টেলিফোন (Telephone)

টেলিফোন (Telephone)


টেলিফোন শব্দটি , গ্রীক শিকড় থেকে টেলে, "দূর" এবং ফোনে, "শব্দ" শব্দটি 17 শতকের শেষের দিকে শিশুদের কাছে পরিচিত স্ট্রিং টেলিফোনে প্রয়োগ করা হয়েছিল এবং এটি পরবর্তীতে মেগাফোন এবং মেগাফোনকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়েছিল। স্পিকিং টিউব, কিন্তু আধুনিক ব্যবহারে এটি শুধুমাত্র আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল এবং অন্যান্যদের আবিষ্কার থেকে প্রাপ্ত বৈদ্যুতিক ডিভাইসগুলিকে বোঝায় ।

টেলিফোন মানুষের মুখের কথা তাত্ক্ষণিক প্রেরণ ও গ্রহণের জন্য ব্যবহৃত বৈদ্যুতিক যন্ত্র। টেলিফোন একটি ইংরেজি শব্দ। টেলি অর্থ দূর এবং ফোন অর্থ ধ্বনি। অর্থাৎ শাব্দিক অর্থে টেলিফোন হচ্ছে দূরের কোনো মানুষের ধ্বনি তথা কথা শোনার যন্ত্র।বাংলায় এ যন্ত্রটিকে দূরভাষ বা দূরালাপনী নামেও ডাকা হয়। এর মাধ্যমে একে অপর থেকে বহু দূরে অবস্থিত একাধিক ব্যক্তি মৌখিকভাবে যোগাযোগ করতে পারে। বর্তমানে এটি বিশ্বের সর্বাধিক ব্যবহৃত যোগাযোগ যন্ত্র। সারা বিশ্বে শত শত কোটি টেলিফোন যন্ত্র ব্যবহার করা হয়।

টেলিফোনের মাধ্যমে হাজার হাজার মাইল দূরের মানুষের সঙ্গেও কথা বলা যায়।আমরা যখন কথা বলি, তখন টেলিফোনের মাউথপিসের মাইক্রোফোনটি সেই কণ্ঠস্বরের শব্দতরঙ্গকে তড়িৎ সংকেতে রূপান্তরিত করে। এ সংকেত টেলিফোনের তার দিয়ে অপর প্রান্তের টেলিফোনের ইয়ারপিসে যায়। এটি তড়িৎ সংকেতকে আবার শব্দে রূপান্তর করে।ফলে অপর প্রান্তের গ্রাহক প্রেরকের কথা শুনতে পায় এবং জবাব দেয়। তার জবাব একইভাবে প্রথমজনের ইয়ারপিসে আসে এবং গ্রাহকের কথা শুনতে পারে।

দূরালাপনী অর্থ কি?

"টেলিফোন" একটি ইংরেজি শব্দ ("টেলি" অর্থ "দূর"; "ফোন" অর্থ "ধ্বনি")। বাংলায় এ যন্ত্রটিকে দূরভাষ বা দূরালাপনী নামেও ডাকা হয়ে থাকে।টেলিফোন সস্তা, সহজে ব্যবহারযোগ্য এবং এর মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে কণ্ঠস্বরের মাধ্যমে ব্যক্তিগত যোগাযোগ স্থাপন করা যায়; এই সমস্ত সুবিধা অন্য কোনও মাধ্যমে সম্ভব নয়। এর ফলে বর্তমানে এটি বিশ্বের সর্বাধিক ব্যবহৃত যোগাযোগ যন্ত্র। সারা বিশ্বে শত শত কোটি টেলিফোন যন্ত্র ব্যবহার করা হয়।

1876 ​​বেল পেটেন্টের 20 বছরের মধ্যে, টমাস ওয়াটসন , এমিল বার্লিনার , টমাস এডিসন এবং অন্যান্যদের দ্বারা পরিবর্তিত টেলিফোন যন্ত্রটি একটি কার্যকরী নকশা অর্জন করে যা এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে মৌলিকভাবে পরিবর্তিত হয়নি। যেহেতু1947 সালে ট্রানজিস্টরের উদ্ভাবন , ধাতব ওয়্যারিং এবং অন্যান্য ভারী হার্ডওয়্যার লাইটওয়েট এবং কমপ্যাক্ট মাইক্রোসার্কিটরি দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়েছে। ইলেকট্রনিক্সের অগ্রগতি মৌলিক নকশার কর্মক্ষমতা উন্নত করেছে, এবং তারা স্বয়ংক্রিয় রিডায়ালিং, কল-নম্বর সনাক্তকরণ, ওয়্যারলেস ট্রান্সমিশন এবং ভিজ্যুয়াল ডেটা প্রদর্শনের মতো বেশ কয়েকটি "স্মার্ট" বৈশিষ্ট্য প্রবর্তনের অনুমতি দিয়েছে। এই ধরনের অগ্রগতি সম্পূরক, কিন্তু প্রতিস্থাপন না, মৌলিক টেলিফোন নকশা. সেই নকশাটি এই বিভাগে বর্ণনা করা হয়েছে, যেমন টেলিফোনের বিকাশের উল্লেখযোগ্য ইতিহাস, প্রাচীনতম পরীক্ষামূলক ডিভাইস থেকে আধুনিক ডিজিটাল যন্ত্র পর্যন্ত।

টেলিফোনটি সস্তা, এটি পরিচালনা করা সহজ, এবং এটির ব্যবহারকারীদের একটি তাত্ক্ষণিক, ব্যক্তিগত ধরনের যোগাযোগের প্রস্তাব দেয় যা অন্য কোনো মাধ্যমে পাওয়া যায় নাটেলিফোন মানুষের মুখের কথা যুগপৎ প্রেরণ ও গ্রহণের জন্য ব্যবহৃত বৈদ্যুতিক যন্ত্র, যার মাধ্যমে একে অপরের থেকে বহু দূরে অবস্থিত একাধিক ব্যক্তি মৌখিক যোগাযোগ স্থাপন করতে পারেন।

টেলিফোন একটি ইংরেজি শব্দ। টেলিফোন শব্দটি ভাঙ্গালে টেলি অর্থ দূর এবং ফোন অর্থ ধ্বনি পাওয়া যায়। বাংলায় এ যন্ত্রটিকে দূরালাপনী বা দূরভাষ নামেও ডাকা হয়ে থাকে।টেলিফোন হল পৃথিবীর সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত একটি যােগাযােগের মাধ্যম। আমরা এখন এই টেলিফোন ব্যবহার করে পৃথিবীর যেকোন প্রান্তে এক মানুষে থেকে অন্য মানুষের সাথে যােগাযােগ করতে পারি।

তারের টেলিফোনের গঠন ও কার্যপ্রণালী

উদ্ভাবনের শুরু থেকে আজ পর্যন্ত একটি তারভিত্তিক টেলিফোন যন্ত্র মূলত সাতটি যন্ত্রাংশ নিয়ে গঠিত: শক্তির উৎস, সুইচ আংটা (বৈদ্যুতিক সংযোগস্থাপক ও বিচ্ছিন্নকারক), নম্বর প্রবিষ্টকারক, ঘণ্টাবাদক, প্রেরক, গ্রাহক এবং একটি পার্শ্বস্বররোধী বর্তনী।টেলিফোনের বৈদ্যুতিক শক্তির উৎস হল স্থানীয় টেলিফোন কার্যালয়। দুইটি তারবিশিষ্ট একটি বর্তনীর সাহায্যে এই বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। এটিকে স্থানীয় চক্র বলা হয়। এতে আদর্শ ভোল্টেজের পরিমাণ ৪৮ ভোল্ট।

অতীতে টেলিফোনের গ্রাহকটি একটি আংটায় ঝোলানো থাকত, যেটি বৈদ্যুতিক সুইচের মত কাজ করত। আংটায় ঝোলানো অবস্থায় স্থানীয় বৈদুতিক চক্র থেকে টেলিফোনটি বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকত। যখন গ্রাহকটিকে আংটা থেকে তুলে নেওয়া হত, তখন টেলিফোন যন্ত্রটি স্থানীয় বৈদ্যুতিক চক্রের সাথে সংযুক্ত হত এবং এর মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হত। এভাবে আংটাটি বৈদ্যুতিক সংযোগ স্থাপনকারী ও বিচ্ছিন্নকারী সুইচের ভূমিকা পালন করত। পরবর্তীতে উল্লম্বভাবে আংটায় ঝোলানোর বদলে টেলিফোনের গ্রাহককে স্প্রিংযুক্ত সুইচের উপরে শুইয়ে রাখা হয়। কিন্তু কাজের মূলনীতি একই থাকে। গ্রাহক সুইচের উপরে শুয়ে থাকলে সুইচটি নিচে অবনমিত থাকে এবং সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকে। টেলিফোন ওঠালে সুইচটি স্প্রিংয়ের বদৌলতে উপরে উঠে আসে, ফোনটি স্থানীয় বৈদ্যুতিক চক্রের সাথে সংযুক্ত হয়। বৈদ্যুতিক সংযোগ স্থাপিত হবার পর এর উপস্থিতি জানান দেওয়ার জন্য টেলিফোন কার্যালয় থেকে নিম্ন কম্পাঙ্কের একটি ধ্বনি প্রেরণ করা হয়। ধ্বনিটিতে একই সাথে ৩৫০ ও ৪৪০ হার্জ কম্পাঙ্কের দুইটি ধ্বনি মিশ্রিত থাকে। এই ধ্বনিটিকে ইংরেজিতে ডায়াল টোন বলে। এটি জানান দেয় যে টেলিফোনটি তার ব্যবস্থার সাথে যুক্ত হয়েছে এবং নম্বর প্রবেশ করার উপযুক্ত সময় হয়েছে।

টেলিফোন ডাকপ্রেরণকারী এরপর নম্বর প্রবিষ্টকারক যন্ত্রাংশটির মাধ্যমে ডাকগ্রাহকের নম্বরটি যন্ত্রে প্রবেশ করান। নম্বর প্রবিষ্টকারকের দ্বারা সৃষ্ট সংকেত স্থানীয় টেলিফোন কার্যালয়ের টেলিফোন সুইচগুলিকে সক্রিয় করে এবং ডাকগ্রহণকারী পক্ষের সাথে একটি সম্প্রচারপথ প্রতিষ্ঠিত হয়। টেলিফোন যন্ত্রের নম্বর প্রবিষ্টকারক অংশটি দুই ধরনের হতে পারে। একটিতে বৃত্তাকার চাকতি বা ডায়াল ঘুরিয়ে, অপরটিতে নম্বর দেওয়া চাবি টিপে টিপে নম্বর প্রবেশ করানো হয়।

ঘণ্টাবাদক যন্ত্রাংশটি ব্যবহারকারীকে জানান দেয় যে টেলিফোনের ডাক এসেছে। এজন্য ঘণ্টাবাদকটি একটি ঘণ্টাসদৃশ ধ্বনি বাজায়। ধ্বনিটি যান্ত্রিক বা ইলেকট্রনিক উপায়ে বাজানো হতে পারে। উভয় ক্ষেত্রেই টেলিফোন কার্যালয় থেকে পাঠানো ২০ হার্জ কম্পাঙ্কের ও ৭৫ ভোল্টের পরিবর্তী বৈদ্যুতিক প্রবাহের মাধ্যমে ঘণ্টাবাদকটিকে সক্রিয় করা হয়। সাধারণত ঘণ্টাধ্বনির প্রতিটি স্পন্দন দুই সেকেন্ড দীর্ঘ হয় এবং দুইটি স্পন্দনের মাঝে ৪ সেকেন্ডের বিরতি থাকে।

প্রেরক যন্ত্রাংশটি মূলত একটি অতিক্ষুদ্র মাইক্রোফোন, যা মানুষের কণ্ঠস্বরের শব্দতরঙ্গকে বিদ্যুৎপ্রবাহের স্পন্দনে রূপান্তরিত করে। তারপরে বিদ্যুৎপ্রবাহটিকে তারের মাধ্যমে (বা তারহীনভাবে) প্রেরণ বা সম্প্রচার করা হয় এবং সবশেষে অপরপ্রান্তের টেলিফোনের গ্রাহক অংশটি বিদ্যুৎপ্রবাহের স্পন্দনগুলিকে পুনরায় শব্দতরঙ্গে রূপান্তরিত করে। গ্রাহকটিতে একটি বৈদ্যুতিক চুম্বক থাকে যা একটি পর্দাকে স্পন্দনের প্রকৃতি অনুযায়ী বিভিন্ন শক্তিতে আকর্ষণ করে, যার ফলে পর্দাটিতে কম্পনের সৃষ্টি হয়। এই কম্পনগুলি বাতাসে শব্দতরঙ্গের সৃষ্টি করে শ্রবণযোগ্য ধ্বনির জন্ম দেয়। গ্রাহক ও প্রেরক অংশগুলি একটি হাতলেরর মধ্যে বসানো থাকে যার গ্রাহক প্রান্তটি কানের কাছে ও প্রেরক প্রান্তটি মুখের কাছে ধরতে হয়। হাতলটি তারের মাধ্যমে মূল টেলিফোন যন্ত্রের সাথে সংযুক্ত থাকে।

পার্শ্বস্বররোধী বর্তনীটিতে অনেকগুলি পরিবর্তক, রোধক ও ধারক থাকে যেগুলি টেলিফোন ব্যবহারকারীর নিজের কণ্ঠস্বর যেন প্রেরক যন্ত্রাংশ থেকে গ্রাহক যন্ত্রাংশে প্রবাহিত হয়ে শুনতে না পাওয়া যায়, তা নিশ্চিত করে। এর ফলে গ্রাহক যন্ত্রাংশে কেবল তারের অপর প্রান্ত থেকে আগত অপর পক্ষের ব্যক্তির কণ্ঠস্বর শুনতে পাওয়া যায়।

আবিষ্কারক:

মোবাইল ফোন ব্যক্তিগতভাবে বা একক চেষ্টায় কেউ আবিষ্কার করেননি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় থেকেই এটির উদ্ভাবন শুরু হয়। আমেরিকার বিখ্যাত বিজ্ঞানী গ্রাহাম বেল প্রথম টেলিফোন আবিষ্কার করেন। তাঁর দুই গবেষণা সহকারী ছিলেন রিচার্ড এইচ ফ্রাংকিয়েল এবং জোয়েল এস অ্যাঞ্জেল। তাঁরাই পরে মোবাইল ফোনের কৌশল বের করেন। আর হাতে ধরা ছোট মোবাইল সেট তৈরি করেন মার্টিন কুপার ১৯৭৩ সালে।

বাংলাদেশের টেলিফোন কোড নাম্বার

আদর্শ নম্বর বিন্যাস হল: মোবাইল নম্বর: "+৮৮০-১অ-নননন-নননন" টেলিফোন নম্বর: (ঢাকায়) "+৮৮০-২-ন-নননন-নননন"

টেলিফোন নাম্বার - উইকিপিডিয়া

টেলিফোন নাম্বার কত ডিজিট?

আন্তর্জাতিক টেলিফোন নেটওয়ার্কের নম্বর আইটিউ-টির E. 164 প্রস্তাবনা অনুযায়ী গঠিত। এতে নাম্বারের প্রথমে কান্ট্রি কলিং কোড এবং অঙ্ক ১৫ বা এর কম হয়। এর পরেই থাকে এরিয়া কোড, তারপর গ্রাহকের নম্বর, যা টেলিফোন সুইচের কোড।

টেলিফোন কত প্রকার?

টেলিফোন বিভিন্ন প্রকার হয়ঃ ক্যান্ডেলস্টিক-1890 এর। ডেস্কটপ রোটারি-1920 এর ।স্পর্শ করুন টোন-1960 এর ।ওয়াল টাচ টোন-1970 এর ।কর্ডলেস ফোনস- 80 এর দশকে ।প্রথম মোবলি ফোন- 883 এর ।আইফোন 6- বর্তমান দিন ইত্যাদি।

ডিজিটাল টেলিফোন কি?

আধুনিক সব ধরনের সুবিধা নিয়ে যে টেলিফোন তৈরি করা হয় তাকে ডিজিটাল টেলিফোন (Digital Telephone) বলে।

ডিজিটাল টেলিফোনের প্রধান বৈশিষ্ট্য কি?

ডিজিটাল টেলিফোনের প্রথম ও প্রধান বৈশিষ্ট্য হল ডিজিটাল সিগনালের মাধ্যমে বার্তা প্রেরণ করা।

ডিজিটাল টেলিফোনের সুবিধা?

অ্যানালগ টেলিফোনের চেয়ে ডিজিটাল টেলিফোনের দক্ষতা অনেক বেশি। এ ধরনের টেলিফোনে ডিজিটাল সিস্টেম RF (Radio Frequency) ট্রান্সমিটারের পাওয়ারকে অনেক হ্রাস করে। এ ধরনের টেলিফোনে আন্তর্জাতিক ও ওয়াইড এরিয়ার রােমিং সুবিধা বেশি।এ ধরনের টেলিফোনে নিরাপত্তা ও প্রাইভেসি অনেক বেশি। এ ধরনের টেলিফোনে কথা বলার খরচ অনেক কম। এ ধরনের টেলিফোন পরিবেশ বান্ধব ও দীর্ঘ সময় ব্যবহারেও নষ্ট হয় না।

টেলিফোনের কাজ কি?

একটি টেলিফোনের সাধারণত পাঁচটি অংশ থাকে। সে অংশগুলোর কাজ হলঃ সুইচ ।রিংগার ।কি-প্যাড ।মাইক্রোফোন ।স্পিকার।

টেলিফোন সুইচের কাজ কি?

টেলিফোন সুইচের কাজ হল টেলিফোন নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ত অথবা বিচ্ছিন্ন করা।


টেলিফোন রিংগারের কাজ কি?

টেলিফোন রিংগার এর কাজ হল শব্দ করে টেলিফোন ব্যবহারকারীকে জানিয়ে দেওয়া যে কেউ একজন যােগযােগ করেছে।

টেলিফোন কি-প্যাডের কাজ কি?

টেলিফোন কি-প্যাড ব্যবহার করে একজন অন্য একজনকে ডায়াল করতে পারে।


টেলিফোন মাইক্রোফোনের কাজ কি?

টেলিফোন মাইক্রোফোন আমাদের কণ্ঠস্বরকে বৈদ্যুতিক সিগন্যালে পরিবর্তন করে।


টেলিফোন স্পিকারের কাজ কি?

টেলিফোন স্পিকার বিদ্যুতিক সিগন্যালকে শব্দে রূপান্তর করে শােনার ব্যবস্থা করে দেয়।


টেলিফোন কীভাবে কাজ করে?

যখন কোনও ব্যক্তি টেলিফোনে কথা বলেন। তখন তার কণ্ঠে তৈরি শব্দ তরঙ্গ মুখপত্রটিতে প্রবেশ করে। যার ফলে বৈদ্যুতিক কারেন্ট যার সাথে কথা বলছে তার টেলিফোনে শব্দটি বহন করে থাকে। এবং কোনও ব্যক্তি টেলিফোনে কথা বলার সময় শব্দ তরঙ্গগুলো ডায়াফ্রেমটিকে আঘাত করে কমিয়ে দেয়।


টেলিফোন কিভাবে সংযোগ দেওয়া হয়?

প্রত্যেকটি টেলিফোনই তামার তার দিয়ে আঞ্চলিক অফিসের সাথে যুক্ত থাকে। আমরা যখন কোন কথা বলার জন্য কোন নম্বরে ডায়াল করি। তখন আঞ্চলিক অফিসে সেই তথ্যটি পৌঁছে যায়। এরপর সেখানে একটি সুইচ বাের্ড থাকে। যা নির্দিষ্ট গ্রাহকের টেলিফোনের সাথে যুক্ত করে দেয়।আর যদি আমরা অনেক দূরে কিংবা ভিন্ন কোন দেশে অন্য একজনের সাথে কথা বলতে চাই। তাহলে সুইচবাের্ড সেভাবে আমাদেরকে নির্দিষ্ট নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত করে দেয়। প্রযুক্তির উন্নতি হওয়ার আগে যখন পৃথিবীর দুই প্রান্তের দুইজন মানুষ টেলিফোনে কথা বলত। তখন কথাবার্তা পাঠানাের জন্য তাদের টেলিফোনকে তামার তার দিয়ে সংযুক্ত করে দিতে হতাে।

সে কারণে সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটা ছিল অনেক খরচ সাপেক্ষ। আধুনিক যােগাযােগ ব্যবস্থায় পুরােটা সিস্টেমটি অনেক সহজ হয়ে গেছে। এখন একটি অপটিক্যাল ফাইবারে একই সাথে আক্ষরিক অর্থে লক্ষ লক্ষ মানুষের কথাবার্তা পাঠানাে সম্ভব। তাই টেলিফোনে কথা বার্তা বলার বিষয়টি অনেক সহজতর হয়ে গিয়েছে।

টেলিফোন আবিষ্কারের ইতিহাস?

টেলিফোন আবিষ্কারের কথা আমাদের অনেকের জানা আছে। এ এক বিস্ময়কর আবিষ্কার ছিল। বিভিন্ন পথ পরিক্রমায় আজকের আধুনিক মোবাইল ফোন। আর এর আসল পথপ্রদর্শক হল টেলিফোন। আলেক্সান্ডার গ্রাহাম বেল স্কটল্যান্ডের এডেনবার্গে ১৮৪৭ সালের ৩ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। এবং তিনি ১৯২২ সালের ২ আগস্ট মৃত্যুবরণ করেন।

তার জীবনদ্দশায় তিনি বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় তার প্রতিভার ছাপ রেখেছেন। যা মানব কল্যাণের ইতিহাসে চির স্মরণীয়  থাকবে। এর মধ্যে টেলিফোন অন্যতম। গ্রাহাম বেলের মা এবং স্ত্রী দুজনেই কানে শুনতে না। তারা ছিলেন বধির। আর এ সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য আলেক্সান্ডার গ্রাহাম বেল শ্রবণশক্তি সম্পর্কিত একটি ডিভাইস নিয়ে কাজ করেন। ঠিক এর এক পর্যায়ে তিনি টেলিফোন অবিষ্কার করেন।১৮৭৫ সালে আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল টেলিফোন আবিষ্কার করেছিলেন। নানা ধরনের বিবর্তনের মধ্য দিয়ে সেটি বর্তমান আধুনিক টেলিফোনে রূপ নিয়েছে। কিন্তু টেলিফোনের মূল কাজ করার প্রক্রিয়াটি ঠিক এখনো ঠিক আগের মতােই রয়েছে।

টেলিফোন নেটওয়ার্ক

টেলিফোন নেটওয়ার্ক বিকশিত হওয়ার সাথে সাথে এটিকে একটি শ্রেণিবদ্ধ ব্যবস্থায় সংগঠিত করা প্রয়োজন হয়ে ওঠে যা যে কোনও গ্রাহককে অন্য কোনও গ্রাহককে কল করার অনুমতি দেয়। এই ধরনের একটি সংস্থাকে সমর্থন করার জন্য,আমেরিকান টেলিফোন সিস্টেমের সুইচিং সেন্টারগুলিকে তিনটি শ্রেণীতে সংগঠিত করা হয়েছিল: স্থানীয়, টেন্ডেম এবং টোল। একটি স্থানীয় অফিস (বাশেষ অফিস ) ছিল একটি সুইচিং সেন্টার যা গ্রাহকদের টেলিফোন যন্ত্রের সাথে সরাসরি সংযুক্ত ছিল। কটেন্ডেম অফিস ছিল এমন একটি যা স্থানীয় অফিসগুলির একটি ক্লাস্টার পরিবেশন করেছিল। কটোল অফিস দীর্ঘ-দূরত্ব (বা টোল) সার্কিটগুলির উপর ট্রাফিক পরিবর্তনের সাথে জড়িত ছিল।

1990-এর দশকে টেলিফোন নেটওয়ার্ক উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তিত হয়েছিল, কারণ বিভিন্ন প্রবণতার সংমিশ্রণে: নতুন টেলিফোন গ্রাহকদের কারণে এবং ইন্টারনেট অ্যাক্সেস করার জন্য টেলিফোন নেটওয়ার্ক ব্যবহার করার কারণে ট্রাফিকের বর্ধিত পরিমাণ ; নতুন "প্যাকেট-সুইচিং" কৌশলগুলির আবির্ভাব (নীচে বর্ণিত); নতুন প্রোটোকলডেটা নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ভয়েস ট্রাফিকের জন্য; এবং দূর-দূরত্বের নেটওয়ার্কে প্রচুর পরিমাণে ব্যান্ডউইথের প্রাপ্যতা। এই উন্নয়নের ফলস্বরূপ, 1950 এবং 60 এর দশকের শ্রেণীবিন্যাস টেলিফোন নেটওয়ার্ক বেশিরভাগ স্যুইচিংয়ের দুটি স্তরে ভেঙে পড়ে। শেষ অফিসগুলি এখন ক্লাস 5 অফিস হিসাবে পরিচিত এবং স্থানীয় পরিষেবা অপারেটর বা "স্থানীয় এক্সচেঞ্জ ক্যারিয়ার" এর মালিকানাধীন। পুরানো টোল এবং ট্যান্ডেম অফিসগুলি এখন ক্লাস 4 অফিস হিসাবে পরিচিত; এগুলি দূর-দূরত্বের পরিষেবা প্রদানকারী বা "ইন্টার এক্সচেঞ্জ ক্যারিয়ার" এর মালিকানাধীন। এমনকি স্থানীয় এবং দূর-দূরত্ব প্রদানকারীদের মধ্যে এই পার্থক্যটি, তবে, টেলিফোন শিল্পের ক্রমাগত নিয়ন্ত্রণহীনতার সাথে কম স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।

যদিও অনেক টেলিফোন ভয়েস ট্রাফিক ক্লাস 5 এবং ক্লাস 4 সুইচের মাধ্যমে প্রবাহিত হচ্ছে, টেলিফোন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ভয়েস ট্র্যাফিক স্যুইচ করার জন্য বেশ কয়েকটি বিকল্প উত্থাপিত হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, ভয়েস সিগন্যালকে ডিজিটাইজিং, কম্প্রেসিং এবং প্যাকেটাইজ করার মাধ্যমে, ডেডিকেটেড সার্কিটের পরিবর্তে প্রচলিত প্যাকেট-সুইচড ডেটা নেটওয়ার্কের মাধ্যমে টেলিফোন ট্র্যাফিক পাঠানো যেতে পারে। পরিবর্তনশীল-দৈর্ঘ্য বা স্থির-দৈর্ঘ্যের প্যাকেটগুলি ব্যবহার করা হয় কিনা তার উপর ভিত্তি করে প্যাকেট স্যুইচিংয়ের বিভিন্ন পদ্ধতি সম্ভব। যখন পরিবর্তনশীল-দৈর্ঘ্যের প্যাকেটগুলি ব্যবহার করা হয় এবং ইন্টারনেট প্রোটোকল (আইপি) ডেটা নেটওয়ার্কের অন্তর্নিহিত প্রোটোকল হয়, তখন প্রক্রিয়াটিকে "ভয়েস ওভার আইপি" বলা হয় (ভিওআইপি )। এই ধরনের কনফিগারেশনে, ভয়েস ট্র্যাফিক একটি রাউটার ব্যবহার করে ইন্টারনেটে সুইচ করা হয় , নেটওয়ার্ক থেকে ইনপুট এবং আউটপুট পোর্ট সমন্বিত একটি ডিভাইস, ইনপুট এবং আউটপুটের মধ্যে স্যুইচ করার জন্য একটি সুইচিং ফ্যাব্রিক এবং রাউটিং প্রোটোকলগুলি চালানো এবং নেটওয়ার্ক পরিচালনা করার জন্য একটি প্রসেসর। . যখন ডিজিটাইজড ভয়েস সিগন্যাল ফিক্সড-লেন্থ প্যাকেটে প্যাক করা হয় এবং একটি অ্যাসিঙ্ক্রোনাস ট্রান্সফার মোড (এটিএম) নেটওয়ার্কের মাধ্যমে পাঠানো হয়, তখন পদ্ধতিটি "ভয়েস ওভার এটিএম" (VoATM) নামে পরিচিত। নেটওয়ার্কের মধ্যে, এটিএম উৎস থেকে গন্তব্যে সরাসরি প্যাকেটগুলি স্যুইচ করে।

Taken from Trickbd

১৮৭৫ সালে আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল টেলিফোন আবিষ্কার করেছিলেন।নানা ধরনের বিবর্তনের মধ্য দিয়ে সেটি আধুনিক টেলিফোনে রূপ নিয়েছে , কিন্তু তার মূল কাজ করার প্রক্রিয়াটি এখনাে আগের মতােই আছে।
আমরা সবাই টেলিফোন দেখেছি।টেলিফোনে পাচটি উপাংশ থাকে । ( a ) সুইচ : যেটি মূল । টেলিফোন নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ত অথবা বিচ্ছিন্ন করে ( b ) রিংগার : যেটি শব্দ করে তা যে কেউ একজন যােগাযােগ করেছে ( c ) কি প্যাড : যেটি ব্যবহার করে একজন অন্য একজনকে ডায়াল করতে পারে ( d ) মাইক্রোফোন : যেটি আমাদের কণ্ঠস্বরকে বৈদ্যুতিক সিগন্যালে পরিবর্তন করে ( e ) স্পিকার : যেটি বৈদ্যুতিক সিগন্যালকে শব্দে রূপান্তর করে শােনার ব্যবস্থা করে দেয় ।
প্রত্যেকটি টেলিফোনই তামার তার দিয়ে আঞ্চলিক অফিসের সাথে যুক্ত থাকে । আমরা যখন কথা বলার জন্য কোনাে নম্বরে ডায়াল করি তখন আঞ্চলিক অফিসে সেই তথ্যটি পৌঁছে যায় । সেখানে একটি সুইচ বাের্ড থাকে , যেটি নির্দিষ্ট গ্রাহকের টেলিফোনের সাথে যুক্ত করে দেয় । যদি আমরা অনেক দূরে কিংবা ভিন্ন কোনাে দেশে একজনের সাথে কথা বলতে চাই তাহলে সুইচবাের্ড সেভাবে আমাদের নির্দিষ্ট নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত করে দেয় ।


টেলিফোন ব্যবহারের নিয়ম?

টেলিফোন ব্যবহারের কিছু সাধারণ নিয়মসমুহ দেয়া হল যা মেনে চলা আমাদের সকলের কর্তব্যঃ

টেলিফোনটি এমন জায়গায় রাখুন যেন খুব সহজে রিসিভ করা যায়। টেলিফোনের পাশে দরকারি কাগজ এবং কলম রাখুন। যেন প্রয়োজনের মুহুর্তে কোন মেসেজ বা নম্বর লিখতে কাগজ কলম হাতের কাছেই পেয়ে যান। সর্বোচ্চ তিন বার রিং এর মধ্যেই টেলিফোন রিসিভ করুন। টেলিফোন হোল্ড করিয়ে রাখতে হলে কলকারীকে জানিয়ে হোল্ড করবেন। এবং সম্ভাব্য সময় জানিয়ে রাখুন। টেলিফোন রিসিভ করে সালাম দিন এবং আপনার পরিচয় দিন। তারপর অফিসের ক্ষেত্রে অফিসের নাম, আপনার নাম এবং আপনার পদ মর্যাদা ইত্যাদি জানান। টেলিফোনে অতি উচ্চস্বরে অথবা অতি নিম্ন স্বরে কথা বলবেন না। কলকারীর কথা শুনতে না পেলে বিনীতভাবে আরেকটু জোরে বলতে অনুরোধ করুন। এবং কথা বুঝতে না পারলে কথাটি আরেক বার বলতে অনুরোধ করুন। কথা চলা অবস্থায় লাইন কেটে গেলে যে টেলিফোন করেছে তার দায়িত্ব পুনরায় উনাকে কল করা। অনেক টেলিফোনেই স্পীকার রয়েছে। এবং হ্যান্ডস ফ্রী অপশন রয়েছে। টেলিফোনে স্পীকার দিয়ে শুনতে চাইলে অবশ্যই অপর পক্ষের অনুমতি নিয়ে তবেই স্পীকার ব্যবহার করবেন। ধর্মীয় স্থান, পাবলিক প্লেস, মিটিং, শিক্ষালয়ে টেলিফোন বন্ধ রাখুন। কোন মিটিং বা পার্টিতে কল আসলে সেক্ষেত্রে কলকারীকে আপনার অবস্থান জানান। এবং কখন আপনি কল ব্যাক করতে পারবেন সেটিও জানান। জরুরী হলে আপনি অন্য সবাইকে “সরি” জানিয়ে পার্টি থেকে আলাদা হয়ে কথা বলতে পারেন। কোথাও টেলিফোন করে যদি সেখানে ভয়েস মেসেজ রাখতে হয়। সেক্ষেত্রে আপনার নাম এবং ফোন নম্বরটি স্পষ্টভাবে দুই বার বলতে পারেন। পাবলিক প্লেসে টেলিফোনে উচ্চস্বরে কথা বলা থেকে বিরত থাকুন। প্রয়োজনে অপর প্রান্তকে জানান আপনি বাসে/ট্রেনে থাকায় শুনতে সমস্যা হচ্ছে। সুবিধাজনক সময়ে আপনি ফোন করতে পারেন। কথা শেষ হয়ে গেলে কলকারী কলটি কেটে দিবেন।

বাংলাদেশে সর্বপ্রথম ডিজিটাল টেলিফোন ব্যবস্থা কবে চালু হয় ৪ জানুয়ারী ১৯৯০ সালে চালু হয়।টেলিফোনের উদ্ভাবন করা হয়েছিল ১৮৭৬ সালের ১০ মার্চ।

আমরা ফোন ধরে হ্যালো বলি কেন?

বাবা-মা, ভাইবোন, স্বামী-স্ত্রী, বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলার সময় আমরা সাধারণত ফোন রিসিভার তুলেই হ্যালো বলে সম্বোধন করি। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে এই ‘হ্যালো’ শব্দটি কেন বলি বা এর উৎপত্তি কোথায় অথবা কখন থেকে কীভাবে হ্যালো বলা শুরু হয় তা হয়তো আমাদের অনেকেরই অজানা। চলুন জেনে নেওয়া যাকঃ

হ্যালো ছিল একটি মেয়ের নাম। মেয়েটির পুরো নাম হচ্ছে মার্গারেট হ্যালো (Margaret Hello)। তিনি ছিলেন আলেক্সান্ডার গ্রাহাম বেলের গার্লফ্রেন্ড। গ্রাহাম বেল টেলিফোন আবিষ্কার করে তিনি প্রথম যে কথাটি বলেছিলেন তা হল ‘হ্যালো’।সেই থেকেই হ্যালো শব্দটি বিশ্বজুড়ে টেলিফোন ব্যবহারকারীদের কাছে একটি প্রিয় শব্দ। মানুষ গ্রাহাম বেলকে ভুলে গেলেও কিন্তু তার ভালোবাসার মানুষটিকে এখনো ভুলেনি। টেলিফোন নামক যন্ত্রটি যতদিন থাকবে ততদিন মার্গারেট হ্যালো শব্দটি বেঁচে থাকবে মানুষের মুখে মুখে।

টেলিফোন অপারেটরের কাজ ও দায়িত্ব কি

টেলিফোন অপারেটররা টেলিফোনে গ্রাহকদের গ্রাহক পরিষেবা এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদানের জন্য দায়ী৷ তারা গ্রাহকের জিজ্ঞাসার উত্তর দেয়, পণ্য এবং পরিষেবাদি সম্পর্কে তথ্য প্রদান করে এবং গ্রাহক অ্যাকাউন্ট এবং পরিষেবাগুলির সমস্যা সমাধান করে।

কজন ভালো টেলিফোন অপারেটরের গুনাবলী

জ্ঞান, দক্ষতা, ক্ষমতা এবং গুণাবলী: একটি টেলিফোন সুইচবোর্ড পরিচালনা এবং টেলিফোন কল স্থাপন এবং গ্রহণের সঠিক কৌশল সম্পর্কে ভাল জ্ঞান; সংস্থার ভাল জ্ঞান এবং এখতিয়ারের কার্যাবলী যাকে বরাদ্দ করা হয়েছে; অফিস পরিভাষা, পদ্ধতি এবং সরঞ্জামের কাজের জ্ঞান ...

আজকে দিনে টেলিফোনটি কীভাবে ব্যবহৃত হয়?

প্রথম টেলিফোন লাইনগুলো একজনের ফোন থেকে অন্য ব্যক্তির কাছে গিয়েছিল। আজ সেল ফোন আছে। যার কোন তারের দরকার নেই। তারা সিগন্যাল ব্যবহার করে যা বায়ু দিয়ে ভ্রমণ করে।এমন পদার্থ দ্বারা চালিত যা পদার্থবিজ্ঞানের উপর নির্ভর করে থাকে। যার কারণে অনেকের কাছে এখন আর ল্যান্ডলাইন নেই। কেবল তারা সেল ফোনের উপর নির্ভর করে।


প্রযুক্তির উন্নতি হওয়ার আগে যখন পৃথিবীর দুই প্রান্তের দুজন মানুষ টেলিফোনে কথা বলত তখন । কথাবার্তা পাঠানাের জন্য তাদের টেলিফোনকে তামার তার দিয়ে সংযুক্ত করে দিতে হতাে , সে কারণ পুরাে প্রক্রিয়াটা ছিল অনেক খরচসাপেক্ষ । আধুনিক যােগাযােগব্যবস্থায় পুরােটা অনেক সহজ হয়ে গেছে , এখন একটি অপটিক্যাল ফাইবারে একই সাথে আক্ষরিক অর্থে লক্ষ লক্ষ মানুষের কথাবার্তা পাঠানাে সম্ভব । তাই টেলিফোনে কথাবার্তা বলার বিষয়টি অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে ।

মোবাইল ফোন ব্যবহার মানুষের ভালোর জন্য, মানুষের উপকারের জন্য। কিন্তু বর্তমানে মোবাইলে অপসংস্কৃতির চর্চা বাড়ছে, অনৈতিক কাজকর্মের সুযোগ নেওয়া হচ্ছে। তাই সুস্থ চিন্তা, সুস্থ চর্চা এবং মোবাইলের কল্যাণকর ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।


তথ্যসুত্র:


ডিজিটাল টেলিফোনে, Ourprojukty.

টেলিফোন নেটওয়ার্ক, Britannica.

আধুনিক টেলিফোনের রূপ, Trickbd.

টেলিফোনের গঠন, Wikipedia.

ইলেকট্রনিক ডিভাইস, Prothomalo.

টেলিফোনের তারব্যবস্থা, Kalerkantho.











Subscribe for Daily Newsletter