শীতের সময় বাংলাদেশ কেমন রূপ ধারন করে | What does Bangladesh look like in winter?

শীতের সময় বাংলাদেশ কেমন রূপ ধারন করে | What does Bangladesh look like in winter?

জড়তা গ্রস্ত শীত ঋতুর "নির্মম বার্ধক্য"

হেমন্তের প্রৌঢ়ত্বের পরে আসে জড়তা গ্রস্ত শীত ঋতুর "নির্মম বার্ধক্য"। শুষ্ক কাঠিন্য এবং রিক্ততার বিষাদময় প্রতি মূর্তি রূপেই শীত আবির্ভাব ঘটে। তবুও এ শীতকালের প্রকৃতি ও মানুষের পরিবর্তনের বাস্তব লীলা অনেকেরই ভালো লাগে। বলা যায় যে, কবি সাহিত্যিক সংস্কৃতমনা মানুষের কাছে এই শীতকাল কাব্য সৃষ্টিতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বলতেই হয় যে, বিশ্বের যত মনোরম দৃশ্যের স্থান আছে সে গুলোর মধ্যে শীতপ্রধান স্থান-ই বেশি। তাই শীতল সেই সকল এলাকা অনেকেরই মন ছুঁয়ে যায়। স্বাভাবিক ভাবেই এই দেশেও শীতকালীন আবহাওয়া অনেকের খুব পছন্দ। গ্রামাঞ্চল থেকে শহরাঞ্চলের মানুষ শীতের এমন এসময়, আলাদা প্রশান্তির আমেজেই থাকে। 

শীতের রাত্রিটা দীর্ঘ হওয়ায় তীব্র ঠান্ডায় নিঃস্তব্ধ প্রকৃতি থাকে

শীতের রাত্রিটা দীর্ঘ হওয়ায় তীব্র ঠান্ডায় নিঃস্তব্ধ প্রকৃতি থাকে। প্রকৃতির মাঝ থেকে মানুষ ঘরে ফিরে সারারাত্রীতেই কম্বল, লেপ এবং কাঁথা মুড়ি দিয়ে জড়সড় হয়ে গভীর তন্দ্রায় যায়। ভোরবেলায় ঘনকুয়াশার ধবল চাদরে প্রকৃতি ঢাকা থাকে। তখন তো হিমেল হাওয়ায় 'হাড় কাঁপানি শীত' জেঁকে বসলেও যেন শীতের দাপট কাটিয়ে ওঠার জন্য মানুষজন সাধ্য মতো দামি দামি শীতবস্ত্র শরীরে জড়িয়েই প্রকৃতি নীরবতাকে উপভোগ করে।

পাশা পাশি সব শ্রেণীর মানুষ নিজ ত্বকের যত্নশীল হয়। অবশ্য পরিবেশগত কারণে বছরের অন্য সময়ের তুলনায় শীতকে ইতিবাচকভাবেই দেখে।সকল শ্রেণির মানুষের মুখে হাসি এবং তারা শীতকালের বাহারিপোষাক পরেই ফুরফুরে মেজাজে থাকে। কবিরা কবিতায় বলেন- শীত, শীত, শীত উমের চাদরে মায়ের মমতা মাখা, আমার গাঁয়ের পথ চলে গেছে বহুদূর আঁকাবাঁকা। 

''দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া, ঘর হইতে দুই পা ফেলিয়ে
একটি ঘাসের শিষের উপর একটি শিশির বিন্দু ''

বিশ্ব কবি রবিন্দ্রনাথের এই কথা যুগে যুগে যাথার্থই। বাংলাদেশের গ্রামের শীতঋতু সত্যিই এর তুলনা হয় না।কোনো দেশেই নেই এই দেশের মতো এমন নয়নাভিরাম অলংকারে মুড়োনো প্রকৃতি ও মানুষ। কোথাও পাবে না খুঁজে এমন দেশটি- 'বাংলাদেশ'।ঋতু পরিক্রমায় বাংলাদেশে এখন শীতকাল। বাঙালির জীবন মানসে এ ঋতুর প্রভাব সবচেয়ে বেশি। কুয়াশার চাদর মুড়িয়ে আবির্ভূত হয় শীতের সকাল। 

এ সময়  মৌমাছির গুঞ্জনে মুখরিত হয় হলুদ সরষে খেত আর ফুলের বাগান। পাওয়া যায় লালশাক, পালংশাক, বেগুন, বরবটি, শিম, টমেটো, আলু, মুলা, ফুলকপি, বাঁধাকপি, মটরশুঁটি, শালগম, ওলকপি। ফোটে গাঁদা, গোলাপ, ডালিয়া, সূর্যমুখীসহ নানা রং-বেরঙের ফুল। 

আগুন  পোহানো এসবই ধরা পরে চিরায়ত শীতের রূপ

এ সময় খেজুরের দিয়ে বানানো হয় নানা রকম পিঠাপুলি। নদী নালা খাল-বিল শুকিয়ে যেতে থাকে। শীতকালে নানা জায়গায় ঘুরে বেড়ানো আর চড়–ইভাতির ধুম পড়ে যায়। শহুরে জীবনে আয়োজন করা হয় বার বি কিউ পার্টি। ভোর হতেই গ্রামে কৃষাণীদের ধান সিদ্ধ করা, মাঠে ব্যস্ত কৃষক নতুন করে ফলস ফলানোর, শীত থেকে রক্ষা পেতে আগুন  পোহানো এসবই ধরা পরে চিরায়ত শীতের রূপ হিসাবে বাংলাদেশে।

Taken From Delta Times.

আমাদের মনে- প্রাণে এনে দেয় এক প্রশান্তির প্রচ্ছায়া

ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে আমাদের দেশের আবহাওয়া ও জলবায়ুতেও বিশেষ বিশেষ পরিবর্তন ঘটে। পরিবর্তন ঘটে মানুষের দৈনন্দিন জীবনাচারণে। গ্রীষ্মের তাপদাহে এবং বর্ষার অবিরাম বৃষ্টিপাতে আমাদের জীবন যেমন ওষ্টাগত করে তোলে তেমনি হেমন্তের ঝিরঝির মৃদুমন্দ্র বাতাস আমাদের মনে- প্রাণে এনে দেয় এক প্রশান্তির প্রচ্ছায়া। আর শীতের আবেশে ও কর্মচাঞ্চল্যে ভরে তোলে আমাদের জীবনধারাকে। নুতন ফসলের মৌ মৌ গন্ধে ভরে ওঠে বাংলার আকাশ বাতাস। তাই এই রূপময় বৈচিত্রের দ্যোতনা বর্ণনা করতে গিয়ে কবি জীবনানন্দ দাশ 'রূপসী বাংলা' বলে বাংলাদেশের প্রশস্তি গেয়েছেন-

বাংলার রূপ আমি দেখিয়াছি, তাই পৃথিবীর রূপ
খুঁজিতে যাইনা আর…
আবার আসিব ফিরে ধানসিড়িটির তীরে এই বাংলায়
হয়তো মানুষ নয় হয়তো বা শঙ্খচিল শালিকের বেশে;…

আর বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলাদেশের রূপ সৌন্দর্যে বিমোহিত হয়ে রচনা করেছেন তাঁর অনেক বিখ্যাত সাহিত্যকর্ম। তাঁর গানের সুরে সুরে বেজে ওঠেছে বাংলা ও বাঙ্গালির প্রাণের সুর। তাঁর কালজয়ী ভালোবাসার আবেগমথিত গান-

আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবসি
চিরদিন তোমার আকাশ তোমার বাতাসআমার প্রাণে বাজায় বাঁশি'…
যা আজ আমাদের জাতীয় সঙ্গীত।

তেমনি ভাবে আমাদের বিদ্রোহী ও জাতীয় কবি কাজি নজরুল ইসলাম তো বাংলাদেশের নদ-নদী, পাহাড় অরণ্যের প্রাকৃতিক শোভায় বিমুগ্ধ হয়ে বিশ্ববাসীকে আমন্ত্রনই জানিয়েছেন এভাবেই

জীবনকে আড়ষ্ট করে তোললেও বাড়িয়ে দেয় মনের সজিবতা

শীত ঋতু বাঙ্গালির জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই বিশেষ প্রভার বিস্তার করে। এর আবেদন চিরন্তন। আমাদের বিভিন্ন সাহিত্য কর্মে বসন্তকে ঋতুরাজ বসন্ত হিসাবে আখ্যায়িত করলেও শীতের একটা অংশ জুড়েই যে বিরাজ থাকে শীতের আবহাওয়া তা হয়তো আমাদের অলক্ষ্যেই চলে যায়। শীতের প্রচন্ড দাপট কখনো কখনো ক্ষণিকের জন্য আমাদের জীবনকে আড়ষ্ট করে তোললেও বাড়িয়ে দেয় মনের সজিবতা। ভোরের শিশিরে স্পর্শে যেমন আমাদের দিন শুরু হয়, শেষ হয় আবার শিশিরের স্পর্শেই। আগেই বলেছি শীত বাঙ্গালি জীবনে যে বিশেষ প্রভাব ফেলে সে কথা। যারা কিছুটা বেশী শীতকাতুরে তাদের কাছে না হলেও অধিকাংশ মানুষেরই প্রিয় ঋতু হলো শীত।

সাহিত্য-সংস্কৃতি বিষয়ক নানা উৎসবের আয়োজন

এই শীত ঋতুতেই বাংলাদেশে নবান্নের উৎসব শেষে চলে নানাবিদ উৎসবাদির আয়োজন। কার্তিকের মরা মঙ্গাকে অতিক্রম করে কৃষকের গোলা ভরে ওঠে ধানে ধানে। শুরু হয় রবিশস্যের নুতন আবাদ। এর ফাঁকে ফাঁকেই চলে সাহিত্য-সংস্কৃতি বিষয়ক নানা উৎসবের আয়োজন। বর্তমান তথ্য প্রযুক্তি ও টিভি চ্যানেল সংস্কৃতির যুগে আগের মতো না হলেও আমাদের বিণোদনের একটি অন্যতম অনুসঙ্গ হিসাবে যাত্রা ও পালা গানের আবেদন একেবারেই ফুরিয়ে যায়নি। তা আমরা টের পাই শীত এলেই।

শীত এলেই যাত্রা ও পালা গানের শিল্পিরা বেড়িয়ে পড়ে গ্রামের পথে প্রান্তরে, এমন কি অনেক শহর বন্দরেও যাত্রা উৎসবের শুরু হয়। জমানো শীতে চাদর মুড়ি দিয়ে রাত জেগে যাত্রাশিল্পিদের অভিনয়ের আনন্দ বেদনা, সুখ দুঃখের সাথে একাকার হয়ে যাওয়ার অনুভুতি যে কতটা আনন্দের তা যাত্রা শিল্পের সাথে জড়িত অভিনেতা, অভিনেত্রী, কলাকুশলী এবং দর্শকশ্রোতা মাত্রই জানে।

এই শীতে সূফি ও বাউল ভাব দর্শনে বিশ্বাসী জনগোষ্ঠী মেতে ওঠে নানাবিদ আচার অনুষ্ঠানে। বিভিন্ন মরমী সাধকদের মাজার ও খানকাকে ঘিরে শুরু হয় ওরস ও মেলার আয়োজন। এই সব অনুষ্ঠানাদীকে ঘিরেই বিকাশ হয় গ্রামীণ সংস্কৃতির। বিণোদনের পাশাপাশি ধর্মচর্চার সুযোগ পায় জাতি ধর্ম বর্ণ ও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। সাথে সাথে শরিয়তের আধ্যাতিœকতায় বিশ্বাসী মুসলমানেরা ওয়াজ মাহফিল ও তফসিরুল কোরআনের মাধ্যমে নিজেদের বিশ্বাস, ইমান ও আকিদার খুঁত গুলোকে ঝালাই করে নেয়ার সুযোগ পায়।

ঘরে ঘরে পিঠা পুলির আয়োজন

ফসল ওঠানো শেষ করে গায়ের বধূরা বাবার বাড়িতে নাইয়র আসে। মেয়ে ও মেয়েজামাই এলেই চলে ঘরে ঘরে পিঠা পুলির আয়োজন। এই সময়টাতে মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা অনেকটাই সাবলীল থাকার কারণে গ্রামে গ্রামে চলে বিয়ে শাদী সুন্নতে খত্নার আয়োজন। এসবের মাধ্যমে বাংলার গ্রামীণ সংস্কৃতিতে যোগ হয় নুতন মাত্রা। হাটবাজার গুলো ভরে ওঠে সবুজ সতেজ শাকশব্জিতে। বর্ষার পানি সরে গিয়ে জেগে ওঠে দেশের নদী নালা হাওড় বাওড়। তখন মাছের সরবরাহ বেড়ে কমে আসে মাছের অগ্নিমূল্য।

প্রকৃতির কাছে নিজেকে করতে হবে সমর্পণ

ঘন-কুয়াশায় পাহাড়ের মাঝে ধূসর খেলা অনেকটাই যেন ভিন্নতার জন্মদেয়। নীলগিরির ওয়াচ টাওয়ার থেকে মেঘকে ছুঁয়ে দেখা, টাঙ্গুয়ার হাওরে বিদেশী পাখির ঝাঁক, চলন বিলের দৃষ্টিনন্দন সৌন্দর্য। উত্তরের জেলাগুলোর ফসলি আবাদ। আলুটিলার অন্ধকার গুঁয়া। খেজুরের রস সংগ্রহে গাছিদের ছুটে চলা। সব মিলিয়ে বাংলার প্রকৃতির রূপের সুধা পান করতে চাইলে দেরি না করে গ্রামের টানে, নাড়ির টানে ছুটে যেতে হবে গ্রামে।

প্রকৃতির কাছে নিজেকে করতে হবে সমর্পণ। যান্ত্রিক এ শহরের কলকারখানা আর বিশাক্ত ধোঁয়া ছেড়ে সবুজে ঘেরা, প্রকৃতির কাছে নিজেকে বিলিয়ে দেখায় মধ্যেই খুঁজে পাওয়া যাবে সুখ। তাই দেড়ি না করে বর্তমান প্রজন্মকে গ্রামীণ পরিবেশ কেমন তা জানাতে ছুটে যান আপনার নিজের গ্রামে। উপভোগ করুন শীতের উষ্ণতাকে। নিজের চোখেই দেখুন গ্রামীণ মানুষের জীবন প্রণালীকে, সঙ্গে সঙ্গে চিরায়িত বাংলার রূপ বৈচিত্র্য উপভোগ করে ধন্য হন।

Taken From Mzamin.

শীতের প্রকৃতি যেন ছবির মতো সুন্দর

শীতের প্রকৃতি যেনো রূপকথার রাজ্য থেকে তুলে আনা কোনো জীবন্ত ছবি। শীতে সর্ষে হলুদ এই গালিচা মনের অজান্তেই ইচ্ছে জাগায় দুরন্তপনার। পলকেই এমন সৌন্দর্যে বুঁদ হন পথচারী। কিন্তু কৃষকের বেঁচে থাকার লড়াইটা চলে রাত-দিন।এদিকে শীত ঘিরে দেশে অতিথি পাখির আগমন ঘটেছে বেশ আগেই। আর আপ্পায়নেও নেই কোনো কমতি। বিলে নানা প্রজাতির এমন অতিথি পাখির কলকাকলি পথিককে বাধ্য করে ক্ষণিকের জন্য হলেও প্রকৃতিতে হারিয়ে যেতে।

কষ্টের হলেও শীতকাল কৃষকের কাছে আবার আনন্দেরও কারণ। শীতে ফলানো যায় নানা রকমের শাক-সবজি। চারদিকে যেন সবুজের বেষ্টনী।মাঠে মাঠে হলুদ শর্ষে ফুলের সমারোহ। সব মিলিয়ে শীতের প্রকৃতি যেন মানুষের মনে এক একান্ত অনুভবের সৃষ্টি করে। সুদূর সাইবেরিয়া থেকে আসা পাখিগুলো যেন শীত এলেই তাদের নীড় খুঁজে ফেরে বাংলার বুকে। একসময় তারা আবার চলে যায় নিজ গন্তব্যে।

Taken From Masterybd.

রিক্ততার প্রতীক হলেও এর রয়েছে এক ঐশ্বর্যরূপ

শীতকাল জড়তা বা রিক্ততার প্রতীক হলেও এর রয়েছে এক ঐশ্বর্যরূপ। বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী, পৌষ ও মাঘ মাস শীতকাল। শীতের সকালে এক অপরূপ সৌন্দর্যে বাংলার প্রকৃতি সজ্জিত হয়। সবুজ ঘাসের ডগায় ফোঁটা ফোঁটা জমা হয় শিশির বিন্দু। সে এক অপরূপ প্রকৃতি। যখন ঘন কুয়াশা উপেক্ষা করে সূর্যের সোনালি আলো ঘাসের ডগায় জমে থাকা শিশির বিন্দুর ওপর এসে পড়ে, শিশিরগুলো সোনার টুকরোর মত জ্বলজ্বল করে। ফুলের দিকে ছুটে যায় মৌমাছিরা। সে দৃশ্য চোখ জুড়ানো, মন ভোলানো। মধু সংগ্রহের উদ্দেশে তারা ছুটে চলে অবিরত।

আনন্দ-উৎসবের উষ্ণতায় ভরা শীত

কালের বিবর্তনে আমাদের এই বাংলাদেশে শীত এখন আর শূন্যতা, রিক্ততার ঋতু নয়। প্রকৃত অর্থে ফসলের মাঠ এখন আর সীমাহীন শূন্যতা বিরাজ করে না। নানা বর্ণ, নানা ধরনের ফসলের হাসিতে এখন বাংলার মাঠ উজ্জীবিত থাকে। শীত এখন ভিন্ন ধরণের উদযাপনের ঋতু। গ্রাম বাংলায় যেমন পিঠাপুলির উৎসব লেগে থাকে করপোরেট আধুনিক সমাজেও বাংলার আবাহমান উদযাপনকে তুলে ধরা হয়। গ্রামে গ্রামে যেমন পৌষপার্বন অনুষ্ঠিত হয়। পৌষ সংক্রান্তির দিন ঘুড়ি উৎসব অনুষ্ঠিত হয়; একইভাবে শহরজুড়ে ‘সাকরাইন’ উৎসবে মেতে ওঠে মানুষ। 

ভিন্ন ধরণের উদযাপনের ঋতু

বিশেষ করে ঐতিহ্যের পুনরুত্থানের জন্যে পুরান ঢাকাজুড়ে সাকরাইন এখন যেন জাতীয় অনুষ্ঠান। দেশি-বিদেশি পর্যটকরা ভিড় করেন ঘুড়ি উড়ানোর এক সর্বজনীন উৎসবে মিলিত হতে। শীতকাল এখন বাংলার মানুষের কাছে অনুজ্জ্বল, রিক্ততার কাল নয় বরঞ্চ সব শ্রেণীপেশার মানুষে মধ্যে উৎসবের আনন্দে মাতোয়ারা হয়ে সম্প্রীতি, মিলনের অপার্থিব এক আনন্দের কাল। শীতের আবাহমান রূপকে ধ্বংস না করে, শীতকে সব শ্রেণীর মানুষের উৎসব আনন্দের ঋতু হিসেবে আরও বর্ণিল ও উজ্জ্বল করে তোলার সুযোগ রয়েছে। এজন্য সব উন্নয়ন কর্মকান্ড হতে হবে প্রকৃতিবান্ধব। আর আমরা যদি প্রকৃতিবান্ধব উন্নয়ন কর্মকান্ডের মাধ্যমে এগিয়ে যেতে পারি তাহলে আমাদের শাশ্বত আনন্দ, উৎসবকে যেমন বাচিয়ে রাখতে পারব একইভাবে প্রকৃতির স্বকীয় রূপকেও ধরে রাখতে সমর্থ হব।

Taken From Masterybd.

শীতের বিকেলটা বড়ই নিস্তরঙ্গ, একঘেয়ে

শীতের বিকেলটা বড়ই নিস্তরঙ্গ, একঘেয়ে। সর্বত্রই যেন শূন্যতা আর শূন্যতা। মন-খারাপ করা নিস্তেজ, অনুজ্জ্বল রোদ। শীত ও সন্ধ্যার অন্ধকার গ্রাস করার আগেই পথিক পৌঁছে যেতে চায় গন্তব্যে। অন্ধকার গাঢ় হওয়ার আগেই কুয়াশার হালকা আবরণে ঢেকে যায় চারপাশ। বিকেলের এই বিষণ্ণতা মনকে নানাভাবে বিষন্ন করে তোলে। দূরে সুপারির বনে যখন সূর্যটা হেলে পড়ে, গৃহস্থের রসুইঘরের ধোঁয়া আর কুয়াশা মিলে তখন এক মায়াবী মেখলা পরিয়ে দেয় গোটা গ্রামকে। সায়াহ্নের এই আলো-আঁধারির খেলায় তখন ক্ষয়ে-যাওয়া আবছা চাঁদ মৃদু আলো ছড়াতে থাকে। এ আলো গ্রামজুড়ে যেন অপার রহস্য ছড়িয়ে দেয়।

Taken From Women news24.

কোনো-এক জ্যোৎস্নালোকিত শীতের রাত

কোনো-এক জ্যোৎস্নালোকিত শীতের রাত। নক্ষত্রখচিত আকাশের ছায়া পড়েছে নদীর স্বচ্ছ টলটলে জলে। নিঝুম প্রকৃতি। রাতের নিস্তব্ধতা ভেঙে দূরে কোথাও পাম্প মেশিন চলছে। শিমের গোলাপিরঙা পুষ্পদণ্ডে জমেছে মুক্তোদানা শিশির, লাউয়ের মাচার কাকতাড়–য়াটা যেন হঠাৎ করেই নড়ে উঠে ভয় দেখায়। টিনের চালায় টুপটাপ শব্দে ঝরে রাতের অশ্রু।


তথ্যসুত্র

উৎসবের উষ্ণতায় ভরা শীত, Sangbad.

শীতের হাওয়া লাগল প্রাণে, Jagonews24.

শীতের প্রকৃতি যেন ছবির মতো সুন্দর, Channel24.

শীতের রঙ রূপ গন্ধ, Banglatribune.

অপরূপ প্রকৃতি ডাকছে, Daily janakantha.

ঋতু বৈচিত্রে শীতের সংস্কৃতি , Bangla.bdnews24.

শীতে প্রকৃতি ও জীবন, Jugantor.

বাংলাদেশ' ষড়ঋতুর দেশ, Dainikjamalpur.

Subscribe for Daily Newsletter