রোহিঙ্গা নৈরাজ্য (Rohingya in Chaos)

টেকসই প্রত্যাবর্তনের উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি করতে ব্যর্থ হওয়াতে রোহিঙ্গাদের হতাশা ক্রমে তীব্র হচ্ছে এর ফলে নানা ধরনের নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগ ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে। রোহিঙ্গা সংকট ধীরে ধীরে বাংলাদেশসহ এ অঞ্চলের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে হুমকি হয়ে উঠছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জানান যে এই সমস্যা এখন আর বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকছে না। এটা এখন আঞ্চলিক নিরাপত্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। পাশাপাশি এই এলাকার পরিবেশ, স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তাও ঝুঁকির সম্মুখীন হচ্ছে।
৩৪টি আশ্রয়শিবিরে বর্তমানে প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা বসবাস করছে
উখিয়া-টেকনাফের ৩৪টি আশ্রয়শিবিরে বর্তমানে প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা বসবাস করছে, আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থার সহায়তায় তাদের জন্য খাবারসহ মানবিক সেবা দেওয়া হচ্ছে।এই বিশাল জনগোষ্ঠীর মধ্যে ৩০ থেকে ৪০ বছর বয়সীদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। তরুণদের মধ্যে ইয়াবার চালান আনার প্রবনতা রয়েছে কারন এই কাজে ভাল টাকা পাওয়া যায়। দীর্ঘদিন ক্যাম্পবন্দি থাকার কারণে হতাশা থেকে মুক্তি, পেতে তাঁরা অর্থ উপার্জনকে অগ্রাধিকার দেয়। ঝুঁকি নিয়ে মাদক বা ইয়াবার চালান এনে অনেকে ভাল ভালো জীবন যাপন করছে দেখে অন্যরাও সেই কাজে আগ্রহী হয়। অনেকে এ ধরনের কাজ থেকে টাকা জমিয়ে অবৈধ ভাবে বিদেশ পাড়ি দেয়।ক্যাম্পে বসবাসকারীএই বিশাল জনগোষ্ঠীর তরুণরা বৈধভাবে কোনও কাজ করার সুযোগ না পাওয়াতে তাঁরা বিভিন্ন দল উপদলে ভাগ হয়ে অপরাধে জড়িয়ে পড়ে এবং সীমান্তদিয়ে অবৈধ ব্যবসা বাণিজ্যের পথে পা বাড়ায়।তাঁরা বাংলাদেশ ও আরাকানের মধ্যেকার পথগুলো সম্বন্ধে ভাল জানাশোনা থাকায় অসৎ ব্যবসায়ীরা তাদেরকে চোরাচালানের জন্য ব্যবহার করে।
৩২টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ১২৫টি হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে
প্রত্যাবাসনের বিলম্বের কারণে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে নিরাপত্তায় ঝুঁকি বেড়েই চলছে। গত ৫ বছরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে অস্ত্র, মাদক, ধর্ষণ, অপহরণ, ডাকাতি, পুলিশের ওপর হামলা, হত্যা ও মানব পাচারসহ নানা অপরাধে ২ হাজার ৪৩৮টি বিভিন্ন ধরনের মামলা হয়েছে।ক্যাম্পের মধ্যে এসব হত্যাকাণ্ডের লক্ষ্য ছিল রোহিঙ্গা নেতা ও স্বেচ্ছাসেবকরা। কক্সবাজার জেলা পুলিশের তথ্য থেকে জানা যায় যে, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে ২০২২ সালের ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত ৩২টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ১২৫টি হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে।
দেশে বছরে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার মাদকআসে এবং এর ৭০ শতাংশ ইয়াবা
বর্তমানে ক্যাম্পগুলোতে ১৪টির ও বেশি সন্ত্রাসী বাহিনী আছে সীমান্তপথের ৩৩টি চোরাই পথ দিয়ে ইয়াবা ও আইসের বড় চালান ক্যাম্পে ঢুকছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মতে দেশে বছরে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার মাদকআসে এবং এর ৭০ শতাংশ ইয়াবা জাতিসংঘের মাদক নিয়ন্ত্রণ সংস্থার মতে, যত মাদক বিক্রি হয় তার মাত্র ১০ শতাংশ ধরা পড়ে।
ক্যাম্পের পরিস্থিতি অশান্ত করার জন্য সন্ত্রাসী গ্রুপকে কোটি কোটি টাকার ইয়াবা সরবরাহ করছে মিয়ানমার
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা দিতে রোহিঙ্গাদের একটি অংশকে অসামাজিক ও বেআইনি কার্যকলাপে যুক্ত করে তাদের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে একটি গ্রুপ তৎপর রয়েছে। এসব সন্ত্রাসী গ্রুপের সঙ্গে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর প্রতিনিধিদের যোগাযোগ রয়েছে বলে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় তথ্য রয়েছে। ক্যাম্পের পরিস্থিতি অশান্ত করার জন্য সন্ত্রাসী গ্রুপকে কোটি কোটি টাকার ইয়াবা সরবরাহ করছে মিয়ানমার। রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এসব সংঘাত ও খুনোখুনির ঘটনাগুলোর মাধ্যমে মিয়ানমার আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে বোঝাতে চায় যে রোহিঙ্গারা উগ্র প্রকৃতির ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী। এসব সন্ত্রাসী দলগুলোর মাধ্যমে রোহিঙ্গাদেরকে সন্ত্রাসী প্রমাণে মরিয়া হয়ে উঠেছে মিয়ানমার। বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে রোহিঙ্গাদেরকে সন্ত্রাসী হিসেবে তুলে ধরা, আন্তর্জাতিক আদালতে চলমান রোহিঙ্গা গণহত্যার বিচার প্রক্রিয়াকে ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করে মিয়ানমার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বাধাগ্রস্ত করতে চায় বলে অনেকে মনে করে।
রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের কারণে ক্যাম্পে বসবাসকারী সাধারণ রোহিঙ্গারা আতঙ্কের মধ্যে থাকে
রোহিঙ্গাদের মধ্যে প্রত্যাবাসনের পক্ষে সাধারণ রোহিঙ্গাদের ঐক্যবদ্ধ করার মতো নেতার অভাব রয়েছে। নতুন নেতৃত্ব যেন সংঘটিত না হতে পারে সেজন্য তাদেরকে হত্যার জন্য টার্গেট করা হচ্ছে। কিছু স্বার্থান্বেষী মহল বিভিন্ন ভাবে রোহিঙ্গা নেতৃত্বের মধ্যে ফাটল সৃষ্টির চেষ্টা করছে। তারা চায় না রোহিঙ্গারা সংঘবদ্ধ হোক, কারন এতে প্রত্যাবাসনের জন্য চাপ তৈরি হবে ও রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরে যেতে চাইবে। ক্যাম্পে প্রত্যাবাসনের পক্ষে কাজ করা রোহিঙ্গা নেতারা সন্ত্রাসীদের মুল লক্ষ্য এবং তাদেরকে তাঁরা পরিকল্পিতভাবে সুযোগ পেলেই হত্যা করছে। প্রশাসনের সাথে কাজ করা ও প্রত্যাবাসন সমর্থন করা ক্যাম্পের মাঝি ও স্বেচ্ছাসেবকদেরকে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা হত্যার জন্য টার্গেট করে। ক্যাম্পে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্রতিরোধ, ক্যাম্পের দোকানপাটে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে স্বেচ্ছাসেবী রোহিঙ্গা তরুণ ও যুবকদের নিয়ে আশ্রয়শিবিরে রাত্রিকালীন পাহারার ব্যবস্থা করা, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের পক্ষে কাজ করা এবং রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের অবস্থান, তৎপরতা সম্পর্কে তথ্য দিয়ে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোকে সহযোগিতা করলে তাদেরকে হত্যা করা হচ্ছে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাধা, চাঁদাবাজি, মাদক ও সোনা চোরাচালানে যুক্তসহ অপহরণ, ধর্ষণ, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকা বেশ কিছু সংগঠন কার্যকর রয়েছে। রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের কারণে ক্যাম্পে বসবাসকারী সাধারণ রোহিঙ্গারা আতঙ্কের মধ্যে থাকে।
বাংলাদেশি পাসপোর্ট জোগাড় করে মানবিক কাজকে অমানবিক পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছে রোহিঙ্গা
মিয়ানমারের প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশের সীমানায় মানবেতর জীবনযাপন করছে। পাশাপাশি বিভিন্ন সংঘাত ও অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়ছে, আবার কেউ কেউ বাংলাদেশি পাসপোর্ট জোগাড় করে মানবিক কাজকে অমানবিক পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছে। মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী কক্সবাজারের পুরো অঞ্চলটির নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ। বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গার উপস্থিতি বাংলাদেশের জন্য আর্থ-সামাজিক ও পরিবেশগত ঝুঁকি তৈরি করছে
ত্রাণ সহায়তার পরিমাণ কমিয়ে ক্যাম্পে থাকা রোহিঙ্গাদের অনেকে খুন-অপহরণের মতো নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়েছে
ত্রাণ সহায়তার পরিমাণ কমিয়ে দিয়ে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশের জনগোষ্ঠীর সঙ্গে মিশিয়ে দিতে উদ্বুদ্ধ করছে, যা কখনোই কাম্য নয়। ভবিষ্যতে এর পরিণাম ভয়াবহ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন ক্যাম্পে থাকা রোহিঙ্গাদের অনেকে খুন-অপহরণের মতো নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়েছে এবং এর ফলে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে।ক্যাম্পের নিরাপত্তা পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে ত্রাণকর্মীরা। রোহিঙ্গারা সম্পূর্ণভাবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অর্থায়নের ওপর নির্ভরশীল। বর্তমানে জাতিসংঘের সংস্থাগুলো রোহিঙ্গাদের খাদ্য সংস্থান করতে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে। জাতিসংঘের দারিদ্র্য বিশেষজ্ঞ ওলিভার ডি শুটার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে পাওয়া সহায়তা ‘অত্যন্ত অপর্যাপ্ত’ বলে উল্লেখ করে এ অবস্থায় রোহিঙ্গাদের জন্য জরুরি অর্থায়নে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
ক্যাম্পগুলোতে ১৪টির ও বেশি সন্ত্রাসী বাহিনী আছে
বর্তমানে ক্যাম্পগুলোতে ১৪টির ও বেশি সন্ত্রাসী বাহিনী আছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাদক চোরাচালান ঘিরে বেশ কয়েকটি গোষ্ঠী তৎপর। মিয়ানমার সীমান্ত থেকে অস্ত্র, মাদক সরবরাহ করে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে সক্রিয় রাখছে। ক্যাম্পগুলোতে প্রায় ৮০০ আখড়ায় মাদকদ্রব্য কেনাবেচায় জড়িত অন্তত পাঁচ হাজার রোহিঙ্গা।মিয়ানমার সেনাবাহিনীর কিছু সদস্যের যোগসাজশে রোহিঙ্গারা সেখান থেকে ইয়াবা ও আইসের বড় চালান আশ্রয়শিবিরগুলোতে নিয়ে আসে। সীমান্তপথের ৩৩টি চোরাই পথ দিয়ে ইয়াবা ও আইসের বড় চালান ক্যাম্পে ঢুকছে। মিয়ানমারে ইয়াবা তৈরির কারখানা আছে ২৯টির বেশি। এসব কারখানায় উৎপাদিত ইয়াবার সিংহভাগ পাচার হয় বাংলাদেশে। গত পাঁচ বছরে আশ্রয়শিবিরে মাদক কারবারির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ হাজারের মতো। বাংলাদেশে ইয়াবার পাচার, মাদকসংক্রান্ত সহিংসতা, বন্দুকযুদ্ধ ও অবৈধ অস্ত্রের প্রাপ্যতা বেড়েছে। বাংলাদেশে এখন প্রতিদিন ৭০ লাখ ইয়াবা বিক্রি হয়, যার আর্থিক মূল্য ২১০ কোটি টাকার মতো। মিয়ানমারের শান প্রদেশ থেকে মাদক ইয়াঙ্গুনে আসে, সেখান থেকে সিতওয়ে, মংডু হয়ে কক্সবাজার ও বাংলাদেশের অন্যান্য জায়গায় পৌঁছায়।
১ হাজার ২৯৮টি মামলায় আসামি করা হয়েছে ৩ হাজার রোহিঙ্গাকে
মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা জড়িয়ে পড়ছেন নানা ভয়ংকর অপরাধে। এতে কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বাড়ছে। গত ৪ বছরে অন্তত ১২ ধরনের অপরাধে জড়িয়ে পড়েছেন রোহিঙ্গাদের একটি অংশ। এই সময়ে ১ হাজার ২৯৮টি মামলায় আসামি করা হয়েছে ৩ হাজার রোহিঙ্গাকে।
টেকনাফের ৩৪ শিবিরে আশ্রয় নেন ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা
মিয়ানমারে সৃষ্ট সহিংসতায় বাস্তুচ্যুত হয়ে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে বাংলাদেশের সীমান্তে রোহিঙ্গাদের ঢল নামে। এর পর ধীরে ধীরে গত চার বছরে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪ শিবিরে আশ্রয় নেন ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা। দিন যত গড়াচ্ছে ততই ভয়ঙ্কর অপরাধে জড়িয়ে পড়ছেন রোহিঙ্গাদের একটি অংশ। খুন, অপহরণ, মাদক, ডাকাতি, অস্ত্রসহ ১২ ধরনের অপরাধের অভিযোগ উঠেছে তাঁদের বিরুদ্ধে। প্রতি দিন কোনো না কোনো শিবির থেকে রোহিঙ্গা নাগরিক আটক হচ্ছেন। নিজেদের মধ্যে ভয়ঙ্কর অপরাধের পাশাপাশি স্থানীয়দের ওপরও চড়াও হচ্ছেন তাঁরা।
টেকনাফের রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকা ইদানীং সশস্ত্র সন্ত্রাসী ও ডাকাতদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়ে উঠেছে
কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকা ইদানীং সশস্ত্র সন্ত্রাসী ও ডাকাতদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়ে উঠেছে। সাধারণ মানুষ মহাআতঙ্কে দিনাতিপাত করছেন। মেরিন ড্রাইভের শাপলাপুর থেকে সাবরাং ও রামু টেকনাফ সড়কের বালুখালী থেকে টেকনাফ পর্যন্ত বিস্তৃত সড়কে সন্ধ্যার পর চলাচল করা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। পাহাড়ের পাদদেশে যেসব কৃষক চাষাবাদে জড়িত তারা সবচেয়ে বেশি আতঙ্কগ্রস্ত। পাহাড় সন্নিহিত এলাকায় মানুষ বাজার সওদা করতে এমনকি চায়ের দোকানে বসতেও ভয় পাচ্ছে। কোন সময় মুখোশপরা সন্ত্রাসীচক্র হানা দিয়ে ধরে নিয়ে যায়! স্কুল ও মাদরাসায় পড়তে যাওয়া শিশুদের নিরাপত্তাহীনতায় অভিভাবক মহল উৎকণ্ঠিত। রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশ সূর্যাস্তের পরই ব্যারাকে ফিরে যায়। ফলে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো রাতের বেলা থাকে অরক্ষিত। শুরু হয় অস্ত্রের মহড়া ও ঝনঝনানি।
এহেন পরিস্থিতিতে দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। ভাসানচরের মতো কোনো দ্বীপ বা জেগে ওটা চরাঞ্চলে রোহিঙ্গাদের অস্থায়ীভাবে রাখা যায় কি না, ভাবতে হবে। সেনাবাহিনী, বিজিবি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট সম্মিলিতভাবে চার দিকে থেকে পাহাড় ঘেরাও করে সাঁড়াশি অভিযান চালালে সন্ত্রাসীরা ধরা পড়তে বাধ্য। তীক্ষ্ম গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে ক্যাম্পের অভ্যন্তরে সশস্ত্র দুর্বৃত্তদের পাকড়াও করাও কঠিন হবে না। এমন দক্ষতা ও অভিজ্ঞ দেশপ্রেমিক সেনা, বিজিবি সদস্য ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর রয়েছে।
তথ্যসুত্র
রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকা , Daily Naya Diganta.
মিয়ানমারে সৃষ্ট সহিংসতায় , Ajkerpatrika.
বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পে, Sarabangla.
রোহিঙ্গাদের খাদ্য সংস্থান, Jugantor.
স্থানীয় রাখাইনদের বর্বরতা, Stilkcitynews.
অঞ্চলের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে , Barta24.