আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস (International Literacy Day)

সাক্ষরতার মানে অক্ষর–পরিচিতি, লেখা ও পড়ার ক্ষমতা। সোজা কথায়, ন্যূনতম অক্ষরজ্ঞানের ধারণা থাকাই সাক্ষরতা। তবে দিন দিন এ সংজ্ঞায় সংযোজন হচ্ছে নতুন শব্দ। ফলে বাড়ছে এর পরিধি। আজও পৃথিবীর প্রায় ৭৭৫ মিলিয়ন মানুষের এই ন্যূনতম অক্ষরজ্ঞানের অভাব রয়েছে। ফলে প্রাপ্তবয়স্ক প্রতি পাঁচজনে একজনের রয়েছে শিক্ষার অভাব। এর মধ্যে একটি বড় অংশজুড়ে রয়েছে নারী। গোটা বিশ্বের প্রায় ৬০ দশমিক ৭ মিলিয়ন শিশু প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত। করোনার পর এই অবস্থা আরও ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। করোনা মহামারির পর ২৪ মিলিয়ন শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে ফেরেনি। বাংলাদেশের চিত্রও এর চেয়ে ভিন্ন কিছু নয়।
শিক্ষিত নাগরিক ব্যতীত দেশ ও জাতির সার্বিক অগ্রগতি অসম্ভব
শিক্ষিত নাগরিক ব্যতীত দেশ ও জাতির সার্বিক অগ্রগতি অসম্ভব। এর গুরুত্ব বোঝাতে ও শিক্ষা গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতে ইউনেসকো কর্তৃক প্রতিবছরের। ১৯৬৬ সালের ২৬ অক্টোবর ইউনেসকোর সাধারণ সম্মেলনের ১৪তম অধিবেশনে এটি ঘোষণা করা হয়। ১৯৬৭ সাল থেকে প্রতিবছর নিয়মিত পালিত হয়ে আসছে দিবসটি। স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশেও এই দিবস পালন শুরু হয়।
৮ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস
১৯৬৭ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী এবং ১৯৭২ সাল থেকে স্বাধীন বাংলাদেশে ৮ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উদযাপিত হয়ে আসছে। অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতা থেকে মুক্তির অন্যতম উপায় হলো সাক্ষরতা অর্জন করা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই সাক্ষরতার সংজ্ঞায় ভিন্নতা থাকলেও ১৯৬৭ সালে ইউনেস্কো সর্বজনীন একটা সংজ্ঞা নির্ধারণ করে। তখন শুধু কেউ নাম লিখতে পারলেই তাকে সাক্ষর বলা হতো। পরবর্তীতে প্রায় প্রতি দশকেই এই সংজ্ঞায় পরিবর্তন এসেছে এবং ১৯৯৩ সালের একটি সংজ্ঞায় ব্যক্তিকে সাক্ষর হওয়ার জন্য তিনটি শর্ত পূরণ করতে হয়। যথা: ব্যক্তি নিজ ভাষায় সহজ ও ছোট বাক্য পড়তে পারবে, নিজ ভাষায় সহজ ও ছোট বাক্য লিখতে পারবে, দৈনন্দিন জীবনের সাধারণ হিসাব-নিকাশ করতে পারবে।
বাংলাদেশের সংবিধানের ১৭ অনুচ্ছেদে অবৈতনিক বাধ্যতামূলক শিক্ষার অধিকার সন্নিবেশিত হয়েছে
স্বাধীন বাংলাদেশে মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য জাতিকে নিরক্ষরতার অভিশাপ থেকে মুক্ত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশের সংবিধানের ১৭ অনুচ্ছেদে অবৈতনিক বাধ্যতামূলক শিক্ষার অধিকার সন্নিবেশিত হয়েছে। সাক্ষরতা এবং উন্নয়ন একই সূত্রেগাঁথা। নিরক্ষরতা উন্নয়নের অন্তরায়। টেকসই সমাজ গঠনের জন্য যে জ্ঞান ও দক্ষতা প্রয়োজন তা সাক্ষরতার মাধ্যমেই অর্জন সম্ভব।১৯৭৩ সাক্ষরতা অভিযান শুরু এবং আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসের প্রধান অনুষ্ঠানটি হয় ঠাকুরগাঁওয়ে। সেদিনে ঠাকুরগাঁয়ের কচুবাড়ী-কৃষ্টপুর গ্রামকে বাংলাদেশের প্রথম নিরক্ষরতামুক্ত গ্রাম হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
সাক্ষরতাসম্পন্ন একজন ব্যক্তি বাংলাদেশের পঞ্চম শ্রেণি পাস করা শিক্ষার্থীর সমমানের হতে হবে
আন্তর্জাতিক সংজ্ঞানুযায়ী, সাক্ষরতা হচ্ছে পড়া, অনুধাবন করা, মৌখিকভাবে ও লিখার বিভিন্ন পদ্ধতিতে ব্যাখ্যা করা, যোগাযোগ স্থাপন করা এবং গণনা করার দক্ষতা। অর্থাৎ সাক্ষরতা বলতে লিখতে, পড়তে, গণনা করতে ও যোগাযোগ স্থাপন করার সক্ষমতাকে বোঝানো হয়। সাক্ষরতাসম্পন্ন একজন ব্যক্তি বাংলাদেশের পঞ্চম শ্রেণি পাস করা শিক্ষার্থীর সমমানের হতে হবে বলে মানদ- নির্ধারণ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
দেশে সাক্ষরতার হার ৭৬ দশমিক ৮ শতাংশ
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গত বছরের তথ্যানুযায়ী, দেশে সাক্ষরতার হার ৭৬ দশমিক ৮ শতাংশ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছিলেন সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন। তার এ তথ্যানুযায়ী এখনো দেশে ২৩ শতাংশের বেশি জনগোষ্ঠী নিরক্ষর। এই জনগোষ্ঠী সাত বছরের বেশি বয়সী। তবে বিবিএসের প্রায়োগিক সাক্ষরতা জরিপ ২০২৩-এর তথ্য হচ্ছে, ৭ থেকে ১৪ বছর বয়সীদের প্রায়োগিক সাক্ষরতা প্রায় ৭৩ শতাংশ। আর ১১ থেকে ৪৫ বছর বয়সীদের এই হার ৭৩ দশমিক ৬৯।
সবচেয়ে পিছিয়ে আছে চারটি জেলা নিয়ে গঠিত ময়মনসিংহ বিভাগ
প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে দেশে ১৯৭১ সালে সাক্ষরতার হার ছিল ১৬ দশমিক ৮ ভাগ। দেশে এ মুহূর্তে সাক্ষরতার গড় হার প্রায় ৭৫। বিভাগভেদে এ হার কমবেশি আছে। সবচেয়ে পিছিয়ে আছে চারটি জেলা নিয়ে গঠিত ময়মনসিংহ বিভাগ। এ বিভাগে সাক্ষরতার হার প্রায় ৬৭, যা দেশের গড় হারের চেয়ে প্রায় ৮ শতাংশ কম। সাক্ষরতার হারের এ চিত্র উঠে এসেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) জনশুমারি ও গৃহগণনা, ২০২২-এর প্রাথমিক প্রতিবেদনে। জনশুমারি ও গৃহগণনার প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, সাক্ষরতার হারে সবচেয়ে এগিয়ে ঢাকা বিভাগ, হার প্রায় ৭৯। এর পরে রয়েছে বরিশাল, ৭৭ দশমিক ৫৭ শতাংশ। সাক্ষরতার হার চট্টগ্রামে ৭৬ দশমিক ৫৩, খুলনায় প্রায় ৭৫, সিলেট ৭১ দশমিক ৯২, রাজশাহী ৭১ দশমিক ৯১, রংপুর ৭০ দশমিক ৭৫ ও ময়মনসিংহে ৬৭ শতাংশ। ২০১১ সালে করা জনশুমারির বিভাগভিত্তিক তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, বরিশাল বিভাগে সর্বোচ্চ সাক্ষরতার হার ছিল ৫৬ দশমিক ৭৬। আর সর্বনিম্ন ছিল সিলেটে, ৪৫ শতাংশ। তবে এবার শীর্ষে উঠে এসেছে ঢাকা বিভাগ। আগের বার ঢাকা ছিল দ্বিতীয় অবস্থানে। তবে তখন ময়মনসিংহ বিভাগ ঢাকা বিভাগের মধ্যে ছিল। এবার ময়মনসিংহ বিভাগের হিসাব আলাদাভাবে এসেছে। আগের বারের তৃতীয় স্থানে থাকা খুলনা এবার চতুর্থ স্থান পেয়েছে।
বর্তমান পৃথিবীতে শতভাগ সাক্ষরতাসম্পন্ন দেশটি উজবেকিস্তান
ওয়ার্ল্ড পপুলেশন ভিউয়ের তথ্যমতে, বিশ্বে সাক্ষরতার শীর্ষ দেশ ক্রমান্বয়—উজবেকিস্তান, ইউক্রেন, সান ম্যারিনো, লাটভিয়া, এস্তোনিয়ো। বর্তমান পৃথিবীতে শতভাগ সাক্ষরতাসম্পন্ন দেশটি উজবেকিস্তান, যা বাংলাদেশের স্বাধীনতার ২০ বছর পর স্বাধীনতা লাভ করে। অর্থাৎ ১৯৯১ সালে স্বাধীনতা লাভ করা উজবেকিস্তানের সাক্ষরতার হার শত ভাগ হওয়ার অনুঘটকসমূহ থেকে আমাদেরও শিক্ষা নেওয়া উচিত। ১৯৭১ সালে স্বাধীন হওয়া পৃথিবীর আরেকটি দেশ কাতারের সাক্ষরতার হারও শতকরা ৯৩ দশমিক ৪৬। পারমাণবিক অস্ত্রের অনন্য অংশীদার উত্তর কোরিয়াও শতভাগ সাক্ষরতার হার নিয়ে এগিয়ে যাওয়া দেশ।
ইউরোপের দেশগুলো আয়তনে ছোট হলেও সাক্ষরতার হার শতভাগ
একটি দেশের ধারাবাহিক উন্নয়নের মূল প্রভাবক হিসেবে কাজ করে সাক্ষরতা। উন্নয়ন ও সাক্ষরতা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে চলে। যে দেশে সাক্ষরতার হার বেশি, সে দেশ তত উন্নত। ফিনল্যান্ড, নরওয়ে, লুক্সেমবার্গের মতো ইউরোপের দেশগুলো আয়তনে ছোট হলেও সাক্ষরতার হার শতভাগ হওয়ায় তাদের জনগণ উন্নয়নের সুফল ভোগ করছে। অন্যদিকে মালি, নাইজার, সোমালিয়ার মতো তুলনামূলক বৃহদায়তনের আফ্রিকান দেশগুলোতে সাক্ষরতার হার অনেক কম হওয়ায় তারা ক্ষুধা, দারিদ্র্যসহ বিভিন্ন সামাজিক সমস্যায় জর্জরিত। অর্থনীতি ও জনসংখ্যায় বৃহৎ দেশগুলো তাদের সাক্ষরতার হার বৃদ্ধির জন্য নানামুখী কর্মসূচি গ্রহণ করছে। বৃহৎ জনসংখ্যার দেশ ভারত ২০২২ সালের মধ্যে দেশে সাক্ষরতার হার শতভাগে উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।
শিক্ষার গুরুত্ব বিবেচনায় শিক্ষা খাতের উন্নয়নে বহুমুখী উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে
শিক্ষা মানুষের অন্যতম মৌলিক অধিকার। একটি জ্ঞানভিত্তিক উন্নত জাতি গঠনের লক্ষ্যে সর্বজনীন শিক্ষার প্রসারে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষার পাশাপাশি নিরক্ষরতা দূরীকরণের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। জাতি গঠনে শিক্ষার গুরুত্ব বিবেচনায় শিক্ষা খাতের উন্নয়নে বহুমুখী উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।মানসম্মত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা নিশ্চিত, সব শিশুর বিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ নিশ্চিত, বিনামূল্যে শিক্ষাদান ও পাঠ্যপুস্তক সরবরাহ, শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি প্রদান, দারিদ্র্যপীড়িত এলাকায় স্কুল ফিডিং কর্মসূচি চালু এবং পাঠদানের পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কাছে লেখাপড়াকে আনন্দদায়ক করে তুলতে হবে।

প্রান্তিক মানুষের কাছে সাক্ষরতার উপযোগিতা বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে পৌঁছে দিতে হবে
বর্তমান বিশ্ব প্রযুক্তিগতভাবে অনেক এগিয়ে গেছে। এ সময় শুধু অক্ষর বা বাক্য লিখতে, পড়তে পাড়া ও গণিতের জ্ঞানসম্পন্ন প্রচলিত সাক্ষরতার গুরুত্বও কমে এসেছে। ব্যবহারিক ও প্রযুক্তিগত সাক্ষরতা না থাকলে সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলা ও শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করা প্রায় অসম্ভব। দারিদ্র্য হ্রাস, শিশুমৃত্যুর হার রোধসহ সুষম উন্নয়নের মাধ্যমে শান্তি ও সমৃদ্ধি বিকশিতকরণের ক্ষেত্রে সাক্ষরতা বড় প্রভাবকের কাজ করে। আমাদের নতুন নতুন প্রযুক্তি ও পদ্ধতি প্রয়োগ করে শিক্ষাব্যবস্থাকে আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে এবং প্রান্তিক মানুষের কাছে সাক্ষরতার উপযোগিতা বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে পৌঁছে দিতে হবে।
বিশ্বের প্রাপ্ত বয়স্ক জনগোষ্ঠীর প্রায় ৭৮ কোটিই লিখতে ও পড়তে জানে না
সাক্ষরতা এমন একটি বিষয়, যা একজন ব্যক্তির অর্থনৈতিক, সামাজিক ও মানসিক মনোবল বৃদ্ধিতে সাহায্য করে, যা বৃহত্তর সমাজকে প্রভাবিত করার মতো উপরোক্ত সব ক্ষেত্রে শান্তি প্রতিষ্ঠায় অনন্য ভূমিকা পালন করে। ক্ষুদ্র পরিসর থেকে বৃহত্তর পরিসরে শান্তি আনয়নে সাক্ষরতা কাজ করতে পারে। কেননা, একুশ শতকের এই সময়েও বিশ্বের প্রাপ্ত বয়স্ক জনগোষ্ঠীর প্রায় ৭৮ কোটিই লিখতে ও পড়তে জানে না। অর্থাৎ বয়স্কদের প্রতি ৫ জনের একজন নিরক্ষর। আর এই জনগোষ্ঠীর ৬৪ শতাংশই নারী। শিশুদের ক্ষেত্রেও চিত্রটা উদ্বেগজনক। জাতিসংঘ ঘোষিত সবার জন্য শিক্ষা স্লোগানের পরও বিশ্বের সাড়ে ৭ কোটিরও বেশি শিশুই জানে না কী করে লিখতে পড়তে হয়! বিশ্বের মোট অশিক্ষিত জনগোষ্ঠীর তিন-চতুর্থাংশই বাস করছে জনবহুল ১৫টি দেশে।
বিপুল জনগোষ্ঠীর অর্ধেককে ২০১৫ সাল নাগাদ শিক্ষিত করার লক্ষ্য পূরণে ইউনেস্কোর ‘সবার জন্য শিক্ষা’ কর্মসূচি কতটুকু সফল হবে তাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ।সাক্ষরতা একটি দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষার সঙ্গে সাক্ষরতার আর সাক্ষরতার সঙ্গে উন্নয়নের সম্পর্ক ওতপ্রোতভাবে জড়িত। যে দেশের সাক্ষরতার হার যত বেশি সে দেশ তত উন্নত। সাক্ষর জাতি সচেতন জাতি। তাই বাংলাদেশের সাক্ষরতার হারকে বৃদ্ধি করতে এগিয়ে আসতে হবে সবাইকে। তবেই নিশ্চিত হবে ‘সবার জন্য শিক্ষা চাই’।
তথ্যসুত্র
সাক্ষরতা মৌলিক শিক্ষার ভিত্তি, kishorkanthabd.
আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস, Desrupantor.
মানবীয় উন্নয়নের অন্যতম, Protidinersangbad.
একটি আন্তর্জাতিক দিবস, Ittefaq.
সাক্ষরতা দিবস-২০২৪’, Dainikamadershomoy.
সাক্ষরতা দিবস উদযাপিত, Kalbela.
নিরক্ষরতার অভিশাপ, Dainikbangla.