মূত্রথলির ক্যান্সার (Prostate Cancer)

প্রতিবছর বিশ্বজুড়ে প্রায় আড়াইলাখ মানুষ নতুন করে প্রোস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়। তার মধ্যে ৩০ হাজারের মতো মৃত্যু ঘটে। প্রোষ্টেট গ্ল্যান্ডের কোষ যখন ফুলে উঠে এবং তা ম্যালিগন্যান্ট কোষে রূপ নেয়, তখন ক্যান্সারে পরিবর্তিত হয়। তবে প্রোষ্টেট গ্ল্যান্ড বড় হওয়া মানেই যে ক্যান্সার, তা কিন্তু নয়।প্রোষ্টেট হলো শ্রোনীচক্রের ভেতরের একটি ছোট গ্রন্থি যা একমাত্র পুরুষেরই থাকে। আখরোট আকারের এ গ্রন্থিটি পুরুষাঙ্গ ও মূত্রাশয়ের মধ্যে অবস্থান করে। এটি মুত্রানালী ঘিরে থাকে। প্রোষ্টেট বীর্য উৎপাদনে সাহায্য করে।
পঞ্চাশ পেরুনো পুরুষদের মধ্যে প্রোস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি বেশি। প্রোস্টেট ক্যান্সার নির্ধারণের মূল হাতিয়ার হল, পিএসএ টেস্ট বা প্রোস্টেট স্পেসিফিক অ্যান্টিজেন টেস্ট। এই রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে প্রোস্টেট ক্যান্সার নির্ধারণ করা হয়। রক্তে পিএসএ-র মাত্রা সাধারণত ১ থেকে ৪-এর মধ্যেই থাকে। তবে কারো রক্তে পিএসএ-র মাত্রা ৪-এর বেশি হওয়া মানেই যে তিনি প্রোস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত, তা ধরে নেওয়ার কোনো কারণ নেই। এরই সঙ্গে ডিজিটাল রেক্টাল টেস্ট করাতে হবে। এই টেস্টে প্রোস্টেট কোনো রকম স্ফীতি বা ফোলাভাব লক্ষ্য করলে বায়োপসি করানো জরুরি। তবেই প্রোস্টেট ক্যান্সারের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
পুরুষের একটি বিশেষ ধরনের ক্যানসার হলো প্রোস্টেট ক্যানসার। পুরুষের প্রোস্টেটগ্রন্থি এতে আক্রান্ত হয়। সাধারণত ৫০-ঊর্ধ্ব পুরুষের মধ্যে এই ক্যানসারের ঝুঁকি বেশি।প্রোস্টেটগ্রন্থির আকার অনেকটা কাজুবাদামের মতো। মূত্রথলির নিচ থেকে যেখানে মূত্রনালি বের হয়েছে, সেটির চারপাশজুড়ে এই গ্রন্থি বিদ্যমান। এর মধ্য দিয়েই মূত্র ও বীর্য প্রবাহিত হয়। এই গ্রন্থির মূল কাজ হচ্ছে বীর্যের জন্য কিছুটা তরল পদার্থ তৈরি করা। যৌনকর্মের সময় যে বীর্য স্খলিত হয়, সেটি আসলে শুক্রাণু ও এই তরল পদার্থের মিশ্রণ।
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রোস্টেটগ্রন্থির মধ্যে কোষগুলো অনিয়ন্ত্রিতভাবে বাড়তে শুরু করে। তবে প্রোস্টেট বৃদ্ধি মানেই ক্যানসার নয়। বেশির ভাগ হলো বিনাইন প্রোস্টেট এনলার্জমেন্ট, মানে এগুলো ক্যানসারে রূপান্তরিত নয়। প্রোস্টেট ক্যানসারের সুনির্দিষ্ট কারণ নির্ণয় করা এখনো সম্ভব হয়নি।সারাবিশ্বে ফুসফুসের ক্যান্সারের পর প্রস্টেট ক্যান্সারেই সবচেয়ে বেশি পুরুষের মৃত্যু হয়। তবে প্রাথমিক পর্যায়ে এই ক্যান্সার শনাক্ত করা সম্ভব হলে এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যালাবামা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. সোরোস রাইস বাহরামি জানান, ৫০ বছরের বেশি বয়সী পুরুষদের প্রস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি বেশি।তিনি বলেন, এই ক্যান্সার নির্ধারণের মূল হাতিয়ার হলো, পিএসএ টেস্ট বা প্রস্টেট স্পেসিফিক অ্যান্টিজেন টেস্ট। এই রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে প্রস্টেট ক্যান্সার নির্ধারণ করা হয়।অধ্যাপক বাহরামি জানান, রক্তে পিএসএর মাত্রা সাধারণত ১ থেকে ৪-এর মধ্যেই থাকে। তবে কারও রক্তে পিএসএর মাত্রা ৪-এর বেশি হওয়া মানেই যে তিনি প্রস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত।তিনি বলেন, আর এর সঙ্গে ডিজিটাল রেক্টাল টেস্ট করাতে হবে। এই টেস্টে প্রস্টেটে কোনো রকম স্ফীতি বা ফোলা ভাব লক্ষ্য করলে বায়োপসি করানো জরুরি। তবেই প্রস্টেট ক্যান্সারের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
প্রোস্টেট কি ?
শুধুমাত্র পুরুষদেরই প্রস্টেট গ্রন্থি রয়েছে। এর আকার অনেকটা কাজুবাদামের সমান। মুত্রথলির নিচ থেকে যেখানে মুত্রনালী বের হয়েছে সেটির চারপাশ জুড়ে এই গ্রন্থিটি বিদ্যমান। এর মধ্য দিয়েই মূত্র এবং বীর্য প্রবাহিত হয়। এই গ্রন্থির মূল কাজ হচ্ছে বীর্যের জন্য কিছুটা তরল পদার্থ তৈরি করা। যৌনকর্মের সময় যে বীর্য স্খলিত হয় সেটি আসলে শুক্রাণু এবং এই তরল পদার্থের মিশ্রণ।
প্রোস্টেট ক্যান্সারের কারণ
পুরুষদের মধ্যে প্রস্টেট ক্যান্সার খুবই সাধারন। প্রস্টেট গ্রন্থির মধ্যে কোষগুলো যখন অনিয়ন্ত্রিতভাবে বাড়তে শুরু করে তখনই ক্যান্সার হতে পারে। সাধারণত ৫০ বছরের পর পুরুষদের প্রস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। এর চাইতে কম বয়সেও প্রস্টেট ক্যান্সার হতে পারে, কিন্তু সেটা সচরাচর দেখা যায় না। বয়স যতো বাড়তে থাকে, প্রস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি ততোই বেড়ে যায়। পরিবারের কারো যদি (ভাই কিংবা বাবার) প্রস্টেট ক্যান্সার থাকে তাহলেও ঝুঁকির সম্ভাবনা বেড়ে যায় অনেকখানি।
কীভাবে বুঝবেন
ক্যানসার পরীক্ষার জন্য সব উপসর্গের জন্য অপেক্ষা করার প্রয়োজন নেই। কারণ, বেশির ভাগ সময়েই প্রোস্টেট ক্যানসারের প্রাথমিক পর্যায়ে কোনো লক্ষণ দেখা যায় না। প্রোস্টেট খুব ছোট একটা অঙ্গ হওয়ায় খুব বড় কোনো সমস্যা পরিলক্ষিত হয় না। কোনো কারণে যদি প্রোস্টেট বড় হয়ে যায়, তাহলে মূত্রনালির মুখ সংকুচিত হয়ে আসে। ফলে মূত্র বের হতে সমস্যা হয়।
প্রোস্টেটের সাধারণত তিন ধরনের সমস্যা
সাধারণ প্রসারণ (বিইপি), প্রোস্টেটের প্রদাহ (প্রোস্টাইটিস) ও প্রোস্টেট ক্যানসার। সব কটির ক্ষেত্রে সাধারণত একই লক্ষণ দেখা যায়।
এই রোগের প্রাথমিক লক্ষণগুলি সম্পর্কে সতর্ক থাকা আবশ্যিক।
চিকিৎসকদের মতে, বয়স ৫০ পেরলে এই অসুখের আশঙ্কা বাড়ে। ‘পিএসএ টেস্ট’ বা ‘প্রস্টেট স্পেসিফিক অ্যান্টিজেন টেস্ট’ করে এই রোগ নির্ণয় করা হয়। সাধারণত রক্তে ‘পিএসএ’-র মাত্রা ১ থেকে ৪-এর মধ্যেই থাকে। অনেক সময় পরীক্ষা করে দেখা যায় কারও কারও রক্তে ‘পিএসএ’-র মাত্রা ৪-এর বেশি রয়েছে। এই মাত্রা ৪ ছাড়ালেই অসুখ বাসা বেঁধেছে ধরে নেওয়ার কোনও কারণ নেই। বরং নিশ্চিত হতে ‘ডিজিটাল রেক্টাল টেস্ট’ করাতে হয়। তাতে যদি কোনও রকম স্ফীতি লক্ষ করা যায়, তা হলে বায়োপসি করানো হয়। সময় মতো চিহ্নিত করা গেলে ৯৬ শতাংশর ক্ষেত্রেই বাঁচানো যায় রোগীর প্রাণ। তাই এই রোগের প্রাথমিক লক্ষণগুলি সম্পর্কে সতর্ক থাকা আবশ্যিক।
প্রস্রাব নিয়ন্ত্রণে সমস্যা
প্রস্রাব ধরে রাখতে না পারা কিংবা প্রস্রাব পেলে ঠিক ভাবে মূত্রত্যাগ করতে না পারা এই রোগের অন্যতম প্রাথমিক লক্ষণ। পাশাপাশি, এই রোগে বড় হয়ে যেতে পারে মূত্রস্থলীর প্রস্টেট গ্রন্থির আয়তনও।
বার বার মূত্র ত্যাগের প্রবণতা
বার বার প্রস্রাব পাওয়া প্রস্টেট ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে। বিশেষত, রাতের দিকে বার বার মূত্রত্যাগের প্রবণতা দেখা যায় আক্রান্তের। প্রস্রাব ত্যাগের প্রবণতায় যে কোনও রকম পরিবর্তন এলেই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।
মূত্রত্যাগের সময়ে ব্যথা
মূত্রত্যাগের সময়ে ব্যথা হওয়া মোটেই ভাল লক্ষণ নয়। মূত্রত্যাগের সময়ে ব্যথা বা জ্বালা হওয়া একাধিক রোগের লক্ষণ হতে পারে। প্রস্টেট ক্যানসারও তার ব্যতিক্রম নয়।
রক্ত
মূত্রের সঙ্গে রক্তপাত হওয়াকে বিজ্ঞানের ভাষায় বলে ‘হিমাচুরিয়া’। মূত্রের সঙ্গে রক্তপাত হলে বা মূত্রের রং লাল, গোলাপি কিংবা গাঢ় বাদামি হয়ে গেলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।
পিঠ ও কোমরে যন্ত্রণা
কোমরের নীচের দিকে একাধিক কারণে ব্যথা হতে পারে। তাই এই সমস্যা অবজ্ঞা করার প্রবণতা বিরল নয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, পিঠের নীচের দিক, কোমর, নিতম্ব, কুচকি ও থাইয়ের ব্যথা প্রস্টেট ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে। বিশেষত, বয়স্কদের ক্ষেত্রে এই উপসর্গটি অনেক বেশি দেখা যায়।
আসুন জেনে নিই যেসব লক্ষণে বুঝবেন প্রস্টেট ক্যান্সার-
প্রস্রাবে সমস্যা হলেও মূত্রত্যাগের গতি কমে যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া জরুরি। তবে এ ধরনের সমস্যা মূত্রনালির সংক্রমণের কারণেও হতে পারে। প্রস্রাবের রঙ গাঢ় হলে মূত্রত্যাগের সময় তলপেটে ব্যথা হতে পারে। এটি প্রস্টেট ক্যান্সারের অন্যতম একটি লক্ষণ। প্রস্রাবের সময় যদি প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত বের হওয়া ও কোনো রকম ব্যথা বা জ্বালা বোধ করলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। হাড়ে ব্যথা হলে। বিশেষ করে মেরুদণ্ডে বা কোমরে ব্যথা হলে তা প্রোস্টেট ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে। বীর্যের সঙ্গে রক্ত, তলপেটে অসহ্য যন্ত্রণা, প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যাওয়া ইত্যাদি প্রোস্টেট ক্যান্সারের লক্ষণ।
প্রোস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। এগুলোকে বিপদের কারণ হিসেবে মনে করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে-
বয়স যত বেশি প্রোস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি তত বেশি। প্রোস্টেট ক্যান্সারের পারিবারিক ইতিহাস৷ প্রোস্টেট ক্যান্সারের কিছু জেনেটিক কারণও আজকাল আলোচিত হচ্ছে। প্রোস্টেট গ্রন্থির প্রদাহ ও এ রোগের যথাযথ চিকিৎসা না করা। খাদ্যতালিকায় অতিরিক্ত চর্বি ও আমিষ খাবারের সংযোজন। সিগারেট, তামাক সেবন। পুরুষ হরমোন (টেস্টোস্টেরনের) উপস্থিতি প্রোস্টেট ক্যান্সার দ্রুত বৃদ্ধি ও বিস্তারে সাহায্য করে থাকে।
প্রোস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধ
প্রোস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধের কোন সুনির্দিষ্ট উপায় নেই। কিছু ঝুঁকির কারণ যেমন জাতি, জেনেটিক মিউটেশন আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। কিন্তু কিছু কারণ প্রোস্টেট ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি কমাতে পারে। আপনি যদি ক্যান্সারে আক্রান্ত হন তাহলে এই বিষয়গুলো অনুসরণ করলেও আপনার উপকার হবে। ফল এবং সবজি পূর্ণ একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্য নির্বাচন করুন। পরিপূরকগুলির চেয়ে স্বাস্থ্যকর খাবার বেছে নেওয়া। স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা এবং নিয়মিত ব্যায়াম করা। প্রোস্টেট ক্যান্সারের উচ্চ ঝুঁকিযুক্ত পুরুষরা তাদের ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করার পরে 5- আলফা-রিডাক্টেস ইনহিবিটর নিতে পারেন।
কাদের ঝুঁকি বেশি
যখন প্রস্টেটের কোষের ডিএনএ-তে বদল ঘটে তখনই ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে। অস্বাভাবিক কোষগুলি একটি টিউমার তৈরি করে যা কাছাকাছি টিস্যুতে ছড়িয়ে পড়ে এবং আক্রমণ করে। কেন এমন হয় এর কারণ পুরোপুরি জানা না গেলেও কাদের প্রস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি বেশি, তা জানার কয়েকটি লক্ষণ রয়েছে। এর মধ্যে বার্ধক্য, ক্যানসারের পারিবারিক ইতিহাস এবং স্থূলতা অন্যতম। অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রাও এ ক্ষেত্রে অনেকটা দায়ী। ফল এবং শাকসবজি সমৃদ্ধ খাবার, নিয়মিত ব্যায়াম এবং ওজন কম রাখতে পারলে প্রস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি কমে।
ভুঁড়িওয়ালা পুরুষের প্রস্টেট ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা বেশি
ভুঁড়িওয়ালা পুরুষদের প্রস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এমনই তথ্য জানিয়েছে নতুন এক গবেষণা। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংখ্যা স্বাস্থ্য বিভাগের নফিল্ড বিভাগের গবেষক দল এই তথ্য জানিয়েছে। তারাযুক্তরাজ্যের প্রায় দুই লাখ পুরুষকে নিয়ে করা একটি গবেষণায পরিচালনা করেছেন। এতে দেখা গেছে, যাদের বিএমআই (বডি মাস ইনডেক্স) বেশি বা অতিরিক্ত ওজনে ভুগছেন প্রস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি তাদেরই বেশি।
যুক্তরাজ্যের বায়োব্যাংক পরিচালিত এই গবেষণায় অংশ নেয় ২ লাখ ১৮ হাজার ২২৫ জন পুরুষ। যাদের বয়সি ছিল ৪০ থেকে ৬৯ বছরের মধ্যে। ২০০৬ সালে শুরু হওয়া এই গবেষণাটি চলে ২০১০ সাল পর্যন্ত। এই সময়কালের মধ্যেই গবেষণায় অংশ নেয়া ৫৭১ জন পুরুষ প্রস্টেট ক্যান্সারে মারা যায়।গবেষকরা বিশ্লেষণ করে দেখেন, যেসব পুরুষের কোমরের মাপ ৪০ ইঞ্চি আবার নিতম্বের অনুপাতে পেট উঁচু হয় তাদের প্রোস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। অপরদিকে যাদের কোমরের মাপ ৩৫ ইঞ্চি তাদের প্রস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কম ৪০ ইঞ্চির চেয়ে।
প্রোস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি এবং অ্যাডিপোসিটির ব্যবস্থা- শরীরের চর্বি পরিমাণের মধ্যে একটি সংযোগ অনুমান করার সময় চিকিত্সার ইতিহাস এবং আর্থ-সামাজিক এবং জীবনধারা বিষয়গুলি বিবেচনা করা হয়েছিল।গবেষণার নেতৃত্বদানকারী ড. অরোরা পেরেজ-কর্নাগো বলেন, আমরা পেটের ও কোমরের চারপাশে শরীরের মেদ ঘনত্ব এবং প্রোস্টেট ক্যান্সারের মৃত্যুর ঝুঁকির মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য সংযোগ খুঁজে পেয়েছি। তিনি আরো বলেছেন, অতিরিক্ত বিএমআই বিভিন্ন ক্যান্সারসহ দীর্ঘমেয়াাদি রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
ডা. পেরেজ-কর্নাগো ব্যাখ্যা করেছেন, কোমর ও নিতম্বের অনুপাত ঠিক না থাকলে প্রস্টেট ক্যান্সারের আশঙ্কা বাড়ে। শরীরের এই অংশের চর্বি সবচেয়ে বিপজ্জনক চর্বি। এই অতিরিক্ত চর্বি বিপাকক্রিয়া ও হরমোনজনিত সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এমনকি প্রোস্টেট ক্যান্সারের অগ্রগতিতেও ভূমিকা রাখে ভুঁড়ি। এই চিকিৎসক বলেন, পুরুষদের উচিত স্বাস্থ্যকর ওজন এবং কোমরের পরিমাপ ঠিক রাখা। এজন্য প্রয়োজন স্বাস্থ্যকর ডায়েট ও শরীরচর্চা।
মূত্রথলির ক্যান্সার রোগের চিকিৎসার ধাপসমূহ
মূত্রথলির ক্যান্সার রোগের চিকিৎসার জন্য নিম্নোক্ত ধাপগুলো অনুসরণ করা হয়:
১.বিকিরণ থেরাপি: ক্যান্সার কোষ মারতে । ২. ব্র্যাচিথেরাপি: ক্যান্সার কোষ মারতে। ৩.হরমোন থেরাপি: পুরুষ হরমোন টেসটোস্টোন উত্পাদন থেকে শরীর বন্ধ । ৪.Orchiectomy: testicles অপসারণ করতে। ৫.ল্যাপারোস্কোপিক প্রোস্টেটেটোমি: প্রোস্টেট অপসারণ করতে। ৬.কেমোথেরাপির: দ্রুত ক্রমবর্ধমান ক্যান্সার কোষ হত্যা ।৭.জৈবিক থেরাপি: ক্যান্সার কোষ যুদ্ধ করতে
মূত্রথলির ক্যান্সার এর ক্ষেত্রে নিজে নিজে সেবা
মূত্রথলির ক্যান্সার রোগের চিকিৎসা অথবা ব্যবস্থাপনায় নিজে নিজে সেবা কিংবা জীবনধারায় যেসব পরিবর্তন সহায়ক হতে পারে তার তালিকা নিম্নরূপ: সুস্থ খাদ্য অনুসরণ করুন: সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নতিতে সাহায্য করে । সম্পূরক উপর স্বাস্থ্যকর খাবার চয়ন করুন: প্রোস্টেট ক্যান্সার ঝুঁকি হ্রাস করতে সাহায্য করে । নিয়মিত ব্যায়াম: ওজন বজায় রাখতে এবং মেজাজ উন্নত করতে সহায়তা করে । সুস্থ ওজন বজায় রাখুন: সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নতিতে সহায়তা করে
মূত্রথলির ক্যান্সার রোগের চিকিৎসার জন্য বিকল্প ওষুধ
মূত্রথলির ক্যান্সার রোগের চিকিৎসা কিংবা ব্যবস্থাপনার জন্য সহায়ক হতে পারে এমন কিছু বিকল্প ওষুধ এবং থেরাপি নিম্নরূপ: অনুশীলন থেরাপি অনুশীলন: কষ্টের সঙ্গে মোকাবিলা করতে সাহায্য করে ।অনুশীলন নাচ বা আন্দোলন থেরাপি: কষ্ট সঙ্গে মোকাবিলা করতে সাহায্য করে । ধ্যান অনুশীলন: কষ্ট সঙ্গে মোকাবিলা করতে সাহায্য করে । সঙ্গীত থেরাপি অনুশীলন: চাপ মোকাবেলা করতে সাহায্য করে । নিরাময়ের কৌশল অনুশীলন: কষ্ট সঙ্গে মোকাবিলা করতে সাহায্য করে
মূত্রথলির ক্যান্সার রোগের জন্য রোগীকে চিকিৎসা সহায়তা
মূত্রথলির ক্যান্সার রোগীদের জন্য কার্যকর হতে পারে: শিক্ষা: রোগীদের আরামদায়ক চিকিত্সার সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে । পরিবার এবং বন্ধুদের সমর্থন: চিকিত্সার সময় রোগীর শক্তি থাকবে না এমন ছোট্ট কাজগুলির সাথে সহায়তা করে । অন্যান্য ক্যান্সারের বেঁচে থাকাদের সাথে সংযোগ করুন: সমর্থন একটি অনন্য নেটওয়ার্ক সরবরাহ করে
প্রোস্টেট ক্যান্সার শনাক্তে রোবোটিকসের ব্যবহার বিষয়ে মতবিনিময়
প্রাথমিক পর্যায়েই মরণব্যাধী প্রোস্টেট ক্যান্সার শনাক্তে রোবোটিকসের ব্যবহার বিষয়ে বাংলাদেশের শতাধিক চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যখাতের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছে ভারতের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী গ্রুপ নারায়ণা হেলথ (এনএইচ)।অনকোলজি প্রেজেন্ট অ্যান্ড ফিউচার বাংলাদেশের সহযোগিতায় সম্প্রতি ঢাকায় ‘প্রোস্টেট ক্যান্সারে রোবোটিকসের ব্যবহার’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করা হয়।সেমিনারে অংশগ্রহণকারীরা উল্লিখিত বিষয়ে হালনাগাদ তথ্য ও উদ্ভাবন সম্পর্কে গভীরভাবে জানার এবং রোবোটিকসের ব্যবহারের মাধ্যমে কীভাবে বাংলাদেশের রোগীরা উপকৃত হবেন তা জানার সুযোগ পান।
গ্লোবাল ক্যান্সার অবজারভেটরির সাম্প্রতিক অনুমান অনুযায়ী, ২০২০ সালে বাংলাদেশে নতুন ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৫৬ হাজার।এই সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে এবং গবেষণা থেকে দেখা যাচ্ছে, এটি (প্রোস্টেট ক্যান্সার) বিশ্বের সর্বাধিক নির্ণয় করা ক্যান্সারের মধ্যে চতুর্থ। বিশেষজ্ঞদের মতে, শুরুতেই রোগটি শনাক্ত করা গেলে এর নিরাময়ের সম্ভাবনা বহুলাংশে বাড়িয়ে তোলা সম্ভব, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত বাংলাদেশের ক্যান্সার রোগীদের ক্ষেত্রে এটি ৩য় বা ৪র্থ পর্যায়ে গিয়ে শনাক্ত হয়। ফলে এই রোগে মৃত্যুর হারও থাকে অনেক বেশি।
সেমিনারে মূল বক্তব্য প্রদান করেন পশ্চিমবঙ্গের হাওড়ায় অবস্থিত নারায়ণা হেলথের একটি প্রতিষ্ঠান নারায়ণ সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালের সিনিয়র ইউরো-অনকোলজিস্ট ডা. আনন্দ বিয়ানিএ সময় তিনি প্রোস্টেট ক্যান্সারের সর্বোচ্চ পর্যায়েও রোবোটিক সার্জারি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে, এ নিয়ে রেফারেন্স কেস স্ট্যাডি উপস্থাপন করেন।চিকিৎসক ও প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে ডা. আনন্দ বিয়ানি বলেন, ‘প্রোস্টেট ক্যান্সারসহ বিভিন্ন রকম চিকিৎসার জন্য ভারতের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে অবস্থিত আমাদের হাসপাতালগুলোতে বাংলাদেশ থেকে প্রচুর রোগী আসেন। এ জন্য স্থানীয় ডাক্তারদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করাই আমাদের লক্ষ্য। এতে করে তারা দেশের ভেতর প্রোস্টেট ক্যান্সার নির্ণয়ের ক্ষেত্রে যে শুধু সফলতা অর্জন করবেন কেবল তাই নয়, বরং সঠিক সময়ে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের স্বার্থে প্রয়োজনীয় পরামর্শও দিতে পারবেন।
এ অস্ত্রোপচার পদ্ধতিতে নূন্যতম কাটাছেঁড়া করে প্রোস্টেট গ্রন্থি অপসারণ করা হয়। দা ভিঞ্চি সার্জিক্যাল সিস্টেম ব্যবহার করে সার্জনরা একটি কনসোল থেকে রোবোটিক আর্মস সজ্জিত সার্জিক্যাল যন্ত্রপাতি ও হাই-ডেফিনিশন ক্যামেরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন, যা প্রথাগত পদ্ধতির তুলনায় অনেক উন্নত ভিজ্যুয়ালাইজেশন, নির্ভুল ও নিখুঁত নিয়ন্ত্রণ প্রদান করে।’প্রোস্টেট ক্যান্সার চিকিৎসায় রোবোটিকস ব্যবহারের মধ্য দিয়ে নিখুঁতভাবে নির্ভুল হওয়া, নিরাময়ের সময় কমিয়ে আনা ও উন্নত ফলাফলের মধ্য দিয়ে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে বলে ডা. বিয়ানির সঙ্গে একমত পোষণ করেন বিশেষজ্ঞরা।
যে খাবারে কমবে ঝুঁকি
প্রোস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ খাবার অতিরিক্ত খাওয়া যাবে না। তবে কয়েকটি খাবার আছে যেগুলো নিয়মিত খেলে পুরুষদের প্রোস্টেট ক্যান্সার হওয়া ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়। টমেটো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হওয়ায় যেকোনো ধরনের ক্যান্সার বা টিউমারের ঝুঁকি কমায়। আমেরিকার পুষ্টি বিভাগের গবেষণায় দেখা গেছে, যতো বেশি মাছ খাওয়া যায়; প্রোস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি ততই কমতে থাকে। গ্রিন টি’তে বিদ্যমান জ্যান্থেইন, এপিক্যাটেচিন, ক্যাটেচিন ও এপিগ্যালাকোচিন প্রোস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। ব্রোকলির স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেক। এই সবজিতে প্রাপ্ত সালফোরেফেন প্রোস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি ও প্রভাব দু’টোই কমাতে কার্যকরী। ডালিমের মধ্যে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ইলাজিটানিন থাকে, যা ক্যান্সার ও প্রোস্টেট ক্যান্সার কমাতে কার্যকরী। গোলমরিচে বিদ্যমান ক্যাপাসাইসিন ক্যান্সারের কোষ ধ্বংস করতে সাহায্য করে।
বিজ্ঞানীরা মনে করেন, প্রোস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধে একটি সুষম খাদ্যাভ্যাস যেমন জরুরি; তেমনি একটি সুস্থ জীবনধারাও এই ক্যান্সার প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। যেমন- এক গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত বীর্যপাত প্রোস্টেট ক্যান্সারে ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
যে খাবার ঝুঁকি বাড়ায়
এক গবেষণার তথ্যমতে, অতি পুষ্টিকর কিছু খাবারও বাড়াতে পারে এ রোগের ঝুঁকি। কিছুদিন ধরেই চলছিল ক্যানসারের ক্ষেত্রে খাদ্যের প্রভাব নিয়ে গবেষণা। ক্যানসার রোধে কোলিনের ভূমিকা নিয়ে হয়েছে অনেক চর্চা।দেখা গেছে, খাদ্যের কোনো উপাদান অতিরিক্ত মাত্রায় শরীরে গেলে তা স্বাস্থ্যের জন্য হতে পারে ক্ষতিকর। শরীরের প্রয়োজনের চেয়ে বেশি কোলিন চলে গেলে প্রায় ৭০ শতাংশ বেড়ে যেতে পারে প্রস্টেট ক্যানসারের আশঙ্কা।
কোলিন সবচেয়ে বেশি থাকে ডিম, দুধ ও মাংসে। যা পুষ্টিকর খাবারের মধ্যে অন্যতম। তবে এসব খাবারে অনেকটা পরিমাণ কোলিন থাকে। একেকটি ডিমে ১৫০ মিলিগ্রামের মতো কোলিন থাকে।এদিকে গবেষণা বলছে, সারাদিনে শরীরে ৪৫০ মিলিগ্রামের বেশি কোলিন প্রবেশ করলে তা বিপজ্জনক। তার মানে দিনে একটি ডিম খেলেই প্রতিদিনের কোলিনের প্রয়োজনীয়তা অনেকটা মিটে যায়।তবে দীর্ঘদিন ধরে দুধ, ডিম ও মাংসের মতো কোলিনসমৃদ্ধ খাবার অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে প্রোস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি অনেকটাই বেড়ে যায়।
কিভাবে রোগ নির্নয় করবেন:
প্রোষ্টেট ক্যান্সার নির্ণয়ের জন্য একক কোন পরীক্ষা নেই। তবে রোগ নির্ণয়ের জন্য প্রচলিত পরীক্ষা গুলোর উপকার ও অপকার উভয়ই আছে, তবে চিকিৎসক রোগীর সাথে আলোচনা সাপেক্ষে পরীক্ষা করেন পরীক্ষা গুলোর মধ্যে- পায়ুপথে আঙুল দিয়ে চিকিৎসক প্রোষ্টেট গ্রান্ডের পরিবর্তিত অবস্থা সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা করতে পারেন। রক্তে প্রোষ্টেট স্পেসিফিক এন্টিজেনের (পি এস এ) মাত্রা নির্ণয়ের পরীক্ষা। এ পরীক্ষা দ্বারা প্রাথমিক অবস্থার প্রোষ্টেট ক্যান্সার নির্ণয় করা যেতে পারে। সংক্রমণ আছে কিনা তা জানার জন্য মূত্রের পরীক্ষা। প্রোষ্টেট ক্যান্সারের পাশাপাশি অন্যান্য কিছু রোগেও যেমনঃ ক্যান্সার বিহীনভাবে প্রোষ্টেট বৃদ্ধি এবং মূত্রনালীর প্রদাহের কারণেও পি এস এ এর মাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে পি এস এ এর মাত্রা উচ্চ থাকলে তা প্রোষ্টেট ক্যান্সার এমনটা কিন্তু নয়।
প্রোষ্টেট ক্যান্সারের চিকিৎসা
যেহেতু প্রোষ্টেট ক্যান্সার ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পায়, তাই অনেক বছর যাবৎ লক্ষণ প্রকাশ নাও হতে পারে। তবে-প্রোষ্টেট ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর কার্যকরী চিকিৎসা হচ্ছে সার্জারীর মাধ্যমে প্রোষ্টেট অপসারণ। তবে রোগীর বয়স ও অন্যান্য শারীরিক অসুবিধার কারণে অনেক ক্ষেত্রে তা সম্ভবপর হয় না।অনেক ক্ষেত্রে রেডিও থেরাপি, কেমোথেরাপি, হরমোন থেরাপি, প্রোটন থেরাপিও প্রয়োজন হয়। তবে সেক্ষেত্রে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় রোগীর বয়স ও শারীরিক প্রতিবন্ধকতার কারনেও ঝুঁকি থাকে।হোমিওপ্যাথি মতে লক্ষণ দেখে প্রোষ্টেট এর সমস্যাসহ ক্যান্সার থেকে নিরাময় পাওয়া সম্ভব।
পুরুষাঙ্গের উত্থানজনিত সমস্যা, প্র¯্রাবের বেগ ধারনে অক্ষমতা প্রভৃতি শারীরিক সমস্যার পাশাপাশি ক্যান্সারের চিকিৎসা গ্রহনের কারণে রোগী দুশ্চিন্তায় পড়তে পারেন। এতে হতাশার কিছু নেই হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা সঠিক সময়ে সঠিক নিয়মে গ্রহণ করলে, এই রোগ হতে প্রতিকার পাওয়া সম্ভব।
প্রোস্টেট ক্যান্সার চিকিৎসায় মুখে খাওয়ার ওষুধ বাজারে আনছে রেনাটা
রেলুপ্রোস ১২০মি.গ্রা. ট্যাবলেট’-এ রয়েছে রেলুগোলিক্স ১২০মি.গ্রা.। প্রোস্টেট ক্যান্সার পুরুষদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পরিলক্ষিত হয় এবং বয়স বাড়ার সাথে সাথে প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। বিশ্বব্যাপী বার্ষিক ১৪ লাখের বেশি পুরুষ এই রোগে আক্রান্ত হয় এবং ৩লাখ ৭৫ হাজারেরও বেশি মৃত্যু ঘটে। রোগীর সংখ্যায় এটা বিশ্বে তৃতীয় সর্বাধিক এবং ক্যান্সারজনিত মৃত্যুর অষ্টম কারণ।এখন পর্যন্ত প্রোস্টেট ক্যান্সার ব্যবস্থাপনার জন্য অ্যান্ড্রোজেন ডেপ্রিভেশন থেরাপি অপরিহার্য। রেলুগোলিক্স হল প্রথম মুখে খাবার গোনাডোট্রপিন-রিলিজিং হরমোন রিসেপ্টর অ্যান্টাগোনিস্ট যা ২০২০ সালের ১৮ ডিসেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন থেকে অনুমোদন পায়। রেলুগোলিক্সের আগে, প্রোস্টেট ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য শুধুমাত্র ইনজেকশনজাতীয় ওষুধ ব্যবহার হত।
রেলুপ্রোস (রেলুগোলিক্স) অধিক কার্যকরী, দৈনিক একবার সেব্য এবং রোগীদের জন্য বেশ সাশ্রয়ী। রেলুপ্রোস (রেলুগোলিক্স) বাজারজাত করার মাধ্যমে, রেনাটা লিমিটেড আবারও রোগীদের জন্য আধুনিক, উন্নত মানের এবং সাশ্রয়ী মূল্যের ওষুধ বাজারজাত করার প্রতিশ্রুতি প্রমাণ করেছে।সকল শ্রেণির রোগীদের ক্রয় ক্ষমতা বিবেচনা করে রেনাটা লিমিটেড প্রতিটি রেলুপ্রোস ১২০মি.গ্রা. ট্যাবলেটের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ২৫০ টাকা নির্ধারণ করেছে। রেনাটা লিমিটেড নিজস্ব ডিস্ট্রিবিউশন চ্যানেলের মাধ্যমে এবং বিনা পরিবহন খরচে ওষুধটি রোগীদের হাতে পৌঁছে দেবে বলে জানায় প্রতিষ্ঠানটি।
প্রোস্টেট ক্যান্সার এড়াতে পাতে কম ডিম
ডিম একটি সুষম খাদ্য হওয়া সত্ত্বেও সপ্তাহে তিনটি ডিম খেলে পুরুষের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে। ডিম নিয়মিত খেলে এ ক্যান্সারে মৃত্যুর হারও অনেক বেড়ে যায়। তাই ডিম নিয়মিত খাওয়া থেকে পুরুষদের বিরত থাকতে হবে। সম্প্রতি এক গবেষণায় বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন যে, সপ্তাহে তিনটি ডিম খেলে পুরুষের প্রোস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে। যে কারণে তার মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। গবেষকরা দেখেছেন যে, যেসব পুরুষের সপ্তাহে দুই থেকে আড়াইটি ডিম খাদ্য তালিকায় রাখে তাদের মধ্যে ৮১ ভাগ ব্যক্তি প্রোস্টেট ক্যান্সারে মারা গেছে। সূত্র: দ্যা ডেইলি মেইল।
এ ধরণের ক্যান্সারের জন্য দায়ী অধিক পরিমাণ কোলেস্টরল। ডিম একটি পুষ্টিকর খাবার এবং এর মধ্যে অধিক পরিমাণ কোলেস্টরল থাকে। গবেষণায় দেখা যায় এই কোলেস্টরলই প্রোস্টেট ক্যান্সারের কোষগুলোকে বাড়তে সহযোগিতা করে।হার্ভাড স্কুল অব পাবলিক হেলথের একদল গবেষক ১৪ বছর ধরে ২৭ হাজার পুরুষের দৈনন্দিন খাদ্যাভাসের উপর গবেষণা করে এ তথ্য দিয়েছেন। এই গবেষণায় এটাও দেখা গেছে যে, যারা নিয়মিত মাংস খায় তাদের সঙ্গে প্রোস্টেট ক্যান্সারে কোষের বৃদ্ধির কোন সংগোগ নেই। কিন্তু ডিম খাওয়ার ফলে তার এই ক্রান্সারের কারণে মৃত্যুর হার অনেক বেশি।
প্রোস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় রসুন
রসুন আপাতদৃষ্টিতে আমাদের কাছে এক ধরনের প্রয়োজনীয় মসলা হলেও এটি অতি দরকারি একটি ভেষজ উপাদান। প্রতিদিন মাত্র দুই কোয়া রসুন মানবদেহের প্রায় অর্ধশত সমস্যার সমাধান করতে পারে।বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায়, কাঁচা রসুন সুস্বাস্থ্যের জন্য অনেক বেশি উপকারী। নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা দূর করতে কাঁচা রসুনের জুড়ি নেই। ইউনিভার্সিটি অব হেলথ অ্যান্ড মেডিকেল সায়েন্সের গবেষণায় রসুনের এসব গুণ প্রকাশ পায়। হৃৎপিণ্ডের সুস্থতায় রসুন বড় ধরনের ভূমিকা পালন করতে পারে।
আবার কোলেস্টেরল কমাতেও সাহায্য করে। এতে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে। শিরা-উপশিরায় প্লাক জমতে বাধা দেয়। রক্ষা করে শিরা-উপশিরায় মেদ জমার মারাত্মক রোগ অথেরোসেক্লরোসিসের হাত থেকে। এটি উচ্চ রক্তচাপের সমস্যাও দূর করে। গিঁটবাতের সমস্যা থেকে রক্ষা করে। ফ্লু এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে।অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান দেহে খারাপ ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ, জন্ম এবং বংশবিস্তারে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। যক্ষা রোগ নিরাময়েও রসুন বিশেষ ভূমিকা রাখে। রসুন হজমশক্তি বাড়ায় ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে। কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে।
গলব্লাডার ক্যান্সার, প্রোস্টেট ক্যান্সার ও স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। রেক্টাল ক্যান্সারের হাত থেকে আমাদের রক্ষা করে। কাঁচা রসুন পরিপাকতন্ত্রের নানা সমস্যা দূর করে। আমাদের শিরা-উপশিরায় জমাটবাঁধা রক্ত ছাড়াতে সহায়তা করে। হাত-পায়ের জয়েন্টের ব্যথা দূর করে এবং বাতের ব্যথা সারায়। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। রসুনের ফাইটোনসাইড অ্যাজমা সমস্যা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।দীর্ঘমেয়াদি হুপিং কাশি ও ব্রঙ্কাইটিসের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখে। ঘুম না হওয়া বা অনিদ্রা রোগ থেকে মুক্ত রাখে। ত্বকের বার্ধক্যজনিত টিস্যুগুলো অটুট রাখে। সর্বোপরি প্রতিদিন সকালে নিয়মিত দুই কোয়া রসুন খেলে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকাংশে বৃদ্ধি পায়।
রসুন খাড়া ধরনের বিরুৎ গাছ। কাণ্ড খাটো। পাতা সরল, দীর্ঘ, প্রায় ৫০ সেন্টিমিটার লম্বা। সলিড স্কেপে সবুজাভ-সাদা রঙের ফুল হয়। ফলে বীজ থাকে না। প্রধানত রান্নার কাজে ব্যবহৃত হয়। রসুন কোলেস্টেরল (চর্বি) এবং উচ্চরক্তচাপ কমায়। ক্লোভস (ঈষড়াবং) থেকে চারা। জন্মস্থান মধ্য এশিয়া। তবে দিনে দুই কোয়ার বেশি কাঁচা রসুন খাওয়া যাবে না।
মাশরুমে দূর হবে প্রোস্টেট ক্যান্সার!
নিয়মিত মাশরুম খেলে পুরুষদের প্রোস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। এজন্য পুরুষদের মাশরুম খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা। সম্প্রতি টহোকু বিশ্ববিদ্যালয়ের এই গবেষণায় মাশরুম খাওয়া এবং প্রোস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকির মধ্যে একটি যোগসূত্র পেয়েছেন গবেষকরা। বিশেষ করে ৫০ বা তার বেশি বয়সী পুরুষদের প্রোস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস করে মাশরুম।গবেষণার নেতৃত্বদানকারী ডাঃ শু ঝাং বলেছেন, ‘‘টেস্ট-টিউব স্টাডি” এবং জীবন্ত প্রাণীর উপর পরিচালিত গবেষণায় দেখা গেছে যে মাশরুমের মধ্যে প্রোস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধের সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি জানান, মানুষের মধ্যে মাশরুম খাওয়া এবং প্রস্টেট ক্যান্সারের মধ্যে সম্পর্ক এর আগে কখনও তদন্ত করা যায়নি। আমাদের জানামতে এটি প্রথম সমীক্ষা যা জনসংখ্যার পর্যায়ে মাশরুম প্রোস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধক সম্ভাবনা নির্দেশ করে।
গবেষকরা খাদ্য গ্রহণ, মানসিক ক্রিয়াকলাপ, ধূমপান এবং মদ্যপানের অভ্যাসসহ তাদের জীবনযাত্রার পছন্দগুলি সম্পর্কে ৩৬ হাজার ৪শ ৯৯জন পুরুষদের সমীক্ষা এবং তাদের মেডিকেল রেকর্ড বিশ্লেষণ করেছেন। সমীক্ষায় জানা যায়, সামগ্রিকভাবে অংশগ্রহণকারীদের ৩.৩% পিরিয়ডের সময় প্রোস্টেট ক্যান্সার বিকাশ করেছে।তবে, যারা সপ্তাহে একবারের চেয়ে কম মাশরুম খেয়েছিলেন তাদের তুলনায়, যারা সপ্তাহে একবার বা দু’বার মাশরুম খেয়েছিলেন তাদের মধ্যে এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা ৮% কম ছিল। অন্যদিকে, যেসব পুরুষরা সপ্তাহে তিনবারের বেশি মাশরুম খেতেন তাদের ঝুঁকি ১৭% কম থাকে।
মূত্রথলির ক্যানসার–সচেতনতার মাস।
প্রোস্টেট ক্যান্সারের পাঁচ বছরের বেঁচে থাকার হার 99 শতাংশের বেশি, যা দেখায় যে এটি প্রাথমিকভাবে নির্ণয়ের মাধ্যমে বেশিরভাগই নিরাময়যোগ্য। তবে এই প্রতিবেদনটি প্রোস্টেট ক্যান্সারকে হালকাভাবে নেওয়ার জন্য নয় কারণ ক্যান্সারকে উপেক্ষা করলে এটি মেটাস্টেসাইজিং এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এই পরিস্থিতি বিপজ্জনক হতে পারে। খুব দেরি হওয়ার আগে লক্ষণগুলিকে তাড়াতাড়ি চিনতে এবং সঠিকভাবে নির্ণয় করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷ প্রোস্টেট ক্যান্সারের কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিদিন প্রায় 88 জন পুরুষ মারা যায়। এই সংখ্যাগুলি রোগ সম্পর্কে জনসচেতনতার প্রয়োজনীয়তার উপর আলোকপাত করে, যার জন্য সারা বিশ্বে ক্যান্সার সংস্থাগুলি সেপ্টেম্বরকে প্রোস্টেট ক্যান্সার সচেতনতা মাস হিসাবে পালন করছে।
জুলাই মাস মূত্রথলির ক্যানসার–সচেতনতার মাস। নারী-পুরুষ যে কারও মূত্রথলির ক্যানসার হতে পারে। তবে পুরুষদের মধ্যে ধূমপানের অভ্যাস বেশি বলে তাঁদের ঝুঁকি নারীদের তুলনায় চারগুণ বেশি। কাপড়ে ব্যবহৃত রঞ্জক পদার্থ, অ্যাসবেস্টস, কিছু ক্যানসারের ওষুধ এবং বিলহারজিয়াস্টিসস নামে এক ধরনের পরজীবীর সংক্রমণেও মূত্রথলির ক্যানসার হতে পারে।
মূত্রথলির ক্যানসার ঠেকাতে পরামর্শ
পেটের ওপর দিকে একটু পেছনে দুই দিকে দুটি কিডনি বা বৃক্ক থাকে। এখানে রক্ত শোধন করে প্রস্রাব তৈরি হয় এবং রক্তের দূষিত পদার্থ প্রস্রাবের সঙ্গে মিশে মূত্রনালির মাধ্যমে তলপেটে মূত্রথলিতে গিয়ে জমা হয়। এই প্রস্রাবের থলিতে সংক্রমণ খুব পরিচিত সমস্যা। কিন্তু অনেকেই জানেন না যে মূত্রথলিতে ক্যানসারও হতে পারে। প্রস্রাবের রাস্তা দিয়ে সহজেই কোনো জীবাণু কিংবা ভাইরাস মূত্রথলিতে প্রবেশ করতে পারে।
প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত গেলে (রক্তপাত ব্যথাহীন হতে পারে, আবার ব্যথা থাকতে পারে) সতর্ক হতে হবে। তবে জমাট রক্ত বের হলে প্রায় নিশ্চিতভাবে ধরে নেওয়া যায় যে টিউমার হয়েছে। এ ছাড়া তলপেটে ব্যথা, প্রস্রাব করতে কষ্ট পাওয়া এবং প্রস্রাব না ধরাও উপসর্গ হিসেবে দেখা দিতে পারে। নিশ্চিত হতে কিছু রক্ত পরীক্ষা, প্রস্রাবের পরীক্ষার সঙ্গে আলট্রাসনোগ্রাফি, সিস্টোস্কোপ বায়োপসি, এমআরআই ইত্যাদি করতে হতে পারে। রোগের একেবারে শুরুতে ধরা পড়লে সিস্টোস্কোপির মাধ্যমে টিউমার পুরোপুরি সরিয়ে ফেলে নিরাময় সম্ভব। তবে ক্যানসার গভীরে ছড়িয়ে পড়লে প্রথমে কেমোথেরাপি, পরে রেডিওথেরাপি দিতে হবে। তারপরও ক্যানসার নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে অপারেশন করে মূত্রথলি ফেলে দিয়ে প্রস্রাব জমা করার জন্য আলাদা ব্যাগ লাগিয়ে দেওয়া যায় অথবা কৃত্রিম মূত্রথলি তৈরি করে দেওয়ার ব্যবস্থাও রয়েছে। তবে তা যেকোনো রোগীর জন্য কষ্টকর। সুতরাং প্রাথমিক পর্যায়েই রোগ শনাক্তে প্রস্রাবের সঙ্গে রক্তপাত বা তলপেটের যেকোনো সমস্যায় দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
প্রোস্টেট ক্যান্সারের ঔষধ পরীক্ষায় সফলতা
জীনগত পরিবর্তনের কারণে প্রোস্টেট ক্যান্সারের জন্য প্রথম ঔষধ পরীক্ষায় সফল হয়েছেন বিজ্ঞানীরা।লন্ডনের ক্যান্সার গবেষণা ইন্সটিটিউট এই পরীক্ষা চালিয়েছে। নিরাময়ের অযোগ্য এমন ৪৯ জন ক্যান্সার রোগীর উপর এই ঔষধের পরীক্ষা চালানো হয়।এই পরীক্ষায় দেখা গেছে নতুন উদ্ভাবিত ঔষধটি ৮৮ শতাংশ রোগীর টিউমারের বৃদ্ধি কমাতে সক্ষম হয়েছে।ক্যান্সার গবেষণা ইন্সটিটিউট বলছে এই ফলাফল উৎসাহব্যঞ্জক। স্তন ক্যান্সারের ক্ষেত্রে রোগীদের স্তনের সুনির্দিষ্ট জীনগত পরিবর্তনের উপরেই এই ঔষধ প্রয়োগ করা হয়।
কিন্তু প্রোস্টেট ক্যান্সারের ঔষধটি ক্যান্সারের জন্য দায়ী জীনগত পরিবর্তনের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করবে। শরীরের কোন অংশে ক্যানসার তৈরি হচ্ছে সেটি মূল বিষয় নয়।পরীক্ষায় দেখা গেছে, প্রতি ১৬ জন রোগীর মধ্যে ১৪ জনের ক্ষেত্রেই এই ঔষধটি ভালো ফলাফল দিয়েছে।আক্রান্ত ব্যক্তিরা ছয়মাস থেকে দেড় বছর পর্যন্ত এই ঔষধ সেবন করেছেন।গবেষকরা বলছেন পরীক্ষার সময় যাদের উপর এই ঔষধ প্রয়োগ করা হয়েছিল তারা ১০ -১২ মাস বেঁচে থাকার কথা ছিল।কিন্তু এই ঔষধ প্রয়োগের পরে অনেকেই এক বছরের বেশি সময় বেঁচে ছিলেন।পুরুষরা যে ধরনের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয় তার মধ্যে প্রোস্টেট ক্যান্সার পাঁচ নম্বরে।লন্ডনের ক্যান্সার ইন্সটিটিউট বলছে তাদের এই পরীক্ষা একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি।তবে প্রোস্টেট ক্যানসারে আক্রান্তদের দীর্ঘদিন বাঁচিয়ে রাখতে এই ঔষধ কতটা ভূমিকা রাখবে সেটি নির্ণয় করতে আরো পরীক্ষার প্রয়োজন আছে।
তথ্যসুত্র
পুরুষের প্রোস্টেট ক্যানসার কতটা মারাত্মক, jago News24.
প্রোস্টেট ক্যান্সারের ঔষধ পরীক্ষায় সফলতা, BBC.
প্রোস্টেট ক্যান্সার সচেতনতা, Zenonco.
মূত্রথলির ক্যানসার ঠেকাতে পরামর্শ, Prothom Alo.
মূত্রথলির ক্যান্সার, Xn.
পুরুষের প্রস্টেট ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা, Daily Bangladesh.
মাশরুমে দূর হবে প্রোস্টেট ক্যান্সার!, Protidiner Chitro Bd.
প্রোস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় রসুন, Manob Kantho.
প্রোস্টেট ক্যান্সার এড়াতে পাতে কম ডিম, Banglar News24.
প্রোস্টেট ক্যান্সার চিকিৎসা, Channel Online.
প্রোস্টেট ক্যান্সার, Somoy News.
প্রোস্টেট ক্যান্সার : চিকিৎসা ও প্রতিকার, Daily Inqilab.
প্রোস্টেট ক্যান্সারের লক্ষণ, Jago News24.
প্রোস্টেট ক্যানসার সম্পর্কে জানুন, Prothom Alo.
প্রোস্টেট ক্যান্সার শনাক্তে রোবোটিকসের ব্যবহার, Kaler Kantho.
প্রস্টেট ক্যান্সারের আগাম লক্ষণ হতে পারে, News18.
প্রোস্টেট ক্যান্সার কি, Dmp News.
প্রস্টেট ক্যানসারে ভুগছেন না তো?, Ananda Bazar.
যেসব লক্ষণে বুঝবেন প্রস্টেট ক্যান্সার, Jugantor.