বাংলার কাশ্মীর নীলাদ্রি (Kashmir Niladri of Bengal)

বাংলার  কাশ্মীর নীলাদ্রি (Kashmir Niladri of Bengal)


বাংলাদেশের কাশ্মীর নীলাদ্রি। নীল রঙে রূপায়িত এই মনোরম জায়গাটির অবস্থান টেকেরঘাট, সুনামগঞ্জে। টেকেরঘাট টাঙ্গুয়ার হাওড়ের কাছে ভারত সীমান্তবর্তী একটি স্থান।

নীলাদ্রি লেক কী

প্রকৃত নাম শহীদ সিরাজ লেক, যদিও লোকে নীলাদ্রি নামে চেনে। নীলাদ্রি লেক মূলত চুনাপাথরের পরিত্যক্ত লাইমস্টোন লেক। নীল স্বচ্ছ জলের চোখজুড়ানো সৌন্দর্যের কারণে এটি 'নীলাদ্রি' নামে পরিচিত। সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার ট্যাকেরঘাটে নীলাদ্রি লেক অবস্থিত।নীলাদ্রি নামটা যেমন সুন্দর, এর রূপও তেমনি মোহনীয়। চোখে না দেখলে বিশ্বাসই হবে না পানির নীল প্রকৃতির মায়াবী রূপ। এখানে চুনাপাথরের বিশাল খনি থাকলেও বর্তমানে তার কার্যকারিতা নেই। টেকেরঘাট চুনাপাথরের লেকের পানি নীল না হলেও বেশ পরিষ্কার। চুনাপাথর খননের ফলে লেকটি সৃষ্টি হয়। অনেকেই টাঙ্গুয়ার হাওর দেখতে আসেন সুনামগঞ্জে। কিন্তু এর পাশেই অনেক সুন্দর সুন্দর জায়গা আছে যা যে কোনো পর্যটককে মুহূর্তেই মোহিত করবে। এমনই একটি জায়গা টেকেরঘাট চুনাপাথরের পরিত্যক্ত খনির লাইমস্টোন লেক। স্থানীয় লোকজন একে নীলাদ্রি লেক বলেই জানে।

Taken From Ajker Alokito Sokal.

নীলাদ্রি লেকের  ইতিহাস

মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হওয়া বীর যোদ্ধা বীর বিক্রম খেতাব প্রাপ্ত সিরাজুল ইসলামের নামে নামকরণ করা হয়েছে। নামটি তাহিরপুর এলাকাবাসীর দেয়া। মুক্তিযুদ্ধে এই অঞ্চলের অবদানের স্বীকৃতি এই নামকরণ। কিন্তু কোনো সাইনবোর্ড না থাকায় বা সেভাবে প্রচার না হওয়ায় পর্যটকরা ‘নীলাদ্রি’ নামে নামকরণ করে! এ নামটি বেশ জনপ্রিয়তা পায় ভ্রমণকারীদের মাঝে। এতে ঢাকা পড়ে যায় লেকের আসল নাম। যদিও তাহিরপুরবাসীদের কাছে এটি শহীদ সিরাজ লেকই, তারা ভুলে যাননি ইতিহাসকে।

ইতিহাসের গল্প-সিমেন্টের চাহিদা পূরণ করতে ১৯৪০ সালে সুরমা নদীর তীরে ছাতকে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল আসাম বেঙ্গল সিমেন্ট ফ্যাক্টরি। আমাদের কাছে ‘ছাতক সিমেন্ট ফ্যাক্টরি’। ভারতের মেঘালয় পাহাড় থেকে চুনাপাথর সংগ্রহ করে আগের আমলে কারখানার সিমেন্ট কাঁচামালের চাহিদাটি মেটানো হতো। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর থেকে নানা সমস্যা ও ব্যয় বাড়ায় এবং পাসপোটের ঘেরাটোপে ভারত থেকে চুনাপাথর সংগ্রহ বন্ধ হয়ে গেল। ফলে ছাতক সিমেন্ট ফ্যাক্টরি চালু রাখতে নিজস্ব ব্যবস্থায় চুনাপাথর উত্তোলন শুরু করতে হলো। এজন্য ১৯৬১ সালে ভূতাত্বিক জরিপ সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের ভাঙ্গারঘাট ও সীমান্তের কাছে টেকেরঘাটের ৫টি চুনাপাথরের কূপে চালানো হয়। মোট ১৩ কোটি ২৫ লাখ ৫৬ হাজার ৫ শ ৩৪ মেট্রিক টন চুনাপাথর মজুদ আছে বলে নিশ্চিত হন বিসিআইসি। ১৯৬৫-৬৬ সালে টেকেরঘাট খনিজ প্রকল্পে ৩ শ ২৭ একরে চুনাপাথর খনিজ পদাথ আছে বলে জানান তারা। ৭০ দশমিক ৬৯ একর ও ৯২ দশমিক ২৫ একর এলাকায় মোট ২টি খনি আছে। তবে সেই থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত মোটে ১৬ লাখ ৬৩ হাজার ৭শত ৮৩ মেট্রিক টন চুনাপাথর উত্তোলন করা গিয়েছে। অভিযোগ, বিসিআইসির কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিক সংগঠনের কিছু লোকের কারণে লাভের প্রকল্পটি হঠাৎ লোকসানী প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। ছাতক সিমেন্ট ফ্যাক্টরিও বিসিআইসির অধীনে চলে গেল। এরপর ১৯৯৬ সালের দিকে খনিজ প্রকল্পটিকে বন্ধ করে দেওয়া হলো। প্রায় ৪ শ শ্রমিক-কর্মচারীকে বিসিআইসির অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোতে বদলি করা হলো।

দীর্ঘদিন ধরে খোলা আকাশের নিচে পড়ে আছে কারখানার যন্ত্রপাতি। অযত্ন, অবহেলায় এভাবে নষ্ট হচ্ছে ৬০ কোটির বেশি টাকার যন্ত্র। বেশিরভাগ এখন অকেজো হয়ে গেছে। চুরিও হয়েছে ২০ কেটি টাকার মূল্যবান যন্ত্রাংশ।এই তাহিরপুর সীমান্তে দৃষ্টিনন্দন পাথর কোয়ারিটি। তবে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না। পর্যটকদের কাছে অধরাই ছিল লেকের সৌন্দর্য। তারপর হঠাৎ ভ্রমণ পিপাসুদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে শহীদ সিরাজ লেক। ততদিনে লেকের চেহারা ফিরেছে। সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসন লেকের আশপাশে পর্যটকদের জন্য ৪৬ লাখ ৯৭ হাজার ৫৯৩ টাকায় নৌকা ঘাট, শৌচাগার, ৫টি বিশ্রাম ছাতা, সীমানা, বেঞ্চ, গোলঘর, রাত্রি যাপন কেন্দ্রসহ থাকা-খাওয়ার ভালো ব্যবস্থা করছেন। অনেক কাজ সম্পন্ন।

Taken From Desh Rupantor.

ওই কাশ্মীর থমথমে, ঘুরে আসুন বাংলার ‘কাশ্মীর’

নীলাদ্রি'-নীল রঙে রূপায়িত এক জায়গার নাম। এ যেন নীলের রাজ্যে হারিয়ে যাওয়া। দেখে মনে হয়, স্বর্গীয় সৌন্দর্যে ভরা জায়গাটা যেন বাংলাদেশের মাঝে এক টুকরো ‌'কাশ্মীর'! ঈদের লম্বা ছুটিতে ভারতের কাশ্মীরে চলমান সংকটের জন্য ঘুরতে যেতে পারছেন না? তাহলে দেশের বুকেই কাশ্মীরের স্বাদ পাওয়ার জন্য এখন উপযুক্ত সময়। ওই কাশ্মীর থমথমে বিরাজ করলেও ঘুরে আসতে পারেন বাংলার কাশ্মীর থেকে।

অনেকেই সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওর ঘুরতে যান। কিন্তু এর আশেপাশেই অনেক সুন্দর সুন্দর নয়নাভিরাম জায়গা আছে, যা যে কারো মনকে মুহূর্তেই দোলা দিয়ে যেতে পারে! এমনই একটি জায়গা টেকেরঘাট চুনাপাথরের পরিত্যাক্ত খনির লাইমস্টোন লেক। পর্যটকরা একে নীলাদ্রি লেক বলেই জানে। এর নামটা যেমন সুন্দর রূপটাও তেমনি মোহনীয়।সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের এই লেকটি গত ৩ বছরে খুব জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। লেকটি পড়েছে বাংলাদেশে আর লেক পাড়ের পাহাড় পড়েছে ভারতে। লেকের আশপাশে অসংখ্য ছোট ছোট টিলা। আরেকটু এপাশে এলেই বিস্তৃত টাঙ্গুয়ার হাওড়। ঘাসে ঢাকা সবুজ টিলা, লেকের টলটলে পানি, ওপারে নীলচে পাহাড় সব মিলিয়ে এক নজরেই মন বলে ওঠে 'অসাধারণ'! স্বর্গীয় শান্তির বাস এই লেকে। ভ্রমণকারীরা ছবি দেখে হন্যে হয়ে ছুটে আসেন এখানে, ক্যাম্পিং করেন কখনো জ্যোৎস্না রাতে, কখনো বা তারা ভরা আকাশের নিচে।

বসন্তকালে প্রকৃতি যখন নবরূপে সতেজ সাজে নিজেকে সাজায়, ঠিক তখনই ভ্রমণপিপাসুদের ভ্রমণের টানে বেরিয়ে পড়ার হিড়িক আসে। মন আনচান করে দূরে কোথাও ঘুরে আসতে, যার অনাবিল প্রাকৃতিক সৌন্দর্য জাগতিক ক্লান্তি মুছে দিয়ে মনকে করবে চাঙা। জীবনকে করবে আরও উৎফুল্লময় ও বিচিত্র সব অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ। তাই বলছি, এবারের বসন্তে ঘুরে আসতে পারেন সুনামগঞ্জের বারিক্কা টিলা, শিমুলবাগান, জাদুকাটা নদী অথবা নীলাদ্রি লেক। তবে নীলাদ্রি লেকে ঘুরে আসার আহ্বান জানাই।

বাংলাদেশের কাশ্মীর সুনামগঞ্জের নীলাদ্রি লেক

নীল রঙে রূপায়িত ‘নীলাদ্রি’। এ যেন নীলের রাজ্যে হারিয়ে যাওয়া। হ্যা নীলাদ্রির কথা বলছি, ভাবছেন এটা আবার কি? এই স্বর্গীয় সৌন্দর্যে ভরা জায়গাটা কাশ্মীর নয় আমাদের দেশেই! কি অবাক হচ্ছেন? ছবি দেখে কাশ্মীর ভেবে ভুল করবেন না, একে নীলাদ্রি নামেই চেনে সবাই। এর অপরূপ সৌন্দর্য্যে ডুব দিতে নিশ্চিন্ত মনে ঘুরে আসুন সুনামগঞ্জ থেকে। নিজস্ব স্বকীয়তা হারিয়ে ট্যাকেরঘাট চুনাপাথর খনি প্রকল্পের পাথর কোয়ারি পর্যটকদের কাছে এখন নীলাদ্রি লেক (Niladri Lake) নামে পরিচিত। নীলাদ্রি লেকের অবস্থান ভারতের মেঘালয় সীমান্তবর্তী উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের ট্যাকেরঘাটে। প্রতিদিন শত শত পর্যটক ভিড় জমান এ লেকের সৌন্দর্য উপভোগ করতে।

অনেকেই সুনামগঞ্জের টাংগুয়ার হাওর দেখতে যান। কিন্তু এর আশেপাশেই অনেক সুন্দর সুন্দর নয়নাভিরাম জায়গা আছে যা যেকোনো পর্যটকের মনকে মুহূর্তেই দোলা দিয়ে যেতে পারে! এমনই একটি যায়গা টেকেরঘাট চুনাপাথরের পরিত্যাক্ত খনির লাইমস্টোন লেক। স্থানীয় লোকজন একে নীলাদ্রি লেক বলেই জানে। এর নামটা যেমন সুন্দর এর রূপটাও তেমনি মোহনীয়। নিজ চোখে না দেখলে বিশ্বাসই করতে পারবেননা পানির রঙ এতটা নীল আর প্রকৃতির এক মায়াবী রুপ। মাঝের টিলা গুলা আর ওপাড়ের পাহাড়ের নিচের অংশটুকু বাংলাদেশ এর শেষ সিমানা। বড় উচু পাহাড়টিতেই সীমানা কাটা তারের বেড়া দেয়া আছে। এই লেকটি এক সময় চুনা পাথরের কারখানার কাচামাল চুনা পাথরের সাপ্লাই ভান্ডার ছিল যা এখন বিলীন।

Taken From Jago News24.

নীলাদ্রি লেকে কেন যাবেন

নীল রঙে রূপায়িত ‘নীলাদ্রি’। এ যেন নীলের রাজ্যে হারিয়ে যাওয়া। হ্যাঁ, নীলাদ্রির কথা বলছি। ভাবছেন এটা আবার কী? এই স্বর্গীয় সৌন্দর্যে ভরা জায়গাটা কাশ্মীর নয়, আমাদের দেশেই! কী, অবাক হচ্ছেন? ছবি দেখে কাশ্মীর ভেবে ভুল করবেন না, একে নীলাদ্রি নামেই চেনে সবাই।নীলাদ্রি লেককে অনেক পর্যটক ‘বাংলার কাশ্মীর’ বলে অভিহিত করে। নীলাদ্রি লেক হচ্ছে অনেক টিলা–পাহাড়ের সমারোহ, যার একপাশে রয়েছে নীল জলের স্বচ্ছ লেক, আবার স্বচ্ছ জলের মাঝখানেও রয়েছে ছোট ছোট ঢিলা। অদূরে ভারত সীমান্তে সুউচ্চ সুবিশাল সবুজ পাহাড়। স্বর্গীয় সৌন্দর্যের আধার। যেখান থেকে ভেসে আসে পাহাড়ের ওপর জন্মানো গাছের পাতার সঙ্গে হাওয়ার মিতালি সুরসংগীত।

নীলাদ্রি লেকের জলে অবগাহন করামাত্র আপনি ভুলে যাবেন ভ্রমণকষ্ট ও সব জাগতিক ক্লান্তি। মনে হবে, সারা দিন এখানেই জলে অবগাহন করি। তবে মনে রাখবেন, বেশিক্ষণ জলে অবগাহন করা যাবে না, কারণ সর্দি লেগে যেতে পারে। পাহাড়-টিলা আর লেকের স্বচ্ছ জলের প্রাকৃতিক দৃশ্য আপনার প্রাণে আনবে অনাবিল শান্তির আবেশ।নীলাদ্রি লেকে ঘুরে বেড়ানোর জন্য আপনি নৌকা পাবেন। জলে অবগাহনের সময় পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের পাহাড়ের ওপর জন্মানো কলাপাতার সঙ্গে বাতাসের সম্মিলিত সুরসংগীত শুনতে পাবেন।

নীলাদ্রি লেকের পাশে রয়েছে সিমেন্টের তৈরি বসার জায়গা। সেখানে বসেও সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন। পাশেই রয়েছে চায়ের টং দোকান। চায়ে চুমুক দিতে দিতে উপভোগ করতে পারেন অপার্থিব সৌন্দর্য। জলের তেষ্টা পেলে ধারেকাছেই কিনতে পাবেন ডাব।নীলাদ্রির পাশে রয়েছে রেলস্টেশনের পুরোনো জংধরা ইঞ্জিন-বগি, যা দিয়ে একসময় পাথর নেওয়া হতো। এখানে দাঁড়িয়ে আপনি চাইলে ছবিও তুলে নিতে পারেন। অবশ্য ক্যামেরা দিয়ে ছবি তোলার জন্য দক্ষ ফটোগ্রাফার সেখানে পাওয়া যায়। ফটোপ্রতি ৩ থেকে ৫ টাকা।নীলাদ্রি গেলে আপনি চাইলে টাঙ্গুয়ার হাওর, জাদুকাটা নদী, শিমুলবাগানও দেখে আসতে পারেন। এক ঢিলে চার পাখির মামলা। তবে হাতে বেশি সময় নিয়ে যেতে হবে। যাতে সব ঘুরে আসা যায়। সে জন্য সকাল সকাল পৌঁছালেই ভালো হয়।

Taken From Jago News24.

নীলাদ্রি বা শহীদ সিরাজ লেকে কীভাবে যাবেন

ঢাকার মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে বাসে সরাসরি নেত্রকোনায় আসতে হবে। নেত্রকোনা রাজুর বাজারে ভাড়ায় চালিত বাইক রয়েছে। শুকনো মৌসুমে নীলাদ্রি লেক যেতে হলে বাইকে উঠতে হবে। বাইকে কলমাকান্দা হয়ে মহেশখোলা দিয়ে পৌঁছাতে পারেন গন্তব্যস্থল নীলাদ্রি লেকে। যেতে যেতে যাত্রাবিরতিও দিতে পারেন। কারণ, বেশ লম্বা একটা ভ্রমণ বলে কথা। মহেশখোলা যাত্রাবিরতি নিয়ে সস্তায় কমলা খেতে পারেন কিংবা এক কাপ চা। যেহেতু অনেক দূরের ভ্রমণ, তাই সকাল সকাল বের হওয়াই শ্রেয় ,নীলাদ্রি যেতে প্রথমে ঢাকা থেকে বাসে করে সুনামগঞ্জ নতুন ব্রিজে নামতে হবে। এ ব্রিজ থেকে মোটরসাইকেলে করে সরাসরি নীলাদ্রি লেকে যাওয়া যায়। নতুন ব্রিজ থেকে নীলাদ্রি লেকে মোটরসাইকেলে দু’জনের ভাড়া ৫০০ টাকা।

কোথায় থাকবেন

বেশকিছু রেস্ট হাউজ এবং গেস্ট হাউজ আছে বড়ছড়া বাজারে। সেখানে আপনি ২০০-৪০০ টাকায় এক রাত থাকতে পারবেন। বারিক্কা টিলা পাড় হয়েই বড়ছড়া বাজারটা চোখে পড়বে। চাইলে টেকেরঘাট থেকে হেঁটেও আসতে পারবেন বড়ছড়া বাজারে, মেঠো পথ ধরে হাঁটতে ভালোই লাগবে। এছাড়াও লেকের পাশে বন্ধ হয়ে যাওয়া একটি চুনা পাথরের কারখানা আছে তার গেস্ট হাউজে থাকতে পারবেন যদি খালি থাকে।

কোথায় খাবেন

নিলাদ্রি লেকের আশেপাশে থাকার জন্য তেমন ভালো কোনো হোটেল নেই। বড়ছড়া বাজারে কয়েকটি গেস্ট হাউজ ও তাহিরপুর বাজারে দুইটি হোটেল পাবেন। আর বর্ষায় গেলে সেখানে নৌকায় থাকতে পারবেন।খাওয়া-দাওয়া টেকেরঘাট বাজার, বড়ছড়া বাজার বা তাহিরপুর বাজারে করতে পারবেন। সেখানে বেশ কয়েকটি ভালো মানের খাবারের হোটেল পাবেন। আর নৌকা ভাড়া নিলে সেখানেই রান্নার ব্যবস্থা থাকে। সেক্ষেত্রে নৌকায় ওঠার আগে বাজার করে নিতে হবে।বারিক্কা টিলাতে খাবারের হোটেল আছে, এছাড়াও বড়ছড়া বাজারে খেতে পারেন অথবা লেকের পাশেই টেকেরঘাট একটা ছোট বাজার আছে একটা মাত্র হোতেল আছে খাবারের। অবশ্যই আগে দাম জেনে খাবেন।

পরামর্শ

যেহেতু সীমান্ত এলাকা তাই সাবধানে থাকুন। সীমানার খুব কাছাকাছি না যাওয়াই ভালো। এখান থেকে খুব পরিমানে চুনা পাথর উঠানো হতো যার ফলে লেক অত্যাধিক গভীর। লেকের পানিতে সাতার না জানলে না নামাই ভালো। নামলেও বেশি দূরে যাবেন না।

সাবধানতা

সীমান্ত এলাকা তাই সাবধানে থাকতে হবে। সীমানার খুব কাছাকাছি না যাওয়ার চেষ্টা করাই ভালো। আর সাঁতার না জানলে লেকের পানিতে না নামাই ভালো। নামলেও বেশি দূরে যাবেন না। কারণ এখান থেকে এক সময় প্রচুর পরিমানে চুনা পাথর উঠানো হতো। যার ফলে লেক অনেক গভীর।

Taken From Jago News24.

বাংলার মুখ নীলাদ্রি লেক

যাওয়ার পথে আপনি অনুভব করবেন গ্রামীণ পরিবেশ ও সংস্কৃতির স্বাদ। মাটির রাস্তার দুপাশে সারি সারি সবুজ গাছগাছালি। রাস্তার অদূরে সুবিশাল সবুজ পাহাড় চোখ জুড়াবে আপনার। রাস্তার পাশে সুবিশাল বিস্তীর্ণ মাঠে দেখতে পাবেন সবুজ ধান। সবুজ ধানের ওপরে মুক্তোর মতো সকালের শিশিরবিন্দু। তাতে চিকচিক করছে সকালের নরম রোদ্দুর।টেকেরঘাট চুনাপাথরের লেকের বাংলাদেশ প্রান্তে প্রায় ২৫ ফুট উচ্চতার কয়েকটি কৃত্রিম টিলা রয়েছে। যা সুন্দরভাবে সাজিয়ে পর্যটন কেন্দ্র বানানো হয়েছে। টিলার মাঝে মাঝে রয়েছে বেঞ্চ এবং ছায়ার ব্যবস্থার জন্য বড় বড় ছাতা। টিলার পাশেই চুনাপাথরের বিশাল খনি। প্রচুর লাইমস্টোন রপ্তানি করা হয় এই টেকেরহাট থেকেই।

মাঝের টিলা আর ওপাড়ের পাহাড়ের নিচের অংশটুকু বাংলাদেশের শেষ সীমানা। বড় উঁচু পাহাড়টিতেই সীমানা কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া।নীলাদ্রি লেকের পাশেই ভারতের মেঘালয় পাহাড়। পাহাড় আর মেঘের মিলনে তৈরি হয়েছে এক মনোরম পরিবেশ। সরু রাস্তা চলে গিয়েছে পাহাড়ের কিনার ঘেঁষে। বারিক্কা টিলা পাড় হয়েই বড়ছড়া বাজারটা চোখে পড়বে। টেকেরঘাট থেকে হেঁটে আসা যায় বড়ছড়া বাজারে, মেঠোপথ ধরে হাঁটতে ভালোই লাগে।

Taken From Youtube.

নিলাদ্রী লেক যেন বাংলার কাশ্মীর

নিলাদ্রীর অপরুপ সৌন্দর্য্যর কাছে হার মেনে অনেকেই নীল স্বচ্ছ জলের মাঝে সাতাঁর কাটেন নির্বিগ্নে। নিলাদ্রী লেকে রয়েছে ছোট ছোট নৌকা যা দিয়ে লেকের বিতরের পুরো সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে পারেন পর্যটকগন। নিলাদ্রী লেকের উত্তর পাশে রয়েছে ভারতের সাদা পাথর আর দীর্ঘ উচুঁনিছু আঁকাবাঁকা পাহাড়ের সমন্নয়ে গড়ে উঠেছে এক সু-বিশাল পর্যটন কেন্দ্রস্থল।নিলাদ্রীর টিক পশ্চিম ও দক্ষিণ পাশে রয়েছে ট্যাকারঘাটের তৎকালীন সময়ের চুনাপাথর খনি প্রকল্পের বিভিন্ন ধরণের পরিত্যাক্ত সরঞ্জাম সামগ্রী। লেকের পাশে রয়েছে উচুঁনিচুঁ সবুজ পাহাড়,রয়েছে পর্যটকদর বসার মত ছাতাবাহী বেশ কয়েকটি আসন। যা পর্যটকদের বিশ্রাম নেয়ার মত উপকরণ হিসেবে ভুমিকা রাখে।’দূর থেকে নীলাদ্রির দিকে দু-চোখ দিয়ে থাকালে মনে হয় যেন এক মায়া কান্নার সাথে ডাকছে। এভাবেই দৃষ্টি নন্দন নিলাদ্রী লেক দেশে-বিদেশে থাকা পর্যটকদের আকৃষ্ট করে আসছে বিগত কয়েক বছর ধরেই।’

Taken From Ittefaq.

এ যেন বাংলাদেশের 'কাশ্মীর'

পৃথিবীর ভূস্বর্গ কাশ্মীর। নাম শুনলেই মনোরম আর নয়নজুড়ানো ভুবন ভোলানো দৃশ্যে মনটা হারিয়ে যায়। যাওয়ার সুযোগ পেলে তো কথাই নেই! তবে কাশ্মীরের মতো একই রকম লোভনীয় প্রকৃতি রয়েছে বাংলাদেশেই। কী অবাক হচ্ছেন? হওয়ারই কথা। বলছিলাম বাংলাদেশের কাশ্মীরখ্যাত সুনামগঞ্জের নীল রঙে রূপায়িত 'নীলাদ্রি লেক'-এর কথা। স্বর্গীয় সৌন্দর্য আর নয়নাভিরাম দৃশ্যে ভরপুর 'নীলাদ্রি লেক' আপনার বিস্ময়ের মাত্রা দ্বিগুণ করবে অনায়াসে।

পর্যটকদের লেখা আর ছবিগুলো দেখে নীলাদ্রি যাওয়ার তীব্র আকাঙ্ক্ষা হৃদয়ে বারবার উঁকি দিত। উদ্বেলিত হতো প্রাণ। অবশেষে সে প্রেমকে কাছ থেকে অনুভব করতে চবিসাসের গ্র্যান্ড ট্যুরে আগের পরিকল্পনা মতো বেরিয়ে পড়লাম। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (চবিসাস) পাঁচ দিনের সিলেট-সুনামগঞ্জ ভ্রমণের জন্য যখন ঘর থেকে বের হই তখন হৃদয়ে অন্যরকম এক অনুভূতি খেলে যায়। দীর্ঘদিন ধরে যে এ সময়টির প্রতীক্ষায় ছিলাম!

Taken From Trip Silo.

নীলাদ্রি লেক মন মাতায়

চিরহরিৎ বৃক্ষের সমারোহ, সুমিষ্ট আবহাওয়া, অসাধারণ রূপময় প্রকৃতি, খরস্রোতা পাহাড়ি নদী, লেক, অপরূপ পরিবেশে গড়ে উঠেছে ‘ভূস্বর্গ কাশ্মীর’। তার সৌন্দর্য্য দেখতে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ ছুটে আসেন। এমন একটি ভূস্বর্গ কিন্তু বাংলাদেশেও আছে। ‘বাংলার কাশ্মীর’ খ্যাত ‘নীলাদ্রি’র কথা বলছি।সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার টেকেরঘাটে মেঘালয় সীমান্তের উল্টোদিকে আমাদের নীলাদ্রি লেক। আসল নাম ‘শহীদ সিরাজ লেক’। পাশের মাটিতে ঘুমিয়ে আছেন একাত্তরে শহীদ এই বীর মুক্তিযুদ্ধা। তার নামেই এখন নাম রাখা হয়েছে ‘শহীদ সিরাজ লেক’। বেশিরভাগ লোকের চেনা নীলাদ্রি লেক নামে।

‘নীলাদ্রি লেক’ মূলত পরিত্যক্ত একটি লাইমস্টোন বা চুনাপাথরের লেক। নীল স্বচ্ছ জলের চোখ জুড়ানো সৌন্দর্যের দৌলতে ‘নীলাদ্রি লেক’ নামে খ্যাত। নীলাদ্রি লেকের আশপাশে আছে অনেকগুলো পাথুরে টিলা ও পাহাড়ের সমারোহ। তাদের একপাশে নীল জলের স্বচ্ছ লেকটি। আবার স্বচ্ছ জলের বুকে ভেসে থাকতে দেখা যায় ছোট, ছোট ঢিলাগুলো। লেকের তীরে দাঁড়িয়ে চোখে পড়ে অদূরের ভারত সীমান্তে ও সুউচ্চ সুবিশাল সবুজ পাহাড়রাজি। স্বর্গীয় সৌন্দর্য্যরে দারুণ সুষমা। সেখান থেকেও ভেসে আসে পাহাড়ের গায়ে জন্মানো গাছের পাতায় হাওয়ার মিতালিময় সুর ও সঙ্গীত। পাহাড়-টিলা ও লেকের স্বচ্ছ জলের প্রাকৃতিক দৃশ্য প্রাণে বয়ে আনে সবসময় অনাবিল শান্তি।

Taken From Barta24.

ঈদের ছুটিতে সঙ্গীকে নিয়ে ঘুরে আসুন ‘বাংলার কাশ্মীরে’

একদিকে দিগন্ত বিস্তৃত সবুজের সমারোহ অন্যদিকে সবুজ নীলাভ রঙের জল খেলা করছে। তার অন্যপাশে ভারতের মেঘালয়ের পাহাড় দাঁড়িয়ে আছে। আর নিচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে পাথর। এ যেন শিল্পীর হাঁতে আঁকা অসাধারণ এক ছবি।দেশের মধ্যেই এমনই সুন্দর এক দৃশ্য নিজ চোখে উপভোগ করতে পারবেন। এ যেন টুকরো কাশ্মীর। এটি দেশবাসীর কাছে নিলাদ্রি লেক বলেই পরিচিত। প্রকৃতির বিষ্ময়কর এই স্থানটি পর্যটকদের মন কেড়েছে।নিলাদ্রি লেক নামকরণের কারণ হলো এই হ্রদের পানির রং সবুজ নীলাভ বর্ণের। যা নিজ চোখে না দেখলে বিশ্বাসই করতে পারবেন না। ভারতের মেঘালয় সীমান্ত ঘেঁষা বাংলাদেশের সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় অবস্থিত এই স্থানটি।

সেখানে যেতে যেতে আপনি উপভোগ করবেন গ্রামীণ পরিবেশ ও সংস্কৃতির স্বাদ। মাটির রাস্তার দু’পাশে দেখবেন সারি সারি সবুজ গাছপালা। রাস্তার অদূরেই আছে সবুজ পাহাড়।নীলাদ্রি লেকে ঘুরে বেড়ানোর জন্য আপনি নৌকা পাবেন। নীলাদ্রি লেকের পাশে রয়েছে সিমেন্টের তৈরি বসার জায়গা। চাইলে একটু বসতে পারেন। সেখানে বসেও সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন।এর পাশেই আছে চায়ের টং দোকান। এক কাপ চায়ে চুমুক দিতে দিতে উপভোগ করতে পারবেন সেখানকার সবটুকু সৌন্দর্য। চাইলে একদিনেই ঘুরে আসতে পারেন নিলাদ্রি লেকে। এজন্য রাতের বাসে টিকিট কাটুন। তাহলে ভোর হতেই পৌঁছে যাবেন সুনামগঞ্জে।

Taken From Facebook.

স্বর্গীয় সৌন্দর্যে ভরা

‘নীলাদ্রি’-নীল রঙে রূপায়িত এক জায়গার নাম। এ যেন নী'লের রাজ্যে হারিয়ে যাওয়া। দেখে মনে হয়, স্বর্গীয় সৌন্দর্যে ভরা জায়গাটা যেন বাংলাদেশের মাঝে এক টুকরো ‌’কাশ্মীর’!অনেকেই সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওর ঘুরতে যান। কিন্তু এর আশেপাশেই অনেক সুন্দর সুন্দর নয়নাভিরাম জায়গা আছে, যা যে কারো মনকে মুহূর্তেই দোলা দিয়ে যেতে পারে! এমনই একটি জায়গা টেকেরঘাট চুনাপাথরের পরিত্যাক্ত খনির লাইমস্টোন লেক। স্বর্গীয় সৌন্দর্যে ভরা পর্যটকরা একে বাংলাদেশের নীলাদ্রি লেক বলেই জানে। এর নামটা যেমন সুন্দর রূপটাও তেমনি মোহনীয়।

সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের এই লেকটি গত ৩ বছরে খুব জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। লেকটি পড়েছে বাংলাদেশে আর লেক পাড়ের পাহাড় পড়েছে ভারতে। লেকের আশপাশে অসংখ্য ছোট ছোট টিলা। আরেকটু এপাশে এলেই বিস্তৃত টাঙ্গুয়ার হাওড়।ঘাসে ঢাকা সবুজ টিলা, লেকের টলটলে পানি, ওপারে নীলচে পাহাড় সব মিলিয়ে এক নজরেই মন বলে ওঠে ‘অসাধারণ’! স্বর্গীয় শান্তির বাস এই লেকে। ভ্রমণকারীরা ছবি দেখে হন্যে হয়ে ছুটে আসেন এখানে, ক্যাম্পিং করেন কখনো জ্যোৎস্না রাতে, কখনো বা তারা ভরা আকাশের নিচে।


তথ্যসুত্র


স্বর্গীয় সৌন্দর্যে ভরা  নীলাদ্রি লেক , Mt News24.

সুনামগঞ্জের নীলাদ্রি লেক, Bharta24.

ঘুরে আসুন ‘বাংলার কাশ্মীরে’, Jago News24.

নীলাদ্রি লেক মন মাতায়, Dhaka Prokash24.

যেন বাংলাদেশের 'কাশ্মীর', Samakal.

ঘুরে আসুন বাংলার ‘কাশ্মীর’, Daily -Bangladesh.

নিলাদ্রী লেক, Ajker Sylhet.

বাংলার মুখ নীলাদ্রি, Ittefaq.

নীল নীলাদ্রি, Prothom Alo.

Subscribe for Daily Newsletter