মহেশখালীর পর্যটন শিল্পের সম্ভাবনা (Moheshkhali Tourism)

বিশাল সাগরের জলরাশির মাঝে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক লীলাভূমি মহেশখালী দ্বীপ। বাঁকখালী নদীর কিছু অংশ এবং বঙ্গোপসাগরের মহেশখালী চ্যানেল পাড়ি দিয়ে যেতে হয় মহেশখালী। আবার চকরিয়া উপজেলার বদরখালী-মহেশখালী সংযোগ ব্রিজ হয়ে সড়কপথেও যাওয়া যায় এই দ্বীপে।

কারো কাছে পাহাড় ভালো লাগে, আবার কারো কাছে সমুদ্র

কর্মব্যস্ত জীবনে নিজেকে একটু স্বস্তি দিতে অনেকেই ছুটি পেলেই ঘুরতে বেরিয়ে পড়েন।ভ্রমণপিয়াসী মানুষের কাছে একটি কমন প্রশ্ন হলো পাহাড় না সাগর? মানে পাহাড়ে ঘুরতে ভালোবাসেন নাকি সাগরে। কারো কাছে পাহাড় ভালো লাগে, আবার কারো কাছে সমুদ্র। কিন্তু এমনওতো মানুষ আছে যাদের একই সাথে পাহাড় এবং সাগর দুটোই ভালো লাগে।সেই সব মানুষের জন্য দুটি আলাদা এলাকায় গিয়ে আলাদা ভাবে পাহাড় আর সাগর দেখার সময় করে ওঠা যেমন কঠিন, তেমনি খরচও যোগান দেওয়া অনেক সময় কঠিন হয়। কিন্তু কেমন হতো যদি একই জায়গায় পাহাড়ের সাথে সাথে সাগরের দেখা মিলতো। হ্যা কক্সবাজার এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ। মেরিন ড্রাইভ ধরে সামনে প্রায় নব্বই কিলোমিটার জুড়ে একদিকে পাহাড় আরেকদিকে সমুদ্রের সৌন্দর্য উপভোগ করার সুযোগ আছে। তবে এই পাহাড়গুলোতে চড়ার খুব একটা সুযোগ নেই। শুধুমাত্র হিমছড়িতে থাকা পাহাড়ে পযর্টকরা উঠতে পারেন। যদি কারো এর চেয়েই উঁচু পাহাড়ে উঠতে ইচ্ছে করে এবং পাহাড়ের উপর দাঁড়িয়ে সাগর দেখতে ইচ্ছে করে, তাহলে তাদের জন্য আকর্ষণীয় পযর্টন কেন্দ্র হতে পারে মহেশখালী ও কুতুবদিয়া। বিশাল সাগরের জলরাশির মাঝে দুটি দ্বীপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ লীলাভূমি কক্সবাজার শহরের উত্তর- পশ্চিম কোণায় স্ব-মহিমায় দণ্ডায়মান এ দ্বীপাঞ্চল। বাঁকখালী নদীর কিছু অংশ এবং বঙ্গোপসাগরের মহেশখালী চ্যানেল পাড়ি দিয়ে যেতে হয় মহেশখালী। আবার চকরিয়া উপজেলার বদরখালী-মহেশখালী সংযোগ ব্রিজ হয়ে সড়ক পথেও যাওয়া যায় মহেশখালী।

Taken From Vromonguid

১৮৫৪ সালে গড়ে ওঠে এই দ্বীপ

কক্সবাজার থেকে এটি মাত্র ১২ কিলোমিটার দূরত্বে প্রায় ৩৬২ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের মহেশখালী উপজেলায় সোনাদিয়া, মাতারবাড়ী, ধলঘাটা নামে তিনটি দ্বীপ রয়েছে। ১৮৫৪ সালে গড়ে ওঠে এই দ্বীপ। তবে জনশ্রুতি আছে, ১৫৫৯ সালের প্রচণ্ড ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের ফলে মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে এই দ্বীপের সৃষ্টি হয়। কক্সবাজার থেকে ৪-৫ ঘণ্টা সময় ব্যয় করলেই মহেশখালী দ্বীপ থেকে ঘুরে আসা যায়।

প্রশাসনিকভাবে স্বীকৃত এক উপজেলা মহেশখালী

চট্টগ্রাম বিভাগের কক্সবাজার জেলা সদর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত প্রশাসনিকভাবে স্বীকৃত এক উপজেলা মহেশখালী। ৩৬২ দশমিক ১৮ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এই উপজেলাটি মহেশখালী, সোনাদিয়া, মাতারবাড়ী ও ধলঘাটা- এই চারটি দ্বীপ নিয়ে গঠিত এর পূর্বে রয়েছে কক্সবাজার সদর ও চকরিয়া উপজেলা এবং পশ্চিমে কুতুবদিয়া উপজেলা ও বঙ্গোপসাগর। উত্তরে চকরিয়া উপজেলা এবং দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর ও কক্সবাজার সদর উপজেলা।

মহেশখালী দ্বীপের সবচেয়ে আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র

কিংবদন্তির সেই আদিনাথ মন্দির এখন সাগরবেষ্টিত মহেশখালী দ্বীপের সবচেয়ে আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৮৫ দশমিক ৩ মিটার বা ২৮০ ফুট উঁচুতে মৈনাক পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত মন্দিরটিতে উঠতে হয় ৬৯টি সিঁড়ি বেয়ে। এই উচ্চতা থেকে চারপাশে দ্বীপের প্রায় পুরোটাসহ চোখে পড়ে ম্যানগ্রোভ বন, পানের বরজ ও ফেনীল বঙ্গোপসাগর।

Taken From The Daily Star

শুটিং ব্রিজ নামের নান্দনিক একটি ব্রিজ রয়েছে

প্রতি বছর ফাল্গুনে এখানে গোটা অর্ধমাসজুড়ে চলে শিব চতুর্দশী মেলা। এ সময় উপমহাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এখানে ভিড় জমান হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। মন্দিরে দেখা মেলে বিরল প্রজাতির এক পারিজাত ফুলগাছের, যেটিকে মনে করা হয় সকল মনস্কামনা পূরণাকারী।মূল মন্দিরের পেছনে রয়েছে দুটি পুকুর, এত উচ্চতায় থাকার পরেও যেগুলোর পানি কখনোই শুকায় না। স্থানীয়দের বিশ্বাস, এই পুকুর দুটির মধ্যে একটিতে গোসল করলে যে কোনো রোগ থেকে আরোগ্য লাভ করা যায়।শুটিং ব্রিজ নামের নান্দনিক একটি ব্রিজ রয়েছে এখানে, যেটি দিয়ে চলে যাওয়া যায় ওপারের ঝাউবাগান ও চরপাড়া সৈকতে। যাওয়ার সময় ব্রিজের দুই পাশে দেখা মেলে গোলপাতা, সুন্দরী বন, পানের বরজ ও লবণের মাঠ।

Taken From Khoborer khagoj

বৈচিত্র্যপূর্ণ ও বহুল পরিচিত পাহাড়ি দ্বীপ মহেশখালী

কক্সবাজার শহরের অতি নিকটেই রয়েছে বৈচিত্র্যপূর্ণ ও বহুল পরিচিত পাহাড়ি দ্বীপ মহেশখালী। এটি এমনই একটি বৈচিত্র্যপূর্ণ দ্বীপ যা বাংলাদেশে আর দ্বিতীয়টি দেখা পাওয়া যাবে না। দ্বীপের তিন-চতুর্থাংশ এলাকা সবুজ পাহাড়ে আবৃত এবং বনজ বৃক্ষে শোভিত। যদিও বিগত সরকারের আমলারা উন্নয়নের দোহাই দিয়ে পাহাড়ের অনেক বনাঞ্চল ধ্বংস করেছে। দ্বীপের পাহাড়ি অঞ্চল বাদ দিয়ে সমতল অঞ্চলে বসবাস করে হিন্দু-মুসলমান বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের লোক। এই দ্বীপে প্রায় সাড়ে তিন লাখ লোক বসবাস করেন। নানান জাতিগত সম্প্রদায়ের ও তাদের সংস্কৃতিগত বিভিন্নতা ও বৈচিত্র্য যে কোনো পর্যটককে আকৃষ্ট করে থাকবে। বিশেষ করে রাখাইন জাতির লোকেরা সুদীর্ঘকাল ধরে এ দ্বীপে বসবাস করে আসছেন, যা বাংলাদেশের অনেক অঞ্চলের লোকেরা জানেন না। তাদের রয়েছে নিজস্ব ভাষা, নিজস্ব পোশাক, নিজস্ব পূজা-পার্বণ ও সংস্কৃতি। তাদের রয়েছে নিজস্ব শৈল্পিক ডিজাইনের ঘরবাড়ি। আর রয়েছে দৃষ্টিনন্দন তাদের প্রাচীন বৌদ্ধমন্দির। বলাই বাহুল্য, রাখাইন জাতির লোকেরা সকলে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী। তারা নারীপুরুষ সকলে কর্মট ও সৌন্দর্য চর্চায় পারঙ্গম। তাদের রয়েছে ঐতিহ্যমন্ডিত তাঁতশিল্প। রাখাইনরা মহেশখালী সদরে বসবাস করেন। তাদের পাড়ার সাথেই রয়েছে নানান প্রকার তাঁতের তৈরি কাপড়ের ও মনোহারী পন্যের দোকান। তারা সোনার অলংকার তৈরিতেও পারদর্শী এবং রয়েছে সোনার অলংকারের দোকান ও ব্যবসা।

Taken From Dhaka post.

সুইচ্চ পাহাড়ের চূড়ায় রয়েছে সুপ্রাচীন ও বহুল পরিচিত আদিনাথ মন্দির

মহেশখালীতে রয়েছে হিন্দু-মুসলমানের পাশাপাশি বসবাসের সুদীর্ঘকালের ঐতিহ্য। হিন্দু-মুসলিম জনগণের মধ্যে রয়েছে ব্যবসা-বাণিজ্য, হালচাষ ও সম্প্রীতির দারুণ সম্পর্ক। মহেশখালী সদরে অবস্থিত মহেশখালী চ্যানেলের গা ঘেঁষে, সুইচ্চ পাহাড়ের চূড়ায় রয়েছে সুপ্রাচীন ও বহুল পরিচিত আদিনাথ মন্দির । তাতে প্রতি বছর ফাগুন মাসে শিবচতুর্দশী মেলা বসে সপ্তাহব্যাপী। তাতে হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান নির্বিশেষে সকলের আগমন ঘটে।

পর্যটকদের আরও আকর্ষণের বিষয় রয়েছে বিখ্যাত মিষ্টি পানের চাষ

মহেশখালী দ্বীপে বাইরের পর্যটকদের আরও আকর্ষণের বিষয় রয়েছে বিখ্যাত মিষ্টি পানের চাষ, যাকে পানের বরজ বলা হয়ে থাকে। দ্বীপের অর্ধেকাংশের বেশি কৃষিজীবী জনগণ এই পানচাষের সাথে জড়িত। পানচাষ একটি লাভজনক কৃষির অংশ। এটি সারা দেশে এবং বিশ্বের অনেক দেশে একটি রপ্তানিযোগ্য পণ্য। এই পানকে ঘিরে এককালে রচিত হয়েছে জনপ্রিয় শিল্পী শেফালী ঘোষের কণ্ঠে গাওয়া গান ‘যদি সুন্দর একখান মুখ পাইতাম, মহেশখালীর পানের খিলি বানাই খাওয়াইতাম’।  শহরের লোকেরা বা অন্য অনেক অঞ্চলের অধিকাংশ লোকেরা পান খেতে পছন্দ করেন, পানকে ভালোবাসেন। এই পান বাঙালি সংস্কৃতির অন্যতম উপাদান। কিন্তু বহিরাগত পর্যটকেরা অনেকে পানের চাষের বরজ দেখেননি। পর্যটকেরা সকলে এই দ্বীপে ভ্রমণে এলে জনপ্রিয় পানের চাষের বরজকে স্বচক্ষে পরিদর্শন করতে পারবেন।

Taken From Daily Star

মহেশখালী দ্বীপটি লবণ উৎপাদনের প্রধান কেন্দ্রও বটে

অনেকেই জানেন, মহেশখালী দ্বীপটি লবণ উৎপাদনের প্রধান কেন্দ্রও বটে। মহেশখালী দ্বীপের পশ্চিম ও উত্তরাঞ্চল জুড়ে দীর্ঘ এলাকা লবণচাষের এলাকা হিসেবে পরিচিত। পর্যটকেরা দ্বীপ ভ্রমণে এলে নিজ চোখে লবণচাষের মাঠ পরিদর্শনের সুযোগ পাবেন। মহেশখালীর অভ্যন্তরে সড়কপথ উন্নত থাকায় দ্বীপের দক্ষিণ থেকে উত্তরে যাতায়াত করতে চাইলে, এমন কি পাহাড়ের অভ্যন্তরে ভ্রমণ করতে চাইলেও অনায়াসে সড়কপথে তা করতে পারেন। মহেশখালী ভ্রমণের একটা বিশেষ সুবিধা হলো সারাদিন ভ্রমণ শেষে সহজে মহেশখালী থেকে কক্সবাজার ফিরে আসতে পারে যদি যোগাযোগ ব্যবস্থা আরো উন্নত করা যায়।

এক মাত্র পাহাড়ি দ্বীপ ডিজিটাল আইল্যান্ডখ্যাত মহেশখালী

সুউচ্চ পাহাড় আর সবুজের সমারোহ বাংলাদেশের এক মাত্র পাহাড়ি দ্বীপ ডিজিটাল আইল্যান্ডখ্যাত মহেশখালী। এই দ্বীপ উপজেলার শাপলাপুর ইউনিয়নের ‘ধুইলাজুড়ি পাহাড়ী ঢালা এলাকা। ’পাহাড় ছেদ করে বয়ে যাওয়া আঁকাবাঁকা পাহাড়ের উপর মেঠো পথের নৈসর্গিক দৃশ্য চোখ জুড়িয়ে যায়। পাহাড়ের উচু নিচু ঢিলে যেন সবুজ গালিচায় ঢেকে দেওয়া হয়েছে। অপূর্ব এই দৃশ্যে যে কারোর চোখ আটকে যাবে।পাহাড় আর সড়কের মিতালী যেন এক রোমাঞ্চকর ভ্রমণের মেলবন্ধন তৈরি হয়েছে স্থানীয়দের কাছে। তবে এলাকাটি দুর্গম হওয়ায় দূর-দুরান্তের পর্যটকদের কাছে এখনো পরিচিত লাভ করতে পারেনি। এ কারণে দিন দিন স্থানীয়দের আগমন বাড়ছে ধুইল্যাজুড়ি পাহাড়ি ঢালায়।

Taken From Ukhiya News

শহরের সঙ্গে এই দ্বীপের মানুষের যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম নৌকা বা স্পিডবোট

পযর্টন ও অর্থনৈতিকভাবে অপার সম্ভাবনাময় মহেশখালী দ্বীপের রয়েছে অনেক সীমাবদ্ধতা। শিক্ষাক্ষেত্রে অনগ্রসরতা, যোগাযোগব্যবস্থার বেহাল অবস্থা, স্বাস্থ্য খাতে অরাজকতা এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি এ অঞ্চলের মানুষকে ব্যথিত করে। ফলে পযর্টনশিল্পের প্রসারও সেভাবে ঘটছে না। শহরের সঙ্গে এই দ্বীপের মানুষের যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম নৌকা বা স্পিডবোট।

Taken From The Daily Star.

দ্বীপ অঞ্চলটিকে একটি আকর্ষণীয় পর্যটন ও বিনোদনকেন্দ্রে পরিণত করা যেতে পারে

তবে কক্সবাজারকে সত্যিকারের পর্যটননগরী হিসেবে গড়ে তুলতে হলে কক্সবাজার শহরের পার্শ্ববর্তী অঞ্চলসমূহে নতুন নতুন পর্যটন স্পট সৃষ্টি করতে হবে। বিশেষত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি সাগর তনয়া মহেশখালীকে অপরূপ সাজে সজ্জিত করতে হবে এবং মহেশখালীর পর্যটন সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে। দ্বীপ অঞ্চলটিকে একটি আকর্ষণীয় পর্যটন ও বিনোদনকেন্দ্রে পরিণত করা যেতে পারে। মহেশখালীর রাখাইনপল্লী ও ক্যাংসমূহের প্রয়োজনীয় সংস্কার, রাখাইনদের হস্তশিল্প ও সংস্কৃতি ইত্যাদিকে কেন্দ্র করে একটি স্বতন্ত্র রাখাইন সাংস্কৃতিক কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করে তাকে একটি পর্যটন স্পটে পরিণত করা যেতে পারে।

মহেশখালীতে বাস্তবায়নাধীন কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প ও প্রস্তাবিত গভীর সমুদ্র বন্দর পর্যটন সম্ভাবনার এক নবদ্বার উন্মুক্ত করবে। অভাগা দ্বীপাঞ্চলবাসীর সুবিধার্থে না হলেও মহাভাগ্যবতী জাতীয় ও আন্তর্জাতিক কোম্পানীগুলোর ব্যবসায়িক সুবিধার্থে মহেশখালীর সাথে কক্সবাজার শহরের সরাসরি স্থল যোগাযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে যমুনা কিংবা পদ্মাসেতুর ন্যায় একটি বিশাল বাজেটের সেতু নির্মাণ করা যেতে পারে। মহেশখালীকে পরিকল্পিত নগরী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে সরকারের দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনার খবরও ইতোমধ্যে সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে। সুতরাং পর্যটন শিল্পের বিকাশ, বৃহত্তর চট্টগ্রামের উন্নয়ন ও জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে ভৌগোলিক কারণে সোনাদিয়ায় গভীর সমুদ্র বন্দর স্থাপনে অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ এখন সময়ের অনিবার্য দাবি।


তথ্যসুত্র

একমাত্র পাহাড়ি দ্বীপ, Daily Sangram.

 মহেশখালী দ্বীপ, Khoborer Kagoj.

পাহাড়ি দ্বীপ মহেশখালী, Sangbadproksh.