প্রাক-পরীক্ষার প্রস্তুতি (Pre-Exam Preparation)

প্রাক-পরীক্ষার প্রস্তুতি (Pre-Exam Preparation)


রুটিন করে পড়। বিষয়ভিত্তিক আলাদা প্রস্তুতি নেবে। প্রস্তুতি যা নিয়েছ তা মাথায় রেখে সুন্দর ও শান্তভাবে পরীক্ষা দিতে যাবে। অধিক রাত জাগবে না, পড়ার সঙ্গে সঙ্গে লিখবে। বণ্টিত নম্বরের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে জবাব কতটুকু হবে, তা আগে থেকেই ঠিক করে রাখবে। তোমার লেখার গতির সঙ্গে সময়ের সামঞ্জস্যতা রক্ষার্থে ঘড়ি ধরে নিয়মিত অনুশীলন করবে। পাঠ্যবই ও অভিজ্ঞ শিক্ষকের সহায়তায় ভুলত্রুটিগুলো শোধরে নেবে।

যে কোনো তথ্য সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা রাখ

প্রথমে পাঠ্যবইটি খুব ভালো করে পড়। একজন শিক্ষার্থী হিসেবে তুমি যেন বলতে পার হ্যাঁ, আমার পাঠ্যবইয়ের কোথায় কী আছে আমি সব জানি, একজন শিক্ষার্থী হিসেবে এ মনের জোর তৈরি কর। বেশি বেশি করে নৈর্ব্যক্তিক শিখতে থাক। যে কোনো তথ্য সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা রাখ। স্পষ্ট করে উত্তর লেখার চেষ্টা কর। প্রতিটি শব্দ বুঝে পড়। না বুঝে মুখস্থ করবে না।

সৃজনশীল ও নৈর্ব্যক্তিক এ দুটো অংশের প্রস্তুতির জন্য পাঠ্যবইয়ের প্রতিটি লাইন পড়তে হবে

সৃজনশীল ও নৈর্ব্যক্তিক এ দুটো অংশের প্রস্তুতির জন্য পাঠ্যবইয়ের প্রতিটি লাইন পড়তে হবে। আশা করি তোমরা সেভাবেই পড়েছ। নতুন করে প্রস্তুতির কিছু নেই। অস্থির না হয়ে পরীক্ষার প্রথমদিন পরীক্ষার হলে অন্তত ৩০ মিনিট আগে, অন্যান্য দিন কমপক্ষে ২০ মিনিট আগে প্রবেশ করবে। তাহলে পরীক্ষার হলে তাড়াহুড়ো করে লেখার দরকার হবে না।টেনশন করবে না। ভালো করে লিখবে। আত্মবিশ্বাস, দৃঢ় মনোবল, অধ্যবসায় তোমাকে সাফল্যের পথে এগিয়ে দেবে এবং সুন্দরভাবে পরীক্ষা শেষ করবে এটাই তোমাদের প্রতি আমার দোয়া।

পড়ার পরিকল্পনা ও সময়সূচি

পড়তে বসার আগেই তোমার পড়ার বিষয়বস্তু ও সময় নিয়ে ভালো পরিকল্পনা তৈরি করো। ভালো পরিকল্পনা তৈরি করতে পড়ার বিষয়গুলো কয়েকটি সেশনে ভাগ করে নাও। প্রতিটি সেশনের জন্য সময় নির্দিষ্ট করো এবং পড়ার মাঝে বিরতির জন্য সময় রাখো। আর অবশ্যই, বোর্ড পরীক্ষার রুটিনটি পড়ার টেবিলের সামনে টাঙ্গিয়ে রাখবে। এতে পড়াশোনার প্রতি একটা দায়বদ্ধতার জায়গা তৈরি হবে।

সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য তৈরি করো

প্রতিটি সেশন শেষ করার মাধ্যমে তুমি কোন কোন লক্ষ্য অর্জন করতে চাও, সেগুলো আগে থেকেই ঠিক করে নাও। যেমন ২৫ মিনিটের একটি সেশনের মাধ্যমে তুমি জীববিজ্ঞানের সপ্তম অধ্যায়ের বিগত বছরগুলোর প্রশ্নগুলো রিভিশন দিতে চাও। এভাবে প্রতিটি সেশনের লক্ষ্য তৈরি করো এবং প্রতিদিনের একটি সমন্বিত লক্ষ্যও তৈরি করো। এভাবে পরীক্ষার আগের পুরো সময়টার লক্ষ্য তৈরি করে নাও।

পড়ার টেকনিক

তুমি কীভাবে পড়বে, সেটা ঠিক করো। কিছু পড়া, নোট করা, তারপর অনুশীলন করা, একই ধরনের সমস্যাগুলোর সমাধানের প্র্যাকটিস করা—এভাবে পড়বে, নাকি শুধু প্র্যাকটিস করবে অথবা নোটগুলোতে চোখ বোলাবে, সেটা ঠিক করে নাও। তবে বোর্ড পরীক্ষা সামনে রেখে পড়া, নোটগুলোতে চোখ বুলিয়ে নেওয়া ও প্রয়োজনে নতুন কিছু নোট টুকে রাখা, প্র্যাকটিস করা—এভাবে এগোলে ভালো হবে।

একাধিক বই থেকে পড়লে ভালো

আমাদের দেশে সাধারণত উচ্চমাধ্যমিক, তথা এইচএসসিতে একটি বিষয়ে একাধিক লেখকের পাঠ্যবই থাকে। এমন হয়, কোনো লেখকের বইতে অধ্যায় ৩ ভালোভাবে বোঝানো হয়েছে, আবার অন্য আরেকটি বইতে অধ্যায় ৪ ভালোভাবে বোঝানো হয়েছে। তাই যদি সামর্থ্য থাকে, তাহলে একাধিক বই থেকে বাছাই করে পড়লে ভালো। আর এখন অনলাইনে অনেক রিসোর্স পাওয়া যায়। ফলে অনলাইনের এই সুযোগ কাজে লাগানো যেতে পারে। তবে যাদের বোর্ড পরীক্ষা খুব কাছে, আর মাত্র দু-তিন মাস বাকি আছে, তাদের জন্য একাধিক বই কিংবা রিসোর্স ঘাঁটাঘাঁটি করা ঠিক হবে না। এই পদ্ধতি শুধু তাদের জন্য, যারা বছরের শুরু থেকেই বোর্ড পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে চায়, তাদের জন্য ভালো হবে।

বিগত বছরের প্রশ্ন দেখা

প্রতিবছরই বোর্ড পরীক্ষায় কিছু না কিছু প্রশ্ন বিগত বছরের প্রশ্ন থেকে আসে। তবে আসবেই, এমনটা বলা যাবে না। আসার সম্ভাবনা খুব বেশি। আর বেশির ভাগ প্রশ্নের ক্ষেত্রে যেটা দেখা যায়, হুবহু বিগত বছরের প্রশ্ন থেকে না এলেও একই রকমের প্রশ্ন আসে। প্রশ্নের ধরন মোটামুটি একই থাকে। তাই বোর্ড পরীক্ষার প্রস্তুতির একটা বড় অংশজুড়ে থাকা উচিত বিগত বছরগুলোর প্রশ্নের সমাধান করার চেষ্টা করা।

টপিক মনে রাখতে কৌশল

যেসব টপিক একবার পড়া হয়েছে, সেগুলো যাতে দ্বিতীয়বার আবার বিস্তারিত ঘাঁটতে না হয়। সে জন্য ওই টপিকের জন্য যেভাবে ভালো হয়, সেভাবে নিজের মতো করে চার্ট, গ্রাফ, চিত্র, সূত্র, ছন্দ ইত্যাদি তৈরি করে সেগলো পড়ার টেবিলের সামনে টাঙিয়ে রাখা যেতে পারে। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সংজ্ঞা, উপপাদ্য, সূত্র, লেখকের তথ্য, ব্যাকরণের টার্ম, পরিসংখ্যানের তথ্য ইত্যাদি এভাবে লিখে রাখলে বইয়ের বিষয়গুলো হালকা মনে হবে। পড়া মনে থাকবে এবং একই সঙ্গে খুব দ্রুত একই ধরনের তথ্যের মধ্যে সম্পর্কও বুঝে ফেলা সম্ভব হবে। এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন রঙের কলম ও কাগজ (কালার পেন ও কালার পেপার) ব্যবহার করা যেতে পারে।

নিয়মিত রিভিশন দেওয়া

প্রতিটি বিষয় নিয়মিত রিভিশন দেওয়া জরুরি। ধরো, বাংলা প্রথম পত্র দুদিন ধরে রিভিশন দিলে, এরপর এক মাস আর ধরাও হলো না—এমনটা যাতে না হয়। প্রায় সব বিষয়ই দু-এক দিন পরপর রিভিশন দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। যদি বিষয়ের সংখ্যা ১০ থেকে ১২টির মধ্যে হয়, তাহলে প্রতিদিন ৫ থেকে ৬টি বিষয় রিভিশন দেওয়া যেতে পারে। যেমনটা আগেই বলা হয়েছে, ভালো পরিকল্পনা এবং সময় বণ্টন করে নিতে হবে।

মনকে বিক্ষিপ্ত করা যাবে না

বোর্ড পরীক্ষা সামনে থাকলে দেখা যায়, তখন পড়াশোনার বাইরের প্রতিটি জিনিসই খুব আকর্ষণীয় মনে হয়। কারও খেলার দিকে খুব মন টানে, আবার কারও মোবাইল গেমসের দিকে, আবার কারও টিভি সিরিজ কিংবা মুভি দেখার দিকে মন টানে। এটা সাময়িক, পরীক্ষা শেষ হয়ে গেলে এমন আকর্ষণ আর থাকে না। ফলে দেখা যায়, এই সাময়িক মনকে বিক্ষিপ্ত করার সুযোগ দিলে তা বোর্ড পরীক্ষার ফলাফলে বড় ধরনের বিপর্যয় নিয়ে আসে। তাই যদি বোর্ড পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে চাও, তাহলে মনকে কোনো ধরনের বিক্ষিপ্ত হওয়ার সুযোগ দিলে হবে না। পড়াশোনা, খাওয়া, ঘুম, শরীরচর্চা—এই চারের বাইরে আর কোনো দিকে মন দেওয়ার সুযোগ দেওয়া যাবে না।

নিয়মিত যোগাযোগ রাখা

বোর্ড পরীক্ষার প্রস্তুতিকালীন নিয়মিত শিক্ষক এবং আরও যারা ভালো প্রস্তুতি নিচ্ছে, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হবে। আড্ডা দেওয়া কিংবা উদ্দেশ্যহীন যোগাযোগ নয়, বরং তোমার সুনির্দিষ্ট সমস্যা, প্রশ্ন নিয়ে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করবে। এমনকি পরিবারে যদি তেমন কেউ থাকেন, যাঁর সঙ্গে আলোচনা করলে পড়াশোনায় সাহায্য হয়, তাহলে নিয়মিত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলবে এবং সমস্যা সমাধান হয়ে গেলে আবার পড়ায় মনোনিবেশ করবে। দেখবে, আলোচনার দ্বারা প্রস্তুতির অগ্রগতি সম্পর্কে নিজের ভেতরে একটা ভালো ধারণা তৈরি হচ্ছে, এভাবে নিজের মধ্যে আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়, যা পরীক্ষার হলে বেশ দরকার।

স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনে অভ্যস্ত হও

পরীক্ষা সামনে রেখে শুধু পড়াশোনার ভেতরে থাকলে হবে না। তোমাকে পড়াশোনার পাশাপাশি পুষ্টিকর পরিমিত খাওয়া, পর্যাপ্ত ঘুম, হালকা শরীরচর্চা, ধর্মকর্ম—এগুলোর মধ্যে একটা সুন্দর সমন্বয় করে নিতে হবে। একটা স্বাস্থ্যকর শৃঙ্খলাবদ্ধ জীবনযাপনের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে এবং জীবনযাপনের এই শৃঙ্খলা যাতে নষ্ট না হয়, তাই যেসব জিনিস মনকে বিক্ষিপ্ত করে, সময়ের অপচয় ঘটায়, সেগুলোকে মন থেকে না বলতে হবে।

পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য বাসায় বা হলে এমন স্থান বেছে নিতে হবে যেখানে মনোযোগ ধরে রাখা সহজ হবে

পরীক্ষার আগে বাসায় মেহমানের উপস্থিতি কিংবা হলে অনুষ্ঠানের আয়োজনে পড়ার ব্যাঘাত ঘটা অস্বাভাবিক নয় বটে। তবে এ নিয়ে মাথা ঘামালে কেবল সময় অপচয়ই হবে, কাজের কাজ নয়। তাই পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য বাসায় বা হলে এমন স্থান বেছে নিতে হবে যেখানে মনোযোগ ধরে রাখা সহজ হবে। খেয়াল রাখতে হবে সেই স্থান যেন আবার আরামদায়ক না হয়। নয়তো পড়ার চিন্তা করতে করতে কখন যে ঘুমের সাগরে ডুবে গেছেন তা টেরই পারবেন না। এজন্য পড়ার স্থানে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা থাকা চাই। 

স্মার্ট ডিভাইস থেকে দূরে থাকুন

পুরো সিমেস্টার হেলায় নষ্ট করার পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান যার, তার থেকে নিজেকে এক রাতের জন্য ছুটি না নিতে পারলে পরীক্ষায় পাশ করার আশা ছাড়তে হবে। জ্বি, ঠিক ধরেছেন। মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, ট্যাবসহ সব ধরনের স্মার্ট ডিভাইস থেকে দূরে থাকতে হবে। পরীক্ষার উপকরণের সফট কপি পড়ার ছুতোয় সোশ্যাল মিডিয়ায় ঢুঁ মারার ধান্দা করলে ক্ষতি হবে কিন্তু আপনারই। তাই আগে থেকে ম্যাটারিয়ালের হার্ড কপি বের করে রাখুন। 

স্বাস্থ্যকর খাবার খান 

পড়ার সময় মন শান্ত রাখতে কিছুক্ষণ পরপর চকলেট, সফট ড্রিংক খেতে ভালোবাসেন অনেকে। সারারাত জেগে থাকার জন্য ঘন ঘন চা, কফিও পান করেন কেউ কেউ। এতে সাময়িক এনার্জি পেলেও পরে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে, তা জানেন কি? ভেবে দেখুন, রাত জেগে যে পড়াশোনা করলেন পরের দিন তা যদি শারীরিক দুর্বলতার জন্য খাতায় লিখতেই না পারেন তাহলে লাভ কী হবে? এর চেয়ে পুষ্টিকর শাকসবজি ও ফলমূল খাওয়া বুদ্ধিমানের কাজ হবে। কিছু ভিটামিন সমৃদ্ধ ফলমূল পরীক্ষার প্রস্তুতিতে বেশ উপকারীও বটে। যেমন, আপেল মনোযোগ বৃদ্ধি করে এবং ক্যাফেইনের কাজও করে। 

অ্যালার্ম সেট করুন

পড়তে বসার সময় ঘুমিয়ে পড়ার অভ্যাস থাকলে সামনে একটি এলার্ম ঘড়ি রাখুন। নির্দিষ্ট সময় পরপর এলার্ম সেট করে নিন। এ ছাড়া কোনো টপিকে কতক্ষণ সময় দেওয়া প্রয়োজন তা ভাগ করে নিতেও সহজ হবে। মনোযোগ ধরে রাখতে পোমোডোরো কৌশলের মতো ৫ মিনিটের ব্রেক নিয়ে নিয়ে দীর্ঘক্ষণ পড়া যেতে পারে। এ ছাড়া, মোবাইল ফোন থেকে দূরে রাখতে কিছু অ্যালার্ম অ্যাপও বেশ ভালো কাজ করে। 

প্রস্তুতি শুরু করুন 

পড়তে বসার আগে সব বইখাতা, ম্যাটারিয়াল, কলম, হাইলাইটার এবং ফ্ল্যাশকার্ড সব গুছিয়ে নিন। যেসব প্রশ্ন পূর্ববর্তী পরীক্ষায় একাধিকবার এসেছে সেগুলো আলাদা করে ফেলুন। সেসব বিষয়ে ভিন্ন কোনো প্রেক্ষাপটে প্রশ্ন আসতে পারে তা ভাবুন। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো হাইলাইট করুন। একসঙ্গে সব মুখস্ত করতে যাবেন না। সময় কম থাকায় কি-ওয়ার্ড দিয়ে পয়েন্ট মনে রাখার চেষ্টা করুন।

মূল ধারণায় ফোকাস করুন এবং প্রয়োজনীয় সূত্র মুখস্ত করুন

মূল ধারণায় ফোকাস করুন এবং প্রয়োজনীয় সূত্র মুখস্ত করুন। আপাতত বিশদ বিবরণ পড়া থেকে বিরত থাকুন। সব বিষয়ে ধারণা নেওয়ার পর সময় পেলে বিস্তারিত পড়ুন। এক রাতে সব পড়ার বৃথা চেষ্টা করবেন না। ক্লাসে শিক্ষক যেসব বিষয়ে জোর দিয়েছেন সেগুলো আগে পড়ুন। তারপর বিকল্প বিষয়গুলোতে চোখ বুলান। গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ফ্ল্যাশকার্ডে নোট করুন। বিভিন্ন অধ্যায় ও বিষয়ের জন্য আলাদা রঙের ব্যবহারে সহজ ও জটিল বিষয়গুলো মনে রাখা সহজ হবে। লেখা শেষে জোরে জোরে পড়ুন। অধ্যায়ের শেষে প্রশ্ন থাকলে তা সমাধান করতে ভুলবেন না যেন। 

বিশ্রাম নিন

পড়া শেষে পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় কলম, প্রবেশপত্র, স্কেল, পানির বোতল সবকিছু গুছিয়ে রাখতে হবে। মনে রাখবেন, পরীক্ষায় ভালো করার জন্য তথ্য মনে রাখা ভীষণ জরুরি। এজন্য মানসিক চাপ কমাতে বাইরে কিছুক্ষণ হাঁটার পর ঘুমাতে গেলে উপকার হবে। একেবারে না ঘুমিয়ে পরীক্ষা দিতে যাওয়া উচিত নয়। ঘুমানোর আগে নির্দিষ্ট সময়ে উঠতে এলার্ম সেট করতে হবে। পরীক্ষা দিতে যাওয়ার আগে অল্প হলেও খেয়ে যেতে হবে।

পরীক্ষা দিতে যান

হলে যাওয়ার আগে ফ্ল্যাশকার্ড, নোট আবার পড়ুন। কোনো ক্ষেত্রে দ্বিধা থাকলে বন্ধুদের জিজ্ঞেস করুন। পরীক্ষা শুরুর আগে সব চিন্তা ভুলে যান। মাথা ঠান্ডা রেখে সব প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করুন। প্রস্তুতি ভালো হলে পরীক্ষাও ভালো হবে। মনে রাখবেন, এক রাতে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে কখনো সেরা ফলাফল করা সম্ভব হয় না। তাই যারা এ নিয়ে উৎসাহ দেবেন তারা আপনার ভালোর অংশীদার হওয়ার যোগ্যতা রাখেন না। তাই আগে থেকে পড়া শুরু করুন, মানসিক দুশ্চিন্তা থেকে দূরে থাকুন। কয়েকটি টিপস মেনে চললে আপনার প্রস্তুতিটি আরও সহজ ও পরিপূর্ণ হয়ে ‍উঠবে।

ভুল থেকে শেখা

ভুল করে শেখা জিনিস অনেকদিন মনে থাকে। তাই ‘কোথায় ভুল হচ্ছে? কেন ভুল হচ্ছে? কী বুঝতে পারছিনা?’ এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজে বের করতে হবে। এগুলো সমাধান করলেই পরীক্ষায় ভালো করার হার অনেক গুণ বেড়ে যাবে।

গ্রুপ স্টাডি করা

ভালো ফলাফল করার জন্য গ্রুপ স্টাডি খুব গুরুত্বপূর্ণ। কোন বিষয় একসাথে গ্রুপ করে পড়লে সেই বিষয়ের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে ধারণা স্পষ্ট হয়। এতে করে পড়াগুলো আয়ত্ত করা যেমন সহজ হয়, তেমনি আলোচনার মাধ্যমে জটিল বিষয়গুলো সম্পর্কে বিশদ ধারণা লাভ করা যায়। গ্রুপ স্টাডি করার ফলে শেখার প্রতি আগ্রহও বাড়ে।

ক্লাস লেকচার ফলো করা

ক্লাসে নিয়মিত উপস্থিত হতে হবে ও মনোযোগ দিয়ে লেকচার শুনতে হবে। কেননা পরীক্ষায় কি আসবে বা কি আসতে পারে তা নিয়ে শিক্ষকরা ক্লাসেই কিছু না কিছু ধারণা দিয়ে থাকেন। এছাড়া কঠিন বিষয়গুলো ক্লাসেই শিক্ষকের কাছ থেকে বুঝে নিলে তা অনেকদিন পর্যন্ত মনে থাকে। তাই নিয়মিত ক্লাস লেকচার ফলো করলে পরীক্ষার প্রস্তুতি নেয়া সহজ হয়।

রুটিন বানিয়ে পড়া

সঠিক প্রস্তুতির জন্য প্রয়োজন সঠিক সময় নির্দেশনা। তাই রুটিন করে পড়া অত্যন্ত জরুরি্। প্রতিটি বিষয়ের জন্য পর্যাপ্ত সময় ভাগ করে নিয়ে একটি টাইম রুটিন তৈরি করে ফেলুন। এতে করে সকল বিষয় যেমন সমান গুরুত্ব দেয়া যায় তেমনি পড়াটাও সহজতর হয়।

অতিরিক্ত রাত জাগা পরিহার করা

পরীক্ষার সময় অনেকেরই রাত জেগে পড়ার অভ্যাস রয়েছে। কিন্তু এটা একদমই করা উচিত নয়। মস্তিষ্কে স্মৃতি তৈরীর কাজটি ঘুমের মধ্যে হয়। পরীক্ষার আগের রাতের ঘুম তাই অত্যন্ত জরুরী। লরেন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, অতিরিক্ত রাত জাগা মস্তিষ্কের ক্ষতিসাধন করে। নর্থ টেক্সাসের আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে অতিরিক্ত রাত জাগা চোখের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। তাই পরীক্ষার সময় রাত জাগা পরিহার করুন। তার চাইতে রাতে আগে ঘুমিয়ে সকালে উঠে পড়ার অভ্যাস করতে পারেন।

কঠিন পড়া গুলো ঘুমানোর আগে পড়ার চেষ্টা করা

বিশেষজ্ঞদের মতে, অপেক্ষাকৃত কঠিন এবং বর্ণনামূলক পড়া ঘুমানোর আগে পড়া উচিত। এতে করে পড়াটি মস্তিষ্কে দীর্ঘস্থায়ী হয় এবং ঘুম থেকে উঠার পর পড়াটি মনে করা সহজতর হয়।

পরীক্ষার আগের রাতের জন্য পড়া জমিয়ে না রাখা

সকল পড়া পরীক্ষার আগের রাতের জন্য জমিয়ে না রেখে প্রতিদিন অল্প অল্প পড়ুন। পরীক্ষার আগের রাতে সকল পড়া একসাথে পড়তে গেলে মানসিক চাপ বাড়বে যা পরীক্ষায় বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। তাই পরীক্ষার আগের রাতের প্রস্ততি হিসেবে নতুন কিছু না পড়ে আগে যা পড়া হয়েছে তাই রিভাইস করুন।

পুষ্টিকর এবং স্বাস্থ্যসম্মত খাবার গ্রহণ করা

খাবারের সাথে মস্তিষ্কের ক্রিয়াক্ষমতার সম্পর্ক রয়েছে। চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের মতে পরীক্ষার সময় চর্বিহীন এবং আঁশযুক্ত খাবার গ্রহণ করা উচিত। কারন এসব খাবার মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

নিজেকে যাচাই করা

পরীক্ষার পূর্বে নিজেই নিজের ছোটখাট টেস্ট নিয়ে নিন। নিজেই তাতে মার্কিং করুন। এতে করে পড়া ভালোমতো হয়েছে কিনা তা যেমন বুঝা যায় তেমনি আত্মবিশ্বাসও বাড়ে। এই আত্মবিশ্বাস পড়া মনে রাখতে ও পরীক্ষায় ভালো করতে সাহায্য করে।

নিজের উপর আস্থা রাখা

হচ্ছে না, হবে না এ সমস্ত ধারণা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলুন। নিজের উপর আস্থা রেখে সামনে এগিয়ে যান। বারবার অনুশীলন করুন। পরীক্ষার উত্তরপত্রেও আত্মবিশ্বাসের সাথে প্রশ্নের উত্তর লিখুন। পরীক্ষায় সফল হওয়ার উপায় হিসেবে এটিই ছিল আমাদের সর্বশেষ বার্তা।

পরীক্ষার খাতায় লেখার নিয়ম

পরীক্ষায় ভালো নম্বর পাওয়া আমাদের দেশের শিক্ষার্থীদের কাছে চরম আরাধ্য। এক্ষেত্রে যে কোনো বিষয়ের উপর ভালো কনসেপ্ট থাকার সাথে সাথে খাতায় কিভাবে উত্তর উপস্থাপন করলে নম্বর ভালো আসে তা জানা থাকাটাও জরুরি। আজকের লেখাটি থাকছে মূলত পরীক্ষার খাতায় লেখার নিয়ম নিয়েই। লেখাটি পড়ে যেকোনো প্রতিযোগিয়ামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতিতে ব্যস্ত শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় ভালো নম্বর পাওয়ার উপায় গুলো জেনে উপকৃত হবে আশা করি।

আগে দর্শনধারী পরে গুণবিচারী

পরীক্ষার খাতায় লেখার নিয়ম হিসেবে প্রথমেই থাকছে হাতের লেখা। হাতের লেখা ভালো হতে হবে এমন কোন কথা নেই। তবে হাতের লেখা পরিষ্কার হতে হবে। বাংলায় একটি প্রবাদ আছে, “আগে দর্শনধারী পরে গুণবিচারী” অর্থাৎ প্রথমে দর্শনে ভালো হতে হবে পরে গুণের বিচার করা হবে। আর তাই পরীক্ষার খাতায় হাতের লেখা ভালো হলে পরীক্ষকের একটা আলাদা আকর্ষণ তৈরি হয়। সর্বোপরি, সুন্দর ও স্পষ্ট হাতের লেখা পরীক্ষার্থীর সম্পর্কে একটা ইতিবাচক ধারণা তৈরী করে যার প্রভাব সম্পূর্ণ খাতার উপরেই পড়ে।

কাটা-ছেঁড়া কম করার চেষ্টা করবে, কাটা গেলে একটান দিয়ে কাটবে।একটি উদাহরণ থেকে বিষয়টি সহজেই উপলব্ধি করা যায়। যেমন -পাঁচ নম্বরের একটি প্রশ্নের একই উত্তর করে, একটি খারাপ হাতের লেখার উত্তরপত্রের চেয়ে একটি সুন্দর হাতের লেখার উত্তরপত্রের নম্বর যদি আধা নম্বরও বেড়ে যায়, তবে পঞ্চাশ পূর্ণমানের একটি পরীক্ষায় উভয় উত্তরপত্রের নম্বরের ব্যবধান হয় পাঁচ। অর্থাৎ একই উত্তর করে খারাপ হাতের লেখার উত্তরপত্র ৩৫ পেলে ভালো হাতের লেখার উত্তরপত্র পায় ৪০। এ থেকে প্রমাণিত হয় যে, ভালো হাতের লেখা এ প্লাস পাওয়া না পাওয়ায় ভূমিকা রাখতে পারে!

প্যারা করে লেখা

উত্তরপত্রে লেখা উপস্থাপনের ক্ষেত্রে আরেকটি দিক খেয়াল রেখে উত্তর করা যেতে পারে, তা হল প্যারা করে লেখা। প্যারা করে লিখলে একই সাথে তোমার উপস্থাপিত তথ্য ভালোভাবে শিক্ষকের চোখে পড়ে এবং তোমার উপস্থাপিত তথ্যও সুস্পষ্টভাবে দৃষ্টিগোচর হয়। উত্তর লেখার সময় পয়েন্ট সহকারে প্যারা করে লিখতে হবে আর খেয়াল রাখতে হবে উভয় প্যারার মাঝে দূরত্ব লাইনের মধ্যবর্তী দূরত্বের দ্বিগুণ হবে।

পরীক্ষার খাতায় নানা রঙের কলম ও কালি ব্যবহার

পরীক্ষার খাতায় লেখার স্টাইল করতে অনেকেই পরীক্ষার খাতায় নানা রঙের কলম ও কালি ব্যবহার করে থাকে। এতে সময় যেমন নষ্ট হয় তেমনি খাতার উপস্থাপনার সৌন্দর্যও নষ্ট হয়। তাই তোমরা এমনটি করবে না। খাতা মার্জিন করার নিয়ম হলো একটি ভালো মানের পেন্সিল দিয়ে মার্জিন করা। বিশেষ পয়েন্ট চিহ্নিত করার জন্য পরীক্ষার খাতায় নীল কালির কলম অথবা মার্জিনের পেন্সিলটিও ব্যবহার করতে পারো। নানা রকম অতিরঞ্জিত কালি ব্যবহার করলে খাতার সৌন্দর্য নষ্ট হবে এবং তা নম্বর পাওয়াতেও প্রভাব ফেলতে পারে। লেখার সময় উপরে ও বামপাশে এক স্কেল এবং নিচে ও ডানপাশে হাফ স্কেল জায়গা ফাঁকা রাখবে।

প্রশ্নপত্র ভালোভাবে পড়া

পরীক্ষার সময় ধৈর্য সহকারে প্রশ্নের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে ফেলো। অনেক শিক্ষার্থীরই অভ্যাস পুরো প্রশ্ন না পড়েই উত্তর করা শুরু করা। সময় বেশি লাগলেও ধৈর্য সহকারে কাজ কর। প্রশ্নে যে রকম চেয়েছে তাই বুঝিয়ে লেখার চেষ্টা করো। উত্তর উপস্থাপনের সময় প্রশ্নের সাথে প্রসাঙ্গিক উত্তর করার চেষ্টা করো। অযথাই এক কথা বারবার লিখে উত্তর অপ্রাসঙ্গিক করলেও নাম্বার তেমন আসে না! তাই খেয়াল রাখো প্রশ্নে কী চেয়েছে। পরীক্ষার হলে প্রশ্ন দেখে ঘাবড়ে যাওয়া যাবে না।

কখনো কিছু ছেড়ে আসবে না

পরীক্ষায় খালি খাতা দিয়ে জমা দিয়ে আসার চাইতে কিছু লিখে আসা অনেক অনেক ভালো। হারাবার তো কিছু নেই, তাই না? খালি খাতা দিলে নিশ্চিত 0 পাবে। তার চাইতে কিছু তো লিখে আসতে পারো। মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস বলেছেন:

 নিশ্চিত প্রশ্ন সবার আগে

যেটা পারো, সেটা আগে উত্তর করো। জটিল কাজ আগে করে লাভ নাই। যে উত্তর ভালোভাবে পারো না সেটা নিয়ে অযথা সময় নষ্ট করবে না।

গাদা গাদা লুজ শিট নেয়ার প্রতিযোগিতা

অনেকেরই ধারণা থাকে পরীক্ষায় অনেক লুজ শিট নিয়ে খাতা ভারি হলেই তা বেশি নম্বর প্রাপ্তিতে সহায়তা করবে। এই চিন্তা বাদ দাও। আরবি পরীক্ষা বা বাংলা পরীক্ষায় অনেক সময়ে পরীক্ষকেরা খাতার পৃষ্ঠা গুনে নম্বর দেন। কিন্তু সেগুলো বাদে বাকি পরীক্ষায় অতিরিক্ত ইনিয়ে বিনিয়ে লিখে পাতার পর পাতা ভরাবার মানে নাই। মনে রাখবে, “Don’t work hard, work smart.”

 সময় মেপে কাজ করা

৭টা প্রশ্নের জন্য ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট সময় থাকলে সময় থাকলে অবশ্যই ঘড়ি ধরে প্রশ্নপিছু ২০-২২ মিনিট ধরে লিখবে। চেষ্টা করবে পরীক্ষার হলে ডিজিটাল ঘড়ি ব্যবহার করতে, যাতে নিখুঁতভাবে সময়ের হিসাব থাকে। পরীক্ষা শেষে কোনটা ঠিক হলো, কোনটা ভুল হলো তার হিসাব করা একেবারেই বাদ দাও। তোমার বন্ধুর ১০টা হলে তোমার যদি হয় ৪টা হয়, সেটা জেনে কী করবে? সেটা জানার চাইতে না জানাই ভালো। তাই পরীক্ষা শেষে প্রশ্নটাকে নির্বাসনে পাঠাও। প্রশ্ন নিয়ে চিবিয়ে খেলেও যা লিখে এসেছো তা তো আর পাল্টাবে না, তাই না?

আত্মবিশ্বাস

পরীক্ষার হলে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টি তা হল আত্মবিশ্বাস। পরীক্ষার আগে তুমি যা যা পড়েছো তা সঠিকভাবে খাতায় উপস্থাপন করে আসাটাই মাথায় রাখবে শুধু। আর কিছু নয়! যা শিখে গেলে তা যদি অতিরিক্ত টেনশনে ভুলে গিয়ে লিখে দিয়ে আসতে না পারো তাহলে লাভ নেই। পড়াশোনা আর পরীক্ষা শব্দ দুটি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। একটিকে ছাড়িয়ে আরেকটি কল্পনা করা যায় না। পরীক্ষার হলে প্রশ্ন দেখে ঘাবড়ে যাওয়া যাবে না। আত্মবিশ্বাস রাখতে হবে।

পরীক্ষা ছাড়া যেমন কি পড়াশোনা করলে তা মূল্যায়ন করা যায় না তেমনি পড়াশোনা না করলে পরীক্ষাতেও তুমি যথাযথ মূল্যায়ন পাবেনা। তোমার পড়াশোনার পরিমাণের উপর নির্ভর করবে তোমার পরবর্তী কর্ম জীবনের সফলতা। আর পরীক্ষার হলে একটু সচেতন থাকলে আর যা কিছু পড়েছো তা ভালোভাবে পরীক্ষার খাতায় লিখে আসতে পারলে আশানুরূপ ফলাফল পাবে আশা করা যায়। আর একটি কথা মনে রাখবে,

পরীক্ষা ভীতি দূর করার উপায়

বর্তমান প্রজন্মের নাম যদি দেওয়া হয় “The Eleventh Hour Generation”, আশা করি খুব একটা ভুল হবে না। তাদেরকে সময় যতই দেওয়া হোক না কেন, তারা সবকিছু করতে বসবে সেই শেষ মুহূর্তে। পড়াশোনা অর্থাৎ পরীক্ষার প্রস্তুতিও তার ব্যতিক্রম নয়।

“কালকে পড়বো এখনো তো অনেক দিন বাকি……………”

এই কালকে পড়বো-র পুনরাবৃত্তি করতে করতে পরীক্ষা দ্বারপ্রান্তে দণ্ডায়মান। অথচ সিলেবাসের কিছুই পড়ার সুযোগ মেলেনি। এই সমস্যা আমাদের সবার বেশ পরিচিত এক সমস্যা। অথচ সময়ের পড়াগুলোকে যদি সময়েই শেষ করে ফেলা হতো তবে কিন্তু এই বিদঘুটে বিড়ম্বনায় পড়তে হয় না। অনেক উপদেশ হলো। যেটা হবার সেটা যেহেতু হয়েই গেছে, এবার অল্প যেটুকু সময় বাকি সে সময়টাকে কাজে লাগাতে পারলেও কিন্তু বিপদ অনেকাংশে কেটে যাবে।

ছাত্রজীবনে এই “কালকে পড়বো……” – এর চক্করে ফেঁসে গিয়ে একদম শেষ মুহূর্তে এসে কান্নাকাটি আমিও করেছি। কিন্তু কান্নাকাটি করে লাভ যে খুব একটা হবে, তা কিন্তু নয়। বরং এতেও সেই সময়ই নষ্ট হবে। পরীক্ষা একদম দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে, এমতাবস্থায় প্রস্তুতি নেওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি যেটা প্রয়োজন সেটা হলো মাথা ঠান্ডা রেখে কুশলী হয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া।


তথ্যসুত্র


সাফল্যের পথে, Jugantor.

পড়তে বসার আগেই, Prothomalo.

পরীক্ষার আগে বাসায় , The Daily Star.

পরীক্ষার খাতায় হুবহু, 10minuteschool.

Subscribe for Daily Newsletter