বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা (Bangladesh National Flag)

বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা (Bangladesh National Flag)

বাংলাদেশের আধুনিক পতাকাটি ব্যবহ্রত সবচেয়ে কম বয়সী পতাকাগুলির একটি। অনেক জাতীয় পতাকার মতো এটি স্বাধীনতার জন্যে জাতির যুদ্ধের সময় একটি বিপ্লবী ব্যানার হিসেবে উদ্ভুত হয়েছিল এবং সেই যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর থেকে এটি বাংলাদেশের পতাকা হিসেবে ব্যাবহ্রত হয়েছে।

বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা ১৭ জানুয়ারি ১৯৭২ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে গৃহিত হয়েছিল। এটি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ব্যাবহ্রত অনুরূপ পতাকার উপর ভিত্তি করে তৈরী করা হয়েছিল। পরে জেনারেল আবুল মন্জুরের নির্দশে মানচিত্রটি পতাকা থেকে মুছে ফেলা হয়েছিল।পতাকার লাল চাকতিটি বাংলার উপরে উদিত সূর্য এর প্রতিনিধিত্ব করে এবং বাংলাদেশের জন্যে যারা প্রাণ দিয়েছে তাদের রক্ত ও। চারপাশের সবুজ অংশটি বাংলাদেশের সবুজ মাঠের প্রতিনিধিত্ব করে। সবুজ মাঠ ভূমির প্রাকৃতিক অনুগ্রহের প্রতিনিধিত্ব করে।

বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় পতাকা

বাংলাদেশের পতাকার মূল নকশাটি বাংলাদেশের যুদ্ধের সময়কার, যখন জাতি তার স্বাধীনতা অর্জনের জন্যে পাকিস্তানের বিরূদ্ধে যুদ্ধ করছিল। প্রথম নকশাটি ১৯৭১ সালে যুদ্ধের সময় ব্যাবহ্রত হয়েছিল এবং এটি বাংলাদেশের পতাকার নকশা থেকে কিছুটা ভিন্ন ছিল। পতাকার প্রথম ফিজিক্যাল কপিটি ১৯৭০ সালে একটি বাংলাদেশী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজেনৈতিক কর্মী এবং ছাত্রদের দ্বারা তৈরী করা হয়েছিল। রাজনৈতিক কর্মীদের প্রতি সহানুভূতিশীল একজন দর্জী দ্বারা দান করা পোশাক থেকে প্রথম পতাকা তৈরী করা হয়েছিল।

Taken from AstroSage

বকাংলাদেশের সরকার ১৯৭২ সালে পতাকার কেন্দ্র হতে রূপরেখা সরিয়ে দেয় কারন পতাকার উভয় পাশে দেশের আকৃতি নির্ভুলভাবে চিত্রিত করা নি্ষিদ্ধ ছিল। প্রথম পরিবর্তনের বাস্তবায়নের পর থেকে বাংলাদেশ নকশায় কোন পরিবর্তন হয়নি।

বাংলাদেশের পতাকা ২০১৩সালে গিনেস বুকে অফ ওয়াল্ড এ একটি স্হান অর্জন করেছিল। হাজার হাজার মানুষ পতাকার একটি মানবিক সংস্করন তৈরী করতে একত্রিত হয়েছিল,যা ছিল সর্বকালের বৃৃৃহত্তর মানব পতাকা।

আমাদের জাতীয় পতাকা আমাদের স্বাধীনতার প্রতীক। এটি আকারে আয়তক্ষেত্রকার। এর দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ ৫.৩।এটি সুবুজ ও লাল রগ্ঙের কাপড় দিয়ে তৈরী। আমাদের জাতীয় পতাকার পটভূমি সবুজ। মাঝখানে একটি বৃত্ত আছে। আমাদের জাতীয় পতাকা একটি গভীর অর্থ বহন করে। রক্তের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা। আমাদের স্বাধীনতার জন্য বহু মানুষ প্রাণ দিয়েছে, তাই পতাকার মাঝখানে লাল রং শহীদের প্রতীক।এটি আমাদের আত্মত্যাগের স্মৃতি বহন করে।আমরা আমাদের জাতীয় পতাকাকে আমাদের স্বাধীনতার প্রতীক হিসেবে দেখি।এতে আমরা গর্বিত। যখন আমরা তা দেখি আমাদের হ্রদয় দেশের প্রতি ভালোবাসায় এবং শ্রদ্ধায় ভরে যায়। আমরা আমাদের জাতীয় দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করে এর সম্মান সমুন্নত রাখতে পারি। এটি আমাদের জীবনের চেয়েও প্রিয়।

প্রতিটি স্বাধীন জাতির নিজস্ব একটি জাতিয় পতাকা রয়েছে। এটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে দেশ স্বাধীন করার জন্যে আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বপূর্ণ সংগ্র্র্র্রামের কথা। এটি ব্যবহার অনুযায়ী বিভিন্ন আকারের হয়। আমাদের গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উপরে প্রতিদিন পতাকা উত্তোলন করা হয়। স্বাধীনতা ও বিজয় দিবস উপলক্ষে এটি সর্বত্র উত্তোলন করা হয়।জাতীয় শোক দিবসে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয।

আমাদের জাতীয় পতাকা হলো একটি বিশেষ রগ্ঙের নকশার কাপড়ের টুকরো। যা একটি নির্দিষ্ট দেশের টোকেন হিসেবে ব্যবহ্রত হয়। এটি আয়তক্ষেত্রকার সবুজ রগ্ঙের কাপড়ের টুকরো যার মাঝখানে একটি লাল বৃত্ত রয়েছে। লাল বৃত্তের ব্যাসার্ধ পতাকার দৈর্ঘ্যের এক পঞ্চমাংশ। সবুজ রঙ তারুণ্যের প্রাণশক্তির প্রশংসার পাশাপাশি সবুজ মাঠ এবং বাংলাদেশের চিরহরিত উপক্রান্তিয় বনকে প্রতিনিধিত্ব করে। লাল বৃত্ত একটি নতুন জাতির জন্যে নতুন আশা এবং আকাঙ্ক্ষা সহ উদীয়মান সূর্যর প্রতীক।


তথ্যসূত্র

History of National Flag of Bangladesh

Our National Flag / The Flag of Bangladesh

Subscribe for Daily Newsletter