজিক মাধ্যমের তথ্যের কোনো বিশ্বাসযোগ্যতা, প্রচুর মিথ্যা বানোয়াট তথ্য এখানে তাৎক্ষণিকভাবে পোস্ট দেওয়া হয়, কিন্তু এটা সত্য যে, সামাজিক মাধ্যমে অসংখ্য বিষয় শেয়ার করা হয়। এত শত বিষয়ের মধ্যে কিছু বিষয়ের তথ্যমূল্য অবশ্যই রয়েছে। মূলধারার সাংবাদিকরা যে সকল বিষয় তুলে আনতে পারেন না, এমন অনেক বিষয় সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ পায়। তাহলে সেগুলোকে আমরা কি বলে চিহ্নিত করব সংবাদ না অন্য কিছু? এখন কাকে আমরা সংবাদ বলব বা তথ্য কীভাবে সংবাদের মর্যাদায় উত্তীর্ণ হবে?

এখন পর্যন্ত সোশ্যাল মিডিয়া সামাজিক গণমাধ্যম হিসেবেই কাজ করছে

এখন পর্যন্ত সোশ্যাল মিডিয়া সামাজিক গণমাধ্যম হিসেবেই কাজ করছে। সামাজিক গণমাধ্যম এবং গণমাধ্যমের মধ্যে একটি মূল পার্থক্য হচ্ছে গণমাধ্যমে যে তথ্যটা দেওয়া হয় সেটা সম্পাদনার মাধ্যমে উপস্থাপিত হয়। অর্থাৎ একটি তথ্যকে সম্পাদনা, যাচাই-বাছাই, মূল্যায়ন করে নির্দিষ্ট ট্রিটমেন্ট দিয়ে পত্রপত্রিকা বা টেলিভিশনে প্রচারিত এবং প্রকাশিত হয়। এই পার্থক্যের কারণে গণমাধ্যমের ভোক্তা, পাঠক এবং দর্শক বিশ্বাস করে যে, নিউজটি সম্পাদিত হয়ে এসেছে। অতএব, এটার ওপর বিশ্বাস রাখা যায়। সামাজিক গণমাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে যে কোনো বিষয় চলে আসে। এক্ষেত্রে তাৎক্ষণিকতার একটি মূল্যায়ন আছে। কিন্তু পাঠকের মনে গণমাধ্যম এবং সামাজিক মাধ্যমের মধ্যে যে পার্থক্য সেটা কিন্তু থেকেই যায়। সম্পাদনা হচ্ছে সাংবাদিকতার প্রাণ। যেখানে সম্পাদনা নেই সেখানে আসলে সাংবাদিকতা হয় না। সম্পাদনা ছাড়া যে সামাজিক মাধ্যম চলে সেগুলো কোনো গণমাধ্যম হতে পারে না”।

তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা ক্রমান্বয়ে উৎকর্ষের দিকে যাবে

একবিংশ শতাব্দীতে গণমাধ্যমায়িত সমাজ আমরা দেখতে পাচ্ছি। অর্থাৎ, সমাজটাই গণমাধ্যমনির্ভর। বিশ্বপল্লী একটি বাস্তবতা। বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের একজন মানুষ তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে থাকা আত্মীয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পারছেন। সামনের দিনগুলোতে তথ্যপ্রযুক্তি আরো সমৃদ্ধ হবে। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা ক্রমান্বয়ে উৎকর্ষের দিকে যাবে। গণমাধ্যমের আকর্ষণ বাড়বে। গণমাধ্যমে মেধাবী, দক্ষ ও যোগ্য কর্মী দরকার হবে। প্রচুর পেশাজীবী সাংবাদিক প্রয়োজন হবে। গণমাধ্যমের বিস্তার ঘটছে। বাংলাদেশে এ মুহূর্তে প্রায় ৪০টির অধিক সম্প্রচারমাধ্যম আছে। শত শত দৈনিক পত্রিকা ও সাময়িকী আছে। সুতরাং আজকে যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির চিন্তা করছে, তাদের জন্য গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা একটি আদর্শ বিভাগ হতে পারে।

সাংবাদিকতা পৃথিবীর সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ পেশা। আমরা ইংরেজিতে বলি হ্যাজার্ডেস্ট প্রফেশন

গণমাধ্যমের চাকরি এতটাই চ্যালেঞ্জিং যে এখানে জীবনের ঝুঁকি পর্যন্ত নিতে হয়। সাংবাদিকতা পৃথিবীর সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ পেশা। আমরা ইংরেজিতে বলি হ্যাজার্ডেস্ট প্রফেশন। এর থেকে ঝুঁকিপূর্ণ পেশা আর হতে পারে না। দুদিন আগে আমরা দেখলাম, জামালপুরে গোলাম রব্বানী নাদিম সত্য প্রকাশ করতে গিয়ে জীবন দিলেন। তার আগে বহু সাংবাদিক সত্য উন্মোচনের কারণে জীবন দিয়েছেন। সাধারণ মানুষ এ সাংবাদিকদের কথা সবসময় মনে রাখবে। সত্যের শত্রু কিন্তু সর্বত্র। তাই যে সাংবাদিক সত্য নিয়ে কাজ করেন, যাকে আমরা বলি সত্যের সৈনিক, তার জীবন ঝুঁকিপূর্ণ থাকবে। জীবনের ঝুঁকি যিনি নিতে পারবেন, যার মাঝে সৎসাহস, সততা ও দেশপ্রেম আছে, তিনিই সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নেবেন। অন্যরা হয়তো গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতায় লেখাপড়া করে অন্য পেশায় যাবেন। তারা জনসংযোগ, সরকারি আমলাতন্ত্র কিংবা অন্য দশটা পেশায় যেতে পারেন, ব্যবসা বা রাজনীতি করতে পারেন। কারণ গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে মানবিক যোগাযোগের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে পড়ানো হয়। মানবিক যোগাযোগে যিনি দক্ষতা অর্জন করতে পারেন, তিনি শুধু সাংবাদিকতা কেন, রাজনীতি, ব্যবসা, প্রশাসন, ব্যাংকিং—সব ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকবেন।

সাংবাদিকদের জন্য প্রতিরক্ষা সাংবাদিকতার ওপর প্রশিক্ষণের আয়োজন করা যেতে পারে। একইভাবে জনসংযোগকর্মীর জন্য দেশে-বিদেশে প্রশিক্ষণের সুযোগ করে দিতে হবে। পেশাজীবী সংগঠনের সদস্য হওয়া : পেশাজীবী সংগঠন যেমন- জাতীয় প্রেসক্লাব, বাংলাদেশ জনসংযোগ সমিতি ইত্যাদির সদস্য হতে হবে। ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করা সকলের দায়িত্ব : কোন প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার দায়িত্ব শুধু জনসংযোগ বিভাগের নয় বরং প্রতিষ্ঠানের সকলের। তাছাড়া জনসংযোগ বিভাগ রাতারাতি কোন প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করে দিতে পারে না। এজন্য প্রয়োজন সময় ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করা। যেসব তথ্য সরবরাহ করা যাবে না : মনে রাখতে হবে কিছু কিছু তথ্য গণমাধ্যমে সরবরাহ করা যাবে না। এগুলো হলোÑ দেশের নিরাপত্তা, অখ-তা ও সার্বভৌমত্ব ক্ষুণœ হয় এমন তথ্য; বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে বিদ্যমান সম্পর্ক নষ্ট হয় এমন তথ্য; আইন প্রয়োগে বাধার সৃষ্টি করে কিংবা অপরাধ সংঘটনে উৎসাহিত করে এমন তথ্য; জননিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ে বা বিচারাধীন কোন বিষয়ে কোন তথ্য বা মন্তব্য, জনস্বার্থবিরোধী তথ্য, ক্লাসিফায়েড তথ্য এবং সরকারী ক্রয়-প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার বা সিদ্ধান্ত গ্রহণের পূর্বে এ সংক্রান্ত কোন তথ্য গণমাধ্যমে সরবরাহ করা যাবে না।


তথ্যসুত্র

 গণমাধ্যম পরস্পরের ওপর নির্ভরশীল, Dailyjanakantha.

গণমাধ্যমের চাকরি, Bonikbarta.

যোগাযোগ ‘সংবাদ মাধ্যম’, Shampratideshkal.

গণমাধ্যম ইতিহাস, The Daily Star.

তথ্য ও গণমাধ্যম, Sangbad.

সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, Prothomalo.

Subscribe for Daily Newsletter