বর্ষার ফল (Fruits of Rainy Season)
প্রকৃতিতে এখন বর্ষাকাল চলছে। বেশির ভাগ মানুষেরই এই সময়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কিছুটা কমে যায়। বর্ষাকালে জ্বর-সর্দি-কাশির পাশাপাশি হজমের সমস্যাও হয়। তা ছাড়া এখন ডেঙ্গুর প্রকোপও রয়েছে।বৈশাখের এ বৃষ্টিতে আম, লিচুসহ ফলের ব্যাপক উপকার হয়েছে। বৃষ্টির কারণে আম দ্রুত বড় হবে এবং ঝরে পড়া বন্ধ হবে মৌসুমি ফলের দাপটে এ সময় অন্য মৌসুমের তুলনায় ফল আমদানি কমে যায়। বলা যায়, ভালোই বাজার কাঁপাচ্ছে বর্ষার ফল।
চলছে বর্ষা মৌসুম। আষাঢ় শেষে এসেছে শ্রাবণ। এ সময়ের উল্লেখযোগ্য ফল হচ্ছে লটকন, আমড়া, জাম্বুরা, জামরুল, ডেউয়া, ড্রাগন, করমচা, কামরাঙা, কাউ, গাব ইত্যাদি। এ ফলগুলোতে রয়েছে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও পুষ্টি।বর্ষায় দেশি ফলের আমদানি এতটাই বেড়ে যায় যে, বিদেশি ফলের আমদানি কমে যায় বিদেশি ফলের দাম দিন দিন বাড়ছে। সরকারের ট্যাক্স বৃদ্ধিও কারণে বিদেশি ফল সাধারণ ক্রেতার নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে দেশি ফলের বাণিজ্যিক চাষ বৃদ্ধির দিকে সরকারের নজর দেয়া প্রয়োজন।
দেশি ফলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিকটি হচ্ছে—এতে রাসায়নিকের ব্যবহার হয় খুব কম। কোনো কোনো ক্ষেত্রে একেবারেই হয় না। তাই, নির্দ্বিধায় খাওয়া যায় এসব ফল। পুষ্টিবিদেরা জানান, বর্ষার ফল পুষ্টিগুণে ভরা। লটকনে ভিটামিন ‘সি’ আর ‘এ’ আছে। এই ভিটামিন চুল, দাঁত ও ত্বকের জন্য ভালো।
লটকন
লটকন এক ধরনের দেশীয় ও অপ্রচলিত ফল; যা অত্যন্ত পুষ্টি ও ঔষধিগুণে ভরপুর। ফলের খোসা ছাড়ালে ৩-৪টি রসালো অম্লমধুর স্বাদের বীজ পাওয়া যায়। বর্তমানে নরসিংদী জেলা সদর, শিবপুর, রায়পুরা ও বেলাব উপজেলায় সবচেয়ে বেশি লটকন চাষ হচ্ছে।লটকন ভিটামিন বি২ সমৃদ্ধ ফল। ভিটামিন বি২ শরীরের জন্য খুব প্রয়োজনীয় উপাদান। লটকনের যেমন পুষ্টিগুণ রয়েছে, তেমনি তার ঔষধিগুণও রয়েছে। এ ফল খেলে বমি বমি ভাব দূর হয় ও তৃষ্ণা নিবারণ হয়। এ ছাড়া পর্যাপ্ত আয়রন বা লৌহ উপাদান থাকায় দেহের রক্তশূন্যতা দূর হয়।
আমড়া
আমড়া টক বা টক মিষ্টি হয়; পাকলে টকভাব কমে আসে এবং মিষ্টি হয়ে যায়। বীজ কাঁটাযুক্ত। এ ফল কাঁচা ও পাকা রান্না করে বা আচার বানিয়ে খাওয়া যায়। আমড়া আগস্ট মাসে বাজারে আসে।আমড়া কষ ও অম্ল স্বাদযুক্ত ফল। আমড়ায় ভিটামিন-সি ও ভিটামিন-বি পাওয়া যায়। আমড়ায় যথেষ্ট পরিমাণ পেকটিনজাতীয় ফাইবার এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট জাতীয় উপাদান থাকে।
জাম্বুরা
এর আরেক নাম বাতাবিলেবু। এক ধরনের লেবু জাতীয় টক-মিষ্টি ফল। এর ভেতরের কোয়াগুলো সাদা বা গোলাপি রঙের। এর খোসা বেশ পুরু এবং খোসার ভেতর দিকটা ফোমের মতো নরম। জাম্বুরা ভিটামিন সমৃদ্ধ ফল। এর পুষ্টিমান অনেক উন্নত। ঠান্ডা, সর্দি-জ্বরজনিত কারণে জাম্বুরা খেলে ভালো ফল পাওয়া যায়। এটি শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। নিয়মিত জাম্বুরা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয় ও পেটের নানা রকম হজমজনিত সমস্যার প্রতিকার পাওয়া যায়।
কামরাঙা
কামরাঙা একটি টক-মিষ্টি ফল। কাঁচা অবস্থায় সবুজ এবং পাকলে হলুদ। কামরাঙা টক স্বাদযুক্ত বা টক-মিষ্টি হতে পারে। কোনো কোনো গাছে একাধিকবার বা সারা বছরই ফল পাওয়া যায়। এটি ভিটামিন ‘এ’ ও ‘সি’-এর ভালো উৎস। কামরাঙা পাকার পরপরই খেতে সবচেয়ে ভালো; যখন হলদেটে রং ধারণ করে।
ড্রাগন ফল
এটি পিতায়া নামেও পরিচিত। অন্যান্য নাম হলো স্ট্রবেরি নাশপাতি বা নানেট্টিকা ফল। এ ফলটি একাধিক রঙের হয়ে থাকে। তবে লাল রঙের ড্রাগন ফল বেশি দেখা যায়। আমাদের দেশে এখন বাণিজ্যিক ভিত্তিতে এ ফলের চাষ হয়। প্রফেসর ড. এমএ রহিম এ ফলের জাত নিয়ে আসেন থাইল্যান্ড, ফ্লোরিডা ও ভিয়েতনাম থেকে।বেশকিছু প্রয়োজনীয় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট মেলে ড্রাগন ফল থেকে। এগুলো আমাদের সুস্থতার জন্য অপরিহার্য। প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’ মেলে ফলটি থেকে। নিয়মিত খেলে শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
ডেউয়া
এ ফল দেখতে কাঁঠালের মতো, তবে আকারে ছোট, গোলাকার, অসমান, খসখসে ও একাধিক ভাঁজযুক্ত। ডেউয়া কাঁচা অবস্থায় সবুজ এবং জুলাই-আগস্ট মাসে পরিপক্ব ফল হলদে-সবুজ থেকে কমলা-লালচে বর্ণের হয়। এর প্রতিটি কোয়ার সঙ্গে বীজ থাকে। ফলের হলুদ পাল্পের মধ্যে বীজগুলো ছোট গোলাকার সাদাটে বর্ণের। ফল ক্ষুধা ও শক্তিবর্ধক।
কাউফল
নাম কাউফল শুধু স্বাদে নয়, পুষ্টিগুণেও এগিয়ে এই ফল, যা ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ এবং মুখের অরুচি দূর করে। পরিমিত ক্যালোরিসমৃদ্ধ চর্বি, ফাইবার ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় শরীরের স্বাভাবিক বৃদ্ধি, বিকাশ ও রোগপ্রতিরোধে এই ফলের প্রয়োজনীয়তা অনেক। সর্দি-জ্বর ও ঠান্ডা সারায়। গাছের ছাল আমাশয়, খিঁচুনি ও মাথাব্যথায় উপকারী।এই ফলে কপার, ফাইবার, ম্যাঙ্গানিজ ও প্রচুর পটাশিয়াম থাকায় হাড় মজবুত রাখে, হৃৎস্পন্দনে সাহায্য করে। এতে থিয়ামিন, নিয়াসিন ও ভিটামিন বি-কমপ্লেক্সসহ আরও প্রয়োজনীয় উপাদান থাকায় রক্তচাপ, স্ট্রোক ও করোনারি হার্ট রোগের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেয়। অপুষ্টিজনিত সমস্যায় উপকারী কাউফল। অনেকে পাতার রস চুলের খুসকি দূর করতে ব্যবহার করেন।
লবণ, মরিচের গুঁড়া দিয়ে পাকা ফলের ভর্তা খেতে দারুণ সুস্বাদু। অনেকে আবার ছোট মাছের তরকারিতে কাউফল ব্যবহার করেন। ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীরা সবজি হিসেবে কাউয়ের পাতা খেয়ে থাকেন। অপরিপক্ব ফল দিয়ে চাটনি তৈরি করেন। কষ দিয়ে রং, রজন ও বার্নিশ তৈরি হয়। ইঁদুর ও পাখির অতি প্রিয় এই কাউফল।
জামরুল
জামরুল মাঝারি আকারের চিরসবুজ গাছ। ফল পাকে গ্রীষ্ম-বর্ষায়। ফল দেখতে নাশপাতির মতো। এর গঠন, আকৃতি ও গায়ের রং সবাইকে মুগ্ধ করে। এটি গ্রীষ্মের প্রচণ্ড দাবদাহে আমাদের তৃষ্ণা মেটায়। ফলের খোসা নেই, তার বদলে থাকে স্বচ্ছ মোমের মতো আবরণ। জামরুল বেশ রসালো একটি ভিটামিন বি-২ সমৃদ্ধ ফল। এ ফল বহুমূত্র রোগীর তৃষ্ণা নিবারণে উপকারী। জামরুল হালকা মিষ্টি স্বাদযুক্ত।
লুকলুকি
বর্ষার ফল লুকলুকি গ্রাম-বাংলার চিরচেনা অপ্রচলিত একটি ফলের নাম লুকলুকি। কেউ বলেন টিপ ফল। ফলটি স্বাদের দিক দিয়ে বৈঁচির মতো, টক মিষ্টি। এটি দক্ষিণপূর্ব এশিয়া এবং পূর্ব এশিয়াতে ব্যাপকভাবে চাষ করা হয়। অনেক অঞ্চলে এটি চাষ এমনিতেই মুক্তভাবে জন্মে থাকে। এর প্রকৃত আদি নিবাস জানা যায়নি। তবে ধারণা করা হয়, এশিয়ার ক্রান্তীয় অঞ্চল বা ভারতবর্ষের এর উৎপত্তি। পাহাড়ে ও টিলায় এ ফলের গাছ ভালো জন্মে। বেশি আছে সিলেট, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান। এ ফলের গাছ বসতবাড়িতে এবং মাঝেমধ্যে গাঁও গ্রামের বন- বাদাড়েও দেখা যায়। গাছটি নিতান্তই দুর্লভ।
লুকলুকি গুল্ম জাতীয় এক ধরনের বৃক্ষ। লুকলুকি গাছের কাঁটার সঙ্গে অন্য গাছের কাঁটা মেলে না। কাঁটাগুলো আবার শাখায়িত গোছ ধরা। গাছ ছোট অবস্থায় গাছের নিচে দিকে বেশি কাঁটা দেখা যায়, বড় হলে মূল কাণ্ডের কাঁটা কমে যায়।
করমচা
বর্ষার ফল করমচা করমচা, টক স্বাদের ছোট আকৃতির মুখরোচক একটি ফলের নাম। কাঁটায় ভরা ফলটি গ্রাম থেকে এখন শহরেও চাষ করা হয়। কারো কারো বাড়ির ছাদ কিংবা বারান্দায়ও দেখা মেলে করমচার। একসময়ে গ্রামে করমচার প্রচুর ফলন হতো। কিন্তু বন-জঙ্গল কেটে পরিষ্কার করা এবং জমি কেটে বাড়িঘর নির্মাণ করার ফলে হারিয়ে যেতে বসেছে করমচা। করমচা নিয়ে কবিরা ছড়া লিখেছেন, ‘আয় বৃষ্টি ঝেপে ধান দেব মেপে, লেবুর পাতায় করমচা যা বৃষ্টি ঝরে যা’। বৃষ্টি নামতে কবিরা তাদের ছড়ায় করমচার কথা বলেন।
জাম
এটি বর্ষাকালের একটি অন্যতম একটি ফল। এতে ভিটামিন, পটাশিয়াম, আয়রন থাকায় দেহকে সুস্থ রাখতে সহায়ক।জামে ক্যালোরি কম থাকায় দেহে চিনির পরিমাণ স্বাভাবিক রাখে। যার কারণে চিকিৎসকরা ডায়াবেটিকস রোগীদের জাম খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
পেয়ারা
পেয়ারাতে থাকে ভিটামিন ‘সি’। যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক। তা ছাড়া যেকোনো সংক্রমণ থেকে পেয়ারা শরীরকে সুস্থ রাখে বলে বিশেষজ্ঞরা বলেন।সাধারণত ফলে ভিটামিন এ সরাসরি পাওয়া যায় না। এটি প্রথমে ক্যারোটিন রূপে থাকে, পরবর্তী সময়ে তা ভিটামিন এ-তে রূপান্তরিত হয়। ক্যারোটিন শরীরের স্বাভাবিক বৃদ্ধি নিশ্চিত করে। চোখের রেটিনা ও কোষের সুস্থতা বজায় রাখতে এটি সাহায্য করে।
প্রতি ১০০ গ্রাম পেয়ারায় শূন্য দশমিক ২১ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি ওয়ান ও শূন্য দশমিক শূন্য ৯ মিলিগ্রাম বি টু পাওয়া যায়।
প্রতি ১০০ গ্রাম পেয়ারায় ৭৬ কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি, ১ দশমিক ৪ গ্রাম প্রোটিন, ১ দশমিক ১ গ্রাম স্নেহ ও ১৫ দশমিক ২ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট পাওয়া যায়।
পেয়ারা নানা রকম খনিজ উপাদানে ভরপুর। প্রতি ১০০ গ্রাম পেয়ারায় শূন্য দশমিক ৬ গ্রাম মিনারেল, শূন্য দশমিক শূন্য ৩ মিলিগ্রাম থায়ামিন, শূন্য দশমিক শূন্য ৩ রিবোফ্লেভিন ১ দশমিক ৪ মিলিগ্রাম আয়রন, ২৮ মিলিগ্রাম ফসফরাস ও ২০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়।
নাশপাতি
ব্রেস্ট, লাং, প্রোস্টেট, কোলন ও রেকটাম ক্যানসার দূর করে নাশপাতি। এতে ভিটামিন এ, সি ও ফ্ল্যাভোনয়েড অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে। প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে নাশপাতিতে। ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বেশি থাকার কারণে এই ফল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। তাই ফ্লু অথবা ঠাণ্ডাজনিতে রোগে ভুগলে অনেক ডাক্তার নাশপাতি খাওয়ার পরামর্শ দেন।নাশপাতিতে প্রচুর আয়রন ও কপার থাকে, যা অ্যানিমিয়ার প্রাকৃতিক চিকিৎসায় ভালো ভূমিকা রাখে। শরীরে আয়রনের পরিমাণ বেড়ে গেলে রক্তে লোহিত কণিকার পরিমাণ বাড়ে। তাই নাশপাতি খেলে অ্যানিমিয়া, মাংস পেশির দুর্বলতা, ক্লান্তি ও শারীরিক অবসাদ দূর হয়।
অস্টিওপোরোসিসসহ হাড়ের বিভিন্ন সমস্যা যাদের আছে, তাদের জন্য উপকারী ফল নাশপাতি। এতে থাকা কপার, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম হাড়ের ক্ষয়রোধ করে।নাশপাতিভিটামিন, খনিজ ও আঁশসমৃদ্ধ এ ফল খেলে আপনার হজমের সমস্যার সমাধান মিলতে পারে। রোগাক্রান্ত হলে চিকিৎসকরা নাশপাতি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
মৌসুমি ফলের দাপটে এ সময় বিদেশি ফল আমদানি কমে যায়। এ সময় মানুষ মৌসুমি ফল বেশি খায়। দেশে আমের উৎপাদন বেশি হওয়ায় দুই বছর ধরে ভারত থেকে আম আমদানি হয় না বলে জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, অন্য মৌসুমে যেখানে বাদামতলীতে ১০০ ট্রাক ফল আসে, এই মৌসুমে তা ২০ থেকে ২৫ ট্রাকে নেমে এসেছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যে দেখা যায়, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে দেশে পেয়ারার উত্পাদন হয় ৩ লাখ টন। গত অর্থবছরে তা দাঁড়ায় ৫ লাখ ৬ হাজার টনে। থাই পেয়ারা দ্রুত ফলন হওয়ায় উত্পাদন বাড়ছে দ্রুত। রাজধানীর প্রতিটি এলাকায় পেয়ারা, আমড়া, লটকনের এখন ব্যাপক চাহিদা। বর্ষার ফলের দাম মোটামুটি হাতের নাগালেই আছে। লটকন বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। গত বছর এটি বিক্রি হয়েছে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা। বাজারে আমড়া মানভেদে ৭০ থেকে ১০০ টাকা, পেয়ারা ৫০ থেকে ৭০ টাকা, জাম ৫০ থেকে ৮০ টাকা, জাম্বুরা প্রতিটি ৫০ থেকে ৮০ টাকা, আনারস ২০ থেকে ৪০ টাকা, ডেউয়া ১০০ থেকে ১৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। নিউ মার্কেটে ফলের দোকানদার শামসুল পাটওয়ারি বললেন, আষাঢ়ের শেষেও এখনো আমের চাহিদাই বেশি। এরপরেই বর্ষার ফলের চাহিদা।
বর্ষার সব মৌসুমি ফলেরই পুষ্টিগুণ ভালো। তিনি জানান, এই ফলগুলো কম ক্যালরি-সম্পন্ন। যাঁরা খেতে ভালোবাসেন, তাঁরা খাবারের পর এই ফলগুলো খেতে পারেন। এ ছাড়া যাঁরা খাবার কম খেয়ে ডায়েট করছেন, তাঁদের জন্যও এই ফলগুলো ভালো। এই ফলগুলোতে পানির পরিমাণ বেশি থাকার কারণে এতে উচ্চ মিনারেল, আয়রন আছে, যা শরীরের জন্য অনেক উপকারী। এগুলো রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়। তাই তিনি সময় শেষ হওয়ার আগে এসব মৌসুমি ফল খাওয়ার পরামর্শ দেন।
তথ্যসুত্র
ফলের নাম লুকলুকি, Jugantor.
টক জাতীয় ফল, protidinersangbad.
ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ, Prothomalo.
বর্ষায় দেশি ফল, Ittefaq.
বর্ষার সব মৌসুমি ফল, Prothomalo.
পুষ্টি ও ঔষধিগুণে ভরপুর, Jugantor.
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, Kalerkantha.
নাশপাতি পুষ্টিগুণে ভরপুর, Bangla News24.