দেবতাখুম (Devtakhum)

প্রাকৃতিক রূপবৈচিত্র্যের কারণে বান্দরবানকে বলা হয় 'ভূস্বর্গ'। বান্দরবানের নৈসর্গিক সৌন্দর্যকে আরও মনোমুগ্ধকর করে তুলেছে যেসব স্থান, তার মধ্যে দেবতাখুম অন্যতম। স্থানীয়দের মতে, প্রায় ৫০-৭০ ফুট গভীর এই খুমের দৈর্ঘ্য ৬০০ ফুট, যা ভেলাখুম থেকে অনেক বড় এবং অনেক বেশি বন্য। অসম্ভব রকমের অ্যাডভেঞ্চার, একেবারে মনকে ভয়ার্ত করে দিতে পারে; যাকে বলে তার জন্য পারফেক্ট দেবতাখুম। ট্র্যাকিং, অ্যাডভেঞ্চার, রিস্ক, ভেলার কায়াকিং সবকিছুর কম্বো এই দেবতাখুম। একেবারে নেটওয়ার্কের বাইরে এক ভিন্ন পরিবেশ।
দেবতাখুম নামটা এসেছে দেবতা আর খুম থেকে। যেখানে খুম শব্দের অর্থ ঝরনা বা স্রোতধারা। কিছুদিন আগে আমরা বেশ ক'জন বন্ধু ভ্রমণ করেছিলাম দেবতাখুমের সৌন্দর্য উপভোগ করতে। দেবতাখুমের ট্রেইল যেমন সুন্দর তেমনি ভয়ংকর। বর্ষায় গেলে ট্রেইলের ঝিরি/পাহাড়ের রূপে যেমন আপনার চোখ আটকাবে, তেমনি পিচ্ছিল পাথরে পথে পা ফসকে বড় ধরনের বিপদে পড়ার আশঙ্কাও থাকে পদে পদে। কোনো কোলাহল নেই নেটওয়ার্কের বাইরে। চারপাশে নিস্তব্ধ সুনসান নীরবতা, যেন এক ভূতুড়ে পরিবেশ। ফোঁটা ফোঁটা পানির শব্দে আরও ভূতুড়ে মনে হবে পরিবেশটা। বিশাল দুটি পাহাড়ের মাঝ দিয়েই চলে গেছে পথ, যা ভেলায় করে পারি দিতে হবে। প্রকৃতিকে খুব কাছে থেকে উপভোগ করতে পারবেন এখানটায়। যেন মিশে যাবেন প্রকৃতির সঙ্গে। যাওয়ার পথই আপনাকে বলে দেবে স্বর্গের পথ কতটা সুন্দর হতে পারে।
বান্দরবান জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে বিভিন্ন ধরনের খুম বা জলাধার। এর মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর ও বড় খুম হলো দেবতাখুম। এর দৈর্ঘ্য প্রায় ৬০০ ফিট। দেবতাকুম বা দেবতাখুম বান্দরবান জেলার রোয়াংছড়িতে অবস্থিত একটি খুম।অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমীদের তীর্থস্থান এটি। বান্দরবান জেলা শহর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরের রোয়াংছড়ি উপজেলার শীলবাঁধা পাড়ায় দেবতাখুমের অবস্থান। খুমের গভীরতা এখানে ৫০-৭০ ফিট।মাত্র তিন-চার হাজার টাকার মধ্যেই ডে লং ট্যুরে ঘুরে আসতে পারবেন দেবতাখুমে।বান্দরবানে অনেক জানা-অজানা খুমের কথা আমরা কম বেশ সবাই জানি যেমন- নাফাখুম, অমিয়াখুম, সাত-ভাই খুম ইত্যাদি।
স্থানীয় অধিবাসীরা খুম বলতে জলপ্রপাতকে বোঝায়। বান্দরবানের গহীনে লুকিয়ে থাকা নৈসর্গিক এই খুমগুলো দেখতে প্রতিনিয়তই মানুষ সেখানে যায়। তবে যেতে যতটা শুনতে সহজ মনে হয়, ততোটা কিন্তু নয়। ঘণ্টার পর ঘণ্টা পাহাড়ি বন্ধুর পথ দিয়ে হেঁটে, আছাড় খেতে খেতে, ক্লান্ত হয়ে সেই খুমগুলোর দেখা মেলে। এমনই পাহাড়ি রাস্তা আর ঝিরিপথ পাড়ি দিয়ে দেবতাখুমের দেখা মেলে। পাহাড়ের মানুষের বিশ্বাস যে এই খুমে জ্বীন থাকে যাদের তারা বলে দেবতা। বান্দরবান শহর থেকে ১৯ কিঃমিঃ দূরে রোয়াংছড়িতে এই দেবতাখুম অবস্থিত। কেউ একদিনের ট্যুরের জন্য দেবতাখুমকে নিমিষেই বেছে নিতে পারেন। যেখানে ভেলায় করে দেখে আসতে পারবেন স্বর্গের পথ আর ভাগ্য সুপ্রসন্ন হলে সাথে দেবতাও।
মনের দুঃখে বনে যাই: একদিনে দেবতাখুম ভ্রমণ
মনের দুঃখে নাকি বনে যেতে হয়। সে যাই হোক, অনেক দিন ধরে মনটা বিশেষ ভালো ছিল না। কোথাও গিয়ে সব ঝেড়ে ফেলে দিয়ে মনটা হালকা করতে ইচ্ছে করছিল। এমন একটা জায়গায় যেতে ইচ্ছে করছিল যেখানে থাকবে নিবিড় প্রকৃতির ছোঁয়া, থাকবে না কোনো মোবাইল নেটওয়ার্ক এবং সেটা অবশ্যই হতে হবে একদিনের ভ্রমণ।
শীতের শুরুতে ঘুরে আসুন ‘দেবতাখুম’
বান্দরবানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে ছোট-বড় অনেক খুম। খুম অর্থ হলো মূলত জলাধার। এই অনেক খুমের মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর ও বড় খুম হলো দেবতাখুম। এর দৈর্ঘ্য হলো ৬০০ ফিট। জানা যায়, এসব খুমের মধ্যে লুকিয়ে থাকে বিশালাকার সব বন্যপ্রাণী। দেবতাকুম বা দেবতাখুম বান্দরবান জেলার রোয়াংছড়িতে অবস্থিত একটি খুম।বান্দরবান জেলা শহর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরের রোয়াংছড়ি উপজেলার শীলবাঁধা পাড়ায় দেবতাখুমের অবস্থান। খুমের গভীরতা এখানে ৫০ থেকে ৭০ ফিট। যারা ট্রাকিং কিরতে পছন্দ করেন তাদের জন্য দেবতাখুব হবে আদর্শ। মাত্র ২-৩ হাজার টাকার মধ্যেই ডে লং ট্যুরে ঘুরে আসতে পারবেন দেবতাখুম থেকে।দেবতাখুম সবসময় যাওয়া যায়। একেক সময় এর একেক রূপ। বর্ষাকালে পানি প্রবাহ বেশি থাকে আর শীত কালে কমে যায়। কিন্তু একেবারেই ফুরিয়ে যায়না। তাই দেবতাখুব যাওয়ার সব থেকে ভালো সময় হলো বর্ষার পর পর আর শীতের একটু আগে। মানে সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর মাসে।
বাঁশের ভেলায় ভাসছেন পর্যটকরা
ট্রেইলটি যেমন সুন্দর, তেমনি ভয়ঙ্করও। বর্ষায় গেলে ট্রেইলের ঝিরি/পাহাড়ের রূপে যেমন চোখ আটকাবে, তেমনি পিচ্ছিল পাথুরে পথে পা ফসকে বড় ধরনের বিপদে পড়ার আশঙ্কাও থাকে পদে পদে। কোনো কোলাহল নেই, নেটওয়ার্কের বাহিরে। চারিপাশে নিস্তব্ধ সুনসান নিরবতা, যেন এক ভূতুড়ে পরিবেশ! বিশাল দু’টি পাহাড়ের মাঝ দিয়েই চলে গেছে পথ যা ভেলায় করে পাড়ি দিতে হবে। প্রকৃতিকে খুব কাছে থেকে উপভোগ করতে পারবেন এখানটায়। যেন মিশে যাবেন প্রকৃতির সাথে। যাওয়ার পথই আপনাকে বলে দিবে – স্বর্গের পথ কতটা সুন্দর হতে পারে!
যা দেখবেন সেখানে
দেবতাখুমে যাওয়ার আগেই পড়বে ছোট্ট এক খুম। যার নাম ‘পং সু আং খুম’। এ খুমে সাতার কেটে বা এর সঙ্গে লাগোয়া গাছের শিকড় ধরে ঝুলে ঝুলে যেতে হয় দেবতাখুমে।এর পথ যেমন সুন্দর তেমনই ভয়ংকর। বর্ষায় খুওমর পানি আরও বেড়ে যায়। তখন সেখানে যাওয়া বেশ কষ্টকর। পিচ্ছিল পাথুরে পথে পা ফসকে বড় ধরনের বিপদে পড়ার ঝুঁকিও রয়েছে।ভেলা ছাড়া দেবতাখুমে যাওয়ার উপায় নেই। ভেলা নিয়ে যতো এগিয়ে যাবেন ততোই স্থানটি সরু হবে! এমন জায়গা চোখে পড়বে যেখানে ভেলা দিয়ে পাড় হওয়ার সময় সূর্যের আলোও পড়বে না।জুন থেকে জানুয়ারি মাস পর্যন্ত দেবতাখুমে যাওয়ার উপযুক্ত সময়। বৃষ্টির সময় খুম একদম পানি দিয়ে ভরা থাকে, তাই অনেক দূর পর্যন্ত ভেলা নিয়ে যেতে পারবেন!বান্দরবান জেলার রোয়াংছড়ি উপজেলার দেবতাখুমে। দূর থেকে দেখলে মনে হবে একটি পাহাড় মাঝখান থেকে দুই ভাগ হয়ে গেছে। আর দুই পাহাড়ের ঠিক মধ্য দিয়ে নেমে এসেছে কলকল জলধারা। ঝিরির এই কলকল শব্দ, শহরের শব্দদূষণকে মুহূর্তেই ভুলিয়ে দিয়ে মনকে করে প্রশান্ত।
শুধুমাত্র ঝিড়ি পথ দিয়ে শীলবান্ধা পাড়ায় যাওয়া যেত। কিন্তু এখন রাস্তা হচ্ছে শীলবান্ধা পাড়া পর্যন্ত। যদিও সেটা এখন কাজ চলছে। তবে আপনি চাইলে কিছুটা পথ গাড়িতে করে এগিয়ে যেতে পারেন। গাড়ি একটা পাহাড়ের চুড়ায় আপনাদের নামিয়ে দিবে। সেখান থেকে শীলবান্ধা পাড়ায় যেতে দলভেদে ১০ মিনিট থেকে ৩০ মিনিট পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। তবে গাড়ি নিয়ে পর্যন্ত যেতে চাইলে এই ব্যাপারে সিএনজি চালকের সাথে আগেই কথা বলে রাখবেন।
এবার আসি ঝিরি পথের ব্যাপারে। যারা একটু এডভেঞ্চার করতে প্রছন্দ করেন, প্রকৃতি পছন্দ করে তারা অবশ্যই চেষ্টা করবেণ ঝিরিপথে যাওয়ার। এই পথে আপনি সেই অসাধারণ বান্দরবানের দেখা পাবেন। প্রকৃতির রূপ দেখতে দেখতে একসময় পৌঁছে যাবেন আপনার প্রথম গন্তব্যে। তবে যাদের হাঁটতে সমস্যা হয়ে তারা এই পথ অবশ্যই অনুসরণ করবেন না। হেঁটে যেতে দল ভেদে আপনার সময় লাগবে ৪০ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা বা তার কিছু কমবেশি।শীলবান্ধা পাড়ায় পৌঁছে একটু বিশ্রাম করে নিতে পারেণ। কিছু দোকানপাট পেয়ে যাবেন। ছোট একটা চায়ের ব্রেক নিয়ে রউনা করুন আবার দেবতাখুমের দিকে। তবে এখান থেকে রউনা দেয়ার আগে আপনাকে ওই পাড়া থেকে নৌকা এবং লাইফ জ্যাকেট ভাড়া করে নিতে হবে। জনপ্রতি ২০০ টাকা লাগবে লাইফ জ্যাকেট এবং নৌকার জন্য।
তো চলুন আপনি এখন প্রস্তুত। কয়েক মিনিট হাঁটলে আপনি পৌঁছে যাবেন ঘাটে। এখান ঠেলে ছোট একটা খাল পাড়ি দিতে হবে নৌকায়। ইঞ্জিন চালিত নৌকায় আপনার ২ মিনিট লাগবে ওপারে পৌঁছুতে। ওপাড়ে নামলেই আপনার চোখে পড়বে অপরূপ দেবতাখুম। ওপাড় থেকে এবার আপনি আপনার পছন্দমত ভেলা অথবা নৌকা নিয়ে ভেসে পড়ুন দেবতাখুম এ।

যেভাবে যাবেন দেবতাখুমে
দেবতাকুম যেতে হলে প্রথমে বান্দরবান যেতে হবে। ঢাকা থেকে এসি বা নন এসি সব ধরনের বাসই বান্দরবান যায়। নন এসির মধ্যে শ্যামলী, সৌদিয়া, ইউনিক, ডলফিন, সেন্টমার্টিন, এস আলম ইত্যাদি পরিবহনের বাস পাবেন।বাস ছাড়ে কলাবাগান, ফকিরাপুল ও সায়েদাবাদ থেকে। ভাড়া ৫৮০-৬২০ টাকা। এসি বাসের ভাড়া ১০০০-১৫০০ টাকার মধ্যে।ট্রেনে যেতে চাইলে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী যেকোনো ট্রেনে উঠতে হবে। সোনার বাংলা এক্সপ্রেস, সূবর্ণ এক্সপ্রেস, তূর্ণা নিশীথা, চট্টলা, মহানগর ও গোধুলী সহ অনেকগুলো ট্রেইন ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। ট্রেন ও আসন ভেদে ভাড়া ২০০-১০০০ টাকার মধ্যে।চট্টগ্রাম থেকে বান্দরবানের বাস ছাড়ে নতুন ব্রিজ, দামপাড়া ও বহদ্দারহাট বাস টার্মিনাল থেকে। বহদ্দারহাট থেকে ৩০ মিনিট পরপর ‘পূর্বাণী’ ও ‘পূরবী’ নামে দুটি পরিবহনের বাস ছাড়ে। ভাড়া ২২০ টাকা।
বান্দরবান থেকে দেবতাখুম যেতে হলে প্রথমে যাবেন রোয়াংছড়ি উপজেলার কচ্ছপতলী আর্মি ক্যাম্পে। প্রথমে বাসে করে রোয়াংছড়ি, পরে ওখান থেকে সিএনজি নিয়ে কচ্ছপতলী যাওয়া যায়। বান্দরবান থেকে প্রতি ঘণ্টায় রোয়াংছড়ির বাস ছাড়ে, ভাড়া ৬০ টাকা।আর রোয়াংছড়ি থেকে কচ্ছপতলীর সিএনজি ভাড়া ১৫০ টাকার মতো। এছাড়া আপনি চাইলে বান্দরবান শহর থেকে সরাসরি জিপেও কচ্ছপতলী চলে যেতে পারেন। জিপ ভাড়া ১৮০০ টাকা। এক জিপে ১২/১৩ জন বসতে পারবেন।
কোথায় খাবেন?
বাসস্ট্যান্ডের পাশেই অনেকগুলো রেস্টুরেন্ট আছে। ৫০ থেকে ৭০ টাকার মধ্যে সকালের নাস্তা হয়ে যাবে। কচ্ছপতলী পৌঁছে ট্রেকিং শুরু করার আগেই দুপুরের খাবারের অর্ডার দিয়ে নিন।
কোথায় থাকবেন?
আপনি সকালে বান্দরবান থেকে দেবতাকুমের উদ্দেশ্যে রওনা দিলে সন্ধ্যার মধ্যেই আবার শহরে এসে পৌঁছাতে পারবেন।তাই আপনি চাইলে রাতের খাবার শেষে সেদিনই ঢাকা অথবা আপনার গন্তব্যে ফিরে আসতে পারেন। আর থেকে যেতে চাইলে বান্দরবান শহরে বিভিন্ন মানের বেশ কিছু হোটেল রয়েছে।দেবতাখুমে যাওয়ার আগে যে ব্যাপারগুলো মাথায় রাখবেনঃ দেবতাখুম ভ্রমণের উপযুক্ত সময় শীতকাল। ওইসময় পানি ঠাণ্ডা থকলেই স্বচ্ছ সবুজাভ পানি ওইসময়ই পাবেন। অন্যান্য সময় পানি ঘোলা থাকার চান্স থাকে। আবার বর্ষাকালে গেলে শীলবান্ধা পাড়ায় একটি ঝর্না আছে যেখানে পানি পাওয়া যাবে, শীতে যেটা সম্ভব না। এছাড়াও দেবতাখুমে হাঁটা শুরু করার পুর্বেই পর্যাপ্ত পানি নিয়ে নিবেন সাথে। প্রয়োজন হলে শুকনো খাবার। কারণ শীলবান্ধা পাড়ার আগে আপনি কোনও দোকান পাবেন না। আর রোঁদে হাঁটার সুবিধার্তে সানগ্লাস এবং গামছা রাখবেন সাথে অবশ্যই। এছাড়াও আপনি চাইলে ট্রেনে যেতে পারেন ঢাকা থেকে। সেক্ষেত্রে আপনাকে চট্টগ্রাম এসে ওখান থেকে বান্দরবানের বাস ধরে বান্দরবান আসতে হবে।
দেবতাকুম ভ্রমণ তথ্য ও সতর্কতা
কচ্ছপতলীতে গিয়ে আর্মি ক্যাম্পে রিপোর্ট করাতে জাতীয় পরিচয়পত্র বা অন্যকোনো ফটো আইডির ফটোকপি লাগবে। তারপরই দেবতাখুমে ঢুকতে পারবেন। কচ্ছপতলীর পর থেকে ফোনে নেটওয়ার্ক পাবেন না ট্রেকিংয়ের জন্য ট্রেকিং বুট ব্যবহার করুন। চাইলে প্লাস্টিক বা রাবারের স্যান্ডেল ব্যবহার করতে পারেন। ভেলায় চড়ার জন্য লাইফ জ্যাকেট সঙ্গে করে নিয়ে যাবেন। অনুমতি না নিয়ে আদিবাসীদের ছবি তুলবেন না। পরিবেশ দূষণ থেকে বিরত থাকবেন।
সারা বছর দেবতাখুম যাওয়া গেলেও ভরা বর্ষায় অনেক সময় ঝিরি ও খুমে পানি অতিরিক্ত বেড়ে যায় এবং সেক্ষেত্রে আর্মি যাওয়ার অনুমতি দেয় না। অন্যদিকে শীতের শেষ থেকে গ্রীষ্মের শুরু পর্যন্ত পানি অনেক কমে যায়। তখন দেবতাখুম ভালো নাও লাগতে পারে। এসব হিসাব বিচার-বিবেচনায় দেবতাখুম ঘুরার আদর্শ সময় হলো সেপ্টেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। দেবতাখুম যেতে চাইলে এ সময়ের মধ্যেই ভ্রমণ পরিকল্পনা করা ভালো।
তথ্যসুত্র
রোমাঞ্চকর দেবতাখুম, Samakal.
দেবতাখুমে বিপদ, Prothom Alo.
দেবতাখুমে আছে ‘স্বর্গীয় সুখ’, Alokito Lakshampur.
দেবতাখুমে এক প্রহর, Poribesh TV.
দেবতাখুম, নৈসর্গিক বান্দরবান, BD Traveles Diaries.
শীতের শুরুতে ঘুরে আসুন ‘দেবতাখুম’ Sangbad Prokash.
একদিনে দেবতাখুম ভ্রমণ, Jugantor.
দেবতাখুম ভ্রমণে কীভাবে যাবেন, Jago News24.