জাতীয় সংসদ নির্বাচন (National Assembly Elections)

জাতীয় সংসদ নির্বাচন (National Assembly Elections)

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। সেই অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর কিংবা ২০২৪ সালের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তফসিল ঘোষণা করা হবে ২০২৩ সালের নভেম্বরে।২০১৯ সালের ৩০ জানুয়রি একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়। সে ক্ষেত্রে ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৪ সালের জানুয়ারির মধ্যে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন শেষ করার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে ইসির।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন কবে, জানাল ইসি

ইসি আলমগীর বলেন, ‘আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের শেষে অথবা ২০২৪ সালের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে। আর সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে ২০২৩ সালের নভেম্বরে।’দ্বাদশ ভোটের কর্মপরিকল্পনার মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব ও ইসির অতিরিক্ত সচিব উপস্থিত ছিলেন।

২০১৯ সালের ৩০ জানুয়রি একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়। সে ক্ষেত্রে ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে পরের বছর জানুয়ারির মধ্যে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারির মধ্যে আগামী সংসদ নির্বাচন শেষ করার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে ইসির।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৪

আগামী ৭ জানুয়ারি (রবিবার) ১২তম (দ্বাদশ) জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, এই নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, মনোনয়নপত্র বাতিল হলে এর বিরুদ্ধে আপিল ও আপিল নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার ১৭ ডিসেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর। ১২তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন কবে হতে যাচ্ছে, নির্বাচনের রোড ম্যাপ, জাতীয় নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি, বহির্বিশ্বের তৎপরতা 

০২৪ সালের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে জাতীয় সংসদ নির্বাচন

আগামী বছরের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আনিছুর রহমান।আগারগাঁওয়ে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে আয়োজিত প্রশিক্ষণ কার্যক্রম অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল প্রথম ধাপে প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষক (টিওটি) কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এ সময় অনুষ্ঠানে ৪ নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিব উপস্থিত ছিলেন।আনিছুর রহমান বলেন, 'বলা যায়, ২০২৪ সালের গোড়ার দিকে, জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে আমরা এখনো ভোটগ্রহণের কোনো তারিখ ঠিক করিনি।'

জাতীয় সংসদ নির্বাচন ৭ জানুয়ারি

আগামী বছরের ৭ জানুয়ারি দেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আজ বুধবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে এ ঘোষণা দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। এর আগে আজ বিকাল সাড়ে ৫টায় বৈঠকে বসে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রায়  দেড় ঘণ্টা বৈঠকে শেষে সন্ধ্যা ৭টার পর তফসিল ঘোষণা শুরু করেন সিইসি।তফসিল অনুযায়ী ভোট গ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ৭ জানুয়ারি (রবিবার)। ওই দিন সকাল ৮টা থেকে টানা ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিন ৩০ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই হবে  ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর। রিটার্নিং অফিসারের আদেশের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি হবে ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৭ ডিসেম্বর এবং প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে ১৮ ডিসেম্বর।

সিইসি আরো বলেন, নির্বাচনী প্রচারণা চলবে ১৮ ডিসেম্বর থেকে আগামী ২০২৪ সালের ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। প্রচারণার জন্য ২২ দিন সময় রয়েছে। নির্বাচনে ৬৬ জন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ৫৯২ জন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছেভাষণে সিইসি সব রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান।  এ সময় তিনি সংবিধান ও আইনের আলোকে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা ব্যক্ত করেন।

দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করেছে ইসি। 

তিনি জানান, ইতোমধ্যে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করেছে ইসি।  এবার ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩ জন ভোটার দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।  এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৭৯ জন এবং নারী ভোটার ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ২০২ জন।  আর হিজড়া ভোটার ৮৫২।  এর আগে একাদশ সংসদ নির্বাচনের সময় ভোটার ছিল ১০ কোটি ৪১ লাখ ৯০ হাজার ৪৮০ ভোটার।  এর মধ্যে পুরুষ ৫ কোটি ২৫ লাখ ৪৭ হাজার ৩২৯ জন ও নারী ৫ কোটি ১৬ লাখ ৪৩ হাজার ১৫১ জন।

সারা দেশে ভোটকেন্দ্রের খসড়াও প্রস্তুত করা আছে।  খসড়া অনুযায়ী এবার ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৪২ হাজার ১০৩টি।  এতে ভোটকক্ষ রয়েছে ২ লাখ ৬০ হাজারের মতো। প্রায় ৫ শতাংশের মতো ভোটকেন্দ্র এবার বাড়ছে।

কর্মপরিকল্পনা সংবলিত বইয়ে নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন ভাবনার কথা জনিয়েছে ইসি। এতে আগামী নির্বাচনকেন্দ্রিক বেশ কিছু লক্ষ্যের কথা জানিয়েছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।

১. অংশগ্রহণমূলক (ইচ্ছুক সব নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের নির্বাচণে সক্রিয় অংশগ্রহণ)।

২. স্বচ্ছ (নির্বাচন সংক্রান্ত সব কার্যক্রম সবার অগ্রগতির জন্য কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশ, পর্যাপ্তসংখ্যক দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক নিয়োগ, ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার কর্মীদের অবাধে সংবাদ সংগ্রহের সুযোগ)।

৩. নিরপেক্ষ (সব প্রার্থীর প্রতি সমআচরণ, নির্বাচন কমিশনের অধিকসংখ্যক যোগ্য কর্মকর্তাকে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ, নিরপেক্ষ প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা নিয়োগ, নির্বাচনের দায়িত্ব পালনকারী কারও বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগের প্রমাণ পেলে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি, নির্বাচনি আইন ও বিধি অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া)।

৪. গ্রহণযোগ্য (ইসি কর্তৃক সংবিধান, আইন, বিধি অনুযায়ী সব কার্যক্রম গ্রহণ এবং যথাযথ প্রয়োগ যাতে নির্বাচনের ফল সব ভোটার ও অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের কাছে গ্রহণযোগ্য বলে প্রতীয়মান হয়)।

৫. সুষ্ঠু (নির্বাচন পূর্ববর্তী, নির্বাচনের দিন ও নির্বাচন পরবর্তী আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনুকূলে রাখা, প্রার্থী বা সমর্থক যেন নির্বাচনি আচরণবিধি মেনে চলেন, তা নিশ্চিত করা, অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া, সব প্রার্থী যেন আচরণিবিধি অনুযায়ী নির্বাচনি প্রচার চালাতে পারেন, তা নিশ্চিত করা)।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা বুধবার

ইতোমধ্যে সিইসি জানিয়েছেন, এবার সংসদ নির্বাচনে সর্বোচ্চ ১৫০ আসনে ইভিএম আর ১৫০ আসনে ব্যালটের মাধ্যমে ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অন্য একজন নির্বাচন কমিশনার জানিয়েছেন, সম্ভব হলে সবকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের ইচ্ছে রয়েছে ইসির। বাজেটে সঙ্কট হলে অন্তত ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোয় সিসি ক্যামেরা রাখার ইচ্ছে রয়েছে।

২০০৭ সালে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন হলে সাবেক সিইসি এটিএম শামসুল হুদার নেতৃত্বে ভোটের সময়সূচি নিয়ে আলোচনার মধ্যে ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ন, সংলাপ, সীমানা পুননির্ধারণ, আইন সংস্কার, দল নিবন্ধনসহ ভোটের ক্ষণ গননা শুরু, তফসিল ঘোষণা, ফল গেজেটে প্রকাশ পর্যন্ত নানা কর্মকৌশল তুলে ধরে ‘রোডম্যাপ’ তুলে ধরা হয়। ওই কমিশন স্থানীয় নির্বাচনে ইভিএমে ভোটের প্রচলনও শুরু করেছিল। বিদায়ের আগে ওই কমিশন পঞ্চবার্ষিক কর্মকৌশলও প্রণয়ন করেছিল।

এটিএম শামসুল হুদা কমিশনের পদাঙ্ক অনুসরণ করেই নানা মহলের আগ্রহের মধ্যে কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ, কে এম নূরুল হুদা কমিশনও এক ধরনের কর্মপরিকল্পনা ধরে এগিয়ে নিয়ে যায় ইসি সচিবালয়। সবশেষ কমিশন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম চালু করে যায়, ছয়টি আসনে ভোটও হয়। এবার কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশনও ‘দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের কর্মপরিকল্পনা’ প্রকাশ করতে যাচ্ছে।২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়। সেক্ষেত্রে ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে পরের বছর জানুয়ারির মধ্যে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারির মধ্যে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন শেষ করার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

যা থাকছে ইসির কর্মপরিকল্পনায়

আইন সংস্কার, নির্বাচন প্রক্রিয়া সময়োপযোগী করতে সবার পরামর্শ, সংসদীয় আসনের সীমানা পুননির্ধারণ; নির্ভুল ভোটার তালিকা প্রণয়ন ও সরবরাহ, বিধি মেনে ভোটকেন্দ্র স্থাপন, নতুন দল নিবন্ধন ও নিবন্ধিতদের নিরীক্ষা, সুষ্ঠু নির্বাচনে সংশ্লিষ্টদের সক্ষমতা বৃদ্ধি, ভোটে প্রযুক্তির ব্যবহার, দক্ষ নির্বাচনী প্যানেল তৈরি ও প্রশিক্ষণ, ভোটার শিক্ষণ, সচেতনতা, পর্যবেক্ষণ সংস্থা নিবন্ধন ও নবায়ন এবং গণমাধ্যমকে আইনি কাঠামোয় সম্পৃক্তকরণ।

আইআরআই’র প্রাক-নির্বাচন মূল্যায়ন মিশনের বিবৃতি

প্রতিনিধিদল নির্বাচন কমিশন, সরকার, রাজনৈতিক দল এবং অন্যান্য নির্বাচনী অংশীজনদের বিবেচনার জন্য নিম্নলিখিত সুপারিশগুলি উপস্থাপন করে। এই সুপারিশগুলি যদি নির্বাচনের অবশিষ্ট সময় এবং তার পরেও গৃহীত হয় তবে বিশ্বাসযোগ্য, অন্তর্ভুক্তিমূলক, অংশগ্রহণমূলক এবং অহিংস নির্বাচনের দিকে অগ্রগতি অর্জনে সহায়তা করতে পারে যা বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। এই রোডম্যাপে পাঁচটি মূল সুপারিশ রয়েছে যা আরও বিশদভাবে বর্ণনা করা হয়েছে

সক্রিয় নির্বাচনী অংশগ্রহণের সংস্কৃতি উৎসাহিত করা।

বাগাড়ম্বরপূর্ন বক্তব্যে সংযত হওয়া এবং গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনী ইস্যুতে খোলামেলা ও বাস্তব সংলাপে অংশ নেওয়া।মত প্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষা করা এবং একটি উন্মুক্ত নাগরিক পরিবেশ নিশ্চিত করা যেখানে ভিন্নমতকে সম্মান করা হয়।অহিংসতার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়া এবং রাজনৈতিক সহিংসতার অপরাধীদের জবাবদিহিতার আওতায় নিয়ে আসা।স্বাধীন নির্বাচন ব্যবস্থাপনা জোরদার করাসহ সকল দলকে অর্থবহ রাজনৈতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য পরিবেশ তৈরি করা।নাগরিকদের মধ্যে অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং সক্রিয় নির্বাচনী অংশগ্রহণের সংস্কৃতি উৎসাহিত করা।

প্রতিনিধিদল স্বীকার করে যে, বাংলাদেশের জনগণই চূড়ান্তভাবে তাদের নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা ও বৈধতা এবং তাদের দেশের গণতান্ত্রিক উন্নয়ন নির্ধারণ করবে। তাই প্রতিনিধি দলটি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সমর্থন ও শক্তিশালী করার চেতনায় এই প্রাক-নির্বাচনী বিবৃতি প্রদান করে।

যথাযথভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য উল্লেখযোগ্য প্রচেষ্টা প্রয়োজন।

পদ্ধতিগতভাবে, নির্বাচন পরিচালনার জন্য ইসির পর্যাপ্ত তহবিল রয়েছে এবং এর প্রস্তুতি ভালোভাবে চলছে। ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার প্রক্রিয়া ইসি প্রায় শেষ করেছে এবং প্রায় ৪০,০০০ ভোটকেন্দ্রে ৬,০০,০০০ এরও বেশি নির্বাচনী কর্মী নিয়োগ ও প্রশিক্ষণের ব্যাপক কার্যক্রম শুরু করেছে। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় জেন্ডার ভারসাম্য এবং ব্যাপক যুব অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে এবং পোলিং কর্মকর্তাদের তাদের রাজনৈতিক নিরপেক্ষতা এবং কাজ নিশ্চিত করার জন্য যথাযথভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য উল্লেখযোগ্য প্রচেষ্টা প্রয়োজন।

পোলিং কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণসহ নির্বাচনী প্রস্তুতির গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলোতে নির্বাচনী অংশীজনরা অপর্যাপ্ত মনোযোগ দিচ্ছেন।

রাজনৈতিক দল এবং সুশীল সমাজের যে সকল গোষ্ঠীর সঙ্গে প্রতিনিধিদলের বৈঠক হয়েছে, তারা নির্বাচনী প্রস্তুতি বা ভোটার তালিকার বিশ্বাসযোগ্যতা সম্পর্কে ব্যাপক উদ্বেগ প্রকাশ করেনি, তবে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত না হওয়ার কারণে নাগরিকরা অতীতের নির্বাচনে ভোট দিতে না পারার উপাখ্যানমূলক প্রতিবেদনগুলি উল্লেখ করেছে। রাজনৈতিক দল এবং সুশীল সমাজের যাদের সঙ্গে প্রতিনিধিদলের বৈঠক হয়েছে, তারা নির্বাচনী প্রস্তুতি বা ভোটার তালিকার বিশ্বাসযোগ্যতা সম্পর্কে উল্লেখযোগ্যহারে উদ্বেগ প্রকাশ করেনি, তবে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত না হওয়ার কারণন নাগরিকরা অতীতের নির্বাচনে ভোট দিতে না পারার উদাহরন উল্লেখ করেছে। ভোটার নিবন্ধন, ভোটার তালিকার গুণগত মান এবং পোলিং কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণসহ নির্বাচনী প্রস্তুতির গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলোতে নির্বাচনী অংশীজনরা অপর্যাপ্ত মনোযোগ দিচ্ছেন।

ক্যাম্পেইন অরথায়ন

প্রচারাভিযানের আয় ও ব্যয়ের স্বচ্ছতা, স্বার্থের দ্বন্দ্বের সুযোগ হ্রাস করে এবং প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বীতার ক্ষেত্রকে সমান করে তোলে। কার্যকর প্রচারাভিযান আর্থিক তদারকির জন্য একটি শক্তিশালী আইনী আদেশ, পর্যাপ্ত সংস্থান এবং একটি প্রয়োগকারী ব্যবস্থা প্রয়োজন। বৈঠকে অংশগ্রহণকারীগণ উল্লেখ করেছেন যে, বর্তমানে প্রচারাভিযানের আর্থিক প্রতিবেদন যাচাইয়ের জন্য নির্বাচন কমিশন খুব কম বাজেট বরাদ্ধ করেছে এবং কোনও অনিয়ম মোকাবেলাকরার জন্য তাদের আইন প্রয়োগের ক্ষমতা নেই।

নির্বাচনী তথ্য

নির্বাচন কমিশন ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনসহ বিগত নির্বাচনগুলোর জন্য ভোটকেন্দ্র পর্যায়ের ফলাফল তাদের ওয়েবসাইটে সরবরাহ করে, যা স্বচ্ছতার একটি লক্ষণ। আসন্ন নির্বাচনের জন্য প্রতিনিধি দলটি নির্বাচনী তথ্যের স্বচ্ছতার অব্যাহত প্রদর্শন হিসাবে পোলিং বুথের ভোট পৃথকভাবে বিশ্লেষণ করা যায় এমনভাবে  অভিন্ন ফর্ম্যাটে ফলাফল প্রকাশ এর জন্য ইসিকে উৎস]হিত করে।

নির্বাচনীঅভিযোগওবিরোধনিষ্পত্তি

বাংলাদেশের নির্বাচনে উচ্চমাত্রার মেরুকরণ ও প্রতিযোগিতার প্রেক্ষাপটে একটি কার্যকর, নিরপেক্ষ নির্বাচনী বিরোধ নিষ্পত্তি প্রক্রিয়া অত্যন্ত জটিল। হাইকোর্ট বিভাগ, যা সুপ্রিম কোর্টের নিম্ন বিভাগ, নির্বাচনী বিরোধ পরিচালনা করে। বিচার ব্যবস্থার স্বাধীনতা ও নিরপেক্ষতা নিয়ে ব্যাপক সংশয়ের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলি আশা করে যে আদালত যে কোনও নির্বাচনী বিরোধ নিরপেক্ষভাবে সমাধান করবে এবং রাজনৈতিক চাপ প্রতিহত করবে।


তথ্যসুত্র

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা , N TV BD.

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন , Bonik Barta.

ভোটগ্রহণের কোনো তারিখ ঠিক করিনি, Bangla.The Daily Star.net

রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি, Bangla Tribune.

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের কর্মপরিকল্পনা, News Bangla24.

অভিন্ন ফর্ম্যাটে ফলাফল প্রকাশ , Iri.Org.

 নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা, Jugantor.

Subscribe for Daily Newsletter