বৃক্ষরোপন অভিযান (Plantation campaign)

দেশের অর্থনীতি ও জনজীবনে স্বাচ্ছন্দ্য আনার জন্য আমাদের প্রত্যেকের প্রতিবছর অন্তত দুটি করে বৃক্ষ রোপণ করা দরকার। বৃক্ষহীন পরিবেশ জীবন ও জীবিকার জন্য মারাত্মক হুমকি। তাই এই সম্পদের ক্রমবর্ধমান ঘাটতি পূরণের জন্য লাগামহীন বৃক্ষনিধন বন্ধ করা দরকার। পাশাপাশি বৃক্ষরোপণ জোরদার করার প্রতি আমাদের সচেতন হওয়া উচিত।

বৃক্ষ আমাদের পরম বন্ধু। বৃক্ষ শুধু প্রাকৃতিক শোভাই বাড়ায় না, মাটির ক্ষয় রোধ করে, বন্যা প্রতিরোধ করে, ঝড় তুফানকে বাধা দিয়ে জীবন ও সম্পদ রক্ষা করে। আবহাওয়া নিয়ন্ত্রণেও বৃক্ষের ভূমিকা অপরিসীম। বৃক্ষ ছাড়া পৃথিবী মরুভূমিতে পরিণত হতো। বৃক্ষ অক্সিজেন সরবরাহ করে আমাদের বাঁচিয়ে রাখে।

রবীন্দ্রনাথ বনবাণী কাব্যের ভূমিকায় লিখেছেন- আমার ঘরের আশেপাশে যে-সব আমার বোবা-বন্ধু আলোর প্রেমে মত্ত হয়ে আকাশের দিকে হাত বাড়িয়ে আছে, তাদের ডাক আমার মনের মধ্যে পৌঁছল। তাদের ভাষা হচ্ছে জীবজগতের আদিভাষা, তার ইশারা গিয়ে পৌঁছয় প্রাণের প্রথমতম স্তরে; হাজার হাজার বৎসরের ভুলে-যাওয়া ইতিহাসকে নাড়া দেয়। মনের মধ্যে যে-সাড়া ওঠে সেও ঐ গাছের ভাষায়- তার কোনো স্পষ্ট মানে নেই, অথচ তার মধ্যে বহু যুগযুগান্তর গুনগুনিয়ে ওঠে।

বৃক্ষরোপণ কি:

বৃক্ষরোপণ প্রচারাভিযান হলো বাংলাদেশের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বৃক্ষরোপণের উপকারিতা বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টিমূলক একটি সমন্বিত উদ্যোগ। উদ্দেশ্য: ইউনিয়ন পর্যায়ে মানুষের মধ্যে বৃক্ষরোপণের উপকারিতা বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করা, যাতে তারা ব্যক্তিগত ও সামাজিক ঊদ্যোগে ব্যাপকভাবে বৃক্ষরোপণ করতে উৎসাহিত হয়।

বৃক্ষের প্রয়োজনীয়তা:

আমাদের জীবনে বৃক্ষের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। বৃক্ষ থেকে পাওয়া অক্সিজেন গ্রহণ করেই আমরা বেঁচে থাকি। বৃক্ষ আমাদের পরিবেশের অতি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান এবং অন্যতম বনজ সম্পদ। বৃক্ষের পাতা, ফল ও বীজ আমরা খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করি। বৃক্ষ থেকে তন্তু আহরণ করে আমাদের পরিধেয় বস্ত্র প্রস্ত্তত করা হয়। বৃক্ষ থেকে প্রাপ্ত কাঠ দিয়ে আমাদের বাড়িঘর ও আসবাব তৈরি করা হয়। আমাদের অতি প্রয়োজনীয় লেখার সামগ্রী কাগজ ও পেনসিল বৃক্ষের কাঠ দিয়েই তৈরি করা হয়। আমাদের রোগ নিরাময়ের ওষুধও এই বৃক্ষ থেকেই তৈরি করা হয়।

বৃক্ষরোপণেরদরকার, কারণ, বৃক্ষরা কার্বন ডাইঅক্সাইড নামের গ্রিনহাউস গ্যাস শুষে নিয়ে বায়ু দূষণ কমায়। বিনিময়ে তারা আমাদের দেয় অমূল্য প্রাণবায়ু— অক্সিজেন। বৃক্ষরোপণ গুরুত্বপূর্ণ, কারণ সবুজ পাতার রাশি নিয়ে বৃক্ষরা পরিবেশকে ছায়াস্নিগ্ধ করে। মাটির ক্ষয় রোধে ও জলবায়ুর ভারসাম্য ঠিক রাখতে সাহায্য করে।

জীবন ও পরিবেশ রক্ষায়:

বৃক্ষ জীবজগতকে ছায়া দিয়ে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। বৃক্ষের ছায়া মাটির পানিকে সহজে বাষ্পে পরিণত হতে দেয় না। বিস্তৃত বনাঞ্চলের বৃক্ষ জলীয়বাষ্পপূর্ণ বায়ুকে ঘনীভূত করে বৃষ্টিপাত ঘটায়। বায়ুমণ্ডল থেকে কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাস গ্রহণ করে বৃক্ষ অক্সিজেন গ্যাস ছেড়ে দেয়, যা মানুষ ও অন্য প্রাণীকুল শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য গ্রহণ করে।

Taken from Forbes

বৃক্ষের বর্তমান অবস্থা:

একসময় বৃক্ষ সুশোভিত অঞ্চল এবং আমাদের বনাঞ্চলগুলোর প্রাকৃতিক সেৌন্দর্য বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ করত। আমাদের চাহিদা পূরণ করে জীবনে স্বাচ্ছন্দ্য আনত। দুঃখজনক হলেও সত্যি, আজ আর সেই দিন নেই। বাংলাদেশের আম, কাঠাল, সুপারি ও নারিকেলবাগানের পরিসর ক্রমেই সংকীর্ণতর হতে হতে প্রায় শূন্যের কোঠায় এসে পৌছেছে।

Taken from Asian Age

বৃক্ষ সংরক্ষণে করণীয়:

বিভিন্ন প্রকার শিল্পের উপকরণ ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার সীমাহীন প্রয়োজনের তুলনায় আমাদের বৃক্ষের সংখ্যা নিতান্তই নগণ্য। এই পরিস্থিতিতে আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত পরিকল্পিতভাবে বৃক্ষরোপণে অংশগ্রহণ করা। দেশের অর্থনীতি ও জনজীবনে স্বাচ্ছন্দ্য আনার জন্য আমাদের প্রত্যেকের অন্তত দুটি করে বৃক্ষ রোপন করা দরকার।

ইসলামে বৃক্ষরোপণের গুরুত্ব:

উদ্ভিদ ও বৃক্ষ থেকে আমরা খাদ্য পাই। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘মানুষ তার খাদ্যের প্রতি লক্ষ করুক। আমিই প্রচুর বারি বর্ষণ করি, অতঃপর আমি ভূমিকে প্রকৃষ্টরূপে বিচূর্ণ করি এবং আমি উৎপন্ন করি শস্য, আঙুর, শাকসবজি, জইতুন, খেজুর এবং বহু বৃক্ষবিশিষ্ট উদ্যান, ফল ও গবাদিপশুর খাদ্য, এটা তোমাদের এবং তোমাদের পশুগুলোর জীবনধারণের জন্য।’ (সুরা-৮০ আবাসা, আয়াত: ২৪-৩২)। ‘তারা কি লক্ষ করে না, আমি ঊষর ভূমিতে পানি প্রবাহিত করে তার সাহায্যে উদ্‌গত করি শস্য, যা থেকে তাদের গবাদিপশু এবং তারা নিজেরা আহার করে। তারা কি দূরদৃষ্টিসম্পন্ন হবে না?’ (সুরা-৩২ সেজদা, আয়াত: ২৭)।

হাদিস শরিফে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি কোনো বৃক্ষ রোপণ করল, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এর বিনিময়ে তাকে এই বৃক্ষের ফলের সমপরিমাণ প্রতিফল দান করবেন।’ (মুসনাদে আহমদ)। গাছের প্রতিটি পাতা আল্লাহর জিকির করে। সেই জিকিরের সওয়াব রোপণকারীর আমলনামায় লেখা হয়। তাই আমাদের বেশি করে বৃক্ষরোপণ ও বনায়ন করা উচিত। গাছ লাগাতে হবে, গাছের পরিচর্যা করতে হবে এবং অকারণে বৃক্ষনিধন বন্ধ করতে হবে। প্রয়োজনে একটি পরিপক্ব গাছ কাটার আগে তিনটি চারা গাছ লাগাতে হবে।

চারা রোপণ পদ্ধতি

চারা রোপণের আগে নির্বাচিত স্থান প্রয়োজন মতো পরিস্কার করে নিন এবং খুঁটি দিয়ে চিহ্নিত ও সঠিক দূরত্ব নির্ধারন করুন। ৪৫ সে.মি. থেকে ৫০ সে.মি. উঁচু, কানি আঙ্গুলের মত মোটা, যথেষ্ট শিকড় সমৃদ্ধ, সোজা ও ডালপালাবিহীন চারা সংগ্রহ করুন।

Taken from Barta Bazar

দুই বছর মেয়াদী চারার জন্য দুই ফুট, এক বছর মেয়াদী চারার জন্য দেড় ফুট এবং ছয় মাস বয়সী চারার জন্য এক ফুট মাপের গর্ত তৈরি করুন। গর্ত করার সময় গর্তের উপরি ভাগের মাটি এক দিকে এবং নিচের দিকের মাটি আর এক দিকে আলাদা করে রাখুন। এরপর মাটি গুঁড়া করে পরিমাণ মতো গোবর ও সার মিশিয়ে গর্ত ভরাট করে ফেলুন। তবে খেয়াল রাখতে হবে নিচের মাটি উপরে এবং উপরের মাটি নিচে দিতে হবে।

চারা সংগ্রহের পর শক্ত ও সতেজ হওয়ার জন্য কয়েক দিন ছায়াযুক্ত স্থানে রাখুন এবং প্রতিদিন প্রয়োজন মতো পানি দিন। চারা রোপণের সময় ধারালো ছুরি দিয়ে পলিথিন ব্যাগ কেটে অন্যত্র সরিয়ে ফেলুন। তবে এ কাজ করতে গিয়ে বা রোপণের সময় চারার গোড়ার মাটির দলা যেন ভেঙে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। চারা রোপণের পর গোড়ার মাটি ভালো করে চেপে দিন। চারার চেয়ে লম্বা বাঁশের খুঁটির সাথে হালকা করে সুতলি দিয়ে চারাটি বেঁধে দিন, যেন বাতাসে নড়াচড়া করতে না পারে। মাটি শুকনা থাকলে চারা রোপণের পরপরই সেচ দিন।

রোপণ পরবর্তী পরিচর্যা

মনে রাখা প্রয়োজন, চারা রোপণের পর চারা টিকিয়ে রাখাই বড় কাজ। এ জন্য প্রথমেই গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া বা অন্যান্য তৃণভোজী প্রাণীর হাত থেকে চারাকে রক্ষা করার ব্যবস্থা করুন। চারা রোগাক্রান্ত হলে রোগ-বালাই নাশক প্রয়োগ করুন। প্রয়োজনে স্থানীয় বনকর্মী বা কৃষিকর্মীর পরামর্শ নিন। খড়ার সময় চারার গোড়ায় প্রয়োজন মাফিক পানি দিন। চারার শরীর বেয়ে ওঠা লতা কেটে দিন ও গোড়া আগাছা মুক্ত রাখুন।

Taken from Flower Aura

শীতকালে চারার গোড়ার মাটি যেন রস যুক্ত থাকে সে জন্য শুকনো লতাপাতা, খড় ও কচুরিপানা দিয়ে চারার গোড়া ঢেকে দিন। মরা, রোগাক্রান্ত ও দুর্বল চারা সরিয়ে সেখানে  নতুন চারা রোপণ করুন। বেড়ে ওঠা গাছের একাধিক ডালপালা হলে অতিরিক্ত ডাল কেটে ফেলুন। এ সময় যেন দা বা ছুরির আঘাতে ডালপালা থেতলে না যায় এবং প্রধান কান্ডে যেন আঘাত না লাগে।

এখন বর্ষা মৌসুম। এ সময় চারার প্রতি বিশেষ খেয়াল বা বাড়তি যত্ন নিতে হবে। বর্ষার আগে ও পরে চারার গোড়ায় পরিমাণ মতো গোবর ব্যবহার করুন। বর্ষার পানি যেন চারার গোড়ায় না জমতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখুন। প্রয়োজনে চারার গোড়ার মাটি উঁচু করে দিন। চারা গাছের গোড়ার শেকড় কোনো কারণে বের হয়ে গেলে মটি দিয়ে ভরাট করে দিন। জলোচ্ছ্বাস কবলিত এলাকায় চারার গোড়ায় জমে থাকা পলি ও আবর্জনা সরিয়ে ফেলুন।

প্রয়োজনে স্থানীয় বনকর্মী বা কৃষিকর্মীর পরামর্শ নিন। খড়ার সময় চারার গোড়ায় প্রয়োজন মাফিক পানি দিন। চারার শরীর বেয়ে ওঠা লতা কেটে দিন ও গোড়া আগাছা মুক্ত রাখুন। শীতকালে চারার গোড়ার মাটি যেন রস যুক্ত থাকে সে জন্য শুকনো লতাপাতা, খড় ও কচুরিপানা দিয়ে চারার গোড়া ঢেকে দিন।

বৃক্ষরোপণ কি আনুষ্ঠানিকতা?

মূলত প্রতিবছর জুন মাসে বিশ্ব পরিবেশ দিবসকে ঘিরে একটি সংক্ষিপ্ত ও দায়সারা আনুষ্ঠানিকতার মধ্যেই বৃক্ষবিষয়ক যাবতীয় কর্মকা- সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। জুন মাসে ঢাকঢোল পিটিয়ে কিছু গাছ লাগিয়ে দিলেই যেন দায়িত্ব শেষ! সারা বছর এ বিষয়ে যেন আর কোনো কাজ নেই। কিন্তু বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি নার্সারিতে উৎপাদিত লাখ লাখ চারার শেষ পরিণতি কী হয়, তার খোঁজ আমরা অনেকেই জানি না। আসলে গাছ লাগানো কোনো দায়সারা গোছের কাজ নয়। রীতিমতো প্রযুক্তি ও পরিকল্পনানির্ভর একটি বিশেষায়িত কাজ। কারণ গাছ সজীব ও সপ্রাণ। তাকে মাটিতে পুঁতে দিলে যে স্থির থাকবে- এমনটা আশা করা যায় না। সে তার প্রয়োজনমতো জায়গা দখল করবে। নানা কৌশলে খাবার সংগ্রহ করবে। তা ছাড়া বিশ্বব্যাপীই বৃক্ষায়ন একটি শিল্প। উন্নত দেশগুলোয় পার্ক বা পথপাশে আমরা যে একই আকৃতির গাছ দেখি, তা কিন্তু পরিকল্পনারই অংশ। সম-আকৃতির জন্য সেখানে একই জাতের গাছগুলো পাশাপাশি রাখা হয়। বছরের একটি নির্দিষ্ট সময়ে সে গাছগুলোর ডালপালা ছেঁটে দেওয়া হয়। কোনো গাছ মারা গেলে বা হেলে পড়লে সেটি সরিয়ে একই জাতের এবং একই উচ্চতার গাছ পুনঃসংযোজন করা হয়। শুধু তা-ই নয়, নগর কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিটি গাছেরই তথ্য-উপাত্ত সংরক্ষিত থাকে। কোন গাছটি কোথায় কবে লাগানো হলো, কখন মারা গেল- এসব তথ্যও যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা হয়।

Taken from Bangladesh Sangbad Sangstha

আমাদের শহরগুলোতে নব্বই শতাংশ গাছই লাগানো হয়েছে অপরিকল্পিতভাবে। এমনকি নগরে এ বিষয়ে আলাদা কোনো বিভাগ কিংবা বিশেষজ্ঞও নেই। ফলে অপরিকল্পিতভাবে বেড়ে ওঠা এসব গাছপালা কখনো কখনো আমাদের জীবনে অভিশাপও হয়ে উঠেছে। প্রতিবছরই গাছের চাপায় প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে। অথচ একটি গাছ লাগানোর পর থেকে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রতিটি মুহূর্ত পর্যবেক্ষণ করতে হয়। এই পদ্ধতিতেই কেবল অপেক্ষাকৃত দুর্বল শিকড়ের জরাগ্রস্ত গাছগুলো সহজেই সরিয়ে ফেলা সম্ভব। আরেকটু আন্তরিক হলে গাছ লাগানোর ক্ষেত্রে সামঞ্জস্যতার বিষয়টিও অগ্রাধিকার পাবে, যা আমাদের দেশে কখনোই বিবেচ্য হয়নি। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় উদাহরণ ঢাকার হাতিরঝিল বা মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ। যেখানে একটি গগনচুম্বি গাছের সঙ্গে লাগানো হয়েছে গুল্মজাতীয় গাছ। গাছ লাগানোর ক্ষেত্রে ছোট-বড় লতা ঝাড় কোনো কিছুই আমলে নেওয়া হয়নি। মানা হয়নি বৃক্ষায়নের কোনো সূত্র।


তথ্যসুত্র

পঞ্চম শ্রেণির পড়াশোনা: বাংলা | প্রবন্ধ রচনা, Protom Alo.

প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা প্রস্তুতি বিষয়ক একমাত্র ব্লগ.

ইসলামে বৃক্ষরোপণ ও বনায়নের গুরুত্ব, Protom Alo.

জেনে রাখুন বৃক্ষরোপণ ও পরিচর্যার কিছু কৌশল, Rising BD.

বৃক্ষরোপণ কি শুধুই আনুষ্ঠানিকতা?, Dhaka Times 24.