বিজ্ঞান মেলা (Science Fair)

এ মেলার লক্ষ্য হলো মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে বিজ্ঞানমনষ্ক শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী ক্ষমতা এবং দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞানের যথাযথ ব্যবহার বাড়ানো। জুনিয়র, সেকেন্ডারি ও সিনিয়র তিনটি গ্রুপে মেক্যানিক্যাল, ননমেক্যানিক্যাল ও আইটি, এসব ক্যাটাগরিতে প্রজেক্ট ডিসপ্লেসহ ১৯টি আলাদা আলাদা ইভেন্টে অংশ নেয়ার সুযোগ রয়েছে এ মেলায়।বিজ্ঞানকে জনপ্রিয় করতে যেসব স্কুলে বিজ্ঞানাগার সমৃদ্ধ নয় এবং যাদের ক্যাপাসিটি কম তারা এখান থেকে উপকৃত হচ্ছেন। আর তরুণ সমাজকে বিজ্ঞান চর্চায় উদ্বুদ্ধ করতে ও তাদের উদ্ভাবনী ক্ষমতাকে বিকশিত করার জন্য প্রতিবছর এই মেলাটা বিশেষ ভূমিকা পালন করছে।’

জ্ঞানের ভবিষ্যৎ নিয়ে বাংলাদেশ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা রয়েছে

বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি শিক্ষার বিবেচনায় আমরা নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারিনি। বিভিন্ন কারণে বিজ্ঞান ও গণিত শিক্ষায় ছাত্ররা আগ্রহ হারাচ্ছে। ফলে বিজ্ঞানের ভবিষ্যৎ নিয়ে বাংলাদেশ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা রয়েছে।এখন থেকে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে বিজ্ঞানমনস্ক করে গড়ে তুলতে পারলে, তারা একদিন খ্যাতনামা বিজ্ঞানী হয়ে দেশের উন্নয়নে এগিয়ে আসবে। ’

শিক্ষাক্ষেত্রে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে

প্রযুক্তির ধারা অব্যাহত রাখতে এবং সরকারের রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নে শিক্ষাক্ষেত্রে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে। সেজন্য আমরা স্কুল পর্যায়ে এ মেলার আয়োজন করেছি। এ সকল মেলার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা উদ্ভাবন বিষয়ে আগ্রহী হয়ে উঠবে। তাদের মাঝে প্রযুক্তির প্রসার ঘটবে।মেলায় শিক্ষার্থীদের ছোট ছোট আবিস্কার যে কাউকে অভিভূত করবে। অত্যাধুনিক রোবট থেকে শুরু করে বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখার আবিস্কার মেলায় স্থান পেয়েছে।

সোলার বিদ্যুৎ উৎপাদনে কোনো জ্বালানীর প্রয়োজন হয় না

ছোট ছোট স্টল দিয়ে সাজানো হয়েছে স্কুলের বহিরাঙ্গন। স্টলগুলোতে নিজেদের আবিস্কার নিয়ে ক্ষুদে বিজ্ঞানীরা তাদের আবিস্কারের সুফল তুলে ধরছে। মেলার সোলার বিদ্যুতের আবিস্কারক সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী ফাতেমা নূর তুবা জানালো, জ্বালানী ছাড়াই শুধুমাত্র সূর্য্যরে আলো দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে বিদ্যুতের চাহিদা মেটানো সম্ভব। সোলার বিদ্যুৎ উৎপাদনে কোনো জ্বালানীর প্রয়োজন হয় না বলে কার্বনডাই অক্সাইড নিঃসরণের ঝুঁকি থাকেনা। এতে পরিবেশ দূষিত হয় না। এ কারণেই তাদের এই আবিস্কার। তুবার সহযোগি আশার ভাষ্য, বিদ্যুতের চাহিদা পূরণে সোলার ব্যবহারের প্রতি মানুষকে আগ্রহী করার জন্যই তাদের এই প্রচেষ্টা। তুবাদের প্রজেক্টে সোলার বিদ্যুতের ব্যবহারকে উৎসাহিত করতে ঘরবাড়িসহ সবুজ নগরায়নের দৃশ্য সাজানো হয়েছে। যা খুবই দৃষ্টিনন্দন।

বিজ্ঞানচিন্তা নামে আলাদা একটি বিজ্ঞান ম্যাগাজিন প্রকাশিত হয়

সহজ ভাষায় বিজ্ঞানকে সবার মধ্যে পৌঁছে দেওয়া আমাদের দায়িত্ব। তবে বিজ্ঞান নিয়ে লিখলে সেটা যেন সঠিক হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। একসময় আমরা বিজ্ঞান প্রজন্ম পাতা প্রকাশ করতাম, এখন বিজ্ঞানচিন্তা নামে আলাদা একটি বিজ্ঞান ম্যাগাজিন প্রকাশিত হয়। তবে সব সংবাদপত্রেই বিজ্ঞানের আলাদা পাতা, কলাম থাকা প্রয়োজন। বিশেষজ্ঞরা সেখানে সহজ ভাষায় লিখবেন। এর উদ্দেশ্য হবে মানুষকে বিজ্ঞানমনস্ক করা। বিজ্ঞানমনস্ক আর বিজ্ঞানী এক জিনিস নয়। স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে আগ্রহীরা বিজ্ঞানী হবেন, বিশেষজ্ঞ হবেন। কিন্তু যাঁরা বিজ্ঞানী হবেন না, তাঁরাও যেন বিজ্ঞানমনস্ক হন, আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যেন বিজ্ঞানমনস্ক হয়ে গড়ে ওঠে, সেটাই আমাদের চাওয়া।’

মেলায় অংশ নেয়া ক্ষুদে বিজ্ঞানীদের স্বপ্ন যেন আকাশ ছোঁয়া

বিজ্ঞান মনস্ক শিক্ষার্থীদের নতুন উদ্ভাবনীর অবদানে ২০৪১ সালে বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নতশীল দেশের সম্মান অর্জন করবে।  এই বিজ্ঞান মেলায় অংশগ্রহণ করা ক্ষুদে বিজ্ঞানীদের মেধাকে বিকশিত করতে পারলেই তারা তাদের সৃজনশীল চিন্তা-চেতনার মাধ্যমে দেশকে আরো এগিয়ে নিতে পারবে, এমন আশা প্রকাশ করেন এই শিক্ষাবিদ।দারুণ উৎসাহ-উদ্দীপনায় অংশ নিয়েছে এক ঝাঁক ক্ষুদে ও তরুণ শিক্ষার্থী। যাদের বলা চলে ক্ষুদে বিজ্ঞানীও। মেলায় অংশ নেয়া ক্ষুদে বিজ্ঞানীদের স্বপ্ন যেন আকাশ ছোঁয়া। দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য কিছু করার ভাবনা প্রতিনিয়ত তাড়িত করে তাদের।

সকল পজেক্ট নিয়ে ক্ষুদে বিজ্ঞানীরা হাজির হয়েছে মেলাতে

সুযোগ পেলে তারাও পাল্টে দিতে পারে বিশ্বকে। প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে দেশের জন্য, বিশ্বের জন্য তারাও আবিষ্কার করতে পারেন নতুন কিছু। যা এর আগে কেউ ভাবেনি, আবিষ্কারও করেনি। এই সকল পজেক্ট নিয়ে ক্ষুদে বিজ্ঞানীরা হাজির হয়েছে মেলাতে। ক্ষুদে শিক্ষার্থী, শিক্ষক-অভিভাবক থেকে শুরু করে বাদ যায়নি ছোট্ট শিশুটিও। একটির পর একটি ষ্টল ঘুরেছেন আর বিস্ময় ভরা চোখে ক্ষুদে বিজ্ঞানীদের কাছে বর্ণনা শুনেছেন। ক্ষুদে বিজ্ঞানীরাও উৎসাহ নিয়েই প্রজেক্টের খুঁটি-নাটি ব্যাখ্যা করেছেন দর্শনার্থীদের কাছে। মেলা পরিবেশ ও বায়ু দুষণ রোধে সুপরিকল্পিক ও পরিবেশ বান্ধব শহর তৈরি প্রজেক্ট দিয়েছে কলেজের শিক্ষার্থীরা।

মুক্ত নিঃশ্বাস নেয়ার জায়গাটুকুও যেন নেই

রাজধানীতে যানবাহন ও শিল্পকারখানা থেকে নির্গত কালো ধোঁয়ায় প্রতিনিয়ত বিষাক্ত হচ্ছে পরিবেশ। অলিগলি থেকে শুরু করে গোটা শহর এখন এই বিষাক্ত বায়ুতে বিপর্যস্ত। মুক্ত নিঃশ্বাস নেয়ার জায়গাটুকুও যেন নেই। বাতাসে মিশতে না দিয়ে রিসাইকেলের মাধ্যমে এই বিষাক্ত ধোঁয়া থেকে লবণ ও পানি উৎপাদন করার প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন ঢাকা কলেজের এই শিক্ষার্থীরা। নিজেদের প্রচেষ্টায় প্রকল্পটির একটি মডেল (রুপরেখা) তৈরি করেছেন এই ক্ষুদে বিজ্ঞানীরা।এদিকে শহীদের স্মৃতি কলেজের তিন শিক্ষার্থী তৈরি করেছে উপকারী পোকা চাষ করে কিভাবে পরিবেশ দূষণ থেকে দেশকে রক্ষা করা যায়। শিক্ষার্থীরা বলেন, বীজ থেকে চারা জন্মানোর আগেই তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো এবং দেশটাকে পরিবেশ বান্ধব করতে কীটনাশক ব্যবহার না করে উপকারী পোকা-মাকড় চাষ করে। উৎপাদন বৃদ্ধি ও পরিবেশ দূষণ হয় না।

বিজ্ঞানমনস্ক করার জন্য বিজ্ঞান মেলার প্রয়োজনীয়তা অত্যধিক

এছাড়াও কেউ এসেছে যানজট বিহীন নগরী গড়ার প্রকল্প নিয়ে। ভূমিকম্প থেকে কীভাবে রক্ষা পাওয়া যাবে তারই উপায় সন্ধান করেছে কেউ। জ্বালানি বিহীন গাড়ি চালানোর কৌশলও উপস্থাপন করেছে কেউ। আবার বাতাস থেকে বিদ্যুৎ উদ্ভাবন, গ্যাস সাশ্রয় পদ্ধতি, আবর্জনা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন কীভাবে সম্ভব তাও দেখাতে চেয়েছে এই ক্ষুদেবিজ্ঞানীরা।ছাত্র-ছাত্রীদের  বিজ্ঞানমনস্ক করার জন্য বিজ্ঞান মেলার প্রয়োজনীয়তা অত্যধিক। সরকারকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি প্রতিবছর বিজ্ঞান মেলা আয়োজন করার জন্য। আমি মনে করি বিজ্ঞানই জাতিকে মুক্তি দিতে পারে।  দারিদ্রতা বিমোচন করতে পারে।  "

জাতিকে উন্নতির সুউচ্চ শিখরে নিয়ে যেতে বিজ্ঞানের বিকল্প নেই

"জাতিকে উন্নতির সুউচ্চ শিখরে নিয়ে যেতে বিজ্ঞানের বিকল্প নেই। এই বিজ্ঞানের প্রসারের মাধ্যমেই জাতির উন্নয়ন সম্ভব। তাই বিজ্ঞান মেলা আয়োজন করে সবাইকে সচেতন করতে হবে। উৎসাহিত করতে  বিজ্ঞান মেলার আয়োজন করতে এবং আমাদের প্রতিটি মানুষকে হতে হবে বিজ্ঞান মনস্ক। স্কুল-কলেজগামী ছাত্রছাত্রীর মানসিকতায় বিজ্ঞানের এই সব কর্মকান্ড উদ্ভাবনী শক্তির পরিধি প্রসারিত করে। "

নতুন কিছু আবিষ্কার করতে অনেক পরিশ্রম দিতে হয়

বিজ্ঞান মেলার নামে প্রতিবছর উড়ানো হচ্ছে লাখ লাখ টাকা। আয়োজকদের কথা বিজ্ঞানমনস্ক করতে তাদের এই আয়োজন। প্রতিবছই নতুন নতুন উদ্ভাবন উপহার দেয় শিক্ষার্থীরা। তবে আলোর মুখ দেখে না এমন উদ্ভাবনগুলো। এনিয়ে শিক্ষার্থীদের মনে এক প্রকারের অসন্তষ দেখা দিয়েছে।নতুন কিছু আবিষ্কার করতে অনেক পরিশ্রম দিতে হয়। কিন্তু মেলায় প্রথম বা দ্বিতীয় হলেও সেই আবিষ্কারটি কর্তৃপক্ষ কোন কাজে লাগানোর চেষ্টা করে না। ফলে মেলা পর্যন্তই থাকে আবিষ্কারের মূল্য। মেলা শেষে সেরা আবিষ্কারটি খেলনায় পরিণত হয়।

বিজ্ঞানের থেকে ভালো জিনিস আর নেই

বিজ্ঞানের থেকে ভালো জিনিস আর নেই। প্রথম যখন মানুষ আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছে, তখন থেকে মানব সভ্যতা শুরু হয়েছে।’আজকের তরুণ সমাজের মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে এক অপার সম্ভাবনা। আমাদের ছেলে মেয়েরা মেধা ও দক্ষতায় অন্য জাতির চেয়ে কোন অংশেই পিছিয়ে নেই। সঠিক দিক নির্দেশনা ও পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারলে বিজ্ঞান চিন্তায় উজ্জীবিত এই প্রজন্ম দেশকে নিয়ে যাবে অনন্য উচ্চতায়। এর মধ্য দিয়েই বাস্তবায়িত হবে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা।”

আজকের ক্ষুদে বিজ্ঞানী কিন্তু আগামীর সম্ভাবনা

এই আয়জনের উদ্দেশ্য শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ক্রিয়াকলাপের পরিসরের সাথে যুক্ত করা ও বিজ্ঞানের প্রতি আজীবন সম্পর্ককে অনুপ্রাণিত করা। এ ছাড়াও শিক্ষার্থীদের শিক্ষার পরিবেশকে উৎসাহিত করা যেখানে সৃজনশীলতা এবং বুদ্ধিবৃত্তিক কৌতূহল বিকাশ লাভ করে। যে কোনো চেষ্টা এক দিনের জন্য নয়৷ উদ্ভাবন ও চেষ্টার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে৷ শুধু পাঠ্য বই নয় বরং বইয়ের বাইরের বিচিত্র বিষয় নিয়েও উদ্ভাবনী চিন্তা করতে হবে৷ তোমরা আজকের ক্ষুদে বিজ্ঞানী কিন্তু আগামীর সম্ভাবনা৷ আগামীর প্রযুক্তিনির্ভর পৃথিবীকে তোমরাই নেতৃত্ব দেবে৷

বিজ্ঞান মেলার আয়োজন সত্যিই প্রশংসনীয়

‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃক বিজ্ঞান মেলার আয়োজন সত্যিই প্রশংসনীয়। কী করে বিজ্ঞান আমাদের জীবন পাল্টে দেয়, সেটি প্রত্যক্ষ করছি প্রতিনিয়ত। মানবিক মানুষ তৈরি করে দিতে পারে বিজ্ঞানমনস্কতা। একটা সময় ছিল মুখস্থবিদ্যা। তারপরে ছিল পরীক্ষা আর পরীক্ষা। এই পুরো বিষয়টিকে বদলে ফেলা হয়েছে। এখন হচ্ছে পড়ে পড়ে শিখবে, বাস্তবতার আলোকে শিখবে। প্রযুক্তিকে আত্মস্থ করতে হবে। বিশে^ ভালোভাবে টিকে থাকতে হলে প্রযুক্তির বিকল্প নেই। স্মার্ট মানুষ মানেই মানবিক ও দক্ষ মানুষ।’

মেলার উদ্দেশ্য হচ্ছে- প্রতিটি শিক্ষার্থীর চিন্তনে, মননে, চেতনায় বিজ্ঞানের পরশ পৌঁছে দেয়া

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস অবশ্যপাঠ্য করেছে। ঠিক তেমনি চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকে আইসিটি এবং সফ্ট স্কিল অবশ্যপাঠ্য করা হয়েছে। একইসঙ্গে সারাদেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে অসাম্প্রদায়িক, উদার, গণতান্ত্রিক এবং বিজ্ঞানমনস্ক চেতনা ছড়িয়ে দেয়ার জন্য এই বিজ্ঞান মেলার আয়োজন করেছি। এই মেলার উদ্দেশ্য হচ্ছে- প্রতিটি শিক্ষার্থীর চিন্তনে, মননে, চেতনায় বিজ্ঞানের পরশ পৌঁছে দেয়া। আমাদের সন্তানেরা শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি চর্চার পাশাপাশি বিজ্ঞান ভাবনায় আধুনিক হয়ে উঠুক। মূলত, আজকের আয়োজন বিজ্ঞানমনস্ক সমাজ এবং বাংলাদেশ মানসকাঠামো বিনির্মাণের প্রয়াস।’

বিজ্ঞানমনস্ক বাংলাদেশ তৈরি হবে, যেখানে থাকবে সৃজনশীলতা

তোমরা বিজ্ঞান চেতনায়, শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চার মধ্য দিয়ে নিজেদের প্রস্তুত করো। বাংলাদেশ অল্প কিছু দিনের মধ্যে যে নতুন উচ্চতায় যাবে, সেখানে তুমি গৌরব করে আত্মমর্যাদার সঙ্গে বলবে- আমি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলার সন্তান। আমি জানি তোমাদের বঞ্চনাবোধ আছে। না পাওয়ার কষ্ট আছে। জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ের প্রতিটি শিক্ষার্থীকে বলবো- তোমরা নিয়মিত অধ্যয়ন করবে, কঠোর পরিশ্রম করবে- দেখবে জীবনের দৌঁড়ে তুমি এগিয়ে গেছ। জীবনের সেই দৌঁড় হবে শুদ্ধ, সুন্দর ও নৈতিকতা সম্পন্ন আদর্শ মানুষ হওয়ার। আমরা বিশ্বাস করি বিজ্ঞানমনস্ক বাংলাদেশ তৈরি হবে, যেখানে থাকবে সৃজনশীলতা। জঙ্গিবাদ, মাদকতা, অপসংস্কৃতি- এ সবকিছু আমরা শুভ ও সুন্দর দিয়ে বিনাশ করবো।’

বিজ্ঞানমনস্ক শিক্ষার্থীদের নতুন উদ্ভাবনীর অবদানে ২০৪১ সালে বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নতশীল দেশের সম্মান অর্জন করবে। এই বিজ্ঞান মেলায় অংশগ্রহণ করা খুদে বিজ্ঞানীদের মেধাকে বিকশিত করতে পারলেই তারা তাদের সৃজনশীল চিন্তা-চেতনার মাধ্যমে দেশকে আরো এগিয়ে নিতে পারবে, এমন আশা প্রকাশ করেন তিনি।


তথ্যসুত্র

 বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পর্কিত , Ittefaq.

এই বিজ্ঞান মেলা, Dhakatimes.

উদ্ভাবন ও চেষ্টার ধারাবাহিকতা, Dhakapost.

জাতীয় বিজ্ঞান প্রতিযোগিতা, Kalerkantho.

 জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, Digibanglatech.

বিজ্ঞান মেলার নামে, Silkcitynews.

বিজ্ঞানমেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে, Dainikcoxbazar.

 ক্ষুদে বিজ্ঞানী, Amarsangbad.

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পর্কিত , Jugantor.

জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি , Bigganchinta.

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ , Dhakatimes.

বিজ্ঞানমনষ্ক শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী, Bonikbarta.

দিনব্যাপী বিজ্ঞান মেলা, Dailyinqilab.

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ, Banglanews24.