সাংবাদিক নির্যাতন (Torture of Journalists)

সাংবাদিকেরা আজ সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত। কথায় কথায় আজ সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে। কোনো প্রতিকার নেই। উল্টো রাষ্ট্র নির্যাতনকারীদের পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে। কোনো বিচার নেই। শুধু তা-ই নয়, সরকার গণমাধ্যমের টুঁটি চেপে ধরতে একের পর এক কালাকানুন তৈরি করছে।
দেশে ৯টি আইন রয়েছে গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে প্রভাবিত করে
বর্তমানে দেশে ৯টি আইন রয়েছে, যা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে প্রভাবিত করে। আরও ৩টি আইন চূড়ান্ত খসড়া পর্যায়ে রয়েছে। এর পাশাপাশি প্রেস কাউন্সিল আইন সংশোধনের বিষয়টি ধরলে এমন আইনের সংখ্যা হবে ১৩। প্রেস কাউন্সিল আইন সংশোধনের খসড়া বারবার দেখতে চাওয়া সত্ত্বেও গণমাধ্যমের কাউকে দেখতে দেওয়া হয়নি।
সংবাদপত্র জগতে ওয়েজ বোর্ডের কার্যকারিতা নেই
সংবাদপত্র জগতে ওয়েজ বোর্ডের কার্যকারিতা নেই। অধিকাংশ পত্রিকায় নবম ওয়েজ বোর্ড তো দূরে থাক, সপ্তম, অষ্টম ওয়েজ বোর্ডও কার্যকর হয়নি। সরকারের অনিয়ম ও দুর্নীতির খবর যাতে প্রকাশ না পায়, সে জন্য আমার দেশ, চ্যানেল ওয়ান, দিগন্ত টিভি, ইসলামিক টিভি, দিনকাল বন্ধ করা হয়েছে।
সাংবাদিকদের উপর সহিংসতার ঘটনা বেড়েই চলেছে
সারাদেশের বিভিন্ন সময় সংবাদকর্মীদের উপর হামলাসহ সাংবাদিক নির্যাতন, হয়রানি ও সাংবাদিকদের উপর সহিংসতার ঘটনা বেড়েই চলেছে। সাংবাদিকরা সমাজের রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেন। কিন্তু সাংবাদিকদের উপর যখন নির্যাতন, হামলা ও হয়রানি করা হয় তখন সমাজ ও রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ দুর্বল হয়ে পড়ে। সাংবাদিকরা তাদের কলমের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন প্রকার অনিয়ম, দুর্নীতির খবর প্রকাশ করে দেশকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
দেশে সাংবাদিক নির্যাতনের অতীত ঘটনাগুলোর সুষ্ঠু বিচার হয়নি
সাংবাদিকদের দায়িত্ব পালন কালে যারা বাধা প্রদান করে তাদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন, ‘সাংবাদিকদের কলমের মাধ্যমেই দেশের প্রকৃত ঘটনাবলি তুলে আনা সম্ভব। আইন করে কিংবা নির্যাতন করে সাংবাদিকদের কলমের লেখনী বন্ধ করা যাবে না।’দেশে সাংবাদিক নির্যাতনের অতীত ঘটনাগুলোর সুষ্ঠু বিচার হয়নি। সাংবাদিকদের উপর হামলা এমনকি বর্বর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায়ও বিচার পাওয়া যায়নি। বিচারহীনতায় দিন দিন সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনা বেড়ে চলছে। বিচারহীনতার জন্যই বার বার সাংবাদিকদের উপর হামলার ঘটনা ঘটছে।সাংবাদিক হামলা ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে সবাইকে সোচ্চার হতে হবে। ঐক্যবদ্ধ হলেই আমরা এসব ঘটনা প্রতিহত হবে।দুর্বৃত্তরা যাতে কোনো সাংবাদিকদের উপরে হামলা করতে না পারে সে ব্যবস্থা করতে হবে। তাদেরকে উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে।
সাংবাদিকের নিরাপত্তা বিষয়গুলোর ওপর সূচক নির্ধারিত হয় সেখানেই বাংলাদেশের স্কোর হতাশাজনকভাবে কম।'
ক্ষমতাশালীদের অনিয়ম-দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ করার জেরে বাংলাদেশে সাংবাদিকদের ওপর অব্যাহত হামলা-মামলা-নির্যাতন ও হত্যা স্বাভাবিকতায় পরিণত হয়েছে বলে মনে করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচক-২০২৩ এর তথ্য উল্লেখ করে বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, 'গত দুই বছরে বাংলাদেশ (গণমাধ্যম সূচকে) ১১ ধাপ ও ১৪ বছরে ৪২ ধাপ নিচে নেমেছে। যে বিষয়গুলোর ওপর এই সূচক নির্ধারিত হয়, তার অন্যতম একটি বিষয় হলো সাংবাদিকের নিরাপত্তা। আর ঠিক সেখানেই বাংলাদেশের স্কোর হতাশাজনকভাবে কম।'
সাংবাদিকদের সুরক্ষায় আইন প্রণয়নের দাবি
সাংবাদিক বিভিন্নভাবে নির্যাতন, হয়রানি, হুমকি, মামলা ও পেশাগত কাজ করতে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হয়েছেন বলে জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা, বন্ধ গণমাধ্যম খুলে দিয়ে কর্মহীন সাংবাদিকদের কাজের নিশ্চয়তা বিধান, বিভিন্ন গণমাধ্যমে সাংবাদিক ছাঁটাই বন্ধ, সাংবাদিকদের সুরক্ষায় আইন প্রণয়নের দাবি
সাংবাদিকের ওপর হামলা-নির্যাতন, আটক, গুম ও এমনকি হত্যা এখন নিয়মিত হয়ে উঠেছে
ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি, অনিয়ম, অন্যায় নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হলেই সংশ্লিষ্ট ক্ষমতাবান ও তাদের যোগসাজসকারী কর্তৃক সাংবাদিকের ওপর হামলা-নির্যাতন, আটক, গুম ও এমনকি হত্যা এখন নিয়মিত হয়ে উঠেছে। সাম্প্রতিককালে সাংবাদিকদের ওপর সংঘঠিত বিভিন্ন হামলা, মামলা ও নির্যাতনের প্রতিরোধে প্রশাসনিক ও আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষের সাফল্যের ঘাটতি, নির্লিপ্ততা এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে তাদের একাংশের প্রচ্ছন্ন সমর্থন পাওয়ায় হামলাকারীরা বেপরোয়া হয়ে উঠছে
সাংবাদিকদের আইনি অধিকার একটি নির্দিষ্ট আইনী বা ভৌগোলিক এলাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ
বিশ্বজুড়ে মতপ্রকাশ ও তথ্য পাওয়ার যে আইনি অধিকার সাংবাদিকদের রয়েছে, তা প্রতিনিয়তই কমবেশী বদলে যাচ্ছে। সাথে শারীরিক ঝুঁকি আর আর্থিক ক্ষতি তো, একরকম সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। জেনে রাখা ভাল, কিছু প্রতিষ্ঠান আছে যারা জাতীয়, আঞ্চলিক বা আন্তর্জাতিক আইন দ্বারা প্রতিষ্ঠিত সেই অধিকার রক্ষায় কাজ করে। অবশ্য আইনি সুরক্ষা ও সহায়তা দেয় যেসব সংস্থা, তাদের সংখ্যা সীমিত; সেবাও একটি নির্দিষ্ট আইনী বা ভৌগোলিক এলাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ।
সাংবাদিক ও সংবাদ প্রতিষ্ঠানগুলোকে আর্থিক সহায়তা দেয়
সাংবাদিকদের যখন নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আইনী সহায়তার দরকার হয়, তখনো সাহায্য করে এলডি। ২০০৯ সালে, মিডিয়া ডিফেন্স ঘোষণা করেছে একটি ফ্যাক্ট-চেকার্স লিগাল সাপোর্ট ইনিশিয়েটিভ।ফ্রি প্রেস আনলিমিটেড লিগাল ডিফেন্স ফান্ড বিশ্বজুড়ে সাংবাদিক ও সংবাদ প্রতিষ্ঠানগুলোকে আর্থিক সহায়তা দেয়। “আমরা সেসব সাংবাদিকদের সহায়তা দেই যারা শাস্তি বা আটকের হুমকিতে আছেন এবং কোনো আইনজীবী বা বিচারকার্য-র ব্যয় বহন করার সামর্থ্য নেই।রিপোর্টার্স শিল্ড একটি মেম্বারশিপ প্রোগ্রাম যেটি বিশ্বজুড়ে অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধ করার উদ্দেশ্যে পরিচালিত আইনি হুমকি থেকে সুরক্ষা দেয় প্রশিক্ষণ প্রদান এবং আইনি সহায়তার জন্য তহবিল জোগানোর মাধ্যমে।
সাংবাদিকতা সুরক্ষিত করে এমন আইন প্রণয়নের পাশাপাশি বিদ্যমান ৯টি আইন সংশোধন করে গণমাধ্যমবান্ধব করা প্রয়োজন
পরিবেশগত বিপর্যয় রোধে গণমাধ্যমের বিশাল ভূমিকা থাকলেও প্রভাবশালীদের তৎপরতায় নানামুখী চ্যালেঞ্জের মধ্যে রয়েছেন গণমাধ্যমকর্মীরা। পরিবেশ বিপর্যয়ের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন প্রকাশ করে মামলারও মুখোমুখি হচ্ছেন তারা। শুধু পরিবেশবিষয়ক নয়, সার্বিকভাবে প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন হলেই তাদের রক্তচক্ষুর মুখোমুখি হতে হয়। এ জন্য সাংবাদিকতা সুরক্ষিত করে এমন আইন প্রণয়নের পাশাপাশি বিদ্যমান ৯টি আইন সংশোধন করে গণমাধ্যমবান্ধব করা প্রয়োজন।
সংবাদপত্রের স্বাধীনতার পথ দিন দিন আরও নিম্নমুখী হচ্ছে
দেশে গণমাধ্যমের বর্তমান অবস্থা আমাদের উদ্বিগ্ন করে তুলছে। সংবাদপত্রের স্বাধীনতার পথ দিন দিন আরও নিম্নমুখী হচ্ছে। বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ ও গোষ্ঠীর চাপে সুস্থ সাংবাদিকতার পথ ক্রমে সংকুচিত হচ্ছে।’ মফস্বলে সমকালের দু’জন সাংবাদিককে সাংবাদিকতার কারণে হত্যা করা হয়েছে– এমন তথ্য তুলে ধরে এ. কে. আজাদ বলেন, ‘সাংবাদিকদের সুরক্ষায় কোনো আইন নেই। সাংবাদিকদের একটি অংশ সেলফ সেন্সরশিপে চলে গিয়ে আত্মরক্ষার চেষ্টা করছে। সাংবাদিকতা কি অপরাধ?’ তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকে বিনা অনুমতিতে সাংবাদিকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ব্যাংক খাতের বর্তমান পরিস্থিতিতে এ ধরনের পদক্ষেপ ব্যাংক লোপাটকারীদেরই উৎসাহিত করবে। তিনি আরও বলেন, বর্তমানে দেশে ৯টি আইন রয়েছে, যা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে প্রভাবিত করে। এ ছাড়া তিনটি আইনের খসড়া চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে। এর পাশাপাশি প্রেস কাউন্সিল আইন সংশোধনের বিষয়টি ধরলে এমন আইনের সংখ্যা হবে ১৩। প্রেস কাউন্সিল আইন সংশোধনের খসড়া বারবার দেখতে চাওয়া সত্ত্বেও গণমাধ্যমের কাউকে দেখতে দেওয়া হয়নি।
দেশে ৯টি আইন আছে, যা স্বাধীন সাংবাদিকতায় প্রভাবিত করে
সভাপতির বক্তব্যে দ্য ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম বলেন, ‘দেশে ৯টি আইন আছে, যা স্বাধীন সাংবাদিকতায় প্রভাবিত করে। কিন্তু সাংবাদিকদের সহায়ক কোনো আইন নেই।’ পরিবেশ নিয়ে বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা করলে কোনো সাংবাদিক হয়রানির শিকার হবেন না– এমন একটা আইন অথবা সরকারি আদেশ জারি করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘পরিবেশ সাংবাদিকতা করে আমরা সরকারের সহায়ক হতে চাই।’ বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকরাই ১০টি বড় আর্থিক অপরাধ তুলে ধরেছেন। এগুলোর অনুসন্ধান বাংলাদেশ ব্যাংকই করেছে। এসব অপরাধে সামগ্রিক ইমপ্যাক্ট ৩৫ হাজার কোটি টাকা। পি কে হালদার একাই ১০ হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে। এর সঙ্গে কারা, কীভাবে জড়িত– তা জানা যাচ্ছে না।’ সাংবাদিকদের হয়রানি প্রসঙ্গে মাহফুজ আনাম বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন চলে গেছে, কিন্তু এ আইনের ভুক্তভোগীরা এখনও জেলে। সাইবার নিরাপত্তা আইন নিয়ে এখনও ভীতিকর অনেক কিছু আছে।
সাংবাদিকরা কিছুটা আনুকূল্য পান, সাধারণ মানুষের জন্য সেই সুযোগ নেই
সাংবাদিকরা কিছুটা আনুকূল্য পান। তাদের ওপর অত্যাচার নির্যাতন কিংবা খুনের ঘটনা আলাদা করে প্রচার করা যায়। সাধারণ মানুষের জন্য সেই সুযোগ নেই। দুর্বলেরা উৎখাতের শিকার হলেও আলোচনায় আসেন খুব কম ক্ষেত্রে; বর্তমান সরকারের সময়ে বহু মানুষ হীনবল হয়ে গেছেন।গণমানুষের অধিকার রক্ষায় সাংবাদিকতা খুব কম কাজে এসেছে। রাস্তায় প্রকাশ্যে কাঁদা সেটা আরো অস্বস্তিকর। বীরেরা কখনো কাঁদেনি। এমন ইতিহাস পাবেন না। তবে সৃষ্টিকর্তার প্রতি কাঁদা উপযুক্ত হতে পারে। সেটা যদিও শুধু বিশ্বাসীদের জন্য প্রাসঙ্গিক। কোনো পুরুষ কোনো কারণেই প্রকাশ্যে এভাবে দুর্বলতা প্রদর্শন করে কাঁদতে পারেন না। তবে এই সাংবাদিকের সেদিনের কান্না কোনো কাজে আসেনি।
বিশ্বব্যাপী সাংবাদিক নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিচার হয় না। ব্যতিক্রম নয় বাংলাদেশও।সাংবাদিক নির্যাতন-নিপীড়নের অন্য নানা ঘটনায়ও প্রশাসনের অবস্থান থাকে বিপরীত মেরুতে। ‘ততদিন বাক-স্বাধীনতা সুরক্ষিত হবে না যতদিন পর্যন্ত সাংবাদিক নির্যাতন ও হত্যার এত বেশিসংখ্যক মামলা অমীমাংসিত থাকবে। বিচার না হওয়ায় অনুসন্ধানীমূলক সাংবাদিকতায়ও এর প্রভাব পড়েছে।’তবে গত দশকের তুলনায় বিচার না হওয়ার বিষয়টি ৯ ভাগ কমেছে জানিয়ে এটিকে স্বাগত জানিয়েছে ইউনেস্কো। একইসঙ্গে সংস্থাটি বলছে, এটি সহিংসতা বন্ধে পর্যাপ্ত নয়।ইউনেস্কো ২০২০ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী সংঘটিত ঘটনাবলীর আলোকে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে।
তথ্যসুত্র
সাংবাদিক হত্যাকাণ্ড-নির্যাতন, Newsbangla24.
সাংবাদিকদের একটা অংশ, Dailynayadiganta.
পরিবেশগত বিপর্যয় রোধে , Samakal.
আঞ্চলিক বা আন্তর্জাতিক আইন, gijn.
ক্ষমতার অপব্যবহার, The Daily Star.
সাংবাদিকদের উপর হামলা, Kalerkantho.
সাংবাদিক নির্যাতন, Bonikbarta.
সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে, Prothomalo.